Buddhism - বৌদ্ধধর্ম

Buddhism - বৌদ্ধধর্ম To spread Buddhism and To spread the truth!

10/08/2025

বুদ্ধ কে?
পৃথিবীতে যে কয়টি প্রধান ধর্ম প্রচলিত আছে সে ধর্মগুলোর ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে বুদ্ধের সবচেয়ে বড় ভিন্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি একজন মানুষ। কোনো অতিপ্রাকৃতিক শক্তি, দেবতা বা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যার কোনো রকম সম্পর্ক নেই। তবে মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন একজন মহামানব।
খ্রিষ্টধর্মের প্রচারক যীশু খ্রিষ্ট নিজেকে একজন ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবি করতেন। আর ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ দাবি করতেন, তিনি ঈশ্বরের প্রেরিত সর্বশেষ নবী। কিন্তু বৌদ্ধধর্মের প্রচারক গৌতম বুদ্ধ নিজেকে একমাত্র একজন দুঃখ হতে মুক্ত হওয়া সাধারণ মানুষ ব্যতীত কখনো এর বেশি কিছু দাবি করেন নি। তিনি অবতার ছিলেন না, ঈশ্বরের পুত্রও ছিলেন না, নবী বা ঈশ্বরের বাণীবাহক বিশেষ দূতও ছিলেন না। তাঁর সাফল্য ও সাধনার জন্য কোনো অপৌরুষেয় শক্তির মুখাপেক্ষী তিনি হন নি, নির্ভর করেন নি কোনো রকম অলৌকিকতার ওপর। এখানেই তাঁর মহামহিমাময় গৌরব, এখানেই এ রক্তে-মাংসে গড়া মানবপুত্রের মহিমা। বুদ্ধ নিজেকে অবিরাম শক্তির ওপর নির্ভর করিয়ে কোনো স্বর্গীয় সাহায্য ছাড়াই নিজ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে যে বুদ্ধিবৃত্তিক সাফল্য ও সর্বোচ্চ মানসিক সুখ অর্জন করেছেন এবং আজীবন তা-ই তিনি শিক্ষা দিয়েছেন।
একসময় দ্রোণ ব্রাহ্মণ ভগবান গৌতম বুদ্ধের অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি নিশ্চয় আমাদের দেবতা (সৃষ্টিকর্তা/ঈশ্বর) হবেন?
ব্রাহ্মণের প্রশ্নের উত্তরে বুদ্ধ বললেন, ‘হে ব্রাহ্মণ, আমি দেবতা/ঈশ্বর নই।’
ব্রাহ্মণ—‘গন্ধর্ব হবেন?’
বুদ্ধ—‘ব্রাহ্মণ, আমি গন্ধর্বও নই।’
ব্রাহ্মণ—‘যক্ষ হবেন?’
বুদ্ধ—‘ব্রাহ্মণ, আমি যক্ষও নই।’
ব্রাহ্মণ—‘মানব হবেন?’
বুদ্ধ—‘ব্রাহ্মণ, আমি মানবও নই।’
ব্রাহ্মণ—‘যখন আমি জিজ্ঞেস করেছি, আপনি আমাদের দেবতা হবেন? আপনি বলেছেন, আমি দেবতা নই। যখন আমি জিজ্ঞেস করেছি, আপনি গন্ধর্ব হবেন? আপনি বলেছেন, আমি গন্ধর্বও নই। যখন আমি জিজ্ঞেস করেছি, আপনি যক্ষ হবেন? আপনি বলেছেন, আমি যক্ষও নই। যখন আমি জিজ্ঞেস করেছি, আপনি মানব হবেন? আপনি বলেছেন, আমি মানবও নই। তাহলে আপনি কিভাবে অবস্থান করেন?
বুদ্ধ বললেন, ‘যেসব আসব আমার প্রহীন হয়েছে, গোড়া কেটে ফেলা তালগাছের মতো তা আর ভবিষ্যতে উৎপন্ন হবে না। হে ব্রাহ্মণ, আমাকে ‘বুদ্ধ’ বলে ধারণা করো। [দ্রোণ-সূত্র, অঙ্গুত্তরনিকায়]
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মহামানব গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব হয়। বুদ্ধের জন্ম তারিখ নিয়ে বহুদিন ধরে বিদগ্ধ পণ্ডিতমহল অনেক বিতর্কে জড়িত ছিলেন। পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন ও ভারতের সংবিধানপ্রণেতা ড. আম্বেদকরের মতে বুদ্ধের জন্ম ৫৬৩ অব্দে এবং বৌদ্ধ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলনে বৌদ্ধ পণ্ডিতদের মতে বুদ্ধের জন্ম ৬২৩ অব্দে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে। শেষ পর্যন্ত বুদ্ধের জন্ম তারিখ নিয়ে এ বিতর্কের অবসান ঘটে ২০১৩ সালে এক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায়। সেই গবেষণা খননকার্যের headline ছিল ‘Discovery of earliest Buddhism Shoine at Lumbini sheds new light on life of Buddha.’ এই গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে বুদ্ধের জন্ম হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে, যা বৈজ্ঞানিক জার্নাল Antiguity-তে প্রকাশিত হয়। এ গবেষণায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলেছেন, ‘For the first time we actually have scientific end leading to the establishment of the major Buddhist Shriness’ Professor Robin Coningham of Durham University. UK―who carried the investigation said in press conference on Monday, the 25th November, 2013.

Coningham's reseasch indicates the temple found of Lumbini in Nepal date book to the 6th Century B.C. The discovery is the first archeoligical evidence linking the life of the Buddha to a specific century.

**কল্পের ধারণা সহজভাবে ব্যাখ্যা**বৌদ্ধ ধর্মে “কল্প” বলতে এমন বিশাল সময়কাল বোঝায়, যা সাধারণ সংখ্যায় প্রকাশ করা কঠিন। এ...
27/07/2025

**কল্পের ধারণা সহজভাবে ব্যাখ্যা**

বৌদ্ধ ধর্মে “কল্প” বলতে এমন বিশাল সময়কাল বোঝায়, যা সাধারণ সংখ্যায় প্রকাশ করা কঠিন। এটি স্বর্গ, নরক ও পৃথিবীর অনন্ত সময়ের পরিমাপ। এটি এত বড় যে কল্পনার মাধ্যমেই এটি বোঝানো হয়, তাই এর নাম “কল্প”।

# # # কল্পের প্রকার
চার ধরনের কল্প:
1. **সাধারণ কল্প**: ১.৬৭ কোটি বছর।
2. **ছোট কল্প**: ১৬০০ কোটি বছর (সাধারণ কল্পের ১০০০ গুণ)।
3. **মধ্যম কল্প**: ৩২০০ কোটি বছর (ছোট কল্পের ২০ গুণ)।
4. **মহাকল্প**: ১.২৮ ট্রিলিয়ন বছর (মধ্যম কল্পের ৪ গুণ)।

# # # স্বর্গ ও ব্রহ্মলোকের আয়ু
- **পরনির্মিত বসবত্তি স্বর্গ**: ৯২১ কোটি ৬০ লক্ষ বছর।
- **ব্রহ্মপরিসজ্জ**: এক কল্পের এক-তৃতীয়াংশ।
- **ব্রহ্মপুরোহিত**: এক কল্পের অর্ধেক।
- **মহাব্রহ্মা**: এক পূর্ণ কল্প।

**সংশয়**: পরনির্মিত বসবত্তির আয়ু (৯২১ কোটি বছর) সাধারণ কল্প (১.৬৭ কোটি) বা ছোট কল্প (১৬০০ কোটি) থেকে বেশি হলেও এটিকে কল্প বলা হয়নি। সম্ভবত সাধারণ বা ছোট কল্প ৩০০০ কোটি বছরের বেশি হতে পারে।

# # # বুদ্ধ ও কল্প
সময় দুই ভাগে বিভক্ত:
1. **শূন্য কল্প**: যেখানে বুদ্ধ জন্মান না। এ সময়ে নির্বাণ ধর্ম বা সংঘ গঠিত হয় না। এটি অষ্ট অক্ষণের (অশুভ সময়) একটি, যেমন প্রেতলোক, নরকলোক, মিথ্যা দৃষ্টির পরিবারে জন্ম ইত্যাদি।
2. **বুদ্ধ কল্প**: যেখানে বুদ্ধ জন্মান।

আমরা এখন **ভদ্র কল্পে** আছি, যেখানে পাঁচজন বুদ্ধ জন্মান। চারজন (ককুসন্ধ, কোণাগমন, কশ্যপ, গৌতম) এসেছেন, পঞ্চম বুদ্ধ **আর্য মৈত্রেয়** ভবিষ্যতে আসবেন। গৌতম বুদ্ধ পারমী পূর্ণ করতে ১১টি বুদ্ধ কল্পে চার অসংখ্য ও লক্ষাধিক কল্প সময় কাটিয়েছেন।

# # # কল্পের প্রকার
বুদ্ধ কল্প পাঁচ প্রকার:
1. **সার কল্প**: একজন বুদ্ধ।
2. **মণ্ড কল্প**: দুজন বুদ্ধ।
3. **বর কল্প**: তিনজন বুদ্ধ।
4. **সারমণ্ড কল্প**: চারজন বুদ্ধ।
5. **ভদ্র কল্প**: পাঁচজন বু�দ্ধ।

# # # প্রধান চার কল্প
1. **আয়ু কল্প**: মানুষের গড় আয়ু, ১০ থেকে ৮০,০০০ বছর। গৌতম বুদ্ধের সময়ে ছিল ১০০ বছর, এখন ৮০ বছর। ভবিষ্যতে ১০ বছরে নামবে।
2. **অন্তর কল্প**: আয়ু ৮০,০০০ থেকে ১০ বছরে নেমে আবার বাড়ার চক্র। এর সময় এত বিশাল যে গঙ্গার বালি গুণেও শেষ হয় না।
3. **অসংখ্য কল্প**: ২০টি অন্তর কল্প। এটি এত বড় যে ১-এর পিছনে ১৪০টি শূন্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
4. **মহাকল্প**: চার ভাগে বিভক্ত:
- **সংবর্ত কল্প**: পৃথিবী ধ্বংসের শুরু থেকে শেষ।
- **সংবর্ত স্থায়ী কল্প**: ধ্বংসের পর সৃষ্টির আগ পর্যন্ত।
- **বিবর্ত কল্প**: পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে বাসযোগ্য হওয়া পর্যন্ত।
- **বিবর্ত স্থায়ী কল্প**: পৃথিবী বাসযোগ্য হওয়ার পর ধ্বংস শুরুর আগ পর্যন্ত।

# # # পৃথিবীর ধ্বংস
পৃথিবী আগুন, জল বা বায়ু দ্বারা ধ্বংস হবে। আগুন দ্বারা ধ্বংস হলে রূপ ব্রহ্মলোকের আভস্সর, জল দ্বারা সুভকিণ্হ, বায়ু দ্বারা বেহপ্ফল পর্যন্ত ধ্বংস হয়।

# # # বর্তমান কল্প
আমরা **অন্তর কল্পে** আছি। গড় আয়ু কমছে। গৌতম বুদ্ধের সময়ে ছিল ১০০ বছর, এখন ৮০। ভবিষ্যতে ১০ বছরে নামবে। তখন মানুষ অধর্মে লিপ্ত হবে, কিন্তু কিছু ধার্মিক আয়ু বাড়াবে। তখন **আর্য মৈত্রেয়** আসবেন (আয়ু ৮০,০০০ বছর)। তাঁর পর ভদ্র কল্প শেষ হবে।

# # # মহাকাশ্যপ ভন্তে
গৌতম বুদ্ধের শাসন শেষ হলেও পৃথিবী ধ্বংস নাও হতে পারে। **মহাকাশ্যপ ভন্তে**, যিনি বুদ্ধের চীবর আর্য মৈত্রেয়কে দান করবেন, পৃথিবীতে বা শুদ্ধবাস ব্রহ্মলোকে থাকতে পারেন। পৃথিবী ধ্বংস হলে তিনি শুদ্ধবাস ব্রহ্মলোকে থাকতে পারেন।

---

27/07/2025

$অপণ্ণক-জাতক$

শ্রাবস্তী নগরের কাছে জেতবন মহাবিহারে ভগবান বুদ্ধ অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি ধ্রুবসত্যের শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন। ঘটনার পটভূমি এই:

অনাথপিণ্ডিক নামে এক শ্রেষ্ঠী ছিলেন। তাঁর পাঁচশো বন্ধু বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ না করে অন্য গুরুদের শিষ্য হয়েছিলেন। একদিন অনাথপিণ্ডিক তাঁদের সঙ্গে নিয়ে জেতবনে যান। তিনি সঙ্গে প্রচুর ফুল, গন্ধদ্রব্য, তেল, মধু, গুড়, কাপড় ও অন্যান্য উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভগবানের পূজা করলেন, ভিক্ষুসঙ্ঘকে কাপড় ও ওষুধ দান করলেন এবং শান্তভাবে একপাশে বসলেন। তাঁর বন্ধুরাও ভগবানের পায়ে প্রণাম করে তাঁর পাশে বসে তাঁর অলৌকিক সৌন্দর্য ও প্রভা দেখে মুগ্ধ হলেন। ভগবানের মুখমণ্ডল ছিল পূর্ণচন্দ্রের মতো, তাঁর দেহ বুদ্ধত্বের লক্ষণে ভরা এবং আলোর রশ্মিতে ঘেরা।

ভগবান তখন তাঁদের উপদেশ দেওয়ার জন্য গম্ভীর কিন্তু মধুর কণ্ঠে ধর্মের কথা বলতে শুরু করলেন। তাঁর কথা শুনে যেন আকাশ থেকে গঙ্গা নেমে আসছে বা রত্নের মালা গাঁথা হচ্ছে। এই উপদেশ শুনে বন্ধুরা প্রসন্ন হয়ে ভগবানের শরণ নিলেন। তারপর থেকে তারা প্রতিদিন অনাথপিণ্ডিকের সঙ্গে বিহারে যেতেন, ধর্ম শুনতেন, দান করতেন, শীল পালন করতেন এবং উপোসথ দিনে সংযমী জীবনযাপন করতেন।

কিন্তু ভগবান যখন শ্রাবস্তী ছেড়ে রাজগৃহে গেলেন, তখন এই পাঁচশো ব্যক্তি বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে আগের শরণে ফিরে গেলেন। ভগবান সাত-আট মাস পর জেতবনে ফিরে এলে অনাথপিণ্ডিক আবার তাঁদের নিয়ে ভগবানের কাছে গেলেন। তিনি ভগবানকে পূজা করে বন্ধুদের আগের আচরণের কথা জানালেন।

ভগবান জিজ্ঞাসা করলেন, “উপাসকরা, তোমরা কি ত্রিশরণ ত্যাগ করে অন্য শরণ নিয়েছ? এটা কি সত্যি?” তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া দিব্য গন্ধে চারদিক আমোদিত হয়ে উঠল। বন্ধুরা সত্য গোপন করতে না পেরে বললেন, “হ্যাঁ, ভদন্ত, এটা মিথ্যা নয়।”

ভগবান বললেন, “উপাসকরা, নরক থেকে স্বর্গ পর্যন্ত এই বিশ্বে এমন কেউ নেই যিনি শীল ও গুণে বুদ্ধের সমকক্ষ হতে পারেন। ত্রিরত্নের শরণ নিলে কেউ নরকে যায় না, সে পুনর্জন্মের দুঃখ থেকে মুক্তি পায় এবং দেবলোকে সুখ ভোগ করে। তোমরা এই শরণ ত্যাগ করে ভুল করেছ।” তিনি ত্রিরত্নের গুণ ব্যাখ্যা করে গাথা আবৃত্তি করলেন:

> বুদ্ধের শরণ নিলে নরকে যেতে হয় না,
> মানুষের জন্ম ছেড়ে দেবলোকে স্থান পায়।
> ধর্মের শরণ নিলে নরকে যেতে হয় না,
> মানুষের জন্ম ছেড়ে দেবলোকে স্থান পায়।
> সঙ্ঘের শরণ নিলে নরকে যেতে হয় না,
> মানুষের জন্ম ছেড়ে দেবলোকে স্থান পায়।
> পাহাড়ের গুহা বা জনহীন বন,
> শান্তির জন্য মানুষ শত শরণ নেয়।
> কিন্তু ত্রিরত্নের শরণ সব দুঃখ দূর করে,
> তাই এই শরণ নিতে সবসময় এগিয়ে যাও।

তিনি আরও বললেন, “বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘের স্মরণের মাধ্যমে মানুষ স্রোতাপত্তি, সকৃদাগামী, অনাগামী এবং অর্হত্ত্ব ফল লাভ করে। তোমরা এই শরণ ত্যাগ করে মূর্খতা করেছ।” তিনি আরও বললেন, “পূর্বে যারা অসত্যের পথে চলেছিল, তারা যক্ষের হাতে ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু যারা সত্যের পথে চলেছিল, তারা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছিল।”

অনাথপিণ্ডিক তখন বললেন, “প্রভু, এই উপাসকরা ভুল করেছে, তা বুঝলাম। কিন্তু অতীতে যক্ষের কান্তারে তার্কিকদের ধ্বংস ও সত্যপথীদের সাফল্যের কথা আমরা জানি না। দয়া করে সেই কাহিনী বলুন।”

ভগবান বললেন, “আমি সর্বজ্ঞত্ব লাভ করেছি জগতের সংশয় দূর করার জন্য। তোমরা মন দিয়ে শোনো।”

*অতীতের কাহিনী*

প্রাচীনকালে বারাণসীতে ব্রহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন। সেই সময় বোধিসত্ত্ব এক বণিকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। বড় হয়ে তিনি বাণিজ্য শুরু করেন। তাঁর ছিল পাঁচশো গরুর গাড়ি। তিনি এই গাড়িতে মাল বোঝাই করে পূর্ব বা পশ্চিমে বাণিজ্য করতে যেতেন। বারাণসীতে আরেক তরুণ বণিক ছিল, যে ছিল খুবই নির্বোধ।

একবার বোধিসত্ত্ব মূল্যবান দ্রব্য নিয়ে দূর দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি শুনলেন, নির্বোধ বণিকও একই জায়গায় পাঁচশো গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। বোধিসত্ত্ব ভাবলেন, “একসঙ্গে এক হাজার গাড়ি গেলে রাস্তা নষ্ট হবে, খাবার-জলের অভাব হবে। তাই একজন আগে, আরেকজন পরে যাওয়া উচিত।” তিনি নির্বোধ বণিককে ডেকে বললেন, “তুমি আগে যাবে, না আমি?” নির্বোধ বণিক ভাবল, আগে গেলে ভালো রাস্তা, ভালো ঘাস, ফলমূল ও জল পাওয়া যাবে। তাই সে বলল, “আমি আগে যাব।”

বোধিসত্ত্ব বললেন, “ঠিক আছে, তুমি আগে যাও।” তিনি ভাবলেন, পরে গেলে সুবিধা বেশি। নির্বোধ বণিকের গাড়ি রাস্তা সমান করবে, বলদের জন্য নতুন ঘাস গজাবে, ফলমূল পাওয়া যাবে, আর তিনি নির্বোধ বণিকের স্থির করা দামে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।

নির্বোধ বণিক পাঁচশো গাড়ি নিয়ে যাত্রা করল। কিছুদিন পর সে এক ভয়ঙ্কর কান্তারে পৌঁছল, যেখানে ষাট যোজন পথে জলের কোনো চিহ্ন ছিল না। এই কান্তারে যক্ষরা বাস করত। বণিকের লোকেরা জলের ভাণ্ড বোঝাই করে নিয়েছিল। কিন্তু কান্তারের মাঝখানে পৌঁছতেই যক্ষরাজ ভাবল, “এই নির্বোধ বণিককে বোঝাতে হবে জল ফেলে দিতে। তাহলে তারা পিপাসায় কাতর হয়ে পড়বে, আর আমরা তাদের মাংস খেতে পারব।”

যক্ষরাজ মায়াবলে একটি সুন্দর শকট সৃষ্টি করল। সেটি টানছিল সাদা ষাঁড়। তার মাথায় নীল ও সাদা পদ্মের মালা, কাপড় ভিজে, শকটের চাকা কাদায় মাখা। তার সঙ্গে দশ-বারোজন যক্ষ অস্ত্র হাতে ছিল, তাদেরও কাপড় ভিজে, মুখে পদ্মের ডাঁটা।

বণিক তখন দলের সামনে ছিল। যক্ষরাজ তার কাছে গিয়ে বলল, “আপনি কোথা থেকে আসছেন?” বণিক বলল, “বারাণসী থেকে। আপনার কাপড় ভিজে, শকটে কাদা। পথে বৃষ্টি হয়েছে? পদ্মের জলাশয় দেখেছেন?” যক্ষরাজ বলল, “এই যে নীল বন দেখছেন, ওখানে প্রচুর জল, বৃষ্টি হচ্ছে, পদ্মে ভরা সরোবর আছে।” তারপর সে জিজ্ঞাসা করল, “আপনার গাড়িতে কী আছে?” বণিক বলল, “শেষের গাড়িতে জল।” যক্ষরাজ বলল, “জল আনা ভালো করেছেন, কিন্তু এখন আর দরকার নেই। সামনে প্রচুর জল পাবেন। জল ফেলে দিন, গাড়ি হালকা হবে।”

নির্বোধ বণিক তার কথায় ভুলে সব জল ফেলে দিল। তারা আরও এগিয়ে গেল, কিন্তু কোথাও জল পেল না। পিপাসায় সবাই কাতর হয়ে পড়ল। সূর্যাস্তের পর তারা গাড়ি থামিয়ে বলদ বাঁধল, গাড়ি দিয়ে ঘেরা স্কন্ধাবার তৈরি করল। কিন্তু জল না পেয়ে কেউ ভাত রাঁধতে পারল না। সবাই ক্ষুধায়-পিপাসায় ক্লান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে রইল। রাতে যক্ষরা এসে সবাইকে মেরে মাংস খেয়ে চলে গেল। গাড়ি ও মাল অক্ষত রইল, কিন্তু কঙ্কাল ছড়িয়ে পড়ল।

দেড় মাস পর বোধিসত্ত্ব পাঁচশো গাড়ি নিয়ে যাত্রা করলেন। কান্তারে পৌঁছে তিনি প্রচুর জল নিলেন এবং অনুচরদের সাবধান করে বললেন, “এই কান্তারে জল নেই, বিষাক্ত গাছও আছে। আমার অনুমতি ছাড়া জল বা ফল-ফুল খাবে না।”

কান্তারের মাঝখানে যক্ষরাজ আবার সেই বেশে এল। বোধিসত্ত্ব তাকে দেখে বুঝলেন, এ যক্ষ। তার চোখ লাল, ছায়া পড়ে না। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বললেন, “দূর হও, পাপী! আমরা বণিক, জলাশয় না দেখলে জল ফেলি না।” যক্ষরাজ চলে গেল।

অনুচররা বলল, “মহাশয়, ওই লোক বলল, সামনে জল আছে। জল ফেলে দিই?” বোধিসত্ত্ব গাড়ি থামিয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে জলাশয় আছে বলে কখনও শুনেছ? ঠান্ডা হাওয়া, মেঘ, বিদ্যুৎ বা গর্জন দেখেছ?” সবাই বলল, “না।” তিনি বললেন, “ওরা যক্ষ। নির্বোধ বণিক ওদের কথায় ভুলে জল ফেলে ধ্বংস হয়েছে। আমরা সাবধানে চলব।”

তারা এগিয়ে গিয়ে নির্বোধ বণিকের গাড়ি ও কঙ্কাল দেখল। বোধিসত্ত্ব বিশ্রামের ব্যবস্থা করলেন, বলদদের খাওয়ালেন, জীর্ণ গাড়ি ফেলে ভালো গাড়ি নিলেন, মূল্যবান দ্রব্য বেছে নিলেন। তারপর গন্তব্যে পৌঁছে দ্বিগুণ-ত্রিগুণ মূল্যে মাল বিক্রি করে সবাই নিরাপদে ফিরলেন।

# # # # উপসংহার

ভগবান বললেন, “পূর্বে তার্কিকরা ভুল পথে গিয়ে ধ্বংস হয়েছিল, কিন্তু সত্যের পথে চলা বোধিসত্ত্ব নিরাপদে ফিরেছিলেন।” তিনি গাথা বললেন:

> সত্যপথ সব সুখের কারণ,
> পণ্ডিতরা সদা তা প্রদর্শন করে।
> তার্কিকরা কিন্তু কুপথে চালায়,
> লোকের অহিত করে।
> তাই বিচার করে বুদ্ধিমান মানুষ,
> সত্যের শরণ নেয়, যা সব দুঃখ দূর করে।

তিনি আরও বললেন, “সত্যপথে চললে ত্রিবিধ কুশল, কামস্বর্গ, ব্রহ্মলোক এবং অর্হত্ত্ব পাওয়া যায়। অসত্যপথে চললে নরক ও নীচকুলে জন্ম হয়।” তাঁর উপদেশ শুনে পাঁচশো উপাসক স্রোতাপত্তি ফল লাভ করলেন।

ভগবান শেষে বললেন, “তখন দেবদত্ত ছিল নির্বোধ বণিক, তার শিষ্যরা ছিল তার অনুচর। আমার শিষ্যরা ছিল বোধিসত্ত্বের অনুচর, আর আমি ছিলাম সেই বুদ্ধিমান বণিক।”

৬. আমরা এখানে [কলহে] নষ্ট হইতেছি অর্থাৎ অনুক্ষণ মৃত্যুর দিকে যাইতেছি, [কলহপ্রিয়] লোকেরা ইহা বুঝে না; যাহারা ইহা উপলব্ধি ...
26/07/2025

৬. আমরা এখানে [কলহে] নষ্ট হইতেছি অর্থাৎ অনুক্ষণ মৃত্যুর দিকে যাইতেছি, [কলহপ্রিয়] লোকেরা ইহা বুঝে না; যাহারা ইহা উপলব্ধি করে তাহাদের কলহ প্রশমিত হয়।

~ধম্মপদ>খুদ্দকনিকায়>সুত্তপিটক

[[ যারা প্রতিনিয়ত কলহ ঝগড়া বিবাদে রত থাকে তারা বুঝে না, যে প্রতিনিয়ত এ শরীর ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে, আমরা বড় হচ্ছি না বরং মৃত্যুর দিকে ধাপে ধাপে আগাচ্ছি। কেউ যদি সত্যিকার অর্থেই উপলব্ধি করতে পারে, যে আমি তো মৃত্যুর দিকে যাচ্ছি, কি জোগাড় করেছি? লৌকিক সম্পদ দিয়ে কি হবে? বংশধরদের জন্য সম্পদ জমাচ্ছি, জায়গা জমির জন্য ঝগড়া বিবাদ করছি, অথচ পারমী না থাকলে আমার আপন সন্তান‌ও আমার সম্পদ ভোগ করতে পারবে না, কোনো না কোনোভাবে হারিয়ে ফেলবে,রাষ্ট্র বা চোর ডাকাত হনন করবে, কিংবা দূর্যোগে ধ্বংস হবে। সুতরাং লোকোত্তর সুখের জন্য কর্ম সম্পাদন করতে হবে, এভাবে ভাবতে থাকলে কলহ বিবাদ করার চেতনা আপনাতেই লোপ পায়]]

  Please Thailand and Cambodia, Stop fighting each other, Both of you Buddhist countries fighting each other. Thailand, ...
26/07/2025


Please Thailand and Cambodia, Stop fighting each other, Both of you Buddhist countries fighting each other. Thailand, 'merica is playing with you. One who is frnd of 'merica doesn't need enemies. So please beware, come out of the western cycle. Stop attack on Cambodia.

21/07/2025
প্রেতবত্থু>খুদ্দকনিকায়>সুত্তপিটক*মৃগশিকারী প্রেত*৪৭৮. হে যুবক, রাত্রিতে দেবপুত্র ও দেববালাগণ তোমার সেবা করে এবং মনোরম ক...
21/07/2025

প্রেতবত্থু>খুদ্দকনিকায়>সুত্তপিটক

*মৃগশিকারী প্রেত*
৪৭৮. হে যুবক, রাত্রিতে দেবপুত্র ও দেববালাগণ তোমার সেবা করে এবং মনোরম কামরাগে তুমি বিরোচিত হইয়া থাক; আর দিবাভাগে নানা প্রকার দুঃখ ভোগ করিতেছ। পূর্বজন্মে তুমি কোন কর্ম করিয়াছিলে?

৪৭৯. আমি সুন্দর রমণীয় গিরিব্রজে রক্তপানি দারুণ ব্যাধ ছিলাম।

৪৮০. তখন বন্ধু নিরীহ প্রাণীর প্রতি প্রদুষ্টমনে অসংযত ও অতি দারুণভাবে পর হিংসায় রত থাকিয়া বিচরণ করিয়াছি।

৪৮১. তখন আমার এক শ্রদ্ধাবান সহৃদয় উপাসক বন্ধু ছিলেন। তিনি আমার প্রতি অনুকম্পা করিয়া আমাকে পাপকর্ম হইতে বিরত হইবার জন্য পুনঃপুন এইরূপ বলিয়াছিলেন।

৪৮২. পাপকর্ম করিয়া দুর্গতিতে যাইও না। পরকালে যদি সুখ ইচ্ছা কর, তাহা হইলে প্রাণীবধ ও দুঃশীলতা ত্যাগ কর।

৪৮৩. আমার সুখেচ্ছুক ও হিতানুকম্পাকারী সেই বন্ধুর কথা শুনিয়াও তাঁহার উপদেশ সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করি নাই। কারণ আমি ছিলাম দীর্ঘদিনব্যাপী পাপে অভিরত ও নির্বুদ্ধিমান।

৪৮৪-৪৮৫. পুনরায় সেই বহু মেধাবী বন্ধুবর আমার প্রতি অনুকম্পা পরবশ হইলেন, আমাকে এই বলিয়া তিনি সুচরিত কর্মে নিবিষ্ট করিয়াছিলেন, ‘যদিও বা দিবসে প্রাণীবধ করিয়া থাক, রাত্রিতে হইলেও সংযত হও। অর্থাৎ রাত্রিতে তোমার চিরাচরিত জাল শূলাদি দ্বারা প্রাণিবধ হইতে বিরত হও।’ তাঁহার এই উপদেশে দিবসে প্রাণিবধ করিতাম আর রাত্রিতে হত্যাকর্ম হইতে বিরত থাকিয়া সংযমালম্বন করিয়াছিলাম।

৪৮৬. [এই কারণে] আমি রাত্রিকালে সুখে দিব্য পঞ্চকামগুণ পরিভোগ করিতেছি এবং দিবাভাগে আমার দেহের সমস্ত মাংস খাইবার জন্য বিরাটকায় কুকুরসমূহ দৌড়িয়া আসে।

৪৮৭. যাহারা বুদ্ধের শাসনে সর্বদা অধিশীলাদি রক্ষণে নিরত, আমার মনে হয়, সেই পুণ্যবানগণই অখিল অমৃতময় অসঙ্খতপদ লাভ করে।

অর্থাৎ ঐ শিকারী বন্ধুর পরামর্শ গ্রহণ করে দিনে যদিওবা শিকার করত যা শীলভঙ্গন, তবে রাত্রে সংযম পালন করত, বলা বাহুল্য গৃহী শীল পালন করত, যার ফলে মৃত্যু পরবর্তী প্রেতলোকে উৎপন্ন হয়ে দিনে অসহ্য যন্ত্রণা আর রাতে সুখ ভোগ করে! এ থেকে বোঝা যায় পূণ্য আর পাপ দুটোর‌ই আলাদা ফল আছে! পাপ-পূণ্য কাটাকাটি হয় না। হয়ত লঘু হতে পারে, তাও চিত্তের অবস্থার উপর ভিত্তি করে, যেমন অঙ্গুলিমাল স্থবির ৯৯৯ জন নরহত্যা করেছিলেন, কিন্তু চিত্তে তার হত্যা উদ্দেশ্য ছিলো না, ছিলো গুরু দক্ষিণা দেবার প্রবণতা, এবং পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পেরে বুদ্ধ শাসনে দীক্ষা নেন। তার চিত্তের অবস্থার কারণে তিনি ৯৯৯ জন নরহত্যার যে ফল, সেটি ভোগ না করে তুলনামূলক কম যন্ত্রণা ভোগ করে ঢিল পাথর খেয়ে রক্ত ঝরিয়ে কর্মবিপাক ভোগ করেছিলেন! অর্থাৎ পাপ করো বা পূণ্য, দুটোই ভোগ করতে হবে! ভান্তেকে ফাং করে খুশি করার জন্য বাজার থেকে দেশি মুরগি কাটিয়ে আনলেন, তাজা জীবন্ত মাছ কাটিয়ে আনলেন স্বাদ বেশি হবার জন্য, আপনার চিত্ত যদিও দান চেতনায় মগ্ন থাকুক, আপনি দানের সুফল তো অবশ্য‌ই ভোগ করবেন কিন্তু এসব হত্যাজনিত পাপের ফল ও কিন্তু ভোগ করবেন।
সবাই যার যার অবস্থান থেকে ধর্ম আচরণে সচেষ্ট থাকুন।

৩.আমাকে আক্রোশ করিল, আমাকে প্রহার করিল, আমাকে জয় করিল কিংবা আমার [সম্পত্তি] হরণ করিল, যাহারা এইরূপ চিন্তা পোষণ করে তাহাদ...
20/07/2025

৩.আমাকে আক্রোশ করিল, আমাকে প্রহার করিল, আমাকে জয় করিল কিংবা আমার [সম্পত্তি] হরণ করিল, যাহারা এইরূপ চিন্তা পোষণ করে তাহাদের শত্রুতার উপশম হয় না।
{{ যখন কেউ এভাবে ভাবতে থাকে তখন কখনো মনে শান্তি আসে না, মনে হতাশা কিংবা প্রতিশোধস্পৃহা জাগতে পারে। দূর্বলরা হতাশায় ভোগে আর সবলরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ভুল কাজ করে যা পরবর্তীতে চলমান থাকে এবং ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়}}

৪. আমাকে আক্রোশ করিল, আমাকে প্রহার করিল, আমাকে জয় করিল কিংবা আমার [সম্পত্তি] হরণ করিল, যাহারা এইরূপ চিন্তা পোষণ না করে তাহাদের শত্রুতার উপশম হয়। {{ যখন কেউ এরকম ভাবে তখন সে কর্মস্থলে আরো বিশ্বাসী হয়, এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমরা যাই ভোগ করি তা ইহজন্ম এবং পূর্বজন্মসমূহের কর্মফল, কর্মফল ভোগ করে ফেললে কর্মের বিপাক কমতে থাকে, যেমন অঙ্গুলিমাল যখন দস্যুপনা ছেড়ে দিয়ে ভিক্ষু হন তখন প্রথমদিকে তাকে ইট পাটকেলের আঘাতে জর্জরিত হতে হয়, তথাপি তিনি বুদ্ধের শিক্ষা অনুসারে মৈত্রীপরায়ন হন এই ভেবে যে, তিনি এইজন্মেই যত নরহত্যা করেছেন তার ফল আরো ভয়াবহ হতে পারতো, এতটুকু রক্তপাত তার কর্মবিপাক লঘু করবে, অবশেষে তিনি মুক্ত হন}}

৫. জগতের শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়; ইহাই সনাতন(আদি ও অপরিবর্তনীয়) ধর্ম।
{{ আপনি শত্রুর উপর প্রতিশোধ নিতে তাকে একটি পাথর ছুড়লেন, পরবর্তীতে সে আপনাকে আবারো প্রতিঘাত করলো, এভাবে দুজনেই চলনে-বলনে, শয়নে-স্বপনে, গমনে-উপবেশনে সর্বদাই শঙ্কিত ও ভীত থাকেন যে কখন কীভাবে শত্রুপক্ষ আক্রমণ করে বসে, এভাবে চিত্ত সর্বদা উত্তেজিত থাকে যা কোনো ভালো কাজের দিকে নিয়ে যেতে দেয় না, বরং শত্রুতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এবং কখনো কখনো চূড়ান্তভাবে প্রাণনাশের ও কারণ হয় যাতে করে পারমীপূরণের এই দূর্লভ মানবজন্ম হারাতে হয়}}

~ধম্মপদ

মহাপবিত্রময় স্থান মহাবোধি মহাবিহার টেম্পল এর মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদান কারি ভান্তে বিনয় চারিয়া কে অন্যায় ভাবে ...
01/06/2025

মহাপবিত্রময় স্থান মহাবোধি মহাবিহার টেম্পল এর মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদান কারি ভান্তে বিনয় চারিয়া কে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি......

আমরা বৌদ্ধজাতি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাবোধি মহাবিহার উগ্র ব্রাহ্মণ এবং হিন্দুদের হাত থেকে মুক্তি চাই।


শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা, ২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ!සුභ බුද්ධ පූර්ණිමාවක්, 2569 බුද්ධ වර්ෂයක් වේවා!佛诞快乐,2569 佛年! बुद्ध पूर्णिमा की शुभकाम...
11/05/2025

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা, ২৫৬৯ বুদ্ধাব্দ!

සුභ බුද්ධ පූර්ණිමාවක්, 2569 බුද්ධ වර්ෂයක් වේවා!

佛诞快乐,2569 佛年!

बुद्ध पूर्णिमा की शुभकामनाएँ, 2569 बुद्ध वर्ष!

2569 ဗုဒ္ဓနှစ်တော် ပျော်ရွှင်ပါစေ။

仏陀プルニマ、仏陀年 2569 年おめでとうございます!

สุขสันต์วันพุทธเจ้าปุรณะมา ปี 2569 พุทธศักราช 2569!

2569 оны Будда Пурнимагийн мэнд хүргэе!

រីករាយពុទ្ធសករាជ ២៥៦៩ !

Chúc mừng Đức Phật Purnima, năm Phật đản 2569!

ສຸກສັນວັນພຣະພຸດທະຮູບ 2569 ພສ !

С праздником Будды Пурнимы, 2569 года Будды!

2569년 부처님의 해, 행복한 부처님 푸르니마(Buddha Purnima)를 맞이하세요!

སངས་རྒྱས་ལོ་ ༢༥༦༩ ལ་བཀྲ་ཤིས་བདེ་ལེགས་ཞུ།

শুব বুদ্ধ ফুন্নিমে-২৫৬৯.

LORD BUDDHA!
04/05/2025

LORD BUDDHA!

"মন ধর্মসমূহের অগ্রণী, মন ইহাদের প্রধান এবং ইহারা মনের দ্বারা গঠিত। যদি কেউ প্রসন্ন মনে কোনো কথা বলে কিংবা কাজ করে, তবে ...
03/05/2025

"মন ধর্মসমূহের অগ্রণী, মন ইহাদের প্রধান এবং ইহারা মনের দ্বারা গঠিত। যদি কেউ প্রসন্ন মনে কোনো কথা বলে কিংবা কাজ করে, তবে অবিচ্ছিন্ন ছায়ার ন্যায় সুখ তাহার অনুগামী হয়।" ~ধম্মপদ-২

Ten unknown facts about

Address

Chittagong

Opening Hours

10:00 - 22:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Buddhism - বৌদ্ধধর্ম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share