06/06/2025
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। কালুরঘাট সেতুতে বারবার রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি সত্যিই হৃদয়বিদারক। এই ট্র্যাজেডি বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য:
# # # 🚧 **কারণ ও দায়িত্ব:**
১. **অবকাঠামোগত অবহেলা**:
- ৯০ বছরের পুরোনো এই সেতুতে **সঠিক ব্যারিয়ার/গেট নেই**। ট্রেন আসার সময় যানবাহন থামার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
- **মেরামতের সময় নিরাপত্তা উপেক্ষা**: সেতুর চলমান মেরামত কাজে সতর্কতামূলক সংকেত, আলো বা ট্রাফিক পুলিশের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।
২. **নিয়ম লঙ্ঘনে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা**:
- পূর্ববর্তী দুর্ঘটনার পর **কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি**। গত মে মাসেও একই স্থানে জিপ নদীতে পড়ে ৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
- **সিগন্যাল উপেক্ষা**: চালকরা প্রায়ই রেল ক্রসিং সিগন্যাল উপেক্ষা করেন, কিন্তু এ বিষয়ে কঠোর শাস্তি বা নজরদারি নেই।
# # # 🛠️ **জরুরি সমাধান:**
১. **অবিলম্বে:**
- **অটোমেটিক গেট/ব্যারিয়ার** লাগানো (ট্রেন আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামবে)।
- ২৪/৭ **ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন** এবং কঠোর শাস্তির নীতি (লাইসেন্স বাতিল, জরিমানা)।
- **স্পিড ব্রেকার** ও ওভারহেড হাইট ডিটেক্টর স্থাপন।
২. **দীর্ঘমেয়াদি:**
- সেতুর **পূর্ণ সংস্কার** বা নতুন ডিজাইন (যানবাহন ও ট্রেনের জন্য আলাদা লেন)।
- **সিসিটিভি ও সেন্সর** বসিয়ে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং।
- **জনসচেতনতা**: স্থানীয় মসজিদ, স্কুল ও মিডিয়ায় নিরাপত্তা নিয়ম প্রচার।
# # # ⚖️ **দায়মুক্তি দাবি করুন:**
- **ব্রিজ কর্তৃপক্ষ**, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে **তদন্ত কমিশন** গঠনের দাবি জানান।
- **আইনি ব্যবস্থা**: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে আদালতে মামলা (জীবন রক্ষার অবহেলার জন্য)।
> "যতক্ষণ পর্যন্ত **দায়িত্বপ্রাপ্তরা জবাবদিহি** না করবে, ততক্ষণ এভাবে প্রাণ ঝরতে থাকবে। দাবি করুন:
> **রেলওয়ে মন্ত্রণালয়**: ☎️ ০২-৯৫৫৯৯১১
> **চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন**: ☎️ ০২৪৭৭৭০৩১৩০"
এই করুণ পরিস্থিতির অবসান চাইলে **সামষ্টিক চাপ** তৈরি করতে হবে। নিয়মিত আন্দোলন, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রতিটি প্রাণই অমূল্য — এই বার্তা পৌঁছে দিন সর্বোচ্চ!
#কালুরঘাট