Mahbub Aleen

27/09/2025

🌿 সময়ের আয়না 🌿

মানুষকে চেনার সবচেয়ে বড় উপায় হলো তার আচরণকে সময়ের পরীক্ষায় দেখা।
ভালো সময়ে সবাই পাশে থাকতে চায়,
কারণ তখন সাফল্যের আলোয় ঝলমল করে ওঠে চারপাশ।
কিন্তু খারাপ সময়ে?
সেখানেই বোঝা যায় কারা আসল, আর কারা কেবল মুখোশ পরে আছে।

প্রায়ই দেখা যায়—
👉 সংগ্রামের দিনে অপমান, উপহাস আর অবহেলা করা মানুষগুলোই
👉 সাফল্যের দিনে হঠাৎ এসে প্রশংসা করতে চায়, কাছে আসতে চায়, বন্ধুত্ব করতে চায়।

কিন্তু সত্য হলো—
যারা অন্ধকারে তোমার পাশে ছিল না, তাদের আলোয় এসে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই।

জীবন এক গভীর শিক্ষা দেয়:
বন্ধুত্ব কিংবা সম্পর্কের আসল মূল্য বোঝা যায় না উজ্জ্বল দিনে,
বরং বোঝা যায় অন্ধকার রাতের মধ্যে।

🌸 যারা তোমার ব্যর্থতায় হাসেনি, বরং কান্নার দিনে হাত ধরেছে,
🌸 যারা ছোট জয়েও আন্তরিকভাবে খুশি হয়েছে,
🌸 যারা চুপচাপ থেকেও তোমার শক্তির ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে—
সত্যিকারের সম্মান কেবল তাদের প্রাপ্য।

অন্যদিকে, যারা অন্ধকারে আঘাত করেছে অথচ আলো ফুটতেই ছুটে এসেছে—
তাদের জন্য দূরত্বই হলো সবচেয়ে সুন্দর উত্তর।

কারণ সময়ই একমাত্র আয়না,
যেখানে মানুষের আসল মুখ স্পষ্টভাবে ভেসে ওঠে।

এলিন মাহবুব

#অন্ধকারেআসলচেনা
#মুখোশেরপরে_মানুষ

19/09/2025

জীবন নদীর মতো, আর আপনি সেই নাবিক
জীবন কি আপনার কাছেও কখনো নদীর মতো মনে হয়েছে?
কখনো কি মনে হয়েছে—স্রোতের সাথে ভেসে যাওয়া সহজ, কিন্তু স্রোতের বিপরীতে টিকে থাকা ভীষণ কঠিন?
কখনো কি আপনিও মাঝপথে ডুবে গিয়েছিলেন হতাশার স্রোতে?
আবার কি নতুন করে উঠে দাঁড়িয়ে বৈঠা হাতে নিয়েছেন?
আপনার জীবনের সেই মুহূর্ত কোনটা ছিল যখন ভেবেছিলেন—
“না, আমি হাল ছাড়বো না, আমি লড়বো”?
লিখে ফেলুন আপনার গল্প।
কারণ আপনার উত্তর হয়তো অন্য কারও জন্য আজ প্রেরণা হয়ে যাবে।
আমি জানতে চাই—
১. আপনি এখন কোন স্রোতের সাথে লড়ছেন?
২. আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম কী ছিল?
৩.হাল ছেড়ে দিতে গিয়েও কোন জিনিস আপনাকে আবার শক্তি জুগিয়েছে?

আপনার উত্তর নিচে কমেন্টে দিন।
আপনার গল্প পড়ে হয়তো আজ কেউ আবার বৈঠা হাতে তুলে নেবে।

09/09/2025

“তুমি বোকা” বলার মানসিকতা ও এর প্রভাব: সমাজ ও সম্পর্কের বিশ্লেষণ

বহু মানুষ দৈনন্দিন জীবনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যেখানে কেউ তাদের অপমান করে বা ছোট করার চেষ্টা করে। “তুমি বোকা, তোমার মাথায় বুদ্ধি কম”—এই ধরনের বাক্য প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হলেও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটির পেছনে লুকানো থাকে একটি সামাজিক কৌশল, যা মূলত অপমানকারী ব্যক্তির নিজের নিরাপত্তাহীনতা ও অহঙ্কারকে ঢাকতে ব্যবহৃত হয়।

মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যারা অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করে, তারা প্রায়ই নিজের আত্মবিশ্বাস ও ক্ষমতার অভাব অনুভব করে। অন্যকে অপমান করে তারা নিজেকে শক্তিশালী ও সুরক্ষিত মনে করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে যখন যুক্তি বা কথোপকথনে তারা পিছিয়ে পড়ে, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সামাজিক প্রভাবও কম নয়। কেউ কাউকে ছোট করার মাধ্যমে তাদের সামাজিক প্রভাব বা কর্তৃত্ব বাড়াতে চায়। এটি শক্তির খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে ছোট করা ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। বারবার এ ধরনের আচরণ মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে, আত্মবিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করে এবং সম্পর্কের মানকে প্রভাবিত করে।

অফিসের কর্মীদের মাঝে দেখা যায় তাদের সহকর্মী বা সিনিয়ররা সামান্য ভুল নিয়েও ব্যক্তিগতভাবে অপমান করেছে। এর ফলে তাদের মানসিক চাপ বেড়েছে এবং পেশাগত কর্মক্ষমতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অনুরূপভাবে, পরিবারের মধ্যে বারবার অপমানজনক আচরণ সম্পর্কের ভাঙন, মানসিক চাপ এবং আত্মসম্মান কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

বিশ্লেষণধর্মীভাবে দেখা যায়, অপমানের আড়ালে প্রায়ই ব্যক্তির ভেতরের ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা লুকানো থাকে। যারা যুক্তি ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে তাদের আচরণের মোকাবিলা করে, তারা বুঝতে পারে, অপমান শুধু একটি প্রক্রিয়া যার উদ্দেশ্য তাদের নিজের অস্বস্তি ঢাকতে।

সামাজিক মনস্তত্ত্ববিদরা মনে করেন, অপমান বা ছোট করার প্রবণতা প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় এবং এটি ব্যক্তি, পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। সচেতনতা, সংযম এবং আত্মবিশ্বাস এসব পরিস্থিতিতে মোকাবেলার মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
এলিন মাহবুব

05/09/2025

আমরা প্রায়ই ভাবি, “প্রথমে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাক, তারপরই শুরু করব।” কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন—স্পষ্টতা অপেক্ষা করে না, স্পষ্টতা জন্মায় কাজ করার মাধ্যমে।

যারা স্থির থাকে, তারা শুধু পথ দেখার জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু পথ নিজে এসে হাজির হয় না। পদক্ষেপ নিলে পথ ধীরে ধীরে পথ উন্মোচিত হয়।

আজই ছোট একটি পদক্ষেপ নেন হয়তো শুরুতে সবকিছু পরিষ্কার হবে না, হয়তো ভুলও করবেন। কিন্তু প্রত্যেকটি পদক্ষেপ আপনাকে আপনার স্বপ্নের আরও কাছে নিয়ে যাবে।

মনে রাখবেন, শুরু করাটা বড় গুরুত্বপূর্ণ। স্পষ্টতা আপনার পেছনে আসবে, শুধু চলতে থাকবেন।

এলিন মাহবুব
#প্রেরণা #কাজ_করে_শিখো #পদক্ষেপেই_পথ

02/09/2025

28/08/2025

কঠিন জিনিসের পেছনে ছুটুন, সহজকে নয়

আমরা সবাই সহজ পথ চাই।সহজ জীবন, সহজ কাজ, সহজ সাফল্য।কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন সহজ পথ কাউকে বড় কিছু বানায়নি।
যারা পৃথিবীকে বদলেছে, যারা নাম লিখেছে ইতিহাসে তারা সবসময় কঠিন জিনিসের পেছনে ছুটেছে।
কারণ কঠিন জিনিস আপনাকে ভাঙে, আবার আপনাকেই গড়ে তোলে।
সহজ কাজ করলে আপনি ভিড়ের অংশ হবেন,কঠিন কাজ করলে আপনি ভিড় থেকে আলাদা হয়ে উঠবেন।
✔️কঠিন বিষয় শিখতে গেলে মাথা ব্যথা হবে,
✔️কঠিন কাজ শুরু করলে ব্যর্থতা আসবে,
✔️কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে ভয় পাবে মন।
কিন্তু বিশ্বাস করুন— সেই ব্যথা, সেই ব্যর্থতা, সেই ভয়ই আপনাকে শক্ত করে তুলবে।
মনে রাখুন,আরাম আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে
কিন্তু কষ্ট আপনাকে বদলে দেবে।সহজ কাজ আপনাকে নিরাপদ রাখবে,কিন্তু কঠিন কাজ আপনাকে সফল করে তুলবে।
তাই আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করুন:
"আমি সহজ নয়, কঠিন জিনিসের পেছনে ছুটব। কারণ সেখানেই আমার আসল উন্নতি লুকানো।
এলিন মাহবুব
#কঠিনকাজ #সাফল্য #চ্যালেঞ্জ
#অনুপ্রেরণা

27/08/2025

কখনো খেয়াল করেছেন, আমরা অনেক সময় সমস্যাকে পাহাড় ভেবে ভয় পাই, অথচ সমাধানটা ছিল হাতের কাছেই?
আমরা ব্যর্থ হলেই ভাবি— আমি পারি না। আমার দ্বারা হবে না।
কিন্তু সত্যিটা হলো—
ব্যর্থতা কখনো শেষ নয়, এটা শুধু নতুনভাবে শুরু করার একটি সুযোগ।
আজ যদি আপনি ক্লান্ত, হতাশ বা হেরে যাওয়া মনে করেন—
মনে রাখবেন, ঠিক এখনই হয়তো আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের শুরু।
বীজ যেমন অন্ধকার মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকে, তবু একদিন আলো ভেদ করে গাছ হয়ে উঠে— আপনিও ঠিক তেমনই!
প্রশ্ন হলো, আপনি কি অন্ধকারে বসে কাঁদবেন, নাকি আলো খুঁজে বের হবেন?
যারা আজ এই লেখা পড়ছেন—
নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিন:
“আমি যতবারই পড়ে যাই না কেন, প্রতিবার নতুনভাবে দাঁড়াবো।”
কারণ পৃথিবী সবসময় হেরে যাওয়া নয়, উঠে দাঁড়ানো মানুষদের গল্প মনে রাখে।

#অনুপ্রেরণা

23/08/2025

অন্যেকে দেখে নিজের জীবনকে ছোট ভাবছেন? আপনি হয়তো তুলনার ফাঁদে পড়েছেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেখি, কেউ নতুন গাড়ি কিনেছে, কেউ বিদেশে বেড়াতে গেছে, কেউ আবার নিজের বিজনেসের সাফল্য উদযাপন করছে। এ যেন প্রতিযোগিতার একটা দুনিয়া—যেখানে “কে কত ভালো আছে” তা দেখানোর উৎসব চলছে।

অজান্তেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে, “আমি পিছিয়ে যাচ্ছি না তো?”

এই ভাবনাই আমাদের ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় তুলনার ফাঁদে। নিজেকে অন্যের অর্জনের মাপে বিচার করার এই অভ্যাস নিঃশব্দে কেড়ে নেয় আত্মবিশ্বাস, আত্মতৃপ্তি ও মানসিক শান্তি।

তুলনার ক্ষতিকর প্রভাব:

আত্মবিশ্বাস হারানো: নিজেকে বারবার কম মনে হওয়া।

হিংসা ও হতাশা: অন্যের অর্জনকে সুখে নিতে না পারা।

নিজের গুণাবলি ও অগ্রগতি উপেক্ষা করা: আপনি যা করছেন, সেটার মূল্য আর উপলব্ধি করতে না পারা।

তাহলে কীভাবে বের হবেন এই ফাঁদ থেকে?

১. নিজের পথটা বুঝুন:

প্রত্যেকের জীবন আলাদা। কেউ ২৫ বছরেই সফল হয়, কেউ ৪৫-এ এসে নিজের জায়গা খুঁজে পায়। অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজেকে প্রশ্ন করুন—আমি কোথা থেকে শুরু করেছি? আমি কোথায় যাচ্ছি?

২. সোশ্যাল মিডিয়ার ফিল্টার বুঝে নিন:

অনলাইনে আমরা কেবল সেরা অংশ দেখি। পর্দার ওপাশে থাকে না-পাওয়ার গল্প, ক্লান্তি, হতাশা। নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন—ওখানে সবই “হাইলাইট”, বাস্তব নয়।

৩. নিজের অগ্রগতি পরিমাপ করুন:

গত এক বছর বা ছয় মাস আগে আপনি কোথায় ছিলেন, আর এখন কোথায় আছেন? নিজেকে আগের নিজেস্ব রূপের সঙ্গে তুলনা করুন।

৪. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখুন :

দিনের শেষে একটু সময় নিয়ে ভাবুন—আজকে কী ছিল যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ? ছোট ছোট আনন্দ আপনাকে তুলনার বিষাক্ততা থেকে দূরে রাখবে।আপনার কাছে যেটুকু আছে যা কিছু আছে সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে শিখুন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

৫. সফলতা মানে একটাই না:

সবাই সিইও হবে না, সবাই লেখক বা উদ্যোক্তা হবে না। সফলতা মানে নিজের মতো করে সুখে থাকা। আপনিও নিজের সাফল্যের সংজ্ঞা তৈরি করুন।

তুলনা করলে আপনি কখনও সুখী হতে পারবেন না—কারণ সবসময় কারো না কারো কিছু বেশি থাকবে। বরং নিজের গল্পটা গড়ুন নিজের মতো করে। ভুল হবে, সময় লাগবে, কিন্তু সেই পথটাই হবে আপনার একান্ত নিজের। এবং সেটাই সবচেয়ে সুন্দর।

এলিন মাহবুব

23/08/2025

পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন। যখন আমরা ক্রিয়েটিভ শব্দটি ব্যবহার করি, তখন আমরা মনে করি ক্রিয়েটিভ কাজ বলতে শিল্প, সংগীত, নাচ, লেখালেখি এবং ছবি আঁকা এগুলো বোঝায়। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে কাজগুলো করি যেমন -রান্না করা, বাগান করা, পাখি পোষা, ঘর সাজানো, সেলাই করা এমনকি কোডিং এর মাধ্যমেও ক্রিয়েটিভ কাজগুলো করা যায় যা ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশনের অন্তর্ভুক্ত।ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন এর মাধ্যমে ব্যক্তির তার নিজস্ব মতবাদ, চিন্তাভাবনা এবং আবেগকে বাস্তবিক অর্থে প্রকাশ করে থাকে।

ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন কিভাবে পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট কে বিকশিত করে?

▪️ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন এর মাধ্যমে ব্যক্তির সেলফ এক্সপ্লোরেশন হয় যার ফলে ব্যক্তির নিজের ভেতর লুকায়িত শক্তিকে খুজে পেতে সাহায্য করে।

▪️ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন মানসিক ক্ষত সারাতে সাহায্য করে

▪️সমস্যার সমাধানের দক্ষতা বিকাশ হয়

▪️ব্যক্তিকে ধৈর্যশীল করে গড়ে তুলে

▪️সেলফ কনফিডেন্স এবং সেলফ স্টিমকে বাড়িয়ে তুলে

এখন একটি প্রশ্ন হল সবার মধ্যে কি সৃজনশীল প্রতিভা আছে? হ্যাঁ, সবার মধ্যেই কিছু না কিছু প্রতিভা আছে। কিছু মানুষের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভা থাকে তবে যে কোন মানুষ তার ক্রিয়েটিভ দিকটা বিকশিত করতে পারে অধ্যাবস্যায় এবং অনুশীলনের মাধ্যমে।

পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন বলতে পেশাগতভাবে কাউকে ক্রিয়েটিভ হতে হবে এমন নয়। পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট এর যাত্রায় ক্রিয়েটিভ এক্সপ্রেশন ব্যক্তিকে এমন সব অভিজ্ঞতা দেয় যার মাধ্যমে ব্যক্তি নিজেকে বিকশিত করতে পারে এবং তার নিজস্ব জীবনে চলার পথে অভিজ্ঞতা গুলোকে কাজে লাগাতে পারে।

এলিন মাহবুব
১০/০১/২০২৪

28/01/2025

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে, কারণ তারা সাধারণত অনেক ভূমিকা পালন করে থাকেন। পরিবার, কর্মক্ষেত্র, এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি সফলভাবে করতে হলে সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট কৌশল প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার মানে শুধুমাত্র কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি নয়, বরং মানসিক শান্তিও পাওয়া।

প্রথমেই, একজন নারী উদ্যোক্তা যদি তার সময় সঠিকভাবে ব্যবহার করতে চান, তবে তাকে নিজের প্রাধান্য ঠিক করতে হবে। ব্যবসার কিছু কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অবশ্যই প্রথমে শেষ করতে হবে। পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি দায়িত্বগুলোর সঙ্গেও সমান মনোযোগ দিতে হবে, তবে সেটা সঠিকভাবে পরিকল্পনা এবং সিডিউল অনুসরণ করে করা সম্ভব। সুতরাং, সময়ের মূল্য বুঝে তাকে কাজে লাগাতে হবে।

আবার, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার আরও সহজ করে তুলতে পারে। অ্যাপস এবং টুলস যেমন ক্যালেন্ডার বা টাস্ক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে তারা নিজেদের কাজের পরিকল্পনা সহজেই করতে পারেন। এই ধরনের প্রযুক্তি তাদের দৈনন্দিন কাজের সঠিক পন্থা নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।

তবে, সব সময়ই মনে রাখতে হবে যে, সঠিক পরিকল্পনা এবং সময় ব্যবস্থাপনা শুধু কাজের পরিমাণ কমাতে সহায়ক হয় না, বরং কাজে দক্ষতা আনতে সাহায্য করে। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রের বাইরেও কিছু সময় কাটানো, একদিকে যেমন রিচার্জ করে, অন্যদিকে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে।

একজন নারী উদ্যোক্তার সফলতার চাবিকাঠি শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম নয়, বরং সঠিকভাবে সময় বন্টন করার ক্ষমতা। যদি তারা তাদের সময়ের মূল্য বুঝে প্রতিটি কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করতে পারেন, তবে সফলতার পথ আরও সুগম হবে।
এলিন মাহবুব

10/01/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Zaighum Abbas, Mđ Jämãł Hăşäñ, Mohammed Junaid