
21/09/2024
কুনসুমা আকতার, পিতা- মোঃ সেলিম, মাতা- মনোয়ারা বেগম, সাং- উত্তর গুজরা, বাচা মিয়া সারাংয়ের বাড়ী, ডাকঘর- ঠাকুর বাড়ী, থানা- রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম বাদী হয়ে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক),
চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ বরাবর ১। মহররম আলী, পিতা- মৃত সাহাব মিয়া, ২। তাহেরা বেগম, স্বামী- মহন্ত্ররম আলী, ৩। ইসমাঈল, পিতা- মহররম আলী,81 মিল্লাত, পিতা- মহররম আলী,
৫। মোঃ সেলিম, পিতা- মোহাম্মদ আলী, উভয়সাং- মুনা মুন্সির বাড়ী, ৪নং ওয়ার্ড, উত্তর গুজরা ইউনিয়ন, ডাকঘর-বিনাজুরী, থানা- রাউজান, জেলা-চট্টগ্রামসহ তাদের দলীয় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাউজান থানাধীন উত্তর গুজরা ইউনিয়নের অন্তর্গত ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনা মুন্সির বাড়ির মহররম আলীর পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে "প্রতারণার আশ্রয়ে বিশ্বাস ভঙ্গক্রমে প্রলোভন দেখিয়ে, বিবাহের আশ্বাসে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষন" করার বিষয়ে নিম্নমতে একখানা অভিযোগ করে এবং উক্ত অভিযোগে সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ আছে বিগত ১০/০২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৫.০০ ঘটিকা।
বাদীনির নিবেদন এই যে,
১। বাদীনি একজন সহজ, সরল, শান্তিপ্রিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও পর্দানশীল মহিলা হয়। অপরদিকে প্রতিপক্ষগণ অত্যন্ত দৃষ্ট প্রকৃতির দূর্লোভী ও বেপরোয়া স্বভাবের লোক হয়। গায়ের জোরে দেশের আইন-কানুন মোটেই মান্য করেনা। শঠতা ও প্রতারণার আশ্রয়ে বিবাহের আশ্বাসে বিভিন্ন সহজ সরল মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতঃ তাদের ইজ্জত ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ করা ৩নং বিবাদীর চিরাচরিত স্বভাব। ৩ নং বিবাদীর বিভিন্ন বেআইনী কাজ, অন্যান্য বিবাদীগন পরোক্ষভাবে সহায়তা করে থাকে।
২। ৩নং প্রতিপক্ষ বাদীনির সাবেক স্বামী, ১ ও ২নং প্রতিপক্ষ ৩নং প্রতিপক্ষের পিতা-মাতা, ৪নং প্রতিপক্ষ ১ ও ২নং প্রতিপক্ষের মেয়ে এবং ৫নং প্রতিপক্ষ ১নং প্রতিপক্ষের ভাইয়ের পুত্র হয়।
৩। বাদীনির স্বামী ইসমাইল কর্ম উপলক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থাকলেও, বর্তমানে বাংলাদেশে আছে। ৩নং প্রতিপক্ষ মোঃ ইসমাইল বিগত ১০/০৬/২০১০ ইংরেজী তারিখে বাদীনিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার কথা বলে, জনৈক ব্যক্তিকে কাজী পরিচয় দিয়ে, বিভিন্ন ধরনের কাগজে বাদীনির স্বাক্ষর নিয়ে, বাদীনিকে বৈধভাবে বিবাহ সম্পাদন করার কথা বলে, দীর্ঘদিন যাবত বাদীনির সাথে দৈহিক সম্পর্ক করিলেও, অদ্যাবধি বিবাহের বৈধ কাগজপত্র বিশেষ করে নিকাহনামা প্রদান করেননি। নিকাহনামা বাদিনীকে প্রদান করার জন্য বলিলে, মোঃ ইসমাইল অকথ্য ভাষায় বাদীনিকে গালিগালাজসহ বাদনিকে শারীরিক নির্যাতন করে। বর্তমানে মোহাম্মদ ইসমাইলের ঔরষে বাদীনির গর্ভে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। বিবাহের নিকাহনামার কপি না দেওয়ায় বাদীনীর সন্দেহ হয় যে, ইসমাইল বাদীনিকে বিবাহের কথা বলে, মিথ্যা অশ্বাস প্রদানে বাদীনির সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিশেষ করে বাদীনি হইতে নানা সময়ে নানা বাহানায় গৃহীত টাকা পয়সা পরিশোধ না করাসহ বাদিনীকে প্রকৃত নিকাহনামার কপি প্রদান না করা, সর্বোপরি উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায়, বাদীনি বাধ্য হইয়া বিগত ০৭/০৩/২০২৩ ইংরেজী তারিখে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ মোহাং ইসমাইলের বরাবর তালাকের নোটিশ প্রদান করি। তৎপ্রেক্ষিতে ইসমাইল ক্ষুদ্ধ হইয়া মিথ্যা ভাবে থানায় অভিযোগ করতঃ বিগত ৩০/০৩/২০২৩ ইংরেজী তারিখে স্থানীয় রাউজান থানা পুলিশের সহায়তায় বাদীনির সাথে ২নং বিবাদীর সহিত জোরপূর্বক বেআইনিভাবে একখানা "অঙ্গীকারনামা মুলে আপোষনামা" সম্পাদন করেন। "অঙ্গীকারনামায় বর্ণিত শর্তমতে বাদীনির ছেলে মোহাম্মদ ইমতিয়াজ (১৩)কে, ৩নং বিবাদীর কথামত ১ ও ২ নং প্রতিপক্ষগণ তাদের বসত ঘর গুজরায় নিয়ে যায়।
প্রতিপক্ষগণের ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর ইমতিয়াজ কিছুদিন ভালো থাকলেও, পরবর্তীতে প্রতিপক্ষগণ বাদীনির ছেলে ইমতিয়াজকে বিভিন্ন সময় মারধর, গালি-গালাজ, পড়ালেখা করতে না দেয়াসহ যথাসময়ে খাওয়া দাওয়া না দিয়ে বিভিন্নভাবে অত্যচার নির্যাতন করিতে থাকে। প্রতিপক্ষগণের নির্যাতনের সহ্য করতে না পেরে বাদীনির ছেলে ইমতিয়াজ পালিয়ে বাদীনির বর্তমান বসতঘরে তথা বাদীনির নিকট চলিয়া আসে। বাদীনির সাবেক স্বামী মোঃ ইসমাঈল তথা ৩নং প্রতিপক্ষ তখন প্রবাসে থাকায় মোঃ ইমতিয়াজের একমাত্র বৈধ অভিভাবক হচ্ছি আমি বাদী তথা ইমতিয়াজের মাতা। এরপরেও ৩ নং প্রতিপক্ষের পিতা মাতা স্থানীয় থানা পুলিশকে বেআইনিভাবে বশে নিয়ে, বেআইনী ভাবে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করার মাধ্যমে, বাদীনির ছেলেকে বাদীনির নিকট হইতে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। নির্যাতনের পর বাদীনির ছেলে বাদীনির বাড়ীতে চলে আসার পর হইতে প্রতিপক্ষগণ বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করিতেছে যে, যেকোন সময় বিবাদীগন নীজেরা কিংবা অন্যের মাধ্যমে বাদীনি কিংবা বাদীনির ছেলে মেয়েকে অপহরণ করিয়া প্রতিপক্ষগণের বাড়ীতে নিয়ে যাবে এবং জানে মারিয়া ফেলিবে। অঙ্গীকারনামার শর্তে উল্লেখ আছে যে, বাদীনীর ছেলে মোঃ ইমতিয়াজ দাদার কাছে থাকলেও থাকতে পারবে, নানা নানীর কাছে থাকলেও থাকতে পারবে, ইহাতে কোন পক্ষ ওজর আপত্তি করিতে পারিবে না। এর পরেও ৩ নম্বর বিবাদীর নেতৃত্বে তার মা বাবা ও আত্মীয়-স্বজন বাদীনির ছেলেকে বাদিনী হইতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য, জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষগণ প্রায় সময় বিভিন্ন উচ্ছৃংঙ্খল লোকদের সঙ্গে নিয়ে বাদীনির বর্তমান বসত ঘরে আসিয়া, বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিতে থাকে। বর্তমানে ইসমাঈলের ঔরষে বাদীনির গর্ভের ১ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রহিয়াছে। তাহারা লেখাপড়ার প্রয়োজনে বাদীনির বাসার বাহিরে যায়। প্রতিপক্ষগণ নিজেকে অনেক বড় ক্ষমতাবান বলিয়া জাহির করিতে থাকে এবং বলতে থাকে তাহাদের সাথে অনেক বড় বড় নেতা ও লোকদের সাথে সম্পর্ক আছে, তাদের সহায়তায় যে কোন সময় বাদীনির ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিবে। তাদের এহেন হুমকিতে বাদীনির সন্দেহ হয়েছে যে, বিবাদীগন যেকোন সময় যেকোন বড় ধরনের অঘটন ঘটাইতে পারে।
বিবাদীগন বিগত ১০/০২/২০২৪ ইংরেজী তারিখ বিকাল আনুঃ ৫ঃ০০ ঘটিকার সময় বাদীনি ও বাদীনির বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিবে মর্মে "অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান" করে বলে যে, বাদীনির সন্তানদের নীজেরা কিংবা বিভিন্ন অপরিচিতি লোকের মাধ্যমে অপহরণ করিয়া, জানে মারিয়া ফেলিবে। তাদের এহেন হুমকিতে বাদীনি মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি যে, বিবাদীগন নিজেরা কিংবা অন্যের মাধ্যমে কখন কোন অঘটন ঘটায়।
৫। বাদীনি একজন পর্দানশীল মহিলা হই। বর্তমানে বিবাদীগন বাদীনিকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানী করার হুমকি প্রদান করে। বাদীনি এখনো পর্যন্ত কোন মামলা মোকদ্দমা করিনি। বাদীনি ভবিষ্যতে আইনগত সূত্র হিসেবে প্রয়োগ করার নিমিত্তে, জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একখানা ডায়রী করেছিলাম। এমতাবস্থায় বাদীনি প্রতিপক্ষগনের অনাকাঙ্খিত হুমকির প্রেক্ষিতে আপনার সংস্থা হইতে আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রার্থনা করিতেছি। সাথে সাথে ৩ নং বিবাদী, বাদিনীকে বিবাহ করিয়া থাকিলে তাহার নিকট হইতে বাদীনির বিবাহের নিকাহনামা উদ্ধার করারও আবেদন রইল। ৩ নং বিবাদীর নিকট বাদীনির সাথে সম্পাদিত নিকাহনামার আসল/প্রকৃত কপি না পাইলে, বাদীনি অতি দ্রুত ইসমাঈলের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করার জন্য অনুরোধ করছি।
অতএব, প্রার্থনা যে, বাদীর আনীত অত্র আবেদনখানা গ্রহণ করতঃ আবেদনে উল্লিখিত বিষয়াদির আলোকে, আইনী সহায়তা দানে আপনার সদয় মর্জি হয়।
তারিখঃ ১০/০৯/২০২৪ ইং।
বাসক ফাউন্ডেশন বরাবর বাদিনী অত্র অভিযোগ করার পর হইতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছে মর্মে এ প্রতিবেদককে জানায়। বাদীনি তার হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।