06/09/2024
বাংলাদেশ থেকে ভারত যাত্রায় ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির অভিজ্ঞতা"
**ইমিগ্রেশন দুর্ভোগ**
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর পর আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, "ভাই, এটা কি আপনার প্রথমবারের মতো বিদেশ যাত্রা?" আমি বললাম, "হ্যাঁ, প্রথমবার।" তখনই তারা বললেন, "তাহলে আপনাকে রিটার্ন টিকেট আনতে হবে।" আমি অবাক হয়ে বললাম, "ভাই, ইন্ডিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা আছে বা কোন আইনে বলা আছে যে রিটার্ন টিকেট লাগবে?" তারা উত্তর দিলেন, "ভাই, এটা ইমিগ্রেশনের রুল।" আমি তখন বুঝিয়ে বললাম, "ভাই, আমি ইন্ডিয়া হয়ে বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে ফিরবো।" কিন্তু তারা মানতে নারাজ। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনার উপরন্তু কে আছেন? আমি তার সাথে কথা বলতে চাই।" তারা বললো, "ম্যাজিস্ট্রেট ডাকছি।" আমি বললাম, "ডাকেন।" এইদিকে আমার ফ্লাইটের সময় প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেট আসার কোনো নামগন্ধ না পেয়ে, আমি বললাম, "ম্যাজিস্ট্রেটের রুম কোথায়? আমি নিজেই যাবো।" ম্যাজিস্ট্রেটের রুমে গিয়ে সেকেন্ড অফিসারকে আমার ঘটনা জানালাম। কিন্তু তিনি কোন উপযুক্ত উত্তর দিতে পারলেন না। মুখ তুতলিয়ে বললেন, "রিটার্ন টিকেট লাগে, এটা ইমিগ্রেশনের রুল।" আমি বললাম, "আপনি কি ম্যাজিস্ট্রেট?" তিনি বললেন, "না।" তখন আমি বললাম, "তাহলে আমাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে চলুন।" আমি বললাম, "ভাই, আমার ফ্লাইটের সময় প্রায় শেষ।"
অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে দেখা হলো। আমি উনাকে আমার সমস্ত ঘটনা জানালাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম, "ভাই, এই রুল কোথা থেকে এসেছে? এর প্রমাণ দেখান।" উনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। উনি শুধু বললেন, "এটা ইমিগ্রেশনের নিয়ম। প্রথমবার যারা যায়, তাদের রিটার্ন টিকেট লাগে।" আমি বললাম, "ভাই, যদি এটা কম্পালসারি বিষয় হতো, তাহলে এটা কোথাও নোটেড থাকতো।"
অবশেষে আমি রিটার্ন টিকেট সংগ্রহ করি, কারণ আমার সাথে আরও দুইজন রাশিয়ান বন্ধু অপেক্ষা করছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন আমাকে বললো, "যদি আমরা যেতে দেই, তাহলে তোমাদের ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন দেশে ফিরিয়ে দিবে রিটার্ন টিকেট ছাড়া।" আমি অপেক্ষায় ছিলাম দিল্লি এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশনের জন্য।
দিল্লি এয়ারপোর্টে পৌঁছে আমি অনেক বড় এয়ারপোর্টের ভেতর দিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য দাঁড়ালাম। ইমিগ্রেশন অফিসার রীতিমতো আমার সাথে আড্ডায় মেতে উঠলেন। তিনি আমার ট্র্যাভেল স্টোরি শুনে খুবই মজা পেলেন এবং আমার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব সব জায়গায় কানেক্ট হলেন। ৩০ মিনিটের মত কথোপকথন চললো। এরপর তিনি আমাকে ইমিগ্রেশন পাস করতে দিলেন, যদিও আমার হোটেল বুকিং ছিল না। আমি শুধু আমার এক বন্ধুর দিল্লির ঠিকানা দিয়েছিলাম এবং তিনি সেটা ভেরিফাই করে নিলেন।
ইমিগ্রেশন শেষ করে যখন আমার ব্যাকপ্যাক হাতে নিলাম, তখন দেখলাম আমার ব্যাকপ্যাকের উপরের রেইন প্রটেক্টর কভারটা নেই। আমি বিষয়টি এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে জানালে তারা ভিডিও দেখিয়ে নিশ্চিত করলো যে কভারটি বাংলাদেশেই ফেলে রাখা হয়েছে।
এরপর আমরা এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলের দিকে রওনা হলাম। এয়ারপোর্টের কারওয়ালা আমাদের বললো, "পেমেন্ট আগে করতে হবে।" আমার রাশিয়ান বন্ধুরা বললো, "তাহলে আমরা উবার কল করছি।" কারওয়ালা বললো, "ঠিক আছে, উবার কল করেন।" কিন্তু এখানে উবার আসতে পারে না, সেটা তারা ভালো করেই জানে। অবশেষে আমরা অন্য একটি কার নিয়ে হোটেলে গেলাম, যদিও ১৭ কিলোমিটার যাত্রার মাঝপথে সে কারওয়ালা আমাদেরকে নামিয়ে দিল;
Gear:
Xiaomi 11T PRO
Insta 360°, X2
MY SOCIAL MEDIA
- instagram.com/mahi1the.go
- TIKTOK: https://www.tiktok.com/
-page : mahionethegobangla
-English Youtube : mahi1thego
**No part of this or any other video shall be**No part of this or any other video shall be
reproduced in any form without Prior written consent.Failure in doing so will lead to legal actions.**