https://www.facebook.com/109873844024835/

Unraveled Tale Original, Chittagong University Road, Chittagong (2025)

25/11/2024

🎬 Parizad
📽️ HUM Tv

23/11/2024

🎬 ওমর
📽️ মোস্তফা কামাল রাজ

23/11/2024

📝 মুলাক্করম বধ ; স্তন করের বিরুদ্ধে নাঙ্গেলির অনন্য প্রতিবাদ

উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ,তখন ভারতবর্ষের কেরালা রাজ্যের রাজা ছিলেন ত্রিভাঙ্কুর। ত্রিভাঙ্কুর নিম্নবর্ণের বা দলিত শ্রেণীর উপর বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ করে তাদের শোষণ করতেন। ঐতিহাসিকদের মতে, ত্রিভাঙ্কুরের শাসনামলে প্রায় ১১০ রকম কর চালু ছিল। এর মধ্যে মৎসজীবীদের জাল রাখার কর, অলঙ্কার পরিধান কর, গোঁফ রাখার জন্য করসহ প্রভৃতি করের বিধান চালু ছিল। আরোপকৃত কর পরিশোধের চাপে দলিতদের কষ্টার্জিত অর্থ চলে যেত রাজ কোষাগারে। যার সিংহভাগ খরচ করা হতো পদ্মনাভ মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে।

সবথেকে বিচিত্র ও ঘৃণ্য করের নাম ছিল 'মুলাক্করম'। মুলাক্করমকে বাংলায় বলা হয় স্তন কর বা স্তন শুল্ক।স্তন কর বা মুলাক্করম নামে পরিচিত এই কর এমন এক সামাজিক ব্যবস্থা ছিল যেখানে নিম্নবর্ণের মহিলাদের তাদের স্তনের আকারের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে দিতে হত। নিম্নবর্ণের নারীদের উচ্চবর্ণের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ নারীদের মত শরীর ঢেকে রাখার অনুমতি ছিল না। যদি তারা কোনওভাবে শরীর ঢেকে রাখার চেষ্টা করত বা চাইত, তবে তাদের উপর মুলাক্করম আরোপিত হত। তা নাহলে শুধু ব্রাহ্মণ শ্রেণীর হিন্দু নারীরা তাদের স্তন এক টুকরো সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার সুযোগ পেত, বাকি হিন্দু নারীদের প্রকাশ্যে স্তন উন্মুক্ত করে রাখতে হতো।

যেহেতু ধর্মের মোড়কে ব্রাহ্মণ্যবাদের তথাকথিত শ্রেষ্ঠত্বকে ব্যবহারের মাধ্যমে কর ধার্য্য করা হতো সেহেতু দলিতদের তা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য হিন্দু পুরোহিতরাই তখন বলতো যে, নিচু বর্ণের নারীদের শরীরের উপরের অংশ আবৃত করা ধর্ম বিরোধী। এমন অদ্ভূতুরে কর আরোপের মধ্য দিয়ে শ্রেণী বৈষম্যের নতুন স্বাদ নিতে শুরু করে তৎকালীন হিন্দু সমাজ।যেখানে শাসকরা আগে থেকেই উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে বসে আছে;
শোষিতরা ভয়ে নতশির হয়ে তা মেনে নিচ্ছে।

ঐ সময় কেরালার সমুদ্রঘেষা রাজ্য ট্রাভানকোর চেরথালায় বাস করত এক নিঃসন্তান দম্পতি।স্বামীর নাম ছিল চিরুকানন্দন,স্ত্রীর নাম নাঙ্গেলি।দুজনই এজহাভা নামক নিম্ন হিন্দুগোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। চিরুকানন্দন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তাদের জীবন ছিলো খুবই সাধারণ ধাঁচের। সময়ের সাথে মুলাক্করমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর হয়ে উঠে চিরুকানন্দনের সহধর্মিণী নাঙ্গেলি।

মুলাক্করম আদায়ে যারা দায়িত্বে থাকতেন তারা সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে নারীদের বুকে কাপড় পরিধান করা বা না করার বিষয়ে জরিপ করতে এবং কর সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যেতেন। অন্যান্য দিনের মতো চিরুকানন্দনের বাড়িতে আসে ট্রাভানকোরের স্থানীয় শুল্ক কর্মকর্তা।তখন শুল্ক কর্মকর্তা নাঙ্গেলির স্তনের ওপর কাপড় দেখতে পান।এরপর কর্মকর্তা নাঙ্গেলির কাছ থেকে কাপড় পরিধানের জন্য কর দাবি করে বারবার কর পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

হরহামেশাই কর্মকর্তা বাড়ি এসে চাপ দিতে থাকেন, নাঙ্গেলিও প্রতিবার কর দিতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকে। একপর্যায়ে বিষয়টি মন্দিরের পুরোহিতদের এবং স্থানীয় উচ্চবর্ণের ব্রাক্ষণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শুল্ক কর্মকর্তা শুল্ক প্রদানের জন্য নাঙ্গেলিকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করে এবং তাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। কর বাড়তে বাড়তে অনেক অর্থদেনায় পড়ে চিরুকানন্দন-নাঙ্গেলি দম্পতি।

অতিষ্ঠ নাঙ্গেলি এক পর্যায়ে কর দিতে রাজি হয়৷ নির্দিষ্ট দিনে কর সংগ্রাহকেরা তার বাড়িতে কর সংগ্রহ করতে এলে নাঙ্গেলি তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে।এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্তনদুটি কে*টে ফেলে। ক*র্তিত স্তনদুটি কলাপাতায় মুড়িয়ে শুল্ক হিসেবে শুল্ক কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়। অতঃপর স্তন ক*র্তনের ফলে অতিরিক্ত র*ক্তক্ষরণের ফলে নাঙ্গেলির মৃত্যু হয়।নাঙ্গেলির শরীরের বিকৃ*ত দশা এবং প্র‍িয়তমার মৃত্যু কিছুতেই সইতে পারেনি স্বামী চিরুকানন্দন।

নাঙ্গেলির শেষকৃত্যের আয়োজন শেষে চিতায় আগুন দেয়া হলো, দাউদাউ করে জ্বলছে নাঙ্গেলির শরীর। অকস্মাৎ জ্বলন্ত চিতায় ঝাপ দেন চিরুকানন্দন।ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথমবারের মতন স্ত্রীয়ের চিতায় সহম*রণে গেলেন কোনো স্বামী।স্ত্রীর চিতায় আ*ত্মহুতি দেয়ার এটিই প্রথম এবং শেষ দৃষ্টান্ত। এমন লোমহর্ষক ঘটনার পর মুলাক্করমসহ অন্যান্য শ্রেণিবিভেদকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষব্যাপী ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় চরম প্রতিবাদ৷১৮১৩ সালে শুরু হওয়া লড়াই চরম আকার ধারণ করে ১৮৫৯ সালে। তখন সংঘটিত হয় 'মারু মারাককাম সমরম বা কাপড় দাঙ্গা' ,যে দাঙ্গার পটভূমি রচনা করে গেছে নাঙ্গেলি-চিরুকানন্দন দম্পতি।

পরবর্তীতে মুলাক্করম বা স্তন কর রহিত করা হলেও ভারতবর্ষব্যাপী (বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে) নারীর স্তন আবৃত বা অনাবৃত রাখার বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটে যায় অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা। অবশেষে ১৯১৩-১৪ সালের দিকে পুরোপুরিভাবে স্তনকর রহিত করা সম্ভব হয় ৷

Kawshar H Masum | Unraveled Tale Original

20/11/2024

Joker: Folie à Deux' is a daring sequel that boldly diverges from its predecessor, transforming into an avant-garde musical while delving deeper into Arthur Fleck’s fractured psyche.

Joaquin Phoenix reprises his role with masterful restraint, portraying a character caught between self-doubt and mania, while Lady Gaga redefines Harley Quinn as Harleen 'Lee' Quinzel, crafting a performance that is dark, tender, and enigmatic. Their chemistry sparks a twisted, melodious love story that evolves through surreal song sequences, blending elements of old Hollywood musicals with the grim world of Gotham.

The film sets itself apart from typical superhero fare by embracing its eccentricities, including vibrant, stylistic musical numbers that balance irony with sincerity. While the spectacle occasionally veers into overindulgence, it remains grounded by the raw emotionality of its leads and the striking production design.

The narrative also introduces an intriguing courtroom drama that frames Arthur’s transformation into the Joker, adding layers to the character’s mythology.

The blend of grim satire and unorthodox musical storytelling is not without its critics, with some arguing the film overextends its creative ambition.
Yet, this daring approach offers a refreshing break from the conventional superhero genre, making Joker: Folie à Deux a uniquely haunting exploration of madness, love, and delusion.

Unraveled Tale Original

17/11/2024

তখনও বাংলাদেশ-পাকিস্তান নামে আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়নি। মজলুম নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সর্বদা সোচ্চার ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে। সবসময়ই জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি দিতেন, সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেন। একদিন এক মসজিদ প্রাঙ্গণে তিনি সবাইকে সমবেত হতে বললেন। তিনি সেখানে বক্তৃতা দিবেন ঠিক করলেন। বহুদূর থেকে মানুষ এসে জড়ো হতে শুরু করে তাঁর কথা শুনতে। মসজিদ প্রাঙ্গন লোকে লোকারণ্য।

মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন দক্ষ বক্তা। তাঁর বক্তৃতা সবসময়ই বিপ্লবী ও ঝাঁঝালো হতো। তৎকালীন শাসকরা তার বক্তৃতার মাধ্যমে জনমনে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি হতে দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন এবং তার বক্তৃতায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। ঐদিনও ব্যতিক্রম হলোনা,পাকিস্তানী সেনারা ঘিরে ফেলল মসজিদ। মওলানা ভাসানী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার পর জনসভায় সরকার পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসে,ভাসানী বক্তৃতা দিতে পারবেন না। ভাসানী ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও কৌশলী। তিনি জানতেন কীভাবে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি তখন বললেন, "আমি বক্তৃতা দিব না, তবে সবাইকে নিয়ে মোনাজাত করতে চাই।"

শর্ত দিয়ে তাকে মোনাজাত করার অনুমতি দেয়া হয়৷ আল্লাহুমা আমিন বলে মওলানা ভাসানী মোনাজাতের সূচনা করলেন। আধাঘন্টা তিনি চিৎকার করে মোনাজাত করলেন। মোনাজাতের আড়ালে তিনি শোষণ, দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকলেন। একে একে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের পথও বাতলে দিলেন। এতটাই জোরালো ও আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি কথা বলছিলেন যে, উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাকে থামানোর সাহস তো করেইনি; বরং অনেক পুলিশ অফিসার, সেপাই সেদিন মোনাজাতে অংশ নিয়েছিল। কেউ কেউ তো উচ্চধ্বনি দিয়ে খান সাহেবের বিচার চেয়ে আমিনও বলেছে।

১৯৭৬ সালের ১৭ই নভেম্বর সংগ্রামী এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার মজলুম নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। আমিন।

B2graph | Unraveled Tale Original | Kawshar H Masum

15/11/2024

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের কাব্যিক সৃষ্টি The Rime of the Ancient Mariner র বিখ্যাত একটি উক্তি,
" Water, water, everywhere, Nor any drop to drink."

প্রথিত এই কবিতার শুরু হয় প্রৌঢ় এক মেরিনারের গল্প দিয়ে, যিনি সমুদ্রযাত্রায় একটি নির্দোষ অ্যালবাট্রস পাখি হ*ত্যা করেন। হ*ত্যাকাণ্ডের পর, তাদের জাহাজ এবং তার ক্রুরা ভয়ানক দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়—জাহাজের চারপাশে অফুরন্ত পানি থাকা সত্ত্বেও পান করার মতো এক ফোঁটাও পানি পায়না কেউ। সর্বোপরি মেরিনারের করা পাপের শাস্তি হিসেবে মেরিনার এবং তার ক্রু'রা সমুদ্রের মাঝে প্রকৃতির প্রতিশো*ধের শিকার হয়৷ কবিতায় নির্দোষ আলবাট্রস পাখি মূলত প্রকৃতির প্রতীক, আর তাদের সামুদ্রিক দুদর্শায় পড়ার যে ঘটনা সেটা দ্বারা বুঝানো হয়েছে মানুষ অহেতুক প্রকৃতির ক্ষতি করলে সেটার কর্মফলও ভোগ করতে হয়।

The Rime of the Ancient Mariner এতই বিখ্যাত কবিতা যে এর মূলভাবকে কেন্দ্র করে অনেক সিনেমা তৈরী করা হয়েছে, গল্প উপন্যাস লেখা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এ ধারা অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এ লেখায় কবিতা নয়, উক্ত কবিতার বিখ্যাত উক্তিটির বিষয়ে একটু আলোকপাত করবো।কেননা আমি মনে করি কবিতার মূলভাব প্রকৃতি ও মানুষের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক,সামুদ্রিক দুর্দশা এবং প্রকৃতির প্রতিশোধ হলেও -
নির্দিষ্ট এই উক্তিটির মাহাত্ম্য অশেষ।

বিখ্যাত এই উক্তি আমাদের জীবনের গভীর সত্যকে তুলে ধরে। উক্তিটিতে একদিকে প্রকৃতির অদ্ভুত বৈপরীত্যের প্রতিচ্ছবি, আবার অন্যদিকে মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সংকটের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সমুদ্রে একজন নাবিক চারপাশে অসীম জলরাশি দেখে, কিন্তু তৃষ্ণা মেটানোর মতো কিছুই নেই—ঘটনাটিকে জীবন ও অস্তিত্বের নিরাশার এক রূপক বলা যায়।যেখানে পানি মানে জীবনের সেই অফুরন্ত সুযোগ, প্রলোভন এবং সম্পদ যা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে।

আমরা আধুনিক সমাজে প্রতিনিয়ত তথ্য, প্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য এবং সামাজিক সম্পর্কের সমুদ্রের মধ্যে বাস করি, যেখানে বাহ্যিকভাবে সবকিছুই যথেষ্ট মনে হয়। অথচ আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বা আত্মিক তৃষ্ণা মেটাতে এই সমস্ত কিছুই অসম্পূর্ণ এবং অর্থহীন বলে মনে হয়। ফলে মানুষ কখনও কখনও নিজেকে পুরোপুরি একাকী এবং বিচ্ছিন্ন মনে করে, যদিও সে সর্বদা সবকিছুর মধ্যে অবস্থান করছে।

কোলরিজ এখানে জীবনের আসল অর্থ এবং তৃপ্তির সন্ধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।তিনি বুঝিয়েছেন পানির সহজলভ্যতা থাকা সত্ত্বেও তা পান করার অক্ষমতা এমন এক আধ্যাত্মিক খরা বা মনস্তাত্ত্বিক শূন্যতার প্রতীক- যা মূলত মানুষের প্রয়োজনের গভীরে পৌঁছানোর অক্ষমতার প্রকাশ। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আমাদের তৃষ্ণা শুধুমাত্র বাহ্যিক সম্পদে মেটানো সম্ভব না। সম্ভব করতে হলে ভেতর থেকে আধ্যাত্মিক বা মনস্তাত্ত্বিক সমাধান খুঁজতে হবে আগে। নয়তো দিকবিদিক চিরানন্দ এবং শান্তির সন্ধান জীবনভর অব্যাহত থাকলেও সম্পূর্ণভাবে ভাবে তা কখনো অর্জন করতে পারবোনা।

Unraveled Tale Original | Kawshar H Masum

13/11/2024

ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ন আহমেদের লেখা পড়া হয়না বললেই চলে। অনেক আগে তাঁর অপেক্ষা উপন্যাসটি পড়েছিলাম। উপন্যাসের শেষের দিকে মিতু ও তার বাবা জামিলুর রহমানের মধ্যকার একটি সংলাপের অংশ আমাকে খুব ভাবিয়েছিল। আমার কাছে হুমায়ন আহমেদ মানেই অপেক্ষা, অপেক্ষা মানেই মিতুর বলা ঐ কয়েকটা লাইন।

উপন্যাসের শেষ অংশে মিতু তার বাবার কাছে ইমনকে ভালোবাসার বিষয়টি স্বীকার করে। তখন সে বাবাকে জানায়, আমার ওকে তেমন দরকার নেই। কিন্তু ইমনের আমাকে খুব দরকার৷

অতঃপর এ ব্যাপারে জামিলুর রহমানের মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে৷
প্রতুত্তরে মিতু বলে, পৃথিবী স্থির হয়ে থাকে না। সারাক্ষণ ঘূর্ণায়মান,কোনো কিছুই ঠিক থাকে না। এবং বাবার দিকে তাকিয়ে সে জিজ্ঞেস করে তোমার কোনো আপত্তি আছে কিনা।

ইতিবাচক সাড়া পেলে মিতু তার বাবাকে জানায়, বাবা আমি একটা মিথ্যা বলেছি তোমায়৷ তখন জামিলুর রহমান জানতে চান,
মিথ্যা কথাটা কি?

তখন মিতু বলে,
আমি বলেছিলাম না! আমার ইমনকে দরকার নেই, ইমনের আমাকে দরকার। এটাই মিথ্যা। আসলে ইমনের আমাকে দরকার নেই, আমারই ওকে দরকার।

আজকে অপেক্ষার' স্রষ্টার জন্মদিন।

12/11/2024

জার্মান ভাষার প্রখ্যাত লেখক ফ্রানৎস কাফকা মৃত্যুকে দেখতেন মানুষের নিজের ভেতর চলতে থাকা অভ্যন্তরীণ লড়াই ও অস্তিত্বের জটিলতার প্রতীক হিসেবে। কাফকার লেখায় মৃত্যু যে কেবল শারীরিক সমাপ্তি তা কিন্তু নয়, বরং মৃত্যু জীবনের অস্থিরতা, একাকিত্ব এবং মানুষের সীমাবদ্ধতার রূপক।

কাফকা মনে করতেন মৃত্যু মানবজীবনের এক অবশ্যম্ভাবী উপসংহার, যা আমাদের অস্তিত্বের অসারতা এবং জীবনের অর্থহীনতা তুলে ধরে। তাঁর মতে, জীবন ও মৃত্যু একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তিনি তাঁর লেখায় দেখাতে চেয়েছেন মানুষ নিজেকে অবিরত প্রশ্ন করে এবং অনিশ্চিত উদ্দেশ্যের সন্ধানে থাকে, তবে এই অন্বেষণ কখনোই সম্পূর্ণ হয় না। কাফকার লেখা পড়ে যা বুঝলাম, মৃত্যুর চিন্তা এক ধরনের অতৃপ্তি এবং অপরিসীম বেদনার সঙ্গে জড়িত বিষয়;
যা মানুষকে স্থায়ী শান্তি খুঁজতে প্রতিনিয়ত বাধা দেয়।

কাফকার বিখ্যাত লেখা দ্য ট্রায়াল এবং দ্য মেটামরফোসিস 'এ তাঁর মৃত্যু ভাবনা নিগূঢ় আকারে উঠে এসেছে। যেখানে মূল চরিত্রগুলো এমন এক মানসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যায়, যা ধীরে ধীরে তাদের জীবনের ওপর মৃত্যুর মতো অচেনা ভয় এবং অসহায়ত্ব এনে দেয়।

তাঁর লেখায় মৃত্যুর এমন অন্তর্নিহিত অর্থ বারবার উঠে এসেছে। যা থেকে ঠাউর করা যায় কাফকার জন্য মৃত্যু কেবল একটি শারীরিক ঘটনা নয়; এটি জীবনের অর্থহীনতার প্রতীক, যা মানুষকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে এবং জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তকে ভীতিকর করে তোলে।

কাফকার মৃত্যু ভাবনা | Kawshar H Masum

11/11/2024

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমির জিহবার ওজন প্রায় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির সমান, যা প্রায় ২.৭ টন বা ২,৭০০ কিলোগ্রাম।

Unraveled Tale Original

10/11/2024

আট বছর আগে একদিন | জীবনানন্দ দাশ

Unraveled Tale Original

#কবিতা #কবিতার #জীবনানন্দ

09/11/2024

#কবিতা
#কবিতার
#জীবনানন্দ

09/11/2024

পৃথিবীর কিছু ছোট দেশ যেমন লিচেনস্টাইন, মোনাকো, ভ্যাটিকান সিটি, সান মারিনো ও আন্দোরায় কোনো বিমানবন্দর নেই। এসব দেশ তাদের ভৌগোলিক সীমানা ও আকারগত সীমাবদ্ধতার কারণে নিকটবর্তী দেশগুলোর বিমানবন্দর নির্ভর করে।

যেমন, লিচেনস্টাইন সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, মোনাকো ফ্রান্সের নিস, ভ্যাটিকান সিটি রোমের ফিউমিসিনো, সান মারিনো ইতালির রিমিনি, এবং আন্দোরা স্পেনের বার্সেলোনা বা ফ্রান্সের তুলুস বিমানবন্দর ব্যবহার করে।

Unraveled Tale Original

25/11/2024

23/11/2024

23/11/2024

20/11/2024

17/11/2024

15/11/2024

13/11/2024

12/11/2024

11/11/2024

10/11/2024

09/11/2024

09/11/2024

Address

Telephone

Website

Alerts

Shortcuts

Share