21/07/2025
শহিদ ফারুক চট্টগ্রামের ষোলশহরে এক ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে লালখান বাজারের এক কলোনিতে থাকতেন।
কাজ থাকতো বলে দুপুরে বাসায় খেতে যেতে পারতেন না, বিসমিল্লাহ হোটেল নামে একটা ভাতের হোটেলে নিয়মিত খাওয়া হইত। ১৬ জুলাই দুপুরেও সেখানেই খেলেন। হাত মুছতে মুছতে কেবল বের হয়ে আসলেন, আর সাথে সাথে গুলি খেয়ে লুটায়ে পড়লেন। হাতটা হয়ত পুরাপুরি মুছে শেষও করতে পারলেন না!
এমনকি গায়ে তখন ভাল একটা জামাও ছিল না! কাজ করার জন্য দোকানে এসে যে জামাটা পরতেন, পরনে ছিল সেটা।
শহিদ ফারুকের স্ত্রী সীমা আক্তার দু:খ করেন এই বলে, 'আমার স্বামীর কথা কেউই বলে না, কারণ সে ছাত্র ছিল না, শ্রমিক ছিল। ফার্নিচারের দোকানে কাজ করত।'
শহিদ ফারুকের ৮ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়ে ফারিহা প্রায়ই বলে, 'আম্মু, ওরা আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ'র কথা বলে, আমার বাবার কথা বলে না কেন?'