25/06/2025
নেককার সঙ্গী তথা বিবাহ, নিঃসন্তান দম্পতি কিংবা সন্তান থাকলে তাদের কল্যাণের জন্য নিম্নে বর্ণিত দোয়াগুলো আমরা সবসময় পাঠ করতে পারি। এগুলোর তাৎপর্য অনেক বেশি।
প্রথম দোয়াঃ
বৃদ্ধ বয়সে যাকারিয়া (আঃ) নিজের স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব অর্থাৎ সন্তান জন্ম দানের অক্ষমতার বিষয় মাথায় রেখে আল্লাহর নিকট সন্তান লাভের আশায় এমন একটি দোয়া করেছিলেন যে দোয়া আল্লাহ কবুল করে নিয়ে সাথে সাথে ফেরেশতাদের মাধ্যমে ইয়াহিয়া (আঃ) নামক একজন নেক্কার সন্তান দান করার সুসংবাদ দিয়েছিলেন৷ সুবহান'আল্লাহ! কতোই-না দামি এক দোয়া। আর সেই কবুলকৃত দোয়াটি হচ্ছে,
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
হে আমার মালিক! আপনি আপনার কাছ থেকে আমাকে একজন নেক্কার সন্তান দান করুন; নিশ্চয়ই আপনি মানুষের ডাক শুনেন।
[সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং : ৩৮]
লক্ষণীয়, এখানে নেক সন্তান চাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর অন্যতম একটি গুণ উচ্চারণ করা হয়েছে। আর সেই গুণটি হচ্ছে, সামিউ। অর্থাৎ আল্লাহ তুমি তো মানুষের ডাক শুননেওয়ালা। কেউ মুখে কিছু বললেও তুমি শুনতে পাও আবার না বললেও তার মনের কথা শুনতে পাও। অতএব আমার কথা তুমি শুনে নাও গো পরওয়ারদিগার।
দ্বিতীয় দোয়াঃ
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
হে আমার রব! আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও এমন লোক সৃষ্টি করুন,যারা নামায কায়েম করবে; হে আমার রব! আমার দোয়া কবুল করে নিন।
[সূরা ইবরাহীম, আয়াত নং : ৪০]
খেয়াল করে দেখুন, এই দোয়ায় দুই-দুই ‘রব’ সম্বোধন করে বলা হচ্ছে, আল্লাহ যেন আমাকে এমন মানুষ হিসেবে কবুল করেন যে নিজে নামাজ পড়ে এবং পরিবার সমাজের মানুষকে নামাজ পড়াতে উদ্বুদ্ধ করে যায়, তাদেরকে নামাজমুখী করার সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যায়। একইসাথে, আমার সন্তান তথা পরবর্তী বংশধররাও যেন এমনই হয়। আর সবশেষে এই দোয়া কবুল করে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হচ্ছে। সুবহান'আল্লাহ! কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কত উত্তমভাবে চাওয়া হচ্ছে।
তৃতীয় দোয়াঃ
هَبۡ لِی مِن لَّدُنكَ وَلِیࣰّا
ইয়া রব! আপনি আমাকে এক উত্তরাধিকারী দান করুন।
[সূরা মারইয়াম, আয়াত নং : ০৫]
চতুর্থ দোয়াঃ
সন্তান লাভের জন্য যাকারিয়া (আঃ) আরেকটি দোয়া পাঠ করতেন। আর সেটি হচ্ছে,
رَبِّ لَا تَذَرْنِيْ فَرْدًا وَّأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِيْن
হে আমার রব! আমাকে একা নিঃসন্তান করে রেখো না, তুমিই তো উত্তম মালিকানার অধিকারী’।
[সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত নং : ৮৯]
লক্ষ্যণীয়, যাকারিয়া (আঃ) এর দোয়ার শব্দ চয়নে উনার সন্তান লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা কি কখনো এভাবে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি? যাকারিয়া (আঃ) এর মতো অগাধ ভরসা নিয়ে আমরা কি আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়েছি? তিনি চাচ্ছেন আল্লাহ যেন তাকে যেভাবেই হোক একজন সন্তান দান করে তার সন্তানহীনার দুঃখ লাঘব করেন। আমরা কি একইভাবে আল্লাহকে মনখোলে নিজের সন্তানহীনার কষ্টের কথা বলছি? না বলে থাকলে কীভাবে আশা করি?
যাকারিয়া (আঃ) এর ঐ দোয়ার পর পরই আল্লাহ সাড়া দিয়ে বলেছেন, অতঃপর আমি তার জন্যেও সাড়া দিয়েছিলাম, তাকে দান করেছিলাম (নেক সন্তান) ইয়াহইয়া এবং তার (মনের আশা পূরণের) জন্য আমি তার স্ত্রীকে (বন্ধ্যাত্বমুক্ত করে সম্পূর্ণ) সুস্থ (সন্তান ধারণপযোগী) করে দিয়েছিলাম; (আসলে) এ লোকগুলো (সবসময়ই) নেক কাজে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করতো, তারা আমাকে আশা ও ভীতির সাথে ডাকতো, তারা সবাই ছিল আমার অনুগত (বান্দা)।
[সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত নং : ৯০]
লক্ষণীয়,যাকারিয়া (আঃ) কে সন্তান দানের বিষয় উল্লেখ করার পর পরই আল্লাহ তা'য়ালা তাদের স্বামী স্ত্রীর তিনটি বিশেষ আমল উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আমাদের যাদের সন্তান হচ্ছে না কিংবা যারা ভবিষ্যতে নেক্কার সন্তান আশা করছেন তারা যেন বিশেষভাবে এই তিনটি আমল অব্যহত রাখেন। নেক্কার সন্তান লাভের জন্য এই আমলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই আমলগুলো কী কী? প্রথমত, তারা নেক কাজে প্রতিযোগিতা করতেন। দ্বিতীয়ত, আল্লাহকে আশা ও ভয় নিয়ে ডাকতেন এবং তৃতীয়ত, আল্লাহর আনুগত্য করতেন।
নেক কাজে প্রতিযোগিতা মানে কী? কেউ যদি দশ টাকা দান করে আপনি তারটা দেখে তার চেয়ে আরও বাড়িয়ে পনের টাকা দান করলেন, কেউ যদি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আপনি চার রাকাত নফল নামাজ পড়লেন, কেউ যদি একটি ভালো কাজের আদেশ দেয় আপনি কয়েকটি ভালো কাজের আদেশ দিলেন, কেউ যদি একটি নফল রোজা রাখে আপনি একাধিক নফজ রোজা রাখলেন। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই যে ভালো কাজে একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা এটাকেই বলে নেক কাজে প্রতিযোগিতা।
আশা ও ভয় মানে কী, জানেন? আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চললে,আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ আমাকে জান্নাত দান করবেন। এটাই হচ্ছে আশা। অপরদিকে, যখন আপনার মনের মধ্যে এই চিন্তা থাকবে যে, আমি তো আমার সাধ্য মতো নেক আমল করে যাচ্ছি। কিন্তু এই নেক আমলে কোনো ত্রুটি থাকার কারণে আমি জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাই কিনা, অজানা কোনো পাপের কারণে জাহান্নাম আমার জন্য নির্ধারিত হয়ে যায় কিনা- এসব নিয়ে চিন্তা করাই হচ্ছে ভয়। অর্থাৎ অনেক নেক আমল করার পরও আপনার মধ্যে ওভার কনফিডেন্স কাজ করবে না। কখনোই মনে হবে না যে, আমি যেহেতু অনেক আমল করছি তাই আমি তো জান্নাতে যাবই। অহংকার হয়ে যাচ্ছি কিনা-এ বিষয়ে সচেতনতা থাকবে।
আল্লাহর অনুগত থাকার মানে কী, জানেন? এর মানে হচ্ছে, আল্লাহ যেভাবে চলতে বলেছেন সেভাবে চলা আর যেভাবে চলতে নিষেধ করেছেন সেভাবে না চলাই হচ্ছে আল্লাহর অনুগত থাকা। সহজ কথায়, অন্তরে আল্লাহর ভয় লালন করে জীবনের প্রতিটি কাজ করা মানেই আল্লাহর আনুগত্য করা।
পঞ্চম দোয়াঃ
নেক্কার সন্তানের লাভের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া যা আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। নেককার জীবনসঙ্গী এবং সুসন্তান কামনায়ও এই দু‘আটি খুবই উপকারী।
رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
হে আমাদের রব! তুমি আমাদের (স্বামী) স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য এমনভাবে বানিয়ে দাও যেন তারা আমাদের নয়ন জুড়িয়ে দেয়, চক্ষু শীতল করে দেয় এবং আমাদেরকে আল্লাহওয়ালাদের নেতা বানিয়ে দাও।
[সূরা আল-ফুরক়ান, আয়াত নং : ৭৪]
আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে যাদেরকে আলাদা ভাবে ‘নিজের বান্দা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের বারোটি গুণ তুলে করেছেন। তন্মধ্যে একটি গুণ হচ্ছে, তারা কেবল নিজেদের জন্য নয় বরং নিজেদের পরিবারের জন্যও দোয়া পাঠ করে। উপরোল্লিখিত দোয়াই হচ্ছে সেই স্পেশাল দোয়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই দোয়াটি কতোটা গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে তা আল্লাহর স্বীকৃত বান্দার গুণ হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার বিষয় থেকে স্পষ্ট। তাই এই দোয়া আমাদের কাছে কোনোভাবেই উপেক্ষিত থাকতে পারে না।মুমিন মাত্রই এই দোয়া পড়ার কথা।
উল্লেখ্য, কুর'রাতা আ'য়ূন অর্থাৎ চক্ষু শীতলকারী এই শব্দদ্বয় গভীর অর্থ বহন করে। এটার গভীরতা যদি আমরা কিছুটা হলেও বুঝতে পারি তবে এই দোয়াই সার্বক্ষণিক আমাদের জিহ্বায় লেগে থাকার কথা।আমাদের বেশীরভাগের নিকট উত্তম জীবনসঙ্গীর মানদন্ড হচ্ছে সৌন্দর্য ও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পয়সা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর কাছে এরকম জীবনসঙ্গীই কামনা করি। অথচ এগুলো পেলেই সুখী হওয়া যায় না।
আপনি একটিবার ভাবুন তো, আপনি আল্লাহর কাছে আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকে চাইলেন যে অনেক সুন্দর হবে এবং যার অনেক টাকা-পয়সা থাকবে। এখন আপনার দোয়া অনুযায়ী আল্লাহ তা কবুলও করে নিলেন। আপনার চাওয়া অনুযায়ী আপনার সঙ্গী সুন্দর এবং অনেক টাকা পয়সার মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি আপনার সাথে ভালো আচরণটুকু করেন না, আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করেন না, আপনাকে সময় না দিয়ে পরকীয়া করে বেড়ান তাহলে কি আর তাকে আপনার ভালো লাগবে? তখন কি সেই সঙ্গী আপনার নয়ন জুড়াবে, অন্তর শীতল করবে?
পক্ষান্তরে, আপনি এটাও ভাবুন তো, আপনার সঙ্গী হয়তো দেখতে ততোটা সুন্দর নন, হয়তো তার অনেক টাকা পয়সা নেই কিন্তু সে আপনাকে অনেক ভালোবাসে তখন কি সেই সঙ্গী আপনার চক্ষুশীতল করবে না, হৃদয় তৃপ্ত করে দেবে না? নিশ্চয়ই করবে। সেজন্যই আমাদেরকে এমনভাবে দোয়া করতে হবে যে দোয়ার মধ্যে সকল বিষয় একসাথে চাওয়া হয়ে যায়। আর একসাথে সকল বিষয় চাওয়া হয়ে যায় এমন দোয়াই তো আমাদের রব আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। সুবহান'আল্লাহ!
ষষ্ঠ দোয়াঃ
ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর নিকট যে দোয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসমাঈল (আঃ) এর মতো নেক্কার সন্তান লাভ করেছিলেন সেই ছোট্ট দোয়াটি হলো,
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
অর্থঃ হে আমার রব! আমাকে একজন নেক্কার সন্তান দান করুন।
[সূরা আস ছফফাত, আয়াত নং : ১০০]
একটি মজার বিষয় কি খেয়াল করেছেন? সেটি হচ্ছে, কোনো অবিবাহিত যখন উল্লেখিত সবকয়টি দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে একজন নেক্কার সন্তান কামনা করছে তখন কিন্তু একইসাথে তার বিয়ে করারও দোয়া করা হয়ে যাচ্ছে। কেননা সন্তান পেতে হলে তো আগে আপনার বিয়ের ব্যবস্থা হতে হবে-তাই না! তাছাড়া, নেক্কার সন্তানের জন্য নেক্কার সঙ্গীর বিষয় তো থাকছেই। তাই অবিবাহিত অবস্থায় আল্লাহর কাছে নেক্কার সন্তান চাওয়ার মানে হচ্ছে, আপনি চাচ্ছেন আপনার বিয়ের ব্যবস্থা হোক, তা-ও আবার যেই সেই কারো সাথে নয় নেক্কার সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা কামনা করা হচ্ছে। তারপর একজন নেক্কার সন্তান। সুবহান'আল্লাহ! এবার চিন্তা করুন, ঐসব দোয়ার মধ্যে কত কত চমৎকার বিষয় লুক্কায়িত আছে।
উল্লেখ্য, যাদের অনেক সন্তান থাকায় আর সন্তান কামনা করছেন না তারাও ঐসব দোয়া পাঠ করবেন। কারণ কেবল সন্তান থাকলেই তো হবে না। আপনার সে সন্তানগুলো যেন নেক্কার হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত নেক্কার হিসেবে জীবনযাপন করে সেজন্য সবসময় আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকবেন।
যাইহোক, এসব দোয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি দূরদ এবং ইস্তিগফার পাঠ করতে হবে। বিশেষ করে ইস্তেগফারের আমল বড়ো শক্তিশালী একটি আমল। ইস্তিগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নির্দিষ্ট বড়ো বড়ো গুনাহের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সকল গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইস্তিগফার সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। নূহ (আঃ) তার কওমকে যে কয়েকটি কারণে ইস্তেগফার করার কথা বলেছিলেন তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সন্তান-সন্তনি লাভ। তাই সন্তান লাভের জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা জরুরি।
[সূরা নূহ, আয়াত নং : ১০-১২]
ইস্তেগফারের আমল করলে আল্লাহর নিকট একসাথে অনেকগুলো বিষয় চাওয়া হয়ে যায়। সুতরাং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এজন্য ইস্তেগফারের আমল কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। বিভিন্নভাবে ইস্তেগফার করা যায়। তন্মধ্যে সহজ একটি হচ্ছে,
"আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি"
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
অর্থঃ আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।
মনে রাখবেন, যে আল্লাহ যাকারিয়া (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ) এর বার্ধক্যের মতো চরম প্রতিকূল সময়ে সন্তান দান করতে পেরেছেন সেই আল্লাহ চাইলে কিন্তু আপনাকেও যেকোনো সময় সন্তান দান করতে পারেন। অতএব আপনি আশাহত হবেন না, মোটেও দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না। নবী রাসূলদের মতো বুক ভরা আশা নিয়ে আল্লাহকে প্রতিনিয়ত ডাকতে থাকুন। তারাও যেমন আল্লাহর বান্দা ছিলেন আপনিও তো তেমনি আল্লাহর বান্দা। তাদেরটা শুনলে আপনারটা শুনবেন না কেন! আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার ডাক ফেলে দেবেন না, অবশ্যই শুনবেন।
রেফারেন্সঃ
[১] সূরা আল বাকারা, আয়াত নং : ২১৬
[২] সূরা আশ শূরা, আয়াত নং : ৪৯-৫০
'বান্দা টু আল্লাহ' নামক চলমান একটি দোয়া সিরিজের একটি বিশেষ পর্ব থেকে একাংশ নেওয়া হলো।
লেখক : রাকিব আলী
#বিয়ে
#সন্তান
#লিখালিখি