18/10/2022
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ দেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন। পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, পেট চিনচিন করা বা বমি বমি ভাব এ সমস্যা গুলির কারণে অনেকে দিনের পর দিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে থাকে, কিন্তু সেরে ওঠার নাম নেই। কিন্তু কেন?
আসলে গ্যাস্ট্রিক বলে চিকিৎসাশাস্ত্রে কিছু নেই। পেটের যেকোনো সমস্যাকেই সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক মনে করে থাকে। তবে গ্যাসট্রাইটিস এবং পেপটিক আলসার নামে দুটি সমস্যা আছে, যেগুলোকেও গ্যাস্ট্রিক বলে অভিহিত করে যায়। এই গ্যাসট্রাইটিস এবং পেপটিক আলসার কেন হয় আর এ থেকে রেহাই কীভাবে পেতে হয়, তা না জানলে কেবল মুড়ি–মুড়কির মতো গ্যাসের ওষুধ খেলে চলবে না।
গ্যাসট্রাইটিস একটি খুবই প্রচলিত এবং সাধারন সমস্যা। গ্যাস্ট্রাইটিস প্রায়শই পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অম্বল জ্বলনের মতো লক্ষণগুলির সাথে উপস্থাপিত হয়।খুব ঝাল খাবার খাওয়ার পর দেখা যায়, পেটের মাঝখানে বা ওপরের পেটে বা মাঝখানে জ্বালাপোড়া করে বা ব্যথা করে। একে গ্যাসট্রাইটিস বলা হয়। এটি কোনও গুরুতর রোগ নয় এবং সহজেই সঠিক পুষ্টি এবং ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।
পেপটিক আলসার হলো গ্যাসট্রাইটিসের পরের অবস্থা। আলসার বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। এটা এন্ডোস্কোপি করে দেখতে হয়। পেপটিক আলসার মানে পাকস্থলীতে বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অশে ঘা বা ক্ষত। অনেক দিন ধরে গ্যাসট্রাইটিসে ভুগলে পরে তা পেপটিক আলসারে রুপ নেই। পেপটিক আলসার হলে পেটের ওপরের দিকে সবসময় অল্প অল্প ব্যথার পাশাপাশি হঠাৎ তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং বদহজম দেখা দেয়।
কেন হয়
১.হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে প্রতমে গ্যাসট্রাইটিস এবং পরে তা আলসারে রুপান্তর হতে পারে।
২.বেশি ‘পেনকিলার’ খাওয়া।
৩. বয়স বেড়ে যাওয়া
৪. অতিরিক্ত মদ্যপান
৫.তীব্র মানসিক চাপ :
প্রতিকার
১) ‘ট্রিগার’ ফুড যেমন ক্যাফিন, অ্যালকোহল, তেল-মশলাদার খাবার বর্জন করুন। ধূমপান থেকেও দূরে থাকুন।
২) টকজাতীয় খাবার কম খান।
৩) রাতে বেশি দেরিতে খাবার খাবেন না। খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া ঠিক নয়।
৪) নিয়মিত ব্যবধানে অল্প, অল্প খান। একেবারে বেশি খেয়ে ফেলবেন না
৫) মানসিক চাপ, অবসাদ যতটা সম্ভব কম করুন।
৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৭) বেশি করে জল খান।
ডাক্তারের দ্বারস্থ কখন
যদি পেট জ্বালার সঙ্গে হার্ট বার্নও হয়।
যদি সমস্যা দু’দিনের বেশি সময় ধরে থাকে।
মলের রং কালো হয়।
পেট জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে যদি পেটের নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় তীব্র ব্যথাও হয়, ।
বমি হয়।
হঠাৎ করেই যদি ওজন অনেকটা কমে যায়।
জ্বর আসে।
বন্ধুরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরোও অনেক নির্দেশনা থাকছে আমাদের সামনের ভিডিওগুলুতে যা আপনার জ্ঞানের পরিধিকে আরো বাড়িয়ে দিবে। তাই চ্যানেলটি সাব্সক্রাইব করা না থাকলে এখুনি সাব্সক্রাইব এবং বেল আইকন টি প্রেস বরে রাখুন যাতে কোন ভিডিও মিস না হয়। আর লাইক বাটনটি ক্লিক করে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান । Thanks for warching.