25/06/2025
ইবি-র বহিষ্কৃত বাস ড্রাইভার ও একাধিক মামলার দাগী আসামী মুনছুর আহমেদ এর বিরুদ্ধে চাকুরী ফিরে পেতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করার অভিযোগ উঠেছে।।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরে বাস ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মুনছুর আহমেদ। কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা এলাকার জুগিয়া বারখাদা গ্রামের ত্রিমোহীনি এলাকার মৃত বাহার আলী প্রামাণিক এর ছোট ছেলে মুনছুর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি ই'বি-তে চাকুরি করাকালীন গাড়ির মুল্যবান যন্ত্রাংশ ও জ্বালানি তৈল চুরির অপরাধে ইবি কতৃপক্ষ কতৃক সাময়িক বহিষ্কার হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। পরবর্তীতে ইবি কতৃপক্ষের মনোনিত তদন্ত কমিটির তদন্তে চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ মুনছুর - কে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ধুর্ত মুনছুর আহমেদ তার আওয়ামী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েও চাকুরীতে বহাল থাকতে ব্যার্থ হইলে জরিমানা সাপেক্ষে নিজেই চাকুরী থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন বলে সুত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এলাকার সহজ সরল চাকরি প্রত্যাশি অনেকজনকে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মুনছুর বিভিন্ন সময় প্রতারনা মুলকভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা এবং তাদেরকে করেছেন সর্বশান্ত। এছাড়াও ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অনেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে বলে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে বাংলাদেশ সরকার কতৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বারখাদা ১৩নং পৌরওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটির সদস্য মুনছুর আহমেদ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় প্রতারণার দায়ে একাধিক অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান আছে বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম সিআর ৪৭৭/২৩ মামলার একমাত্র আসামি ও চট্টগ্রাম সিআর ৩৯৮/২৩ এবং চট্টগ্রাম সিআর ২৬৩/২৫ মামলার সরকারী নথি জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত আসামি এছাড়াও তিনি ঝিনাইদহ সিআর ৮৪৩/২৩ মামলার আসামী বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে আইন আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুনছুর, সরকারি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে বিক্রেতার স্বাক্ষর সহ নোটারী পাবলিক কুষ্টিয়া এর স্বাক্ষর ও সিলমোহর জাল-জালিয়াতি করে হাতিয়ে নিয়েছেন অন্যের ট্রাক যার মামলা আদালতে চলমান আছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে কুষ্টিয়া নোটারী পাবলিক এডভোকেট নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে ২৫০ টাকা মুল্য মানের ষ্ট্যাম্প নোটারী সিরিয়াল ১৯১, ০২-০৩-২০১৭ইং তারিখে নোটারী দেখিয়ে জাল-জালিয়াতি করেছে মুনছুর এবং এব্যাপারে তার নামে আদালতে মামলা চলমান আছে বলে তিনি জানান।
বিগত শৈরশাসকের দোসর, দখলদার, প্রতারক, অবৈধ ম্যাগনেট ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট এর মুল হোতা আওয়ামীলীগ কর্মী মুনছুর বর্তমানে নিজেকে বিএনপি কর্মী পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার সাথে সক্ষতা গড়ে তুলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং ইবি কতৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সাথে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকুরী ফিরে পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মুনছুর বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইবি ক্যাম্পাসজুড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ইবিতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এমন অসাধু ব্যাক্তি পুনরায় চাকুরিতে যোগদান করলে ইবিতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হবে বলে তারা মনে করেন বলে জানিয়েছেন।
#স্বাধীনবাংলাদেশ