03/05/2025
"আশরাফ আলি থানভির ইসমে আজমের গল্পটা জানেন?
ইসমে আজম হইলো আল্লাহর গোপন একটি নাম। কোরআনে এই নামটি রয়েছে, কিন্তু ঠিক কোথায়, সেটা সবাই জানে না। এই নামটি যে জানে সে পৃথিবীতে সব করতে পারে ।
শোনা যায়, সারা পৃথিবীতে মাত্র কয়েকজন আল্লাহর অলিই এই নামটি খুঁজে পেয়েছেন। তৎকালীন মধ্যপ্রাচ্যে এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো, যিনি ইসমে আজম জানতেন। তো ওই ওলির কাছ থেকে এই গোপন বিষয়টি জানতে একদিন এক ব্যক্তি উপনীত হয় তার দরবারে। তিনি তাকেও ইসমে আজম শেখানোর জন্য ওই ওলিকে অনুনয়-বিনয় ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। সেই বুজুর্গ ব্যক্তি তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে, সে ইসমে আজমের যোগ্য নয়। কিন্তু বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে এক সময় বলেন, তোমাকে আমি জঙ্গলে একটা কাজে পাঠাবো। তুমি যদি কাজটি সম্পন্ন করে আমাকে ঠিক জবাব দিতে পারো, তবেই তোমাকে শেখাবো।
তো সেই ব্যক্তিকে বুজুর্গ বললেন তুমি জঙ্গলে যাও, সেখানে এক বৃদ্ধ কাঠুরে পাবা, সে কী করে দেখে তা ঠিক মতো আমাকে জানাবা। তো ওই ব্যাক্তি জঙ্গলে ঢুকে সেই বুড়া কাঠুরেকে দেখলেন। তিনি কাঠ কাটছেন, প্রচন্ড গরমে সারাদিন কাঠ কাটার পর যখন কাঠ বেঁধে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন, তখন দেখলেন কয়েকজন লোক এসে তার কাঠ ছিনতাই করলো, আর যাওয়ার সময় বুড়োকে প্রচণ্ড মারধর করলো। এটা দেখে সে দৌড়ে ফিরে এসে ইসমে আজম জানা বুজুর্গকে ঘটনা অবহিত করলেন। সব শুনে বুজুর্গ তাকে প্রশ্ন করলেন, ইসমে আজম জানলে তুমি কী করতে?
ওই লোক তখন বললো, আমি ইসমে আজম জানলে ওই লোকদের ধ্বংস করে দিতাম। এমন লানত দিতাম যাতে সাথে সাথেই আগুনে জ্বলে তারা ছাই হয়ে যায়। তখন সেই বুজুর্গ তাকে জিজ্ঞাস করলো, তুমি কি জানো সেই বুড়ো লোকটি কে? সে আল্লাহর সবচে বড় ওলিদের একজন, যার কাছে আমি ইসমে আজম শিখেছি।
মনে রাখবা, সবচে বড় ক্ষমতা হইলো ক্ষমতা প্রয়োগের ইচ্ছাকে দমন করা। যেদিন তা পারবা সেদিন আর ইসমে আজম লাগবে না।"