
07/08/2025
নাজিম উদ্দীনের ১৭ বৎসরের সাজা পরোয়ানা গায়েব! সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন কি?
মাননীয় বিচারক, ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও স্পেশাল ট্রাইঃ আদালত নং- ১৫, চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া থানার মামলা নং ২৪(৯)২০১৪, জি, আর- ২৯৪/১৪, স্পেশাল ট্রাইঃ মামলা নং ০৮।২০১৫ ইংরেজীর আসামী মোঃ নাজিম উদ্দীন প্রঃ নেজাম উদ্দিন, পিতাঃ আলী মোল্লা মিস্ত্রি প্রঃ আলি উল্ল্যাহ, সাং- জনার কেওচিয়া, ০৯নং ওয়ার্ড, নয়া পাড়া, হংশর বাড়ী, থানাঃ সাতকানিয়া, জেলাঃ চট্টগ্রামকে উক্ত মামলার ১৭ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করিলেও, অজ্ঞাত কারণে ২৬ অক্টোবর ২০২২ ইংরেজীর উক্ত আদেশ মুলে প্রেরিত "সাজা পরোয়ানা" এখনো সাতকানিয়া থানা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন খুঁজে পাচ্ছেন না মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়, যাহা সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক নচেৎ রাস্ট্র পক্ষের ক্ষতির সমুহ সম্ভাবনা রহিয়াছে। উক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি (ইয়াবা সংক্রান্ত অন্য মামলায়) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গত ০৬ জুলাই ২০২৫ খ্রীঃ আটক হলে, তার বিরুদ্ধে ১৭ বৎসরের সাজা পরোয়ানার বিষয়টি জানাজানি হয়। উক্ত বিষয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নুরুল আবছার আনছারী গত মাসে (ক) স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল নং-১৫, চট্টগ্রামের মাননীয় বিচারক, (খ) জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং (গ) সদর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক বরাবর কারাগারে আটক আসামি নাজিম উদ্দীনকে, উক্ত সাজা পরোয়ানা মুলে কারাগারে আটক রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য (রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে) একখানা দরখাস্ত প্রেরণ করেন, যাহার সার- সংক্ষেপ নিম্নরূপঃ
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারী নুরুল আবছার আনছারী (নিবন্ধনকৃত) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাপ্তাহিক সিটিজি নিউজ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক হই। আমাকে উপরোক্ত মামলার আসামী মোঃ নাজিম উদ্দীন প্রঃ নেজাম উদ্দিনের মামলার সাজা পরোয়ানার বিষয়ে তার এলাকার জনৈক জসিম উদ্দিন নামক ব্যক্তি জানায় যে, উপরোক্ত আসামী নেজাম উদ্দিন লোহাগাড়া থানার মামলা- ০৪, তাং ০৬/০৭/২০২৫ ইং, ধারাঃ ৩৬(১) সরনির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
উপরোক্ত আসামী সাতকানিয়া থানার মামলা নং ২৪(৯)২০১৪ এবং জি আর ২৯৪/২০১৪, স্পেশাল ট্রাইঃ মামলা নং ০৮/২০১৫ এর ১৭ বৎসরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছাড়াও উপরোক্ত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী জুলেখা বেগমের সি আর মামলা নং ৩০৮/২৩ এর ওয়ারেন্টের ১নং আসামী। সাতকানিয়া থানার মামলা নং ২৪(৯)২০১৪, ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯(A) ধারায় রুজিকৃত। মামলার বাদী/সংবাদদাতা ছিলেন সাতকানিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা (এস আই) জনাব নাজমুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন জনাব রুবেল পাল এবং আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জনাব মোঃ সাকিব।
পুলিশ পরিদর্শক জনাব মাহমুদুল হাই মামলার অভিযোগ পত্র নং ২৫৬, তাং ১২।১০।২০১৪ ইং সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করেন। মাননীয় (বিচারিক আদালতের) বিচারক আ. স. ম শহীদুল্লাহ্ কায়সার, স্পেশাল ট্রাইঃ নং-১৫ ও অতিরিক্ত দায়রা জজ, ৭ম আদালত, চট্টগ্রাম মহোদয় বিগত ২৬/১০/২০২২ ইং তারিখে (৪৬ নং আদেশ মুলে) আসামীকে "১৯(এ) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(এফ) ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান হলো" মর্মে প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করেন। উক্ত মামলার নথিতে সাজা পরোয়ানা প্রেরণের বিষয়ে, W/A ইস্যু স্বারক নং- ৮৬০, তাং- ১০/১১/২০২২ ইং লেখা আছে। উক্তরুপ পিয়ন বুকেও লেখা আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চট্টগ্রাম কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের অফিসে উক্ত সাজা পরোয়ানা প্রেরণের কথা পিয়ন বুকে (ঘষামাজা অবস্থায়) উল্লেখ থাকিলেও, উক্ত অফিসের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাগন উপরোক্ত আসামীর ১৭ বৎসরের সাজা পরোয়ানা খুঁজে পাচ্ছেন না মর্মে আমাকে জানান। অন্যদিকে পিয়ন বুকে মামলার নম্বর এবং সাজা পরোয়ানা গ্রহণের তারিখ ঘষামাজা হওয়ায় বিষয়টি সন্দেহ জনক হয় যে, আসলেই উক্ত সাজা পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট কোর্ট হইতে সংশ্লিষ্ট শাখায় সঠিকভাবে প্রেরণ করা হয়েছে কিনা। আমার মনে হয় কোন অসাধু চক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কিছু একটা অনিয়ম করেছে। তা নাহলে মাননীয় আদালত কর্তৃক উপরোক্ত আসামী নাজিমকে ২০২২ সালে ১৯(এ) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(এফ) ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলেও, দীর্ঘদিন পর W/A সংশ্লিষ্ট শাখা কিংবা থানায় না পৌছা রহস্যজনক, যাহা সঠিকভাবে তদন্ত করিলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হইবে, আমার বিশ্বাস।।
অনিয়মের কারণে উক্ত ১৭ বৎসরের সাজা পরোয়ানা মাননীয় আদালত হইতে সংশ্লিষ্ট কোর্ট পরিদর্শকের কার্যালয় কিংবা সাতকানিয়া থানার মাধ্যমে আসামীর বর্তমান অবস্থান তথা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে না পৌছানোয়, আসামি কারাগার থেকে উপরোক্ত লোহাগাড়া থানার ইয়াবার মামলা হইতে দ্রুত জামিনে বের হওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মর্মে একাধিক সূত্রে জানা যায়। উপরোক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বিরুদ্ধে ১০।১৫টির মত মামলা বিচারাধীন মর্মে জানা যায়। উপরোক্ত সাজা পরোয়ানা ভূক্ত আসামীর পরোয়ানা সাতকানিয়া থানায় না পৌছানোর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারী কৌশুলী এপিপি জনাব এডভোকেট মোঃ দিদারুল আলম (সুমন)কে জানিয়ে, মাননীয় আদালতে একখানা দরখাস্ত করে উপরোক্ত বিষয়টি মাননীয় আদালতের নজরে আনার জন্য অনুরোধ করিলে, তিনি উক্ত মামলার সংবাদদাতা অর্থ্যাৎ পুলিশ ছাড়া দরখাস্ত শুনানী করবেন না মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। অথচ আমি আমার পূর্ব পরিচিত এডভোকেট শামীমুল ইসলাম সাহেবের মাধ্যমে সরকারী কৌশুলীকে দরখাস্তও তৈরি করে দিয়াছি। মাননীয় আদালতের কর্মচারী মোক্তার নামক ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত এডভোকেট সাহেব, উপরোক্ত সরকারী কৌশুলীকে গত ২৪।৭।২০২৫ ইং তারিখে ৫০০/- টাকা ফিও নাকি পরিশোধ করেন। উপরোক্ত তথ্য সমুহ সংগ্রহসহ বিভিন্নভাবে তদ্বির করতে করতে আমার প্রায় ৬/৭ কর্মদিবস অতিবাহিত হলেও, অদ্যাবধি কাজের কাজ, কোন কিছুই হয়নি বিধায় কোন উপায়ন্তর না দেখিয়া, জনস্বার্থে অত্রাকারে উপরোক্ত বিষয়াদি যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে আপনার সমীপে পেশ করিলাম।
এই সাজাপ্রাপ্ত আসামী নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলা সমুহের নামীয় তালিকার কপিসহ সদ্য লোহাগাড়া থানায় পুলিশের রুজুকৃত মামলার কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করা হয়।
আমাকে উপরোক্ত বিষয়ের সংবাদ প্রদানকারী জসিম উদ্দিনের পিতা হলেন মরহুম আলিম উল্ল্যাহ, যাহার ঠিকানা - কেওচিয়া, নয়া পাড়া, থানাঃ সাতকানিয়া, জেলাঃ চট্টগ্রাম। তিনি আমাকে আরো জানায় যে, এই আসামী নেজাম উদ্দিন, সংবাদ প্রদানকারী জসিম উদ্দিনসহ তার এলাকার অনেক লোককে নিঃস্ব করেছে। জসিমসহ তার স্ত্রী এবং তার ছেলে মেয়েকে এই সাজাপ্রাপ্ত আসামী প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায়, তারা ঘরবাড়ী ও এলাকা ছেড়ে বর্তমানে বান্দরবান জেলায় স্ব-স্ত্রীক বসবাস শুরু করেন। জসিমের গ্রামের বসত ঘরের অনেক মুল্যবান জিনিসপত্র এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাজিম উদ্দীন প্রকাশ্যে ডাকাতি করে নিয়ে যায়। একটি মারামারির ঘটনায় মাননীয় আদালতে জসিম উদ্দীনের স্ত্রী জুলেখা বেগমের সি আর মামলা নং ৩০৮।২৪ বিচারাধীন আছে। উক্ত মামলার ১নং আসামি এই নাজিম উদ্দীন। ইতিপূর্বে পলাতক থাকায় এই মামলায়ও গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ হয়। ২৮।৫।২৫ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট মাননীয় আদালতে প্রসেস ফি দাখিল করিলেও অজ্ঞাত কারণে আজও মাননীয় আদালত হইতে W/A ইস্যু করা হয় নাই। মানবিক কারণে উপরোক্ত বিষয়ে আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।
অতএব মহোদয়, দয়া পরবশঃ হইয়া দরখাস্তখানা গ্রহন করতঃ নাজিম উদ্দিনের উপরোক্ত মামলার সাজা পরোয়ানা কার্যকর করার প্রদক্ষেপ গ্রহনে আপনার সদয় মর্জি হয়।