
07/07/2025
অনেক অনেক বছর আগে, এক ঘন পাহাড়ি অঞ্চলে এক অভিশপ্ত গ্রাম ছিল। সেখানে এক সময় অসুরদের অভিশাপ পড়ে, আর প্রতি পূর্ণিমায় গ্রামের এক কুমারী মেয়ে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যেত। লোকেরা বলত, গভীর রাতে পাহাড়ি গুহা থেকে ভয়ানক শব্দ শোনা যায়। গ্রামবাসীরা আতঙ্কে নিজেদের ঘরেই বন্দি হয়ে থাকত, সাহস করে কেউ বাইরে বের হত না।
গ্রামে তখন ছিলেন এক তপস্বী – রামেশ্বর গিরি নামে এক সাধক। তিনি বুঝলেন, এটি কোনো সাধারণ বিপদ নয়, বরং মহাশক্তির প্রলয়রূপের আহ্বান। তিনি ৭ দিন উপবাসে থেকে কালী মন্ত্র জপে আহ্বান জানালেন মহাশক্তি মা কালীর। সপ্তম রাতের শেষে, ভয়ঙ্কর ঝড়ের মধ্যে হঠাৎ মাটি ফেটে উঠল, আর সেখান থেকেই উদ্ভব হলেন জাগ্রত রক্ষাকালী মূর্তি—মা কালী হাতে তলোয়ার আর অন্য হাতে এক রাক্ষসের কাটা মস্তক ধরে ছিলেন। তাঁর গলায় ছিল খুলি-মালা, তাঁর রুদ্ররূপ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, উপস্থিত সকল দুষ্ট আত্মা মুহূর্তেই ভস্ম হয়ে গেল।
মা কালী রামেশ্বর গিরিকে বললেন—
> “এই স্থান আমার আশ্রয়স্থল হবে। যারা ধর্মের পথে থাকবে, আমি তাদের রক্ষা করব। যারা অন্যায়ের পথে যাবে, আমি তাদের ধ্বংস করব।”
এরপর সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় "শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির"। আজও সেই মন্দিরে মানুষ যায় দুঃখ ও বিপদ থেকে মুক্তির আশায়। অনেকেই বলেন, মা কালী এখনো মাঝে মাঝে রাত্রিবেলায় মন্দির চত্বর ঘুরে বেড়ান। আর যেই মন্দিরে মা স্বয়ং উপস্থিত, সেখানকার শক্তি কি কখনো মিথ্যা হতে পারে?