Jomoj Bon

Jomoj Bon My whole world is incomplete without my mom. I love you so much maa ��
(20)

প্রতীক জোশী গত ছ’টা বছর ধরে লন্ডনে একা একা দিন কাটাচ্ছিলেন। পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু মনের ভিতরে সবসময়...
13/06/2025

প্রতীক জোশী গত ছ’টা বছর ধরে লন্ডনে একা একা দিন কাটাচ্ছিলেন। পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু মনের ভিতরে সবসময় একটা স্বপ্ন বুনছিলেন — নিজের স্ত্রী আর তিনটে ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে বিদেশে একটা ভাল জীবন গড়ে তুলবেন।

স্ত্রী কোমী ভ্যাস, পেশায় ডাক্তার, আর বাচ্চারা তখনও ভারতে। প্রতীক প্রতিদিন কাজের ফাঁকে শুধু এটাই ভাবতেন — “একদিন ওদের সবাইকে নিয়ে আসব এখানে, একসাথে একটা নতুন জীবন শুরু করব।”

অনেক কষ্টে, হাজারটা কাগজপত্র, বছরের পর বছর অপেক্ষা — সব পেরিয়ে অবশেষে সেই দিনটা এল। মাত্র দু’দিন আগে কোমী নিজের চাকরি ছেড়ে দিলেন। বাড়ির জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা হল, আত্মীয়দের বিদায় জানানো হল, আর সবার চোখে মুখে শুধুই নতুন জীবনের রঙিন স্বপ্ন।

আজ সকালে পাঁচজনের সেই ছোট্ট পরিবার, বুকভরা আনন্দ, আশায়-ভরপুর মন আর নতুন সূর্যকে বরণ করার উত্তেজনা নিয়ে উঠল এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ নম্বর ফ্লাইটে — লন্ডনের টিকিট কাটা, একমুখী পথ — ফেরার কথা নয়, এবার শুধু এগিয়ে চলা।
একটা সেলফি তুলল সকলে, হেসে, জড়িয়ে, যেন নতুন জীবনের দরজায় দাঁড়িয়ে। সেই ছবিটা পাঠাল আত্মীয়-পরিজনদের — "দেখো, আমরা যাচ্ছি নতুন জীবনের খোঁজে!"

কিন্তু ভাগ্য বড়ই নির্মম। সেই প্লেন আর পৌঁছল না। আকাশেই ভেঙে পড়ল। আর কেউ ফিরল না।

এক মুহূর্তে সব শেষ।
একটা গোটা পরিবারের শত স্বপ্ন, হাজার রঙ, সমস্ত হাসি কান্না — সব কিছু ছাই হয়ে গেল।

এই ঘটনা আমাদের একটা গভীর সত্যি মনে করিয়ে দেয় — জীবনটা ভীষণই নরম, ভীষণই অনিশ্চিত। কখন কোন মুহূর্তে সবকিছু বদলে যায়, কেউ জানে না।
যা কিছু ভালোবাসো, যাদের জন্য বাঁচো, যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখো — একটাও নিশ্চয়তা নেই যে তারা আগামীকাল থাকবে।

তাই যেদিনটা তোমার হাতে আছে, আজকের দিনটা — সেটাকেই ভালোবেসো।
মনের কথা বলো, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরো, আর সুখের জন্য কালকের অপেক্ষা কোরো না।

কারণ কাল যে আদৌ আসবে কিনা, তার কোনও গ্যারান্টি নেই।

✍️ডাঃ সপ্তদ্বীপা সাহা

Good night
12/06/2025

Good night

রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডে...
15/05/2025

রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডেকে তুলে।

ঘুম থেকে তুলে বলে একটু বাইরে বের হব চল।

মেয়েটা ঘুমঘুম চোখে অবাক হয়। এতরাতে কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতে থাকে। বাবা-মা কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে।

যেহেতু বাবা-মা বলছে তাই মেয়েটা আর না করে না। চোখে ঘুম আর কৌতূহল নিয়েই বের হয় তাদের সাথে।

কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা লক্ষ্য করে তার চাচি শাহিনা বেগমও তাদের সাথে যাচ্ছেন। মেয়েটা মনে করেছিল হয়তো সবাই একসাথে কোন দরকারি কাজে যাচ্ছে।

কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা খেয়াল করে তার বাবা-মা বসতবাড়ির রাস্তা ছেড়ে কৃষি জমির দিকে যাচ্ছে।

মেয়টা অবাক হয়েই জানতে চেয়েছিল তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু বাবা-মা আর চাচি তাকে চুপ করে থাকতে বলে। মেয়েটার চোখেমুখে তখনও ঘুমঘুম ভাব ছিল।

কিছুক্ষণ পরই তারা একটা ভুট্টা ক্ষেতের কাছাকাছি আসে। এখানে এসেও কৌতূহলী হয়ে বাবা-মা আর চাচিকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তারা এত রাতে এখানে কেন এসেছে।

কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে জান্নাতীর হাত এবং মুখ জাপটে ধরে, যাতে চিৎকার করতে না পারে। তারপর মাথায় এবং শরীরে রড দিয়ে জোরে অঘাত করে।

মেয়েটা ছুটে দৌড় দিতে চেয়েছিল কিন্তু আকস্মিক আঘাতের কারণে আর পারে না।

তারপর বাবা-মা এবং চাচি শাহিনা বেগম মিলে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা তখন অনেকটাই নিস্তেজ, তীব্র যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল শুধু।

তিনজন মিলে অনবরত কোপাতে থাকে মেয়েটাকে, চারদিকে র*ক্ত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সেখানেই মারা যায় মেয়েটা।

পূর্ব পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে বাবা-মা এবং চাচি মিলে মেয়েটাকে মেরে ওই ভুট্টা খেতেই রেখে চলে আসে। এ ঘটনা শনিবারের।

পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা যখন জমিতে কাজ করতে যায় তখন সেখানে জান্নাতীর লা*শ দেখতে পায়।

লা*শ দেখতে পেয়ে খোঁজ দেয় বাবা-মাকে। তারা এসে কতক্ষণ কান্নাকাটির নাটক করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

তারপর মেয়ের চাচা এবং বাবা-মা মিলে প্রতিবেশী ২৭ জনের নামে মামলা করে। তারপর পুলিশ তাৎক্ষণিক সেই প্রতিবেশীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

কিন্তু পুলিশ কিছুতেই সুরাহা করতে পারছিল না। সবাই অস্বীকার করছিল। পুলিশ আরও জোর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কাজ হয় না।

এর দুইদিন পর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে কিছু ক্লু পায়। সেই ক্লু ধরে পুলিশ মেয়েটার বাবা-মা এবং চাচা চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে আসে।

তারা থানায় এসেই ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে থাকে এবং তাদেরকে ফাঁসি দিতে বলে।

বাবা-মা বারবার বলতে থাকে আমার মেয়েটাকে ওই প্রতিবেশীরাই মিলে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যেতে শুরু করে।

একপর্যায়ে যখন জোরলো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ক্লু গুলো সামনে নিয়ে আসে তখন চাচি শাহিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলে যে তারাই মেয়েটাকে শনিবার রাতে মেরেছে।

বাবা-মা তখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু চাচি শাহিনা বেগমের স্বীকারোক্তির পর বাবা-মা ও বুঝে যায় বাঁচার আর কোন পথ নেই।

তারপর মেয়েটার বাবা জাহিদুল ইসলাম এবং মা মোর্শেদা বেগমও স্বীকার করে যে তারা তিনজন মিলেই মেয়েটাকে নির্মমভাবে মেরেছে।

তারপর মারার কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানায়- প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে মেরেছে।

প্রতিবেশীদের সাথে তাদের একটা ৩২ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল বহুদিন ধরেই। তাই চাচি শাহিনা বেগম তাদেরকে প্ল্যান দিয়েছিল নিজ মেয়েকে মেরে ওই জমিতে রেখে আসতে।

তারপর তারা মামলা করবে প্রতিবেশীদের নামে।

এতে করে মামলায় প্রতিবেশীদের জেল হলে তারা সহজেই ৩২ বিঘা জমিটা দখল দিয়ে নিজেদের করে নিতে পারবে।

এজন্যেই তারা ২৭ জন প্রতিবেশীর নামে মামলা করেছিল যাতে ওই পরিবারের সবার জেল হয়।

এ স্বীকারোক্তি গুলো কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সংগ্রহ করেছেন এবং ভেরিফাই করে সত্যায়িত করেছেন।

তাছাড়া মেয়েটাকে কিভাবে কিভাবে মারা হয়েছিল সে ঘটনার স্বীকারোক্তিও বাবা-মায়ের কাছ থেকেই পুলিশ নিয়েছে।

জান্নাতী মেয়েটার বয়স খুব বেশি না, ১৫ বছর বয়স মাত্র। পড়াশোনা করত ক্লাস নাইনে।

গ্রামের সবাই এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছে এবং মেয়েটার জন্যে শোকাহত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল- মেয়েটার আচার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল।

মেয়েটার স্কুলের শিক্ষক এবং সহপাঠীরাও জানিয়েছে- মেয়েটা পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। বেঁচে থাকলে সামনের বছরই এসএসসি পরীক্ষা দিতো। হয়তো ভালো একটা রেজাল্টও করতো।

আমাদের চারপাশে কতশত দম্পতির সন্তান হয়না বিধায় এ হসপিটাল থেকে ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে দিন পার করে। একটা সন্তানের জন্যে কত হাহাকার করে।

অথচ সামান্য কিছু জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই খুন হতে হলো হাসিখুশি মেয়ে জান্নাতির

12/03/2025

আসসালামু আলাইকুম।
শুভ সকাল

সবাই কে পবিএ মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা।
01/03/2025

সবাই কে পবিএ মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা।

09/02/2025

শুভরাত্রি

28/01/2025

শুভ সকাল

পাশের ফ্লাটের আন্টির মেয়ে বয়স ৫বছর। সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়ে আর ঘুম ভাঙে রাত ১২:৩০। উঠেই তার মনে পড়লো আজকে তার বাবুদের না খাই...
26/01/2025

পাশের ফ্লাটের আন্টির মেয়ে বয়স ৫বছর। সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়ে আর ঘুম ভাঙে রাত ১২:৩০। উঠেই তার মনে পড়লো আজকে তার বাবুদের না খাইয়ে ঘুমিয়ে গেছে, শুরু হলো বায়না মায়ের কাছে, বাবুদের এখন খাওয়াতে হবে৷ আন্টি এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে শুরু করে মাইর। তাও পাগলামি থামছে না,ঘরে। আর রান্না করা ভাত ও নেই।
তারপর আন্টির পিচ্চি আর আন্টি আসে আমাদের ফ্লাটে। তাদের নাকি ভাত লাগবে। ঘুম ঘুম চোখে উঠে ভাত দিলাম, তারপরের কাহিনী দেখে ঘুম তো গেছেই সাথে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা। এখন তার বাবুরা ভাত খাচ্ছে আর সে পাশে বসে বলছে খা,বেশি করে খা। না হয় রাতে ক্ষিধে লাগবে বলে খাওয়াচ্ছে।😂😂😂

20/01/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।😭একটা কুকুর বিড়াল ও তার সন্তানকে এভাবে ফেলে দেয় না। ধিক্কার জানাই মানুষ রুপি সেই পশুদের য...
16/01/2025

এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।😭
একটা কুকুর বিড়াল ও তার সন্তানকে এভাবে ফেলে দেয় না। ধিক্কার জানাই মানুষ রুপি সেই পশুদের যারা এ কাজটি করেছে।😭😭

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jomoj Bon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share