20/08/2025
হিরোশিমা কথা বলে
মোহাম্মদ আজহার ল হক
লেখক পরিচিতি
[ মোহাম্মদ আজহারুল হক ১৯২৫ সালে ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের পর তিনি এক বছর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং সেই সময়ে হিরোশিমায় এক বছর অবস্থান করেন। সৈনিক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কাহিনী তিনি মনোরম ভারায় লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থাবলী: 'শিবির জীবনের দিনগুলি', 'শতরুপা "শ্বেতদ্বীপ' ইত্যাদি।]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা নিক্ষেপের কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু সে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে যে বিংসলীলা, ঝলসে যাওয়া অসহায় নর নারীর ক্রন্দন, মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা হাজার হাজার মৃতের খবর, হাত পা কাটা বিকৃত বীভৎস পঙ্গুর হিচড়ে তুলার মর্মান্তিক কাহিনীর সবটা কি আমরা শুনেছি?
এ আণবিক বোমা বিস্ফোরণের প্রায় পাঁচ মাস পরে হিরোশিমার বংসলীলা দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। আজ আমার সে ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা উথকে বিধ্বস্ত হিরোশিমার কিছু ছবি তুলে ধরছি।
মানব সভ্যতার এক শ্মশানভূমির ইতিহাস এই হিরোশিমা। হয় বামার আঘাতে এ কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয়, তার পরিচয় দিতে নয়ে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রম্যান বেতার মারফত সগর্বে হ্যালেছিলেন, এ বোমার তেজশক্তি ছিল কুড়ি হাজার টন টি. এন. টি. এবং রতীয় মহাযুদ্ধে যতই শক্তিশালী বোম। ফেলা হয়ে থাকুক না কেন, এই হাম। তার যে কোনটির অপেক্ষ। দুহাজার গুণ বেশি শক্তিশালী ও মারাত্মক। রোমাকে বল। হয় এ্যাটম বোমা। এ বোমাতে সেই শক্তি নিয়োগ ারে। হয়েছে, যে শক্তি বিরাজিত আছে এই ব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রস্থান সূর্য গর্ভে। ই বোমা তৈরি করতে আমরা ব্যয় করেছি দশ শত কোটি টাকা (২০০০ অধূলিয়ন ডলার)।