Kamal Kajal 55

Kamal Kajal 55 Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Kamal Kajal 55, Video Creator, Lakshmipur, Chittagong.

জান্নাতি হুর:- "সৌন্দর্য্যের কারণে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার মজ্জা দেখা যাবে।"💗সুবহানাল্লাহ।।
21/07/2025

জান্নাতি হুর:- "সৌন্দর্য্যের কারণে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার মজ্জা দেখা যাবে।"💗

সুবহানাল্লাহ।।

আমরা অনেকেই নামাজ শেষ না হতে হতেই মুনাজাত করে উঠে পরি। যার ফলে প্রতিনিয়তই অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যাতে আমরা অধিক স...
21/07/2025

আমরা অনেকেই নামাজ শেষ না হতে হতেই মুনাজাত করে উঠে পরি। যার ফলে প্রতিনিয়তই অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যাতে আমরা অধিক সওয়াব পেতে পারি ও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত পেতে পারি, তার জন্য কিছু তাসবিহ্ ও আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-

প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষেই নিম্নোক্ত আমল করা যায়ঃ

(১) রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)

(২)‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম’ – এটি পরতেন । (মুসলিম, ১২২১)

(৩) সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার)। আলহাদুলিল্লাহ্ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)।
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর) (১ বার)। এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসলিম, ১২৪০)

(৪) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা। (নাসাঈ)

(৫)‘আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার’ ৭ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।

(৬) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।

(৭) দরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের দিন রাসূল (সা.) এর শাফা'আত লাভ করবে।

(৮)‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’ -৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।

(৯) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)

কপি পোস্ট

10/07/2025

কাবার দরজায় কী লেখা আছে
ফেরদৌস ফয়সাল

কাবার দরজার গিলাফে আরবি অক্ষরে কোরআনের আয়াত ও বিভিন্ন তসবি খচিত রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিখচিত হওয়ায় কেউ কেউ এই লেখাগুলো বুঝতে পারেন না। অনেকের জানার আগ্রহ, কী লেখা রয়েছে পবিত্র কাবার দরজায়। আয়াতগুলো হলো—

সুরা আল-ইমরান, আয়াত : ১৩৩
‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। তোমরা প্রতিযোগিতা করো তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্য, যা আকাশ ও পৃথিবীর সমান প্রশস্ত, যা সাবধানীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’

সুরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪
‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। আমি লক্ষ করি, তুমি আকাশের দিকে বারবার তাকাও। তাই তোমাকে এমন এক কিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ করবে। সুতরাং তুমি মসজিদুল হারামের (কাবা) দিকে মুখ ফেরাও। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, কাবার দিকে মুখ ফেরাও। আর কিতাব দেওয়া হয়েছে যাদের, তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে এ তাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্য। তারা যা করে, তা আল্লাহর অজানা নেই।’

সুরা ফাতহ, আয়াত : ২৭
‘পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে। আল্লাহ তাঁর রাসুলের স্বপ্ন পূর্ণ করেছেন। আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে নিরাপদে প্রবেশ করবে, কেউ-কেউ মুণ্ডিত মাথায়, কেউ-কেউ চুল কেটে। তোমাদের কোনো ভয় থাকবে না। আল্লাহ জানেন তোমরা যা জানো না। এ ছাড়া তিনি তোমাদের দিয়েছেন এক আসন্ন বিজয়।’

সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫ (আয়াতুল কুরসি)
‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, অনাদি। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর। কে আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের (মানুষের) সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে, তিনি তা জানেন। তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীব্যাপী তাঁর আসন আর তাদের রক্ষণাবেক্ষণে তিনি ক্লান্ত হন না। তিনি অত্যুচ্চ মহামহিম।’

সুরা ইখলাস
‘পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। বলো, তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয়। আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল। তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।’

সুরা ফাতহ, আয়াত : ২৯
‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তাঁর সহচরগণ অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর আর নিজেরা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় নমিত দেখবে। তাদের মুখের ওপর সিজদার চিহ্ন থাকবে। তাদের সম্বন্ধে এ রূপ বর্ণনা রয়েছে তাওরাত আর ইঞ্জিলেও। তাদের উপমা একটি চারাগাছ, যা থেকে কিশলয় গজায়, তারপর তা দৃঢ় ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের ওপর শক্ত হয়ে দাঁড়ায়, চাষিকে আনন্দ দেয়। এভাবে আল্লাহ বিশ্বাসীদের উন্নতি করে কাফেরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।’

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি সত্য প্রতিপালক ও প্রকাশ্য সত্য। মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, তিনি সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত।

সুরা কুরাইশ
পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে। কুরাইশদের সংহতির জন্য, শীত ও গ্রীষ্মের সফরে তাদের সংহতির জন্য, তাদের উপাসনা করা উচিত এই (কাবা) গৃহের প্রতিপালকের, যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় খাদ্য দান করেছেন এবং নিরাপত্তা দান করেছেন ভয়ভীতি থেকে।

তসবি
উপরে, মধ্যখানে ও নিচে থাকা গোলাকৃতির ছয়টি বক্সে লেখা আছে, ‘রাব্বি আল্লাহ’; যার অর্থ: আল্লাহ আমার পালনকর্তা। চার জায়গায় লেখা আছে, ‘হাসবি আল্লাহ’; যার অর্থ: আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট।

মক্কায় প্রস্তুত বর্তমান গিলাফটি কাবা শরিফের জন্য উপহার প্রদান করেছেন সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আলে সৌদ। তাকে বলা হয়, খাদেমুল হারামাইন আশ-শারিফাইন, অর্থাৎ, মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের সেবক তিনি।

কপি পোস্ট

কিভাবে ইস্তেগফার করবেন?ইস্তেগফার করার বা ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ।সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফার হলো :▪️*দোয়া-১:উচ্চারণঃ আস্তাগফিরু...
04/07/2025

কিভাবে ইস্তেগফার করবেন?
ইস্তেগফার করার বা ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ।
সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফার হলো :

▪️*দোয়া-১:
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]
এছাড়াও সারাক্ষণ টয়লেট বাথরুম ছাড়া এই ইস্তেগফার টি পড়ে জিহবা ভিজিয়ে রাখুন এর ফজিলত অনেক বেশি।

▪️*দোয়া-২:
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী-৬৩০৭]

*দোয়া-৩:
উচ্চারণঃ আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।
এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]

▪️*দোয়া-৪:
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।
অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।
[আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫৩]

▪️*দোয়া-৫: (সাইয়েদুল ইস্তিগফার-বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দুআ:
সায়্যিদুল ইস্তেগফার সব চেয়ে শ্রেষ্ট ইস্তেগফার। এবং এটি সকাল সন্ধ্যার জিকির।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।
এই দোয়া সকালে পড়ে রাতের আগে মারা গেলে অথবা রাতে পড়ে সকালের আগে মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। [বুখারী-৬৩০৬]

◾এই দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা ইস্তেগফার করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ! তবে সব চেয়ে উত্তম হলো সায়্যিদুল ইস্তেগফার।

◾মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করার তৌফিক দান করুন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।

কপি পোস্ট

মহররম মাস ইসলামি ক্যালেন্ডারে একটু গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ এই মাসেই নিম্নোক্ত ঘটনাগুলো হয়েছিল।আল্লাহ আমাদের মাফ করুন, সহা...
04/07/2025

মহররম মাস ইসলামি ক্যালেন্ডারে একটু গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ এই মাসেই নিম্নোক্ত ঘটনাগুলো হয়েছিল।

আল্লাহ আমাদের মাফ করুন, সহায় হোন ও হেফাজত করুন। আমাদের মনের নেক বাসনা পূর্ণ করে দেন। আমিন।

03/07/2025
25/06/2025

নেককার সঙ্গী তথা বিবাহ, নিঃসন্তান দম্পতি কিংবা সন্তান থাকলে তাদের কল্যাণের জন্য নিম্নে বর্ণিত দোয়াগুলো আমরা সবসময় পাঠ করতে পারি। এগুলোর তাৎপর্য অনেক বেশি।

প্রথম দোয়াঃ

বৃদ্ধ বয়সে যাকারিয়া (আঃ) নিজের স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানের অক্ষমতার বিষয় মাথায় রেখে আল্লাহর নিকট সন্তান লাভের আশায় এমন একটি দোয়া করেছিলেন যে দোয়া আল্লাহ কবুল করে নিয়ে সাথে সাথে ফেরেশতাদের মাধ্যমে ইয়াহিয়া (আঃ) নামক একজন নেক্কার সন্তান দান করার সুসংবাদ দিয়েছিলেন৷ সুবহান'আল্লাহ! কতোই-না দামি এক দোয়া। আর সেই কবুলকৃত দোয়াটি হচ্ছে,

رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ

হে আমার মালিক! আপনি আপনার কাছ থেকে আমাকে একজন নেক্কার সন্তান দান করুন; নিশ্চয়ই আপনি মানুষের ডাক শুনেন।

[সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং : ৩৮]

লক্ষণীয়, এখানে নেক সন্তান চাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর অন্যতম একটি গুণ উচ্চারণ করা হয়েছে। আর সেই গুণটি হচ্ছে, সামিউ। অর্থাৎ আল্লাহ তুমি তো মানুষের ডাক শুননেওয়ালা। কেউ মুখে কিছু বললেও তুমি শুনতে পাও আবার না বললেও তার মনের কথা শুনতে পাও। অতএব আমার কথা তুমি শুনে নাও গো পরওয়ারদিগার।

দ্বিতীয় দোয়াঃ

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ

হে আমার রব! আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও এমন লোক সৃষ্টি করুন,যারা নামায কায়েম করবে; হে আমার রব! আমার দোয়া কবুল করে নিন।

[সূরা ইবরাহীম, আয়াত নং : ৪০]

খেয়াল করে দেখুন, এই দোয়ায় দুই-দুই ‘রব’ সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, আল্লাহ যেন আমাকে এমন মানুষ হিসেবে কবুল করেন যে নিজে নামাজ পড়ে এবং পরিবার সমাজের মানুষকে নামাজ পড়াতে উদ্বুদ্ধ করে যায়, তাদেরকে নামাজমুখী করার সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যায়। একইসাথে, আমার সন্তান তথা পরবর্তী বংশধররাও যেন এমনই হয়। আর সবশেষে এই দোয়া কবুল করে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হচ্ছে। সুবহান'আল্লাহ! কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কত উত্তমভাবে চাওয়া হচ্ছে।


তৃতীয় দোয়াঃ

هَبۡ لِی مِن لَّدُنكَ وَلِیࣰّا

ইয়া রব! আপনি আমাকে এক উত্তরাধিকারী দান করুন।

[সূরা মারইয়াম, আয়াত নং : ০৫]

চতুর্থ দোয়াঃ

সন্তান লাভের জন্য যাকারিয়া (আঃ) আরেকটি দোয়া পাঠ করতেন। আর সেটি হচ্ছে,

رَبِّ لَا تَذَرْنِيْ فَرْدًا وَّأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِيْن

হে আমার রব! আমাকে একা নিঃসন্তান করে রেখো না, তুমিই তো উত্তম মালিকানার অধিকারী’।

[সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত নং : ৮৯]

লক্ষ্যণীয়, যাকারিয়া (আঃ) এর দোয়ার শব্দ চয়নে উনার সন্তান লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা কি কখনো এভাবে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি? যাকারিয়া (আঃ) এর মতো অগাধ ভরসা নিয়ে আমরা কি আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়েছি? তিনি চাচ্ছেন আল্লাহ যেন তাকে যেভাবেই হোক একজন সন্তান দান করে তার সন্তানহীনার দুঃখ লাঘব করেন। আমরা কি একইভাবে আল্লাহকে মনখোলে নিজের সন্তানহীনার কষ্টের কথা বলছি? না বলে থাকলে কীভাবে আশা করি?

যাকারিয়া (আঃ) এর ঐ দোয়ার পর পরই আল্লাহ সাড়া দিয়ে বলেছেন, অতঃপর আমি তার জন্যেও সাড়া দিয়েছিলাম, তাকে দান করেছিলাম (নেক সন্তান) ইয়াহইয়া এবং তার (মনের আশা পূরণের) জন্য আমি তার স্ত্রীকে (বন্ধ্যাত্বমুক্ত করে সম্পূর্ণ) সুস্থ (সন্তান ধারণপযোগী) করে দিয়েছিলাম; (আসলে) এ লোকগুলো (সবসময়ই) নেক কাজে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করতো, তারা আমাকে আশা ও ভীতির সাথে ডাকতো, তারা সবাই ছিল আমার অনুগত (বান্দা)।

[সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত নং : ৯০]

লক্ষণীয়,যাকারিয়া (আঃ) কে সন্তান দানের বিষয় উল্লেখ করার পর পরই আল্লাহ তা'য়ালা তাদের স্বামী স্ত্রীর তিনটি বিশেষ আমল উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আমাদের যাদের সন্তান হচ্ছে না কিংবা যারা ভবিষ্যতে নেক্কার সন্তান আশা করছেন তারা যেন বিশেষভাবে এই তিনটি আমল অব্যহত রাখেন। নেক্কার সন্তান লাভের জন্য এই আমলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই আমলগুলো কী কী? প্রথমত, তারা নেক কাজে প্রতিযোগিতা করতেন। দ্বিতীয়ত, আল্লাহকে আশা ও ভয় নিয়ে ডাকতেন এবং তৃতীয়ত, আল্লাহর আনুগত্য করতেন।

নেক কাজে প্রতিযোগিতা মানে কী? কেউ যদি দশ টাকা দান করে আপনি তারটা দেখে তার চেয়ে আরও বাড়িয়ে পনের টাকা দান করলেন, কেউ যদি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আপনি চার রাকাত নফল নামাজ পড়লেন, কেউ যদি একটি ভালো কাজের আদেশ দেয় আপনি কয়েকটি ভালো কাজের আদেশ দিলেন, কেউ যদি একটি নফল রোজা রাখে আপনি একাধিক নফজ রোজা রাখলেন। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই যে ভালো কাজে একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা এটাকেই বলে নেক কাজে প্রতিযোগিতা।

আশা ও ভয় মানে কী, জানেন? আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চললে,আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ আমাকে জান্নাত দান করবেন। এটাই হচ্ছে আশা। অপরদিকে, যখন আপনার মনের মধ্যে এই চিন্তা থাকবে যে, আমি তো আমার সাধ্য মতো নেক আমল করে যাচ্ছি। কিন্তু এই নেক আমলে কোনো ত্রুটি থাকার কারণে আমি জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাই কিনা, অজানা কোনো পাপের কারণে জাহান্নাম আমার জন্য নির্ধারিত হয়ে যায় কিনা- এসব নিয়ে চিন্তা করাই হচ্ছে ভয়। অর্থাৎ অনেক নেক আমল করার পরও আপনার মধ্যে ওভার কনফিডেন্স কাজ করবে না। কখনোই মনে হবে না যে, আমি যেহেতু অনেক আমল করছি তাই আমি তো জান্নাতে যাবই। অহংকার হয়ে যাচ্ছি কিনা-এ বিষয়ে সচেতনতা থাকবে।

আল্লাহর অনুগত থাকার মানে কী, জানেন? এর মানে হচ্ছে, আল্লাহ যেভাবে চলতে বলেছেন সেভাবে চলা আর যেভাবে চলতে নিষেধ করেছেন সেভাবে না চলাই হচ্ছে আল্লাহর অনুগত থাকা। সহজ কথায়, অন্তরে আল্লাহর ভয় লালন করে জীবনের প্রতিটি কাজ করা মানেই আল্লাহর আনুগত্য করা।

পঞ্চম দোয়াঃ

নেক্কার সন্তানের লাভের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া যা আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। নেককার জীবনসঙ্গী এবং সুসন্তান কামনায়ও এই দু‘আটি খুবই উপকারী।

رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا

হে আমাদের রব! তুমি আমাদের (স্বামী) স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য এমনভাবে বানিয়ে দাও যেন তারা আমাদের নয়ন জুড়িয়ে দেয়, চক্ষু শীতল করে দেয় এবং আমাদেরকে আল্লাহওয়ালাদের নেতা বানিয়ে দাও।

[সূরা আল-ফুরক়ান, আয়াত নং : ৭৪]

আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে যাদেরকে আলাদা ভাবে ‘নিজের বান্দা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের বারোটি গুণ তুলে করেছেন। তন্মধ্যে একটি গুণ হচ্ছে, তারা কেবল নিজেদের জন্য নয় বরং নিজেদের পরিবারের জন্যও দোয়া পাঠ করে। উপরোল্লিখিত দোয়াই হচ্ছে সেই স্পেশাল দোয়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই দোয়াটি কতোটা গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে তা আল্লাহর স্বীকৃত বান্দার গুণ হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার বিষয় থেকে স্পষ্ট। তাই এই দোয়া আমাদের কাছে কোনোভাবেই উপেক্ষিত থাকতে পারে না।মুমিন মাত্রই এই দোয়া পড়ার কথা।

উল্লেখ্য, কুর'রাতা আ'য়ূন অর্থাৎ চক্ষু শীতলকারী এই শব্দদ্বয় গভীর অর্থ বহন করে। এটার গভীরতা যদি আমরা কিছুটা হলেও বুঝতে পারি তবে এই দোয়াই সার্বক্ষণিক আমাদের জিহ্বায় লেগে থাকার কথা।আমাদের বেশীরভাগের নিকট উত্তম জীবনসঙ্গীর মানদন্ড হচ্ছে সৌন্দর্য ও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পয়সা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর কাছে এরকম জীবনসঙ্গীই কামনা করি। অথচ এগুলো পেলেই সুখী হওয়া যায় না।

আপনি একটিবার ভাবুন তো, আপনি আল্লাহর কাছে আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকে চাইলেন যে অনেক সুন্দর হবে এবং যার অনেক টাকা-পয়সা থাকবে। এখন আপনার দোয়া অনুযায়ী আল্লাহ তা কবুলও করে নিলেন। আপনার চাওয়া অনুযায়ী আপনার সঙ্গী সুন্দর এবং অনেক টাকা পয়সার মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি আপনার সাথে ভালো আচরণটুকু করেন না, আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করেন না, আপনাকে সময় না দিয়ে পরকীয়া করে বেড়ান তাহলে কি আর তাকে আপনার ভালো লাগবে? তখন কি সেই সঙ্গী আপনার নয়ন জুড়াবে, অন্তর শীতল করবে?

পক্ষান্তরে, আপনি এটাও ভাবুন তো, আপনার সঙ্গী হয়তো দেখতে ততোটা সুন্দর নন, হয়তো তার অনেক টাকা পয়সা নেই কিন্তু সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে তখন কি সেই সঙ্গী আপনার চক্ষুশীতল করবে না, হৃদয় তৃপ্ত করে দেবে না? নিশ্চয়ই করবে। সেজন্যই আমাদেরকে এমনভাবে দোয়া করতে হবে যে দোয়ার মধ্যে সকল বিষয় একসাথে চাওয়া হয়ে যায়। আর একসাথে সকল বিষয় চাওয়া হয়ে যায় এমন দোয়াই তো আমাদের রব আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। সুবহান'আল্লাহ!

ষষ্ঠ দোয়াঃ

ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর নিকট যে দোয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসমাঈল (আঃ) এর মতো নেক্কার সন্তান লাভ করেছিলেন সেই ছোট্ট দোয়াটি হলো,

رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ

অর্থঃ হে আমার রব! আমাকে একজন নেক্কার সন্তান দান করুন।

[সূরা আস ছফফাত, আয়াত নং : ১০০]

একটি মজার বিষয় কি খেয়াল করেছেন? সেটি হচ্ছে, কোনো অবিবাহিত যখন উল্লেখিত সবকয়টি দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে একজন নেক্কার সন্তান কামনা করছে তখন কিন্তু একইসাথে তার বিয়ে করারও দোয়া করা হয়ে যাচ্ছে। কেননা সন্তান পেতে হলে তো আগে আপনার বিয়ের ব্যবস্থা হতে হবে-তাই না! তাছাড়া, নেক্কার সন্তানের জন্য নেক্কার সঙ্গীর বিষয় তো থাকছেই। তাই অবিবাহিত অবস্থায় আল্লাহর কাছে নেক্কার সন্তান চাওয়ার মানে হচ্ছে, আপনি চাচ্ছেন আপনার বিয়ের ব্যবস্থা হোক, তা-ও আবার যেই সেই কারো সাথে নয় নেক্কার সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা কামনা করা হচ্ছে। তারপর একজন নেক্কার সন্তান। সুবহান'আল্লাহ! এবার চিন্তা করুন, ঐসব দোয়ার মধ্যে কত কত চমৎকার বিষয় লুক্কায়িত আছে।

উল্লেখ্য, যাদের অনেক সন্তান থাকায় আর সন্তান কামনা করছেন না তারাও ঐসব দোয়া পাঠ করবেন। কারণ কেবল সন্তান থাকলেই তো হবে না। আপনার সে সন্তানগুলো যেন নেক্কার হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত নেক্কার হিসেবে জীবনযাপন করে সেজন্য সবসময় আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকবেন।

যাইহোক, এসব দোয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি দূরদ এবং ইস্তিগফার পাঠ করতে হবে। বিশেষ করে ইস্তেগফারের আমল বড়ো শক্তিশালী একটি আমল। ইস্তিগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নির্দিষ্ট বড়ো বড়ো গুনাহের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইস্তিগফার সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। নূহ (আঃ) তার কওমকে যে কয়েকটি কারণে ইস্তেগফার করার কথা বলেছিলেন তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সন্তান-সন্তনি লাভ। তাই সন্তান লাভের জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা জরুরি।

[সূরা নূহ, আয়াত নং : ১০-১২]

ইস্তেগফারের আমল করলে আল্লাহর নিকট একসাথে অনেকগুলো বিষয় চাওয়া হয়ে যায়। সুতরাং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এজন্য ইস্তেগফারের আমল কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। বিভিন্নভাবে ইস্তেগফার করা যায়। তন্মধ্যে সহজ একটি হচ্ছে,

"আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি"

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

অর্থঃ আমি আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।

মনে রাখবেন, যে আল্লাহ যাকারিয়া (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ) এর বার্ধক্যের মতো চরম প্রতিকূল সময়ে সন্তান দান করতে পেরেছেন সেই আল্লাহ চাইলে কিন্তু আপনাকেও যেকোনো সময় সন্তান দান করতে পারেন। অতএব আপনি আশাহত হবেন না, মোটেও দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না। নবী রাসূলদের মতো বুক ভরা আশা নিয়ে আল্লাহকে প্রতিনিয়ত ডাকতে থাকুন। তারাও যেমন আল্লাহর বান্দা ছিলেন আপনিও তো তেমনি আল্লাহর বান্দা। তাদেরটা শুনলে আপনারটা শুনবেন না কেন! আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার ডাক ফেলে দেবেন না, অবশ্যই শুনবেন।

রেফারেন্সঃ

[১] সূরা আল বাকারা, আয়াত নং : ২১৬
[২] সূরা আশ শূরা, আয়াত নং : ৪৯-৫০

'বান্দা টু আল্লাহ' নামক চলমান একটি দোয়া সিরিজের একটি বিশেষ পর্ব থেকে একাংশ নেওয়া হলো।

লেখক : রাকিব আলী

#বিয়ে
#সন্তান

#লিখালিখি

23/06/2025

🟤ইস্তিগফার, দুরুদ, তাওয়াক্কুল ও নিয়ত — একজন মুমিনার চুপচাপ আমল

⚫যখন কারো সঙ্গে শেয়ার করার মতো কিছুই থাকেনা, তখন মুমিনার কলিজায় কিছু নিঃশব্দ আমল জেগে থাকে—

🔹 ইস্তিগফার:“হে আল্লাহ! আমি ক্লান্ত, কিন্তু ফিরে আসতে চাই তোমার কাছেই...”
🔸 দুরুদ:“হে আমার প্রিয় নবী ﷺ, আপনার নামেই আমার শান্তি...”
🔹 নিয়ত:“আমি হয়তো দুর্বল, কিন্তু আমার নিয়তটা শুধুই আপনার সন্তুষ্টির জন্য, ইয়া রাব্ব।”
🔸 তাওয়াক্কুল:“সব কিছু হাতছাড়া হলেও, আমার আশা আপনাকেই ঘিরে... আপনি যথেষ্ট।”
🔴মনে রাখো— যে নিয়ত আল্লাহর জন্য হয়, তা কখনো ব্যর্থ হয় না। আর যে হৃদয়ে তাওয়াক্কুল থাকে, সে কোনোদিন একা পড়ে না।
চুপচাপ আমল করো... আল্লাহ জানেন, শুনেন, বুঝেন, ইন শা আল্লাহ।

19/06/2025

“নামাজ ছাড়া দিন কাটানো মানে WiFi ছাড়া মোবাইল!”
“ইমানের পকেট ফুলিয়ে রাখো, জালিম দুনিয়া কি আর টেনে নিবে?”
“আল্লাহর কাছে দোয়া করো, বাকি সব তো Netflix-এর মতো—পাস!”
“সবর না করলে, আখেরাতের WiFi সংযোগ চলে যাবে!”
“জাহান্নামের গেট খুলবে না, যদি তুমি আল্লাহর ‘ফ্রেন্ড’ না হও!”
“হিফজ না করলে স্মার্টফোনের মতো, মনও হ্যাং হয়ে যাবে!”
“ইসলাম ছাড়া জীবন মানে জাস্ট একটা ‘Low Battery’ মোড!”
“আল্লাহর দোয়ায় রেজাল্ট টা পাকা, বাকি সব তো ‘Loading…’”
“সৎ পথে চলা মানে, ‘Dark Mode’ on রেখে চলা!”
“তাওবার সময় এখন, আগে পেছনে ‘Undo’ বাটন ছিল না!”

18/06/2025

যিনি অপনাকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি সব ক্ষমতার অধিকারী, পৃথিবীর রাজত্ব একমাত্র যার হাতে, সে-ই রব (মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা) যদি আপনাকে অপছন্দ করেন বা আপনাকে ঘৃণা করেন; তাহলে আপনার কেমন লাগবে?

আমাদের সমাজে অনেক মানুষ এমন রয়েছে, যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অপছন্দের কাজ প্রতিনিয়ত দিব্যি করে যাচ্ছে। অথচ এর চাইতে পরিতাপের বিষয় আর কি'বা হতে পারে!

বর্তমান সময়ে অনেক পুরুষ নিজ স্ত্রীর রূপ সৌন্দর্য দেখিয়ে কাপল ব্লগ করেই যাচ্ছে। কারোর কাছে তা পেশা হিসেবে ও কারোর কাছে তা নেশা হয়ে উঠেছে। তাদের উদ্দেশ্য এটা'ই, মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা।

যেহতু উপার্জন নির্ভর করে দর্শক সংখ্যার উপর—সেহেতু ঔ
দর্শক সংখ্যা বাড়াতে আকর্ষণীয় দৃশ্যপটের প্রয়োজন হবেই। তাই প্রদর্শনীতে নিজ স্ত্রীকে উপস্থাপন করেই চলেছে। অথচ এটা বলাবাহুল্য যে— একজন নারীর চেহারা এবং কথাবার্তা স্বভাবতই আকর্ষণীয় হয়। ফলশ্রুতিতে একই ভিডিও বিপুল সংখ্যক পরপুরুষ একই বারংবার দেখে।

আফসোস! সূরা নূরের ৩১ নাম্বার আয়াতে, সূরা আহযাবের ৫৯ নাম্বার আয়াতটিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কী নির্দেশ দিয়েছেন, তা আমরা সকলে জেনেও না জানার ভান করছি প্রতিনিয়ত। আমাদের কাছে দুনিয়ার সবকিছুই মুখ্য।

অথচ, ইসলাম বলে নারীরা এতটা সস্তা নয় যে —তাকে পণ্য বানিয়ে উপস্থাপন করা যায়। এমন পুরুষের স্বামী হওয়া মহা অন্যায়। যে নিজেই উপার্জন করে নিজ স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে পারে না; উল্টো টাকা পয়সা কামানোর জন্য স্ত্রীকে পণ্য বানিয়ে পরপুরুষের চোখে লালসার শিকার হতে বাধ্য করে।

ব্লগারদের মোটা অংকের উপার্জন দেখে দেখে বহু সভ্য ভদ্র ঘরের ছেলেমেয়েরাও এসবের দিকে ঝুঁকছে। বহু সুপুরুষও এসব দেখে তাদের জীবন যৌবন সবটা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাদের গাইরত বিলীন করে দিয়েছে।

অথচ সাহাবীরা তাদের স্ত্রী’র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। আর এখনকার উম্মার পুরুষরা কাপল ব্লগ করে। যুগের পরিক্রমায়, আধুনিকতার দোহাই দিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ এ-ই রত্ন লজ্জা আমরা হারাতে বসেছি। ভুলিয়ে দিয়েছি মুসলিম পরিচয়, নিজেদের শান। যেই উম্মাহ জাতি তাদের নারীদের চেহারাটুকু পর পুরুষদের দেখতে দিত না, আহ সেই জাতিই আজ অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় তাদের বাহিরে যেতে দেয়। অবাধ মেলামেশা, অশ্লীলতা, পর্ন আসক্তির মতো কুৎসিত অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। প্রবৃত্তির কাছে তাদের বিবেক নতস্বীকার করেছে। ভোগবাদী জীবনকেই সাফল্য হিসেবে নিয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ’। তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি ধর্মের একটা চরিত্র আছে, আর ইসলামের মূল চরিত্র হল লজ্জাশীলতা’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৮১)

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ আর ঈমানদারদের স্থান জান্নাত। অন্যদিকে নির্লজ্জতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম’। (তিরমিজি, হাদিস : ২০০৯)

আরো বলেছেন, ‘লজ্জা ও অল্প কথা বলা ঈমানের দুটি শাখা। আর অশ্লীলতা ও অতিরিক্ত কথা মুনাফিকির দুটি শাখা’। (তিরমিজি, হাদিস : ২০২৭)

পরিশেষে একজন পুরুষ তার পরিবারস্থ লোকদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ও সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রীলোকও তার স্বামীর ঘরের তত্ত্বাবধায়ক। জিজ্ঞাসা হবেই। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেই। তো আপনি প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন।

কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেই দিয়েছেন যে,

قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ لِمَنِ اتَّقَى وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا

‘তুমি বল, দুনিয়ার সুখ সামান্য। আর যে তাকওয়া অবলম্বন করে, তার জন্য আখেরাত উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সূতা পরিমাণ যুলমও করা হবে না’। (সূরা আন-নিসা: ৭৭)

#সৈয়দ মুকসিত

#লিখালিখি

17/06/2025

ছেলের জন্য চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। এজন্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কাউকে ডিবোর্স দেয়া লাগবে না।
কিন্তুু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পুর্ন তার বিপরীত,মেয়েরা স্বামীকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে হলে কয়েকটি শর্ত অবশ্যই মানতে হবে।
১/ অবশ্যই বর্তমান স্বামী থেকে তালাক নিতে হবে।
(আর এই তালাকটি হওয়া উচিৎ আপনার স্বামীর পক্ষ থেকে,ইসলামী শরীয়ত মতে নারীর তালাক অগ্রহণ যোগ্য, নারী শুধু মাত্র খোলা তালাক নিতে পারেন, তাও স্বামী -স্ত্রী একে অপরের সম্মতিতে হতে হবে।কিন্তুু আমাদের দুনিয়াবি আইনে নারি ডিবোর্স লেটার একটা পাঠিয়ে দেন, তিন মাস পর তা ছেলে পক্ষ গ্রহন করুক বা না করুক তালাক কার্য়কর হয়ে যায়,এটা খুবই ভয়ংকর ও দুঃখের বিষয়, আমার মতে এটা কোন নিয়মের মধ্যেই পড়েনা)।
২/অবশ্যই তিন মাস ইদ্দত( হায়েজ ও নেপাস)কাল পার করতে হবে। এর পূর্বে বিয়ে করা হরাম।

এবার আপনার প্রথম সমস্যা হচ্ছে আপনার তো তালাকই হয়নি,আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন কি করে??
আপনি যে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এটাতো বিয়ে হয়ইনি বরং এখন তার সাথে আপনি যা করছেন সকল কিছু জিনা হিসেবে গন্য হবে। যা কি না মহাপাপ। দ্বিতীয় স্বামীর সাথে যতদিন থাকবেন ততদিন আপনি পাপই করতে থাকবেন। কারন এই দ্বিতীয় বিয়ে কোন ভাবেই বৈধ হয়নি।আপনার প্রথম স্বামী এখনো আপনার বৈধ স্বামী। এখনো সময় আছে এই দ্বিতীয় বিয়ের দ্বারা সংঘঠিত অবৈধ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন, তাওবা করুন। আপনার প্রথম স্বামী চাইলে আপনাদের দুজনকে দন্ডবিধিঃ ১৮৬০ এর ধারাঃ ৪৯৫ সর্বোচ্য ১০ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ও অর্থ দন্ড ভোগ করাতে পারেন।
আপনার প্রথম স্বামী এখন আপনার নামে প্রতারনার মামলা করলেই আপনি দারুণ ভাবে ফেঁসে যাবেন।
আপনি ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলা সম্পর্কে যানার চেস্টা করলে সকল কিছু আয়নার মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সবচেয়ে ঘৃণিত, ধিকৃত ও পাপের কাজটি করে বসে আছেন নিজের অজান্তেই।
এই বিষয় ভালো করে যানার আগ্রহ থাকলে, যদি সত্যিকারের মুসলিম হন, যদি মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মানেন -তাহলে সুরা "তালাকের " বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা, সুরা "নিসার " বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা আজ থেকে পড়া শুরু করেন আল্লাপাক আপনাকে সাহায্য করবেন।
ইনশাআল্লাহ।

বিশ্বাসঘাতকতা সবাই করতে পারে না 💔 যারা করে, তারা অত্যন্ত চতুর, ঠাণ্ডা মাথার মানুষ 🧐 তাদের দেখলে মনে হবে যেন আসমান থেকে ন...
14/06/2025

বিশ্বাসঘাতকতা সবাই করতে পারে না 💔
যারা করে, তারা অত্যন্ত চতুর, ঠাণ্ডা মাথার মানুষ 🧐 তাদের দেখলে মনে হবে যেন আসমান থেকে নেমে আসা এক ফেরেশতা। তারা এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবে, যেন আপনি ভাববেন, "একজন মানুষ এত ভালো কীভাবে হতে পারে?" তাদের আচরণে এমন মাধুর্য থাকবে যে, আপনি চাইলেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পারবেন না। আপনি হয়তো ভুল করে তাদের ভালোবাসতেও বাধ্য হবেন....❤️

কিন্তু, এই ভালো মানুষির মুখোশটা আসলে একটা সাজানো ফাঁদ। আপনি যতই তাদের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা দেখাবেন, ততটাই তাদের জালে আটকে যাবেন। যখন সেই ফাঁদে পুরোপুরি আটকে যাবেন, তখনই তাদের আসল রূপ আপনার সামনে উন্মোচিত হবে...🙂

ততদিনে, আপনি তাদের প্রতি এমনভাবে আসক্ত হয়ে যাবেন যে, তারা যা-ই করুক, আপনার কিছুই করার থাকবে না। তারা আপনাকে জীবনের খেলায় ফুটবলের মতো ব্যবহার করবে, আর তারা হবে সেই খেলার মেসি। আপনি একসময় টের পাবেন, এই খেলায় আপনি একমাত্র বল নন; আরও অনেক বল রয়েছে তাদের জন্য...🤔

একটা সময়ে তাদের অবহেলার বিষে আপনার মন বিষণ্ণ হয়ে পড়বে। ভেতরে ভেতরে আপনি পুড়তে থাকবেন অদৃশ্য এক আগুনে। যখন আপনি সেই ঝলসানো হৃদয় নিয়ে তাদের কাছে যাবেন সামান্য সহানুভূতি বা ভালোবাসার জন্য, তখনই তারা আপনাকে চূড়ান্ত আঘাত দিয়ে সম্পর্কের ইতি টেনে চলে যাবে 😳😢

তাদের বিদায়ের পর আপনি বুঝতে পারবেন, এই পৃথিবীতে কেউ আসলে কারও হয় না। সবাই স্বার্থের জন্য কাছে আসে, স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তারা চলে যায়। সেই মুহূর্তে আপনি শিখবেন, নিজের মূল্য নিজেকেই দিতে হয়; অন্ধবিশ্বাস বা অযাচিত ভালোবাসা শুধুই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়... 🖤
লবন আর চিনি দেখতে এক হলেও স্বাধ ভিন্ন হয়। জীবনে যদি সবচেয়ে কঠিন কোনো কাজ থাকে তা হলো মানুষ চেনা 😅
পরিশেষে বলা যায় যে,, - নিম পাতা তিতো হলেও এর ফল ভালো ❤️
একটু তিতো সইতে পারলে আজীবন ভালো থাকা যায় 💥

সংগৃহীত

Address

Lakshmipur
Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kamal Kajal 55 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category