28/04/2025
জিমি ডোনাল্ডসন ১৩ বছর বয়সে (২০১২ সালে) ইউটিউবে ভিডিও বানানো শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি গেমিং ভিডিও, চ্যালেঞ্জ, এবং বিভিন্ন অদ্ভুত বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতেন। তার চ্যানেলের নাম ছিল "MrBeast6000"।
ধৈর্য ও অধ্যবসায়:
প্রথম কয়েক বছর খুবই কম ভিউ আসত। কিন্তু তিনি নিয়মিত ভিডিও বানাতেন। ৬ বছর ধরে তিনি খুব কম আয়ের মধ্যেও নিজের কাজ চালিয়ে গেছেন।
ব্রেকআউট মোমেন্ট:
২০১৭ সালে তিনি একটা ভিডিও বানালেন যেখানে তিনি ১০০,০০০ বার "Counting to 100,000" বলেছিলেন — পুরো ভিডিওটা ছিল একটানা চেষ্টা ও ধৈর্যের প্রতীক। এটা ভাইরাল হয়, এবং সেখান থেকেই তার জনপ্রিয়তা হঠাৎ বেড়ে যায়।
কনটেন্টের বিশেষত্ব:
বড় অংকের অর্থ দিয়ে মানুষের জীবন বদলে দেওয়া।
অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জ ও দান-খয়রাত।
মজার এবং হিউম্যান-ইন্টারেস্ট ভিডিও।
ভিন্ন ধরনের আইডিয়া, যেমনঃ "শেষ ব্যক্তি যে সার্কেল থেকে বের হবে, সে পাবে ৫০০,০০০ ডলার।"
বিনিয়োগের নীতি:
মিস্টার বিস্ট তার চ্যানেলের সমস্ত উপার্জন আবার ভিডিও তৈরিতে ব্যয় করতেন। বড় ভিডিও মানে ছিল বড় ভিউ, যা আবার বড় ইনকাম এনে দিত। এভাবে একটার পর একটা বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন।
ব্যবসা প্রসার:
তিনি ইউটিউব ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন, যেমনঃ
Feastables (চকলেট কোম্পানি)
MrBeast Burger (ভার্চুয়াল ফাস্টফুড চেইন)
Beast Philanthropy (চ্যারিটি সংস্থা)
বর্তমান অবস্থা:
মিস্টার বিস্ট এখন বিশ্বের অন্যতম বড় ইউটিউবার — মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার এবং বিলিয়ন ভিউ!
তিনি ইউটিউবের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ও উদ্ভাবনী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।
ইনশা-আল্লাহ আপনিও পারবেন যদি চেষ্টা ইচ্ছা শক্তি শত থাকে সুতরাং কাজ করুন ধৈর্য্য ধরে সফলতা আপনার কাছে নিজ থেকে ধরা দিবে। ☝️🤲