26/08/2025
মাহফুজের সাথে যা হলো এটা ট্রেইলার মাত্র। মাহফুজরা ক্ষমতার বর্গ থেকে ছিটকে পড়লে তাদের উপর যেই হামলাটা হবে সেটা নিয়ে একটা আশংকা বহু আগে থেকেই ছিল। দিন দিন সেটা কেবলই প্রশস্ত হচ্ছে।
রাজনৈতিক মতভিন্নতা গণতন্ত্রে থাকবেই। কিন্তু জুলাইয়ের হিসাবে বিএনপি আর এনসিপির মধ্যে দূরত্ব একটা ভয়ংকর জিনিস। বিএনপির অনেক নেতা যেমন জুলাই নিয়ে উলটা পালটা বলছে, তেমনি এনসিপির ছেলেপেলেরাও যা খুশি তাই বক্তব্য দিয়ে চলছে। কিন্তু সব পেছনে রেখেই বলবো নাহিদ-আখতার-মাহফুজরা আমাদের আত্মার অংশ, যেমন মির্জা ফখরুল, আমিনুলের মতন মানুষেরা। তাদের রক্ষা করা আমাদের দল-মত নির্বিশেষে সবার দায়িত্ব। বিএনপিসহ অপরাপর গণতান্ত্রিক দলগুলো যেমন ষোল বছর জনি, তোফজ্জল বা ওয়াসিমের মতন রক্ত ঢেলে দিয়েছে, তেমনি নাহিদরা সেই লড়াইয়ে একটা ফিনিশিং লাইন টেনে দিয়েছেন সবাইকে নিয়ে। এই সত্যগুলো আমাদের সবার স্বীকার করতে হবে।
কিন্তু এনসিপির নেতারা সম্ভবত: তাদের অনাগত দিনগুলো দেখতে পারছেন না, তারা আওয়ামী লীগের মতন প্রতিষ্ঠিত শত্রুরে অবজ্ঞা করে ফাইট করছেন বিএনপির সাথে। তিক্ততা বাড়ছে সূচকীয় হারে, শত্রুতা বাড়িয়ে চলেছেন দুপক্ষই। শত্রুতা জিনিসটা এমনই।
আমি কেবল ভয় পাই সেই দিনগুলোরে, আওয়ামী লীগ গুপ্ত/প্রকাশ্য উপায়ে একেকটা পক্ষরে কচুকাটা করবে, অথচ অন্য দল নিজের ইগো নিয়ে বসে থাকবে। ঘৃণা, বিবমিষা এমন পর্যায়ে পৌছাবে যে ঠেকানোর প্রয়োজন মনে করবে না। আর এর ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব বিএনপি তার জনবল দিয়ে ঠেকাতে পারলেও, এনসিপি পারবে বা। মাহফুজের ঘটনা কেবল তার উদাহরণ মাত্র। কিন্তু এই রিয়েলিটিটা তারা কেন দেখতে পাচ্ছেন না আমার জানা নাই।
এই শত্রুতায় লাভবান হচ্ছে কারা? কেউ ভেবে দেখেছেন একবার?