Nath Rahul's Illusion

Nath Rahul's Illusion Living for the thrill of last-minute goals and match-winning sixes. "জনস্বার্থে প্রচারিত"

বর্তমানে নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত নাম, বাংলাদেশের টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তার। গতি এবং সুইংয়ের সংমিশ্রণে তার একেকটা ...
11/10/2025

বর্তমানে নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত নাম, বাংলাদেশের টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তার। গতি এবং সুইংয়ের সংমিশ্রণে তার একেকটা বল যেন একেকটা তেজি ঘোড়া। কিন্তু তার জীবনের গল্পটিও কম তেজি নয়।
বর্তমানে তার সাফল্যের জয়জয়কার বিশ্ব ক্রিকেট পাড়ায়। তবে এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে এক দীর্ঘ লড়াই, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ জুড়ে আছে কষ্ট, অপমান আর অদম্য ধৈর্যের গল্প।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম মারুফার। ছয়জনের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাকে নামতে হয়েছিল জীবনের কঠিন লড়াইয়ে। নিজের জমি না থাকায় অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করতেন তার বাবা। সেই কর্দমাক্ত মাঠেই মারুফা লাঙলের হাল ধরতেন বাবার পাশে দাঁড়িয়ে। তখন কে জানতো, একদিন এই হাতেই ধরা পড়বে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্ন!

তাদের জীবনে দারিদ্র্য এমনভাবে জড়িয়ে ছিল যে, একসময় ভালো পোশাক না থাকার কারণেই কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেতেন না তারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মারুফা বলেন, "আমার বাবা একজন কৃষক। আমাদের ওইরকম পয়সাকড়ি ছিল না। আব্বা যখন বাসায় ছিল না, বাজারে যেত তখন মাকে এসে অনেকে অনেক কথা বলতো। অনেক খারাপ খারাপ কথা বলে যেগুলা নেওয়ার মতো না। আমার মা রুমে গিয়ে কান্না করতো। আমি আবার গিয়ে এক কোণায় কান্না করতাম যে আমার জন্য এতকিছু হচ্ছে। কোথাও যদি বিয়ে বা কোনোকিছু (অনুষ্ঠান) হয়, দাওয়াত দেয় না? আমাদেরকে সেটাও দিতো না। বলতো ওদের ড্রেস নাই, ওইখানে গেলে আমাদের মান সম্মান থাকবে না। এরকম বলতো অনেকে। একটা সময় ছিল যখন আমরা ঈদেও নতুন জামা কিনতে পারিনি।"

এমন কষ্টই হয়তো তাকে বানিয়েছে আজকের ‘স্টিল নার্ভড’ মারুফা। সমাজের অবজ্ঞা, অর্থের অভাব কিংবা অপমান, কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। নিজের ভেতরের জেদটাই ছিল সবচেয়ে বড় অস্ত্র। টাইগ্রেস এ পেসার আরো বলেন, "আমি ভাবতাম ঠিক আছে, আমি একদিন ভালো কিছু করে দেখাব। এখন আমরা যেরকম অবস্থাতে এসেছি, অন্যরা এখন সেরকম জায়গায় নেই। আমি যেভাবে ফ্যামিলিকে সাপোর্ট করছি, অনেক ছেলেরাও হয়তো সেভাবে পারছে না। এটা অন্যরকম একটা শান্তি দেয়। ছোটবেলায় ভেবেছি মানুষ কবে আমাদের এভাবে দেখবে, হাততালি দিবে, এখন টিভিতে (নিজেকে) দেখলে লজ্জা লাগে (হাসি)।"

আজ মারুফা শুধু বাংলাদেশ দলের হয়ে বল করেন না, তিনি স্বপ্ন দেখান হাজার তরুণীকে, যে সীমাবদ্ধতা যতই বড় হোক, মনোবলই পারে তা ভাঙতে। আজকের মারুফা আক্তার কেবল এক ক্রিকেটার নন, তিনি এক প্রেরণার প্রতীক। কর্দমাক্ত মাঠের লাঙল থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের জার্সি, এই পথটা সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি প্রমাণ করেছেন, “স্বপ্ন পূরণের জন্য ড্রেস নয়, মনোবলই আসল পোশাক।”

"জনস্বার্থে প্রচারিত"

09/10/2025

So close, yet so far!💔

"জনস্বার্থে প্রচারিত"

Where’s this?"জনস্বার্থে প্রচারিত"
07/10/2025

Where’s this?

"জনস্বার্থে প্রচারিত"

Two legends bow out together. Just 13 days after Sergio Busquets retired, Jordi Alba follows suit.End of an era for two ...
07/10/2025

Two legends bow out together. Just 13 days after Sergio Busquets retired, Jordi Alba follows suit.
End of an era for two maestros who defined a generation of football.

El Ferrari and El Pulpo thank you for everything. Legends forever.

"জনস্বার্থে প্রচারিত"

গতিময়, তেজস্বী আর আগুনঝরা বোলিং— এই তিন শব্দেই কৌশিকের ক্রিকেট জীবনের সূচনা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতে খেলতেই ওয়েস্ট ইন্ডি...
05/10/2025

গতিময়, তেজস্বী আর আগুনঝরা বোলিং— এই তিন শব্দেই কৌশিকের ক্রিকেট জীবনের সূচনা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতে খেলতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজরে আসেন এই তরুণ পেসার। তখন রবার্টস ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অস্থায়ী বোলিং কোচ। আর তিনি বুঝেছিলেন, বাংলাদেশের এই ছেলেটির মধ্যে আছে আগুন। তাইতো রবার্টসের পরামর্শেই তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলে, আর সেখান থেকেই শুরু এক রূপকথার যাত্রা।

‘এ’ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার পরই জাতীয় দলে ডাক পান তিনি। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর, ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষেক ঘটে তার। যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি অমীমাংসিত ছিল— তবে অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। মাত্র ১৫ দিন পর, ২৩ নভেম্বর, ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক। সেদিন ৮ ওভার ২ বলে মাত্র ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে জানান দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছে এক বিশেষ প্রতিভা।

কিন্তু জীবনের গল্প কখনোই সরল পথে চলে না, তারও চলেনি। ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্টেই হাঁটুতে গুরুতর চোট পান তিনি। দুই বছর থাকেন মাঠের বাইরে। অনেকে ভাবছিলেন, হয়তো এখানেই শেষ— কিন্তু না।

২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ফেরেন আগুনের গোলার মতো। রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের এক নিখুঁত ডেলিভারিতে বোল্ড করে জানান দেন, তিনি ফিরেছেন নিজের স্বরূপে। একই সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে আউট করার সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি, তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় সেটি হাতছাড়া হয়। তারপরও সেই সিরিজেই একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়ে ছিলেন নায়ক।

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা গড় ছিল তার। আর কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয়ের কথা কে না জানে!
বিশ্বসেরা মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ইতিহাসের পৃষ্ঠা। দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে দলকে এনে দেন অমূল্য জয়।

২০১১ সালের বিশ্বকাপের আগে আরেকটি চোট কেড়ে নেয় তার স্বপ্ন, দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তার। কিন্তু ভাগ্য তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল আরও বড় মঞ্চে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট পায় নতুন পরিচয়, নতুন উচ্চতা। ফ্যাবারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও ভারতের সঙ্গে বিতর্কিত হারে থেমে যায় সেই যাত্রা, তবুও সেদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়েছিল মাথা উঁচু করে।

তার নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় আসে, এমনকি হোয়াইটওয়াশও। এরপর ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রতিশোধের মতো সিরিজ জয় এনে দেন তিনি। আর তার নেতৃত্বে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে টাইগাররা প্রমাণ করে, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আর কারও ছায়ায় নয়।

ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দশ বছর পর সুযোগ, সবই এসেছিল তার কাঁধে ভর করে।

আর সেই তিনিই মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। একজন ক্রিকেটার নন, এক অনুপ্রেরণার নাম। হাঁটুর ব্যথা পেরিয়ে, বারবার ভেঙে পড়ে আবার উঠে দাঁড়ানো এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার গল্পটা শুধু উইকেট বা জয়ের নয়— এটা সাহস, নেতৃত্ব আর অবিচল বিশ্বাসের এক ইতিহাস। বাংলাদেশের ক্রিকেট যখনই নিজের চেহারা খুঁজেছে, তখনই এক নামই আলো হয়ে জ্বলে উঠেছে— মাশরাফি, আমাদের ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক।

"জনস্বার্থে প্রচারিত"

Address

Chittagong

Telephone

+8801568475550

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nath Rahul's Illusion posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nath Rahul's Illusion:

Share