12/05/2025
পলাশ সাহার মৃত্যুটা দরকার ছিল… সত্যিই দরকার ছিল!
বিষণ্ণ লাগলেও সত্যি কথাটা না বললেই নয়।
এই সমাজে একটা বিষাক্ত ধারণা খুব প্রচলিত—
“বৌ গেলে বৌ পাওয়া যাবে, কিন্তু মা তো একটাই!”
এই কথাটার আড়ালে লুকিয়ে আছে হাজারটা অন্যায়, হাজারটা বিষ!
এই এক লাইনের জোরে একজন মা ছেলের জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে— যেন তার প্রতিটা আচরণই গ্রহণযোগ্য, শুধুই "মা বলেই!"
তবে প্রশ্ন হলো, ছেলেকে যদি চোখে হারাতে পারো, তাহলে বিয়ে দিলে কেন?
ছেলের সুখ সহ্য হয় না বলে যখন পেছনে পেছনে ছুরি চালাও, তখন কি ভাবো না— এই মেয়েটাও কারো কলিজার টুকরো?
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর একটু ভালোবাসা দেখলেই দাঁত কেলিয়ে বলতে আসো,
“এই যে বৌয়ের আঁচলে বাঁধা পড়ে গেছে ছেলেটা!”
আরে চাচী মা, বৌয়ের আঁচল তো প্রেমের সুতো, যা দিয়ে সংসার গড়া হয়।
আদম-হাওয়া দুনিয়ায় এসেছিলেন এই ভালোবাসার হাত ধরেই— ওটা মজা ছিল, পাপ নয়!
তবে সমস্যা কোথায় জানো?
এই বিষ মায়েদের প্রশ্রয় দেয় এমন কিছু আত্মীয়-স্বজন— যাদের চিন্তা শক্তি হাঁটুতে।
তারা জ্বালায় আগুনে ঘি ঢালার মতো, বলে:
“ছেলেটা তো এখন বদলে গেছে! খালি বৌকে নিয়েই পড়ে থাকে!”
একবার কেউ বলে না—
“এটাই তো ওদের বয়স একসাথে জীবন কাটানোর, ওদের পাশে দাঁড়াও, সময় দাও। ঘুড়ির সুতো যদি নরম হাতে ধরা যায়, তাহলে সেটাই ফিরে আসে বারবার।”
কিন্তু না!
এই অপবুদ্ধির ফলেই শুরু হয় বিষাক্ত খিটিমিটি—
বউ হয়ে ওঠে "অপরাধী", মা হয়ে ওঠে "অভিমানী",
আর মাঝখানে পড়ে ছেলেটা হয়ে যায় "আত্মহত্যার খোরাক"।
পলাশ সাহা হয়তো ছিল সেই ছেলেটা— যে বোঝাতে চেয়েছিল, জোড়া ধরে রাখতে চেয়েছিল।
কিন্তু এই সমাজ তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে শেষ করে দিল।
এখনো যদি টনক না নড়ে, তবে কবে নড়বে?
#পলাশসাহা #রিলেশনশিপরিয়েলিটি #সমাজ