Ekhon Somoy

Ekhon Somoy The first non-fiction infotainment new media in Bangladesh.

02/07/2025

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়েছেন আ.লীগ নেতা আহমুদুর রহমান, শ্রমিকলীগ নেতা মিজানুর রহমান।

27/06/2025

প্রতিবেশী প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন সুমাইয়া, হয়রানি না করার বার্তা।

মহেশখালী থানার ওসি কাইছারকে প্রত্যাহার, নতুন ওসি মঞ্জুরুল হক।
20/05/2025

মহেশখালী থানার ওসি কাইছারকে প্রত্যাহার, নতুন ওসি মঞ্জুরুল হক।

মহেশখালীতে নতুন এসিল্যান্ড শাহাদাত হোসেনমহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে রদবদল এসেছে প্রশাসনিক ঘরানায়। বর্তমান ...
29/04/2025

মহেশখালীতে নতুন এসিল্যান্ড শাহাদাত হোসেন

মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে রদবদল এসেছে প্রশাসনিক ঘরানায়। বর্তমান এসিল্যান্ড দিপক ত্রিপুরাকে বদলি করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। তার স্থলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড মো. শাহাদাত হোসেনকে নতুন করে মহেশখালীতে পদায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এক অফিস আদেশে এই বদলির নির্দেশ জারি করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে জানানো হয়, উভয় কর্মকর্তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, এই বদলি আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দিপক ত্রিপুরা মহেশখালীতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভূমি সেবায় গতিশীলতা এনেছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করে। তার সময়ে দখলবাজদের বিরুদ্ধে একাধিক উচ্ছেদ অভিযান, অনিয়ম রোধে কঠোর ভূমিকা এবং ডিজিটাল ভূমি সেবার সম্প্রসারণে ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। যদিও সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে তিনি বিতর্কের মুখেও পড়েন, তবু প্রশাসনিকভাবে তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, সদ্য নিযুক্ত এসিল্যান্ড মো. শাহাদাত হোসেন কুতুবদিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে বেশকিছু সময়োপযোগী উদ্যোগ ও তদারকি কার্যক্রমের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও আইন প্রয়োগে কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি নাগরিক মহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। মহেশখালীতে তার আগমনকে কেন্দ্র করে নাগরিকরা ভূমি সেবায় ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন। বিশেষ করে পাহাড়, জলাভূমি ও সরকারি জমির সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন এই বদলি আদেশকে কেন্দ্র করে মহেশখালীর রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ইতোমধ্যেই নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। ভূমি অফিসে সেবা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সংকট থাকা অবস্থায় নতুন এসিল্যান্ডকে বরণ করতে প্রস্তুত মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা আশা করছেন, শাহাদাত হোসেনের হাত ধরে ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা ও জনসেবার মান আরও উন্নত হবে। একইসঙ্গে পূর্বসূরির অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেবেন তিনি।

April 29: A Day of Coastal Dread Lingers for MaheshkhaliReport- Fuad Mohammad ShobujApril 29 marks 34 years since one of...
29/04/2025

April 29: A Day of Coastal Dread Lingers for Maheshkhali

Report- Fuad Mohammad Shobuj

April 29 marks 34 years since one of the deadliest cyclones in Bangladesh’s history ravaged the coastal belt. The 1991 storm, with winds reaching up to 250 km/h and tidal surges of 15–20 feet, devastated Maheshkhali upazila. In just hours, thousands of lives were lost, and the entire landscape was left in ruins. An estimated 10,000 people perished in Maheshkhali alone. Survivors recall that dreadful night with tears, as their homes, families, and livelihoods were washed away. Villages like Dhalghata, Matarbari, and Kutubjom turned into ghost towns overnight. That traumatic night still haunts the people of Maheshkhali, who battle seasonal disasters to this day.

Today, Maheshkhali is home to nearly 400,000 people, yet it remains grossly unprepared for natural disasters. The number of cyclone shelters is insufficient, and the embankments meant to protect the coast are in dire condition. According to the Water Development Board, 60% of the 543 km of embankments in Cox’s Bazar are severely damaged. Maheshkhali alone has at least 65 km of embankments that are either broken or extremely vulnerable. In Dhalghata, Matarbari, and Kutubjom, the lack of sustainable embankments poses a grave threat to coastal resilience.

Though some embankments were built or repaired after the 1991 cyclone, most structures lacked durability. Many, like the one in Polder 70, are now eroding or crumbling. During the monsoon and full moon tides, these areas regularly face inundation. The Water Development Board has proposed three projects for sustainable embankment construction. One, worth Tk 2.2 billion, is awaiting ECNEC approval. If approved, it may offer long-term protection against recurring disasters.

The nearby Kutubdia Island faces an even more precarious situation. In the 1991 cyclone, nearly 40% of the island was submerged by the sea. Today, four out of six unions are regularly flooded by tidal surges. In areas like Dakshin Dhurung, Baraghop, and Ali Akbar Dale, the embankments are either broken or non-existent, allowing seawater to encroach on homes and farmland. Locals try to erect barriers using bamboo and mud, but these are easily destroyed by even mild waves.

Abdul Karim, a longtime resident of Dhalghata Union, said, “Since childhood, I’ve seen our suffering begin with every monsoon. A bit of rain and the embankments collapse, flooding our homes. Furniture and food float away. Every monsoon is a battle for survival. Climate change has only worsened it.” He added that the proposed 'super d**e' project could finally bring some relief if implemented. “Otherwise, we will face the same suffering every year. We want the government to act before it’s too late for our future generations.”

Runa Akter of Matarbari Union echoed the fear. “Every time it rains or the tide rises, it feels like we’re holding our lives in our hands. Children and the elderly are most vulnerable. The pain is unending. Without a permanent and strong embankment, there is no peace in Maheshkhali. We urge the authorities to approve and implement the super d**e project soon, so we can live safely, and our children can sleep without fear.”

Residents have been consistently demanding resilient embankments. Nurul Islam from Dhalghata said, “Each monsoon feels like walking with death.” Elderly Soltan Ahmed added with tears, “We are fighting the sea just to survive. We hear promises, but they’re never fulfilled. Thousands of families live in constant fear due to lack of protection. Another major cyclone could bring catastrophe.”

Abdul Mannan Bana, leader of the Dhalghata Protection Movement, stressed, “We cannot protect the coast without strong embankments, more cyclone shelters, early warning systems, and public awareness. Beyond embankments, we need mangrove plantations and alternative livelihoods. Without these, Maheshkhali and Kutubdia will remain on the brink of extinction.”

To that end, a massive project worth Tk 38 billion has been proposed to build a super d**e in Dhalghata and Matarbari. Sub-Divisional Engineer of the Water Development Board, Md. Jamal Murshid, said the project is awaiting final approval and may be greenlit by 2026. Full implementation is expected by 2029, potentially transforming Maheshkhali’s disaster resilience.

He noted that the last major embankment works were carried out in Dhalghata and Matarbari during the 2018–2020 fiscal years. These two unions now have 32 km of embankments, of which 6.5 km are highly vulnerable. About 7.5 km fall under the Roads and Highways Department, while 18 km remain in a moderately risky condition. “Maheshkhali is disaster-prone,” he emphasized. “Without sustainable embankments, the lives and assets of coastal people cannot be protected. Once implemented, the super d**e will ensure long-term safety and open doors to livelihood security.”

ESE-

28/04/2025

কালারমারছড়ায় যুবদলের কাউন্সিলে নাটকীয় হামলায় বিএনপি পরিবারের বিক্ষোভ

কালারমারছড়ায় যুবদলের কাউন্সিলে নাটকীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিজস্ব প্রতিবেদক মহেশখালী (কক্সবাজার)গত ২৭ এপ্রিল কালারমা...
28/04/2025

কালারমারছড়ায় যুবদলের কাউন্সিলে নাটকীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক মহেশখালী (কক্সবাজার)

গত ২৭ এপ্রিল কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবদলের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলে পূর্বপরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে মহেশখালী কালারমারছড়ার রাজপথ। উপজেলা যুবদলের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার নীলনকশা বাস্তবায়নে সাবেক।ক্ষমতাচ্যুত দলের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে এই ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কালারমারছড়ার সম্ভ্রান্ত বিএনপি পরিবার। এর প্রতিবাদে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সফল আহ্বায়ক ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ওয়াহিদ মুরাদ চৌধুরী (মুক্তা)। তিনি বলেন, “রাতের আঁধারে পকেট কমিটি অনুমোদন করে, দিনে লোক দেখানো কাউন্সিল সাজিয়ে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আজ আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। নিজেদের ভেতর বনিবনা না হওয়ায় নিজেরাই নিজেদের কাউন্সিলে হামলা চালিয়েছে, আর আজ নাটকের কুশীলব সাজাতে চায়। আমরা এই কলুষিত রাজনীতির ঘৃণ্য নাটক ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মহেশখালী উপজেলা শাখার সাবেক সফল সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক। তিনি তাঁর বক্তৃতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পরিষ্কার রাজনীতির প্রতীক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর সাহেবের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট। অপপ্রচার আর অপকৌশলের ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের কাঁধে দোষ চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সত্যের বিজয় অনিবার্য, ইতিহাস ষড়যন্ত্রকারীদের কখনো ক্ষমা করে না।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, মহেশখালী বিএনপির রাজনীতিতে সুসংগঠিত গণতান্ত্রিক চর্চার বদলে একটি কুচক্রী মহল দলীয় স্বার্থবিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে কাউন্সিল ভণ্ডুল করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা আজ যুবদলের প্রাণশক্তিকে আহত করেছে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দলীয় আদর্শে বিশ্বাসী তৃণমূলের শক্তি কখনোই এ ধরনের ষড়যন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

বক্তারা বলেন, কালারমারছড়া যুবদলের কাউন্সিল ছিল সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। অথচ একটি কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী তা বানচাল করতে ভয়ংকর মদদ নিয়েছে। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি না করা হলে আন্দোলন আরও উত্তাল হবে। তারা আভাস দেন, প্রয়োজনে ইউনিয়নজুড়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবনেতা নাঈমুল ইসলাম ফয়সাল, নাজেম উদ্দিন নাজু, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, এনামুল হক চৌধুরী, মোক্তার আহমদ, রমজান আলী, ওমর ফারুক ও জসিম উদ্দিন। বক্তারা বলেন, কালারমারছড়ার মাটিতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ঠাঁই হবে না। যারা দলীয় সৌন্দর্য ও গণতন্ত্রের শক্তিকে কলঙ্কিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

বিক্ষোভকারীরা উল্লেখ করেন, তৃণমূলের ঘাম-রক্তে গড়া সংগঠনকে ভাঙার ষড়যন্ত্র কেউ সফল করতে পারবে না। তারা বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুর নয়, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। আমাদের রক্তে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার আদর্শ প্রবাহিত। কুচক্রী মহলের লালিত কল্পকাহিনি আমরা বুলডোজ করে এগিয়ে যাবো।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আব্দু শুক্কুর, মোক্তার আহমদ, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ ফোরকান, আবুল কাশেম, রফিক উদ্দিন, রাসেল মাঝি, ইদ্রিস মাঝি, আব্দুল আজিজ, আবু মুছা, প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে রাখেন। এ সময় তাঁরা "ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও", "সত্যের পক্ষে রাজপথে নামো"—এমন জ্বালাময়ী স্লোগান দেন।

শামশুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী, সবার দোয়া ও সমর্থন কামনাসম্মানিত কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্রিয় জনগণ,  আমি শামশুল আলম—আপ...
18/04/2025

শামশুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী, সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা

সম্মানিত কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্রিয় জনগণ,
আমি শামশুল আলম—আপনাদের একজন ভাই, একজন সন্তান। আগামী কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আমি আমার প্রার্থিতার ঘোষণা দিচ্ছি।

আমি কালারমারছড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের বিপ্লবী সভাপতি, উপজেলা কৃষকদলের সক্রিয় নেতা, কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং মহেশখালী ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের পাশে থেকেছি—আন্দোলন, সংগ্রাম ও সেবামূলক কাজে নিবেদিত থেকেছি।

আমি মরহুম বাঁচা মিয়া সওদাগরের সুযোগ্য সন্তান। আমার বাবা ছিলেন কালারমারছড়া বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় ব্যবসায়ী। তাঁর দেখানো সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতাই আমার পথচলার অনুপ্রেরণা।

আমি বিশ্বাস করি—আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেলে এই ইউনিয়নের সেবা, উন্নয়ন ও ন্যায়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে পারব।
আমার প্রতি আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন—আপনাদের সবার দোয়া ও সমর্থন একান্তভাবে কাম্য।

– শামশুল আলম
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ

সড়ক দূর্ঘটনায় আহত তাহেরার পা কাটার আশঙ্কা, সাহায্যের আবেদননিজস্ব প্রতিবেদক:কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর সড়কে সড়...
13/04/2025

সড়ক দূর্ঘটনায় আহত তাহেরার পা কাটার আশঙ্কা, সাহায্যের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন উত্তর নলবিলা দরগাহ্ ঘোনার বাসিন্দা তাহেরা বেগম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নারী বর্তমানে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাহেরার পা কেটে ফেলতে হতে পারে। এতে মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত দেড় লাখ টাকা, যা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তাহেরার পরিবার।

তাহেরা বেগম পেশায় একজন গৃহকর্মী। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় তার একাকী সংগ্রাম। নিজের ঘর ছিল না, ছিল না নির্ভরতা—থাকতে হতো অন্যের বাড়িতে, আর পেট চালাতে হতো অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে। সামান্য উপার্জনে কোনোমতে চলছিল তাদের নিঃস্ব জীবন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সেই আশ্রয়টুকুও যেন হারাতে বসেছেন তাহেরা।

গত ৯ এপ্রিল (বুধবার) পারিবারিক কাজে চাচার বাড়ি যাওয়ার সময় শাপলাপুর সড়কের ষাইটমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে তাহেরা বেগম যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইকে ছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি দ্রুতগামী ইজিবাইক (টমটম) ওই যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে তাহেরাসহ মোট পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং তাহেরার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহতের আত্মীয় সাজ্জাদ মোহাম্মদ সাগর জানান, “ডাক্তার বলেছেন অন্তত দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। আমরা তো গরিব মানুষ, এত টাকা জোগাড় করবো কীভাবে?” তিনি আরো জানান, তাহেরার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে এবং সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনিই। এই অবস্থায় তাহেরাকে বাঁচাতে সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

তাহেরার পরিবার জানিয়েছে, অসচ্ছল এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তাহেরা নিজেই। এখন তিনিও অচল হয়ে পড়লে দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় সমাজের দানশীল ও সহৃদয় মানুষদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

তাহেরার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা সাহায্য করতে চান তারা তাহেরার বোন জামাই হারুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁর মোবাইল নম্বর: ০১৮১৬০০৬৭৪৩। জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক মায়ের জন্য সামান্য সহায়তাও হতে পারে নতুন জীবনের সোপান।

মহেশখালীতে লবণ মাঠ দখলে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়ামহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিবেদক:মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক কালাগাজীর পাড়ার ...
01/04/2025

মহেশখালীতে লবণ মাঠ দখলে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিবেদক:

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক কালাগাজীর পাড়ার পশ্চিমে বগাচতর ঘোনার লাগুয়া নতুন ঘোনা নামে পরিচিত লবণ মাঠ ও মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে নতুন করে সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইসমাইল ও আবুলশামা বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া এবং একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী একের পর এক হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় তারা লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে, চাষাবাদে ব্যবহৃত মেশিন চুরি করেছে এবং বর্গাচাষিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই আন্দোলনকে পুঁজি করে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এ গোষ্ঠী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা লবণ মাঠ ও মাছ ঘেরের মূল ইজারাদার ও মালিক পক্ষকে পরিকল্পিতভাবে উৎখাতের চেষ্টা করছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা এসব বৈধ মালিকদের আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দোহাই দিয়ে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুখ্যাত ডাকাত সর্দার ইসমাইল ও আবুলশামার নেতৃত্বাধীন বাহিনী গত ৩ মার্চ আমাদের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে একের পর এক হামলা চালিয়ে চাষিদের মারধর করে, পলিথিন কেটে দেয় এবং লবণ মাঠের মেশিন রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায়। হুমকি দিয়ে তারা বলে, "যদি সামনে থেকে এই ঘোনার মধ্যে আসো, হাত-পা কেটে ফেলব ও মেরে ফেলব। এই অপতৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুমন ও মাহবুব আলম।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ইসমাইল বাহিনীর সদস্যরা শুধু দখলদারিত্বেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতেও নানান মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং নিজেদের বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য কৌশলে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।

গত ৩০ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে লবণ ঘেরে হামলা চালিয়ে বাঁধ কেটে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসী ঈসমাইল বাহিনী। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঈসমাইল বাহিনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'ওরা প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতে নানা অপকৌশল নেয়। মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রকৃত মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার পাঁয়তারা করে। পুলিশ ও প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে জমির বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা চালায়।

নতুন ঘোনার সাথে লাগুয়া বগাচতর ঘোনার একজন আনসার সদস্য বলেন, 'আমরা সরকারি অনুমোদন নিয়ে বগাচতর ঘোনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের হুমকি ও হামলার শিকার হচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছি এবং আনসার ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি জিডিও করেছি।"

বর্গাচাষি, লবণচাষি ও সাধারণ জনগণ প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ইসমাইল বাহিনীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করা না হলে এলাকার শান্তি বিনষ্ট হবে, আর সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে।

একজন লবণচাষি বলেন, 'আমরা চাষাবাদ করব, নাকি দখলদারদের সঙ্গে লড়াই করব? দিনের পর দিন আমাদের জমি কেড়ে নিতে চাচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেছেন অপরাধ বিশ্লেষক ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, 'এটি একটি সুপরিকল্পিত দখলদার চক্র। প্রশাসন যদি শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের দখলদারিত্ব আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, 'লবণ মাঠে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তা আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশখালীতে জমি ও ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম নতুন নয়। তবে ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনের পর ইসমাইল ও আবুলশামা বাহিনীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপই পারে এই সমস্যা সমাধান করতে এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তারেক গ্রেফতারফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, মহেশখালী (কক্সবাজার)মহেশখালী থানার প...
28/03/2025

মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তারেক গ্রেফতার

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, মহেশখালী (কক্সবাজার)
মহেশখালী থানার পুলিশের সাড়াশি অভিযানে দেশের নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে মহেশখালী থানার এসআই সুমিত বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইউনিয়নের লম্বাঘোনা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে।

তারেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো, ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় দলীয় প্রভাব বিস্তার, সাধারণ জনগণের ওপর নির্যাতন, চাঁদাবাজি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়, এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তিনি গোপনে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তাঁর অনুসারীদের দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাচ্ছিলেন।

তারেকুল ইসলামের গ্রেফতারের পর মহেশখালীর সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

মহেশখালীর পরিচিত ইনফ্লুয়েন্সার ফয়সাল আমিন ফেসবুকে লিখেছেন, 'সে অনেক এগ্রেসিভ। ২০২১ সালে সে আমাকে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়েছিল। সে যেখানে আড্ডা দিতো, সেখানে আমাকে নিয়ে আলোচনা করত, তবে আমি কখনো জানতে চাইনি কেন? কারণ সে আমার ক্লাসমেট ছিল।

এছাড়া হাবিব মিসবাহ নামে একজন লিখেছেন, 'তারেক দিনে-দুপুরে মানুষকে হুমকি দিতো, তাঁর আচার-আচরণ ছিল অত্যন্ত খারাপ। একবার আমার সাথেও বেয়াদবি করেছে। অনেকেই তার কর্মকাণ্ডের কারণে আতঙ্কে ছিলেন।

জালাল আহমদ নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, 'তারেকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কেউ মুখ খুললে তার অনুসারীরা তাদের ভয়ভীতি দেখাতো। পুলিশের এই অভিযান সত্যিই প্রশংসনীয়।

মহেশখালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে, জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ বলেন, 'আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তারেকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর তদন্ত চলছে। সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, তারেকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করে তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর চাঁদাবাজি করতেন। কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি বিশাল অংকের টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এছাড়াও, তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মারধর, চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখানোর মতো গুরুতর অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, তারেকুল ইসলাম এলাকায় একটি দল গড়ে তুলেছিলেন, যারা বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাঁরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাতো এবং বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে অপকর্ম করত।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসা এই নেতা গ্রেফতার হওয়ায় জনসাধারণ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। অনেকেই আশা করছেন, প্রশাসন এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপকর্ম রোধ করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে আমরা নিরাপদে বসবাস করতে পারবো। পুলিশকে অনুরোধ করবো, যেন তাঁরা এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বীরের বেশে এলাকায় ফিরলেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান২৯ মার্চ- মহেশখালী (কক্সবাজার)দীর্ঘ চার মাসের কারাবাস শেষে বীরের বেশে নি...
28/03/2025

বীরের বেশে এলাকায় ফিরলেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান

২৯ মার্চ- মহেশখালী (কক্সবাজার)
দীর্ঘ চার মাসের কারাবাস শেষে বীরের বেশে নিজ এলাকায় ফিরলেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ঐতিবাহী খউস্বর ঘোষ্টির অন্যতম কর্ণধার যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া মাতাব্বার । তার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে কালারমারছড়ায় সৃষ্টি হয় আনন্দমুখর পরিবেশ। এলাকাবাসী, বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদলসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।

মহেশখালীর প্রবেশদ্বার চালিয়াতলী থেকে মিজ্জিরপাড়া পর্যন্ত তৈরি করা হয় তোরণ, যা পুরো এলাকাকে উৎসবের আবহে রূপ দেয়।

গত ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ্ ঘোনা এলাকা থেকে যুবদল নেতা জিয়াকে ডাকাত দলের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে। তবে এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।

পরদিন ১৪ নভেম্বর, কালারমারছড়া বাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ করেন। তারা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। এই বিক্ষোভে অংশ নেয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

জিয়ার মুক্তির দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যান বিএনপি ও তার পরিবার। দীর্ঘ চেষ্টার পর ২৫ মার্চ তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়লে কালারমারছড়া, মহেশখালী ও আশপাশের এলাকায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে মহেশখালী সদর থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী বদরখালী

২৮ মার্চ (শুক্রবার) যুবদল নেতা জিয়াকে বরণ করে নিতে কালারমারছড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন হাতে চালিয়াতলী, মিজ্জিরপাড়া ও কালারমারছড়া বাজারে জড়ো হতে থাকে। শতাধিক তোরণের মাধ্যমে এলাকাজুড়ে সাজানো হয় বরণ উৎসব।

যুবদল নেতাকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ফুল ছিটিয়ে, মিছিল নিয়ে তাকে বরণ করেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এলাকার নারীরাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও অভিনন্দন জানান।

এরপর বিকেলে কালারমারছড়া বাজারে কালারমারছড়াবাসীর আয়োজনে এক সংক্ষিপ্ত জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান বলেন— 'আমি কখনো অন্যায় করিনি। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। কিন্তু আপনারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন, তা আমার সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি আরও বলেন— 'আমি সবসময় গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছি, আগামীতেও করবো। আপনারা পাশে থাকলে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।

জনসভায় উপস্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের দমননীতি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে হবে, যাতে আর কোনো নেতা অন্যায়ভাবে কারাবরণ না করেন।

কালারমারছড়ার সাধারণ জনগণ ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বলেন, 'এলাকার জনপ্রিয় যুবনেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দমানো যাবে না। বরং তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে জনগণের পাশে থাকবেন।

বিএনপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, 'এই সংবর্ধনা প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান জিয়া শুধু দলের নেতা নন, তিনি এলাকাবাসীর হৃদয়ে আছেন। তার জনপ্রিয়তা কোনো ষড়যন্ত্র দিয়ে ম্লান করা যাবে না।

যুবদল নেতা জিয়ার প্রত্যাবর্তন কালারমারছড়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েও তিনি জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উতরে গেছেন। তার কারামুক্তি শুধু এক ব্যক্তির মুক্তি নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ekhon Somoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ekhon Somoy:

Share