Sokalersomoy

Sokalersomoy 24 online news

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর একদিন  পেছাল—কী ঘটতে যাচ্ছে......................................................
15/07/2025

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর একদিন পেছাল—কী ঘটতে যাচ্ছে............................................................................

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে একটি হত্যা মামলায় ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন সেদেশের সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার (১৬ জুলাই) তার সাজা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে ভারতের অনুরোধে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়সীমা এক দিন পিছিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আলোচনার জোর চেষ্টা চলেছে এবং তারই প্রেক্ষিতে মাহদি পরিবার অন্তত একদিনের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর অর্থ এই নয় যে নিমিশা প্রিয়াকে ক্ষমা করা হয়েছে, কিংবা তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। তিনি এখনো হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন—যেখানে ভারতের সরাসরি কূটনৈতিক প্রভাবও খুবই সীমিত।

নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে নার্সের চাকরি নিয়ে ইয়েমেনে যান। পরে স্বামী ও কন্যাসহ সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ২০১৪ সালে স্বামী-কন্যা দেশে ফিরে এলে তিনি সেখানে থেকে যান নিজের ক্লিনিক খোলার আশায়। ক্লিনিক খোলার আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে স্থানীয় নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়েন তিনি। কিন্তু শুরু থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হতে থাকে।

নিমিশার অভিযোগ, মাহদি তাকে জোর করে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন, তার টাকা ও পাসপোর্ট আত্মসাৎ করেন এবং প্রশাসনিক সহায়তা পাওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেন। পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনো ফল মেলেনি।

২০১৭ সালের ২৫ জুলাই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, ওইদিন মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেন নিমিশা, যার লক্ষ্য ছিল তার পাসপোর্ট উদ্ধার। কিন্তু ওভারডোজে মাহদি মারা যান। পরে এক সহকর্মীর সহায়তায় তার মরদেহ টুকরো করে পানির ট্যাংকে ফেলে দেন। পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার হন নিমিশা।

এরপর থেকেই ইয়েমেনের কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা ২০২৩ সালে ইয়েমেনের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সেই সাজা বহাল রাখা হয়।

ভারত এই মামলাকে ‘অত্যন্ত জটিল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি সুপ্রিম কোর্টকে জানান, ভারত সরকারের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, তা করা হয়েছে। এখন একমাত্র পথ হলো, মাহদি পরিবারের সম্মতিতে ‘রক্তমূল্য’ (একটি ইসলামি আইনি ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা) পরিশোধ করে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

ভারত সরকার ও প্রিয়ার পরিবার সাম্প্রতিক সময়ে মাহদি পরিবারের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতার চেষ্টায় আছে এবং আরও সময় চাচ্ছে আলোচনা চালিয়ে যেতে। সূত্র মতে, ইয়েমেনের কারা কর্তৃপক্ষ ও প্রসিকিউটরদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করায় মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা সম্ভব হয়েছে।

এই মুহূর্তে নিমিশা প্রিয়ার ভাগ্য নির্ভর করছে মাহদি পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর। তারা যদি ‘রক্তমূল্য’ গ্রহণ করে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড এড়ানো সম্ভব হতে পারে। তবে ইয়েমেনে আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া জটিল এবং হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সীমিত বলেই চূড়ান্ত ফল অনিশ্চিত।

ভারতের জনগণ, মানবাধিকার কর্মী ও কেরালার স্থানীয় প্রশাসন এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। এখন দেখার বিষয়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো যায় কি না—নাকি কার্যকর করা হবে মৃত্যুদণ্ড।

www.sokalersomoy.com

12/07/2025
কুয়েত-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে.............................................................
24/06/2025

কুয়েত-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে................................................................

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনো নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টিরও বেশি দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জলসীমায়ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে এসব ঘাঁটিতে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ রয়েছেন। এছাড়া রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ।

এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর এসব সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের সম্ভাব্য ‘টার্গেট’ বা লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল, পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তারা ‘সব বিকল্প খোলা রাখছে’। ইরান ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনো নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

গত বছর ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে ইয়েমেনের হাউছিদের ক্রমাগত হামলার পর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হয়। তবে সম্প্রতি তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলো থেকে সামরিক বাহিনীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৯টি স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে বহু আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞই স্থায়ী ঘাঁটি বলে মনে করেন। এগুলো সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইসরাইল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়ায় অবস্থিত।

স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের’ মতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জিবুতি ও তুরস্কের বড় ঘাঁটিগুলোও ব্যবহার করে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

বিবিসির প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সব ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ’সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)’ বা মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে।

কাতার

কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিটি পুরো অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। এখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং এর বিমান বাহিনীর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার রয়েছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অতীত অভিযানের সময় আল উদেইদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংও এই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াশিংটন আল উদেইদের রানওয়ে থেকে কয়েক ডজন বিমান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, মার্কিন হস্তক্ষেপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

গত ৫ জুন প্ল্যানেট ল্যাবস-এর প্রকাশিত ছবিতে সি-১৩০ হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট (একটি বিশেষ সামরিক পরিবহন বিমান) এবং রেকোননাইসেন্স প্লেনসহ (বিশেষ সামরিক বিমান যা আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়) ৪০টি বিমান দেখা গিয়েছিল। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে সেখানে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রসঙ্গত, কাতারে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

বাহরাইন

বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দফতর রয়েছে, যা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং কেনিয়ার দক্ষিণে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে।

এই ফ্যাসিলিটি ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন নামে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতরও রয়েছে। প্রায় নয় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে।

মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ বাহরাইনে রয়েছে। এই অঞ্চলের গভীর জলে ইউএসএস কার্ল ভিনসনের মতো সুপারক্যারিয়ার জাহাজ এবং অন্যান্য বিমানবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে চারটি মাইন ক্লিয়ারেন্স ভেসেল (মাইন বিধ্বংসী জাহাজ) এবং দু’টি লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজও রয়েছে।

বাহরাইনে মার্কিন কোস্টগার্ডের ছয়টি র‍্যাপিড রেসপন্স বোটসহ একাধিক জলযান রয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

কুয়েত

মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প আরিফজান, যেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের হেডকোয়ার্টার রয়েছে। এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল এবং লজিস্টিকাল হাব হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন অভিযানের সময় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান মজুদ রয়েছে এই হাবে।

কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এএফপি এই ঘাঁটিকে ওই অঞ্চলে যৌথ ও জোট বাহিনীকে যুদ্ধ শক্তি মোতায়েনের কেন্দ্রীয় বিমান ঘাঁটি এবং প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেছে। এছাড়া কুয়েতে এমকিউ-৯ রিপারসহ যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনও রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্যাম্প আরিফজান ও আলী আল সালেম বিমান ঘাঁটি মিলিয়েই মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি একটি কৌশলগত ঘাঁটি যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কম্ব্যাট এয়ার অপারেশন (যুদ্ধ বিমান অভিযানে) সাহায্য করে।

এই ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮০ তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এটি ১০টি বিমান স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এমন এক বাহিনী যেখানে এমকিউ -৯ রিপার্স-এর মতো ড্রোনও আছে।

ইরাক

সাদ্দাম হোসেনের পতনের সময় ইরাকের ৫০০টিরও বেশি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। তবে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন তাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার জন্য বাগদাদ সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এটি ইসলামিক স্টেট নামক গোষ্ঠীকে রুখতে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মূলত কুর্দিস্তানের দু’টি বিমান ঘাঁটি- আল আসাদ এবং ইরবিল থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘাঁটিগুলি এবং ওই দেশের অন্যান্য ছোটখাটো ঘাঁটিগুলো ইরানের-মিত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

সিরিয়া

সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে সম্পর্কিত। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সালে ওই দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে। পরে সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে ফেলে ওই গোষ্ঠী।

সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে যারা এই গোষ্ঠীটির পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কাজ করছে।

গত জুন মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা আট থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে আনবে এবং সিরিয়ার বিষয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে ‘কারণ এগুলোর কোনোটিই কাজ করেনি’।

ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে গত মে মাসে সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার সরকার সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ শারার সাথে আলাপ আলোচনার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আহমেদ শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা— শর্ত ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি...........................................................
24/06/2025

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা— শর্ত ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি...........................................................................

দুই সপ্তাহের টানা সংঘাতের পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে উভয় দেশের সংবাদমাধ্যম। তবে যুদ্ধবিরতির সুনির্দিষ্ট সময় ও শর্তাবলি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরায়েল একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।” তার ঘোষণার ছয় ঘণ্টা পর রাত ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়, ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় ইরানের চার দফা হামলার পর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাসনিমের টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে বলা হয়, "এই যুদ্ধবিরতি এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ ও ওয়াইনেট জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে সময় এবং শর্ত নিয়ে তারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। ইরানি মিডিয়া আরও দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি তাদের পক্ষ থেকে “শত্রুর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে”।

তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পেছনে কূটনৈতিক চাপ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা, বড় ভূমিকা রেখেছে। যদিও এর স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।

সূত্র—সিএনএন, প্রেস টিভি, তাসনিম বার্তা সংস্থা, চ্যানেল ১২ নিউজ, ওয়াইনেট নিউজ

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর বদলে গেল বিশ্ববাজারে তেলের দরপতন ................................................................
24/06/2025

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর বদলে গেল বিশ্ববাজারে তেলের দরপতন ..........................................................................

কাতারে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দরপতন হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়লেও এ ধরনের পতন বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য স্বস্তির। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালানি সরবরাহে বড় কোনো বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনাও বর্তমানে নেই।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডাব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম সোমবার (২৩ জুন) এক লাফে ৭ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৮.৫১ ডলারে দাঁড়ায়। এই দরপতনের মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে কাতারের আল উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে। যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ একে প্রতীকী আখ্যা দিয়েছে এবং এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার প্রতিক্রিয়াতেই ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।

হরমুজ প্রণালি বন্ধের জন্য ইরানি পার্লামেন্টে ভোট পাস হলেও, বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সামুদ্রিক রুট এখনো সচল রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এবং বিপুল পরিমাণ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এই প্রণালি দিয়ে সরবরাহ হয় বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এখনই হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার মতো চরম পদক্ষেপ নেবে না। কেপলারের বিশ্লেষক ম্যাট স্মিথ বলেন, ‘এটা এমন এক পরিস্থিতি যেখানে ইরান তুলনামূলকভাবে কম সংঘাতময় পথ বেছে নিচ্ছে। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’

তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলেও বিশ্ব শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বড় ধরনের আতঙ্ক দেখা যায়নি। নিউইয়র্কের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে ০.৬ শতাংশ এবং ডাও জোন্স বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। অন্যদিকে লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক কমেছে ০.২ শতাংশ এবং টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক কমেছে ০.১ শতাংশ।

অ্যাগেইন ক্যাপিটালের অংশীদার জন কিলডাফ জানান, ‘এই মুহূর্তে ইরানের লক্ষ্য তেল সরবরাহ নয়। বরং তাদের নজর মার্কিন ঘাঁটি বা ইসরায়েলের বেসামরিক অবকাঠামোর দিকে।

অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের প্রধান বিশ্লেষক জন ক্যানাভান বলেন, বছরের শুরু থেকেই ভূরাজনৈতিক নানা অনিশ্চয়তা বাজারকে রীতিমতো ক্লান্ত করে তুলেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন আর সহজে ভীত হয়ে পড়ছেন না।

www.sokalersomoy.com

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা—বাংকারে লুকিয়ে প্রাণ বাচাল এমপিরা.......................................................
23/06/2025

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা—বাংকারে লুকিয়ে প্রাণ বাচাল এমপিরা...........................................................................

ইসরায়েলে একাধিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। সোমবার উত্তর ইসরায়েলে ব্যাপক বিমান হামলার পর জেরুজারলেমসহ বিভিন্ন শহরে সতকর্তাতা মূলক সাইরেন বেজে উঠে বলে লাইভ আপডেটে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

জেরুজালেমে সাইরেন বাজার পর হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সতর্কবার্তা পেয়ে নেসেটের (ইসরায়েলি সংসদ) আইনপ্রণেতারা কমিটির বৈঠক স্থগিত করে বাংকারে লুকিয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় সাইরেন শোনা গেছে সেসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বোমাশেল্টারে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নাহারিয়া, গেশের হাজিভ, হিলা, মেওনা এবং মি’লিয়া শহরসহ বিভিন্ন স্থানে সাইরেন শোনা যাচ্ছে। এই হামলার কিছুক্ষণ আগে লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও সতর্কতা জারি হয়, যা ইরানের টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর কিছুক্ষণ আগেই লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর কয়েকটি কমিউনিটিতেও সতর্কতা জারি হয়, যা ইরানের টানা হামলার অংশ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

www.sokalersomoy.com

ই রা নের ভেতরে যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল মোসাদের গোয়েন্দা ঘাঁটি...............................................................
22/06/2025

ই রা নের ভেতরে যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল মোসাদের গোয়েন্দা ঘাঁটি.........................................................................................

ইরানের সাম্প্রতিক সামরিক সংকট নিয়ে বিশ্বের নজর যখন আকাশপথের হামলায়, তখন বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা সূত্র বলছে—ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়েছিল ভিন্ন পথে, অর্থাৎ স্থলপথ ধরে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল বহু বছর ধরে পরিকল্পিত, গভীর গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক এবং ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদের একটি সুসংগঠিত অভিযান।

ইরানের ভেতর থেকেই হামলার সূচনা

ইসরায়েল বহুদিন ধরেই ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোয়েন্দা অনুপ্রবেশ ও স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে হামলার ভিত গড়ে তোলে তারা।ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আগে থেকেই ইসরায়েলের অনুপ্রবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মোসাদ এই অভিযানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলো, ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টার এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নিশানা করে নিখুঁত হামলা চালানো হয়। পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ইরানের অভ্যন্তরে অস্ত্র চোরাচালান, স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে গোপন অস্ত্র সংরক্ষণ এবং ড্রোন তৈরি করা হচ্ছিল মোসাদের ঘাঁটিতে।

ইরাকের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক কনটেইনার, ট্রাক ও স্যুটকেসের মাধ্যমে ছোট আকারের অস্ত্র, ক্যামেরা, ব্যাটারি, ইঞ্জিন ও গাইডেন্স সিস্টেম ইরানে পাচার করা হয়। পরে এসব যন্ত্রাংশ থ্রিডি প্রিন্টারসহ গোপন কর্মশালায় একত্র করে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বানানো হয়। তেহরানে তিনতলা একটি ভবনে আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির ঘাঁটির খোঁজ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা। সেখানে বিপুল পরিমাণ ড্রোন যন্ত্রাংশ, থ্রিডি প্রিন্টার ও নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম ছিল।

ইরানি পুলিশের তথ্য মতে, গত ১৬ জুন তেহরানের দুটি পৃথক অভিযানে মোসাদ-সংশ্লিষ্ট দুই এজেন্ট গ্রেপ্তার হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোন যন্ত্রাংশ, লঞ্চার ও একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। ইসফাহানেও বিপুলসংখ্যক মাইক্রো ড্রোন তৈরির উপকরণ ধরা পড়ে।

রিমোট কন্ট্রোল ক্ষেপণাস্ত্র ও স্মার্ট অস্ত্র

ইরানে হামলার একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল স্মার্ট, রিমোট কন্ট্রোলড অস্ত্রের ব্যবহার। ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের ব্যবহৃত স্পাইক মিসাইল লঞ্চার ইন্টারনেট-অটোমেশন ও স্যাটেলাইট গাইডেন্স সিস্টেমে নিয়ন্ত্রিত ছিল।

এসব অস্ত্র মোসাদের এজেন্টরা পরিচালনা করছিল বলে অভিযোগ। এ ধরনের অস্ত্র ২০২০ সালেও ব্যবহার করা হয়েছিল, যখন রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্রের সাহায্যে এক ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করা

বিশ্লেষকদের মতে, হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা। ছোট আকারের আত্মঘাতী ড্রোন, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে ব্যবহার করে রাডার ও প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্মগুলো অকেজো করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলি অভিযানের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ইরানের সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাঠামোকে দুর্বল করা। উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, বিশেষত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজমি এবং তাঁর ডেপুটিকে সরাসরি নিশানা করা হয়। হামলার পরই ইরান সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়, যা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

নিরাপত্তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সুপরিকল্পিত অভিযান শুধু সামরিক ঘাঁটিতেই নয়, ইরানের গোয়েন্দা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপরেও ব্যাপক আঘাত হেনেছে। জনসাধারণকেও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রকাশিত রিপোর্টগুলো এটিই নির্দেশ করে যে, ইরানে হামলার পূর্বপ্রস্তুতি বহু বছর ধরে গোপনে চলছিল। এবং এটি ছিল একটি প্রযুক্তিনির্ভর, উচ্চমাত্রার গোয়েন্দা অভিযানের বাস্তবায়ন—যার মাধ্যমে ইরানের অভ্যন্তরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

সূত্র....বিবিসি

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড-ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক তিন গভর্নর! .....................................................................
22/06/2025

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড-ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক তিন গভর্নর! ........................................................................................

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংক খাত পুনর্গঠনকে অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আবদুর রউফ তালুকদারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ব্যাংক খাত চরম দুর্দশায় পড়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ব্যাংক খাতকে “ব্ল্যাকহোল” আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণসহ মোট দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।

আতিউর রহমান: অনিয়মের সূচনা

নতুন দলের জন্য শর্ত জানাল নির্বাচন কমিশন
২০০৯ সালে গভর্নরের দায়িত্বে আসা আতিউর রহমানের শুরুর দিকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকলেও পরে তা ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়। তাঁর মেয়াদকালে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি এবং আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ নয়টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন বিতর্ক জন্ম দেয়। ২০১৫ সালে রাজনৈতিক চাপের মুখে একাধিক ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধা প্রদানে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন তিনি এবং ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

ফজলে কবির: দখলদারি ও লুটপাটের প্রসার

রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর ২০১৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণকারী ফজলে কবিরের আমলে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক এস আলম গ্রুপের দখলে চলে যায়। গভীর রাতে বাসা থেকে এ দখল কার্যক্রম অনুমোদন দেওয়া, ঋণনীতিতে ছাড় এবং গ্রুপটির অনিয়ন্ত্রিত ঋণ সুবিধা প্রদানে ভূমিকা রাখেন তিনি। তাঁর মেয়াদে আইন পরিবর্তন করে গভর্নরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে উন্নীত করা হয়।

আবদুর রউফ তালুকদার: অর্থপাচারের ত্বরান্বিতকারী

২০২২ সালে গভর্নর হিসেবে দায়িত্বগ্রহণকারী আবদুর রউফ তালুকদারের সময়ে ব্যাংক খাতে অর্থপাচার আরও বেড়ে যায়। তাঁর আমলে ব্যাংকগুলোর ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা পরে ফের ঋণ হিসেবে বিতরণ করে এস আলম গ্রুপসহ প্রভাবশালী মহল বিদেশে পাচার করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে এবং আর্থিক তথ্য গোপন রাখা শুরু হয় তাঁর আমলেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আগামী দিনে খেলাপি ঋণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় এস আলম গ্রুপ অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার করেছে।

তিন গভর্নরের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা থাকা সত্ত্বেও এখনও তাঁরা আইনের আওতায় আসেননি। নতুন সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। দেশের ব্যাংকব্যবস্থা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, কিন্তু এর মূল হোতারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে — যা আজকের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক ট্র্যাজেডি।

সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আতঙ্কে নিউইয়র্ক, কড়া নিরাপত্তা জারি.........................................................
22/06/2025

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আতঙ্কে নিউইয়র্ক, কড়া নিরাপত্তা জারি.........................................................................................

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) সতর্কতা হিসেবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করেছে।

এনওয়াইপিডি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ইরানের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নিউইয়র্ক শহরের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গেও সমন্বয় করছি।

প্রায় ৮০ লাখ বাসিন্দার এই শহরে কোনো ধরনের প্রভাব পড়তে পারে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ।

এদিকে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মধ্যপ্রাচ্যের এমনিতেই অস্থির পরিস্থিতিতে এটি একটি বিপজ্জনক নতুন মোড়, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার সরাসরি হুমকি।

তিনি বলেন, এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে সাধারণ মানুষ, গোটা অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য।

গুতেরেস আহ্বান জানান, সব সদস্য রাষ্ট্র যেন উত্তেজনা কমাতে এগিয়ে আসে এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সংকটময় সময়ে বিশৃঙ্খলার চক্র বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কোনো সামরিক সমাধান নেই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে কূটনীতি। একমাত্র আশার নাম—শান্তি।

তথ্যসূত্র-আলজাজিরা

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sokalersomoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sokalersomoy:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share