Sourav Chandra Saha

02/01/2025

প্রবেশমু‌খে চল‌ছে তল্লাশি, সেনা,বি‌জি‌বি, পুলিশ, র‌্যাব ও গো‌য়েন্দা বা‌হিনীর নিরাপত্তা চাদ‌রে চট্টগ্রাম আদালত...পদার্পন রাখ‌বেন সনাতনীদের জন‌প্রিয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী!!!

05/08/2024

03/08/2024

-একেই কি না বলে বৈকুন্ঠ শিশু!😳🤷 চৈতন্য চরিতামৃতের এক অসাধারণ উপস্থাপনা,,,, হরিবোল____🌼🥀🙏

02/08/2024

আমাদের আজকের সংস্কৃতি।😭😭

03/07/2024

একদল ইসকনকে ভীষনভাবে ঘৃনা করে।এতটাই বেশি ঘৃনা করে যে ইসকন মন্দিরে গিয়ে ভগবানকে প্রনাম করতে তারা দ্বিধা করে।তারা মনে করে ইস খৃষ্টানদের সংস্থা।তাদের ধারনা ইসকন হিন্দুদের ব্রেন ওয়াশ করে আর দিন রাত তারা কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে।কিন্ত সেই সব মানুষদের হয়তো জানা নেই ইসকন যেমন কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে তেমন জনকল্যানে কাজ করে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে।শুধু মানুষ নয় প্রানীদের জন্য নিবদিত প্রান।এই ছবি গুলো তার জলন্ত প্রমান।

মায়ানমারে বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করছে #ইসকনমায়ানমার — feeling grateful.

28/06/2024

~শ্রী গুরু প্রসঙ্গ
★আমরা আত্মহত্যা বন্ধ করতে পারি★

আপনি যদি কৃষ্ণভাবনামৃকে আপনার জীবনের ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেন, যেখানেই আপনি কাজ করুন না কেন, আপনি আপনার জীবনে অনেক উদ্দীপনা ও পরিতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। নতুবা জীবন একেবারেই শুষ্ক হবে; সুখ- দুঃখ, উত্থান ও পতন, আনন্দ ও বেদনায় নিমজ্জিত হবে। একটি বিষয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। ভারতবর্ষে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। কেননা তারা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি,সে সম্পর্কে জানে না। তাদের প্রেমিকা তাদের ত্যাগ করেছে বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে, পিতা - মাতা তাদের ওপর রাগ করেছে, তাই তারা জীবনকে অর্থহীন মনে করে আত্মহত্যা করে।

যদি তারা বেঁচে থাকত, তারা কত কিছু করতে পারত মানুষকে ভগবদ্ধামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারত, আরও কত উপকার করতে পারত। আত্মহত্যার চিন্তার সাথে কিছু লোকের যোগসূত্র থাকতে পারে। আমরা কিভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি? কৃষ্ণভাবনামৃতে এসে আমরা জেনেছি যে,আমরা মৃত্যু বরণ করবো না, কিন্তু আমরা যদি আত্মহত্যা করি তাহলে আমরা আমাদের দেহকে হারাব এবং সূক্ষ্ম দেহ ধারণ করে ভূত হয়ে চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বন্ধুদের দেখব। আমি জানি না ভূতেরা কি করে। কিন্তু তারা কিছু লোককে হয়রানি করার চেষ্টা করে, তাদের শরীরে ভর করে।

আমি পড়েছি অস্ট্রেলিয়ায় বছরে ১১ হাজার ছাত্র আত্মহত্যা করে। ভারতবর্ষে এর সংখ্যা কত জানি না; কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, এর সংখ্যা আরও বেশি হবে, যেহেতু এর জনসংখ্যা বেশি। অনেক লোক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তারা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি জানে না। কৃষ্ণভাবনামৃতের সামান্য অনুশীলনও তাদের রক্ষা করতে পারে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে - 'স্বল্পমপ্যস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ'। স্বল্প পরিমাণ পারমার্থিক অনুষ্ঠান যেমন, একটি দামোদর প্রদীপ নিবেদন করে আপনি আপনার জীবনের অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মূলত দামোদর মাহাত্ম্যের একটি হচ্ছে, যে ব্যক্তি দামোদর প্রদীপ নিবেদন করেন, তিনি সকল বিপদ থেকে রক্ষা পান।
- শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী

23/06/2024

হরেকৃষ্ণ
বৈষ্ণব বিরহ সংবাদ
ইসকনের অন্যতম আচার্য শ্রীমৎ লোকনাথ স্বামীগুরু মহারাজের সন্ন্যাসী শিষ্য শ্রীমৎ রূপ রঘুনাথ স্বামী মহারাজ ইসকন ভোপাল এ স্নানযাত্রা প্রবচন প্রদানের পরপরই নিত্যলীলায় প্রবেশ করেছেন।
৮২ বছরের এই সন্ন্যাসী জন্মগতভাবে আর্জেন্টাইন ছিলেন।

22/06/2024

শ্রী শ্রীমদ্ ভক্তি চারু স্বামী গুরু মহারাজের ৪৭তম সন্ন্যাস বার্ষিকী। "যে তার ইন্দ্রিয়গুলিকে দমন করেছে তার সুন্দর ভক্তির দ্বারা, তিনিই হচ্ছেন শ্রী শ্রীমদ্ ভক্তিচারু স্বামী।"

শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহোৎসবের এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের কাছ থেকে শ্রী শ্রীমদ্ ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজ সন্ন্যাস দীক্ষা পেয়েছিলন। আজ শ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজের ৪৭তম সন্ন্যাসবার্ষিকী ।

করুণা-সিন্ধু গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতাংশ -

আমি তখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে সে সম্পর্কে তার কি মত। তখন তিনি বলেছিলেন শ্রীল প্রভুপাদ এত তাড়াতাড়ি এর আগে কাউকে সন্ন্যাস দেননি এবং আমি কেবল কয়েকমাস আগে ইসকনে যোগদান করেছি। আমি দীক্ষাও পেয়েছি মোটে দু'তিন মাস আগে, তাই তিনিও এই সম্পর্কে একটু দ্বিধাগ্রস্ত।

জয়পতাকা মহারাজ বলেছিলেন যে সাধারণত সন্ন্যাস নেওয়ার নিয়ম হচ্ছে যে স্থানীয় ম্যানেজমেন্ট শ্রীল প্রভুপাদের কাছে প্রস্তাব করে এবং তারপর প্রায় দু,বছরের মতো অপেক্ষা করতে হয়, এবং সেই সময় তার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তার পরই কেবল সন্ন্যাস দেওয়া হয়।

আমি একটু মনঃক্ষুন্ন হয়ে বলেছিলাম, "সন্ন্যাস নেওয়ার এই পরিকল্পনাটি তো আমার নয়। সে ব্যাপারে কারো যদি কোন আপত্তি থাকে তাহলে তারা তা শ্রীল প্রভুপাদের কাছে জানাতে পারে। এটা তাঁর সিদ্ধান্ত। অতএব তাঁর সঙ্গে তারা বোঝাপড়া করতে পারে।"

সে কথা বলে আমি উঠে পড়েছিলাম এবং তাদের বলেছিলাম আমাকে এখন শ্রীল প্রভুপাদের জন্য রান্না করতে যেতে হবে।

এই সম্বন্ধে তাদের এই সন্দেহ এবং দ্বিধা আমি বুজতে পারছিলাম। আমি একজন নতুন ভক্ত। আসলে শ্রীল প্রভুপাদের ব্যাক্তিগত সেবা করা ছাড়া সেরকম উল্লেখযোগ্য কোনকিছুই আমি করিনি। ইসকনে সন্ন্যাসীর পদ অত্যান্ত সম্মানজনক এবং সকলের শ্রদ্ধার স্থান অধিকার করে। যেখানেই তারা যান সেখানেই তারা পূজিত হন এবং শ্রদ্ধাভরে সকলে তাদের প্রণাম করে। আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে সেরকম একটি অতি উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলে সেই পদের মর্যাদা আমি রক্ষা করতে পারব কিনা - আমি সেরকম একটি পদের যোগ্য ছিলাম কি না। ইতিমধ্যে ইসকনের বেশ কয়েক জন সন্ন্যাসীর অধঃপতনও হয়েছিল এবং সেই সূত্রে আমার জ্যৈষ্ঠ গুরুভ্রাতারা স্বভাবতই চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন।

তখন একটা ভাবনাও আমার মনে এসেছিলো পারমার্থিক জীবন তো আমি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহণ করেছি; ইসকনে যোগদান করার আগেই তো আমি জড়জাগতিক জীবন পরিত্যাগ করেছি এবং সেই জীবনে ফিরে গিয়ে গৃহস্থ আশ্রমে প্রবেশ করার কোন ইচ্ছাই তো আমার নেই। সেই সূত্রে আমি তো এখনই একজন সন্ন্যাসী।

সেই উপলদ্ধিতে আমার হৃদয় তখন ভরে উঠেছিল এবং আমি মনে মনে স্থির করে ছিলাম আমি সন্ন্যাসীর ছাপ পাই বা না পাই তাতে কিছু যায় আসে না - মূল বিষয়টি হচ্ছে আমার অন্তরের চেতনা। তখন আমি একটা গভীর প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম। আমার ভারাক্রান্ত হৃদয় তখন একেবারে হালকা হয়ে গিয়েছিলো এবং আমি তখন প্রসন্ন চিত্তে শ্রীল প্রভুপাদের জন্য রান্না করতে শুরু করেছিলাম।

আমার রান্নার মাঝখানে তমালকৃষ্ণ মহারাজ এবং ভবানন্দ মহারাজ রান্না ঘরে এসে আমাকে বলেছিলেন, "তোমারই জয় হল! শ্রীল প্রভুপাদ স্থির করেছেন যে আগামী পরশু দিন তোমাকে সন্ন্যাস দেবেন। তোমার যোগ্যতা সম্বদ্ধে আমরা যে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম সে জন্য তিনি আমাদের তিরস্কার করেছেন।"

তিনি আমাকে বলেছিলেন যে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ভক্ত শ্রীল প্রভুপাদের কাছে গিয়েছিলেন আমাকে সন্ন্যাস না দেওয়ার জন্য তাঁকে বলতে। কেননা আমি ইসকনে সম্প্রতি যোগদান করেছি। কিন্তু শ্রীল প্রভুপাদ তাদের সেই আপত্তির কোন গুরুত্ব দেন নি। তিনি আমার প্রশংসা করেছিলেন এবং তিনি যে আমাকে সন্ন্যাস দেবেন তা সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

সেদিন দুপুর বেলা শ্রীল প্রভুপাদকে প্রসাদ পরিবেশন করে যখন আমি আমাদের ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, তখন তমালকৃষ্ণ মহারাজ আমাকে বলেছিলেন কিভাবে সন্ন্যাস গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি আমাকে বলেছিলেন ধুতি ও উত্তরীয়র কাপড় কিনে সেগুলি গৈরিক রং দিয়ে রং করতে হবে। চারটে সরু বাঁশ আমার উচ্চতানুসারে কেটে সে গুলো গেরুয়া কাপড় মুড়ে সন্ন্যাস দণ্ড তৈরী করতে হবে।

কয়েক বছর আগে জয়পুরে তার সন্ন্যাসের সময় শ্রীল প্রভুপাদ তার কাছে এই সন্ন্যাস দণ্ডের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে বলেছিলেন যে তিনটি বাঁশ হচ্ছে, মন এবং বাক্যের প্রতীক। চতুর্থ দন্ডটি আত্মার প্রতীক, এবং দণ্ডের মাথা থেকে এক বিঘৎ নিচে যে ছোট বাঁশের টুকরোটি থাকবে সেটি হচ্ছে পরমাত্মার প্রতীক। এই সন্ন্যাস দন্ড ইঙ্গিত করে যে কায়, মন এবং বাক্য, আত্মা সহ সম্পূর্ণরূপে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছিলেন সব কিছু নিয়ে তাঁর কাছে আসতে তখন তিনি আমাকে দেখিয়ে দেবেন কিভাবে দণ্ড বাঁধতে হয়।

শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার মহোৎসবের দিন শ্রীল প্রভুপাদ আমাকে সন্ন্যাস দিয়েছিলেন। শ্রীশ্রী কৃষ্ণ-বলরাম মন্দিরের প্রাঙ্গনে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার জন্য শ্রীল প্রভু প্রভুপাদ সেই অনুষ্ঠানে আসতে পারেন নি, কিন্তু তাঁর প্রতিধিনি রূপে অনেক সন্ন্যাসীর সমাগম হয়েছিল। তমালকৃষ্ণ মহারাজ, ভবানন্দ মহারাজ, জয়পতাকা মহারাজ, অচ্যূতানন্দ মহারাজ, অক্ষয়ানন্দ মহারাজ, যশোদানন্দন মহারাজ, প্রমান মহারাজ, বিরহ প্রকাশ মহারাজ প্রমুখ অনেক সন্ন্যাসী। সমস্ত প্রাঙ্গণটি ভক্ততে ভরে গিয়েছিল। ভবানন্দ মহারাজ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন এবং তারপর আমরা সকলে শ্রীল প্রভুপাদের ঘরে গিয়েছিলাম যেখানে তিনি আমাকে সন্ন্যাস মন্ত্র দান করেছিলেন।

তারপর তিনি শ্রীমদ্ভাগবতের একাদশ স্কন্দ থেকে অবন্তী ব্রাহ্মণের কাহিনী বলেছিলেন। অবন্তী নগরে এক ধনী ব্রাহ্মণ ছিল। তার ধন সম্পত্তির প্রতি অত্যান্ত আসক্তির ফলে সে ছিল অত্যন্ত কৃপণ এবং তার হৃদয় ছিল অত্যন্ত কঠোর। তার ফলে সে তার আত্মীয় স্বজনদের স্নেহ ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে সে তার সমস্ত ধন সম্পদ হারিয়ে ফেলে, তখন সকলে তাকে পরিত্যাগ করে। তার ক্ষতির কথা চিন্তা করে সে বিষয়ের প্রতি অনাসক্ত হয়েছিল এবং মনের বিষন্নতা ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিল এবং সবরকম দুঃখ-কষ্ট ও অপমান সহ্য করে তীর্থ ভ্রমণ করতে শুরু করেছিল। তখন ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের আশ্রয় গ্রহণের ফল উপলদ্ধি করে সে গাইতে শুরু করেছিল।

"এতাং স আস্থায় পরাত্মনিষ্ঠামধ্যাসিতাং পূর্বেতমৈর্মর্ষিভিঃ।
অহং তরিষ্যামি দুরন্তপারং তমো মুকুন্দাঙ্ঘ্রিনিষেবয়েব।।"

"আমি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মের সেবায় ঐকান্তিক ভাবে যুক্ত হয়ে, অন্তহীন সংসার সমুদ্র অতিক্রম করব। পূর্বতন আচার্যেরা, যাঁরা পরমেশ্বর ভগবানের ভক্তিতে অত্যন্ত নিষ্ঠা পরায়ণ ছিলেন, তাঁরা এই পন্থাটি অনুমোদন করে গেছেন। (শ্রীমদ্ভাগবত ১১/২৩/৫৭)

অবন্তী ব্রাহ্মণের এই কাহিনীকে ভিক্ষু-গীতা বলা হয়। এই কাহিনীর মাধ্যমে জানা যায় যে যারা পরমেশ্বর ভগবানের শরণাগত হয়েছেন তারা কখনো এই জড়জগতের দুঃখ দুর্দশার দ্বারা বিচলিত হন না।

তারপর শ্রীল প্রভুপাদ আমাকে সন্ন্যাস দন্ডটি দিয়েছিলেন এবং আমার সন্ন্যাস নাম ঘোষণা করেছিলেন - "ভক্তিচারু স্বামী"। সেই নামের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে তিনি বলেছিলেন, "যে তার ইন্দ্রিয়গুলিকে দমন করেছে তার সুন্দর ভক্তির দ্বারা।"

তখন সমস্ত ভক্তরা আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠেছিল "হরিবোল" তারপর শ্রীল প্রভুপাদ তাদের হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে বলেছিলেন। সমস্ত পরিবেশ তখন আনন্দমূখর হয়ে উঠেছিল এবং কীর্তনের সঙ্গে-সঙ্গে ভক্তরা নাচতে শুরু করেছিল।

সেই অনুষ্ঠানের পর আমি সোজা রান্না ঘরে গিয়ে শ্রীল প্রভুপাদের জন্য রান্না করতে শুরু করেছিলাম। আমার প্রথম দীক্ষার পর আমি কিছু পরিবর্তন অনুভব করেছিলাম - আমার কাপড়ের রঙের পরিবর্তন হয়েছিল এবং গভীর ভাবে অনুভব করেছিলাম যে শ্রীল প্রভুপাদ আমাকে তার শিষ্যরূপে গ্রহণ করেছিলেন এবং আমি ব্রহ্মমধ্ব গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এই বার আমি কোন রকম পরিবর্তন অনুভব করিনি। বিশেষ করে যখন আমি শ্রীল প্রভুপাদের জন্য রান্না করতে শুরু করেছিলাম তখন মনে হয়েছিল সবকিছুই-ত আগের মতই আছে - আমি সেই একই সেবা করছি এবং আমার দায়-দায়িত্ব সব একই রয়ে গেছে। এমনকি আমার কাপড়ের রঙেরও পরিবর্তন হয়নি। সবজী কাটতে কাটতে আমি নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলাম যে আমার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে শ্রীল প্রভুপাদের কৃপা এবং ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন তাঁর শ্রীপদপদ্মের আশ্রয়ে থেকে আমি কখন দূরে সরে না যাই।

শ্রীল প্রভুপাদকে পরিবেশন করার পর তমালকৃষ্ণ মহারাজ এবং আমি যখন আমাদের ঘরে ফিরে যাচ্ছিলাম তখন গেস্ট হাউসের খাবার ঘরে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ভক্ত প্রসাদ পাচ্ছিলেন এবং আমাদের দেখে তারা আমাদের তাদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান করেছিলেন।

20/06/2024

হরে কৃষ্ণ 🙏🥰