Nipu Banik

Nipu Banik My name is Nipu Banik.

Since last 2005 I am currently working in Computer graphics design.
Card, # Magazines, Photoshop_Adobe Illustrator, # Lavel & Packaging, Menu, # Banner, # Sign Board, # Poster, # Leaflet & Logo Design, Etc.

26/05/2025

যার -উপর যা কিছু দাঁড়িয়ে আছে তাই ধর্ম, আর, তিনিই পরম পুরুষ।
ধর্ম কখনো বহু হয় না, ধর্ম একই আর তার কোন প্রকার নেই।
মত বহু হতে পারে, এমন-কি যত মানুষ তত মত হতে পারে, কিন্তু তাই বলে ধর্ম বহু হতে পারে না।
হিন্দু ধর্ম, মুসলমান ধর্ম ,খ্রিস্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি কথা আমার মতে ভুল, বরং ও সবগুলি মত।
কোন মতের সঙ্গে কোন মতের প্রকৃতপক্ষে কোনও বিরোধ নেই,ভাবের বিভিন্নতা, রকমফের-- একটাকেই নানা প্রকারে একরকম অনুভব!
সব মতই সাধনা বিস্তারের জন্য,তবে তা' নানাপ্রকারে হতে পারে; আর, যতটুকু বিস্তারে যা' হয় তাই অনুভূতি, জ্ঞান । তাই ধর্ম-অনুভূতির উপর।
❤️ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র❤️
🌷💐সত্যানুসরণ 💐🌺
Joy guru 🙏

26/05/2025

আসাম থেকে জীবনদা নামে জনৈক দাদা এসেছেন।তিনি বললেন---আমার মনের দ্বিধা,সন্দেহ যে যায় না!
শ্রীশ্রীঠাকুর---মানুষের দ্বিধা,সন্দেহ যদি থাকে,তার ফল হয় Conflict(দ্বন্দ্ব)।এইটে ঠিক না ওইটে ঠিক,এইরকম একটা দ্বন্দ্ব জাগে মনে।কিন্তু একটা point(বিন্দু)আছে যেখানে মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে দাঁড়াতে পারে।সেটা হলো ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার বুদ্ধি ও প্রবোধনা।এমনতর সংকল্প---যে,আমার শ্রেষ্ঠ যিনি একমাত্র তাঁকেই পরিপূরণ করব আমার সবকিছু দিয়ে---তাই-ই আমার ধর্ম্ম,তাই-ই আমার অর্থ,তাই-ই আমার কাম,তাই-ই আমার মোক্ষ---এক কথায়,চরম সার্থকতা।এই এমনতর একটা আকুতি যদি নিজের ভিতর সৃষ্টি করে ফেল যে,ঐ মাপকাঠিতে মেপে ছাড়া এক পা-ও চলবে না নিজের খেয়ালে,ঐটেই যখন হবে তৃপ্তির ও সুখের,তখন কাজের ভিতর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ,সামঞ্জস্য,সমাধান হতে থাকবে।তখন কিছু আর ধোঁয়াটে থাকবে না,পরিষ্কার হ'য়ে যাবে সবকিছু।ঐ তাঁকে পরিপূরণ করতে গেলে কিন্তু তাঁরই প্রীত্যর্থে পরিবেশকেও বিহিতভাবে সেবা করতে হবে।
👉জীবনদা---আমার মাঝে-মাঝে সুবুদ্ধি আসে,মাঝে-মাঝে দুর্বুদ্ধি জাগে।
শ্রীশ্রীঠাকুর---সুবুদ্ধি-দুর্বদ্ধির দ্বন্দ্ব থাকে,যতদিন দোলায়মান রকম থাকে।
(আঃপ্রঃ---১৬/১০৪)

24/05/2025
19/05/2025

স্বাস্থ্য ও সদাচার-সূত্র (গ্রহন্থ)
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
কোথায় থাকবে?-
যেখানকার আবহাওয়া তোমার স্বাস্থ্যের পক্ষে সুষ্ঠু, আর, যেখানকার পরিবেশ ও পারিবেশিক আত্মীয়তা নিবিড়-সেখানেই বসবাস করবে; পারিবেশিক আত্মীয়তা পেতে হ'লেই পরিবেশের পরিচর্যা করতে হয়, তোমার পক্ষে পরিবেশ যেমনতর প্রয়োজন-পরিবেশও যেন তোমার কাছে তেমনতরই পায়;
পরিবেশকে
তুমি যতটা যেমন ক'রে করবে যেমনতর শিষ্ট ক'রে তুলবে-বিধি-বিশাসিত ক'রে তুলবে-দরদী অনুকম্পাশীল ক'রে তুলবে-
পরিবেশও তোমার কাছে তুমি করবে না অথচ পাবে,-
তেমনতরই হ'য়ে উঠবে;
আপসোস করবে-তা' হবে না কিন্তু, হবে তো না-ই, তুমি দুর্ব্বল হ'য়ে উঠবে, শীর্ণ হ'য়ে উঠবে, তাই, পরিবেশকে
শিষ্ট-সুন্দর শক্তিশালী ক'রে তোল, আর, ঐ সঞ্চারিত সংহতি
তোমাকে
আরো হ'তে আরোতরে উদ্দীপ্ত ক'রে ঐ উদ্দীপনায়
নিজেরাও উদ্দীপ্ত হ'য়ে উঠবে, ঐ পরিবেশ ও তা'র আবহাওয়ার শিষ্ট অনুচলন ও দক্ষচতুর সন্দীপনায় বিহিত লক্ষ্য রেখে তা' করতে হয়-তোমার যেমন সাধ্য-সাধনায় আরো-আরোতে এগিয়ে, তা'ই কর, অন্যেতেও তেমনিভাবে সঞ্চারিত কর;
জীবনের দাঁড়াই হ'চ্ছে-অস্খলিত নিষ্ঠানন্দিত অনুরাগ, আনুগত্য ও কৃতিসম্বেগ-যা' দরদী অনুকম্পার ভিতর-দিয়ে প্রতিটি লোক উপলব্ধি করতে পারে-শিষ্ট-সুন্দর পরিচর্যায় সুষ্ঠু আহুতিতে
অর্থাৎ আহ্বানে,
তা'র মানেই-
কৃতিমুখর আপ্যায়নাদীপ্ত বাক্য, ব্যবহার, আর তদনুগ শিষ্ট অনুচলন ক'রে চল;
এটা যত চারিয়ে যাবে লোকের ভিতর-
লোকও তোমাতে
তেমনতরই সংহত হ'য়ে উঠবে,
করায় গাফিলতি ক'রো না,
পরিচর্য্যামুখর হ'য়ে
সবার দরদী হ'য়ে ওঠ,
সঞ্চারিত কর তা' সবারই সত্তায়,
দেখবে-
বিধি-আশীর্ব্বাদ
তোমাকেও তেমনতর নন্দিত ক'রে তুলছে;
আশীর্ব্বাদ মানে-
অনুশাসন-বাদ। ৯৬।

18/05/2025

বিহিতভাবে অল্প জানাও ভাল- তা' যদি সুসঙ্গতিপূর্ণ হয়, এমনতর বহু জানাও ভাল না - যা' নাকি মানুষের বোধিকে অনন্বিত ক'রে উচ্ছৃঙ্খল, বিশৃঙ্খল ক'রে তা'কে সভ্য অমানুষ ক'রে তোলে। " -শ্রীশ্রীঠাকুর। ( আর্য্যপ্রাতিমোক্ষ-১২ ; ৪৯০০)

12/05/2025

বন্দে পুরুষোত্তমম্ জয়গুরু সুপ্রভাত 🙏🙏🙏
শ্রীশ্রীবড়দা সৎসঙ্গের কর্ণধার। লক্ষ লক্ষ মানুষের আশ্রয়স্থল। সকাল থেকে সন্ধ্যা বসে বসে শত শত মানুষের কত সংসার জীবনের জ্বালা- যন্ত্রণা জেনে তার সমাধান দেন। অসহায় কত মানুষের জীবনের আশা-ভরসা জোগান। শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি-জীবজন্তুর প্রতিও ছিল দরদ।
একবার আশ্রমের চিড়িয়াখানায় একটা ভালুক আসন্নপ্রসবা। বড়দা সকালবেলা রোজকার মতো বড় নাটমন্দিরে নামজপের পর একটু উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন। একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভালুকটার কী অবস্থা ? লোকটার কথা শুনে তৎক্ষণাৎ উঠে পড়লেন। চলে গেলেন ওই চিড়িয়াখানার দিকে। সকলেই তাঁর অনুগমন করলেন। ভালুকটা তখন প্রসবযন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে। শ্রীশ্রীবড়দার নির্দেশে শহরে লোক পাঠানো হল পশু চিকিৎসককে আনার জন্য। চাটাই দিয়ে ভালুকের ঘরটা ঘিরে দেওয়া হল। বড়দা পাশেই একটা চেয়ারে বসে রইলেন। চিকিৎসক এসে প্রসব করানোর সব ব্যবস্থা করেন। বেশ খানিকটা বেলা হয়েছে---- প্রসবও হচ্ছে না। শ্রীশ্রীবড়দা খুবই উদ্বিগ্ন হচ্ছেন দেখে ডাক্তারবাবু বড়দাকে বারবার বলছেন, সময় একটু লাগবে, কোনও চিন্তার কারণ নেই। আপনি নিশ্চিন্তে বাড়ি গিয়ে স্নান করুন। কারণ বড়দার স্নানের সময় উত্তীর্ণ হচ্ছে। কিন্তু বড়দা কারও কথায় কোনও কর্ণপাত না করে ওই চেয়ারে বসেই রইলেন। প্রায় ১টা সময় ভালুক প্রসব করে। প্রসবের পর ভালুকটা ও তার শাবক সুস্থ আছে জেনে বাড়ি যান। দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে বিশ্রামের সময় আবার লোক পাঠিয়ে ভালুকটার ও শাবকের খোঁজ নিয়ে শুয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় খোঁজ নিলেন। এমনি করে প্রতিদিন খোঁজ নিতেন। একটা পশুর প্রতি কী অগাধ ভালবাসা। কী প্রেম।
শ্রীশ্রীবড়দা একদিন বাড়ি থেকে বড়াল বাংলোর দিকে আসছেন। তাঁর অনুগামী অনেকেই আছেন। কিছুদূর আসতেই একটি শালিক উড়ে এসে বড়দার কাঁধের ওপর বসে রইল। বড়দাও হাঁটছেন। পাখিটিও বড়দার কাঁধের ওপরেই বসে রইল। যেমন মাঠে অনেক সময় গরুর শরীরের ওপর শালিক বসে থাকে। গরু হাঁটলেও পাখি কিন্তু বসেই থাকে, সে উড়ে যায় না। সেদিকে ও বড়দার বড়দার কোনও ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে চললেন। ঠাকুরবাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করতেই পাখিটি উড়ে চলে গেল। সেদিকেও বড়দার কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। পেছনে যারা অনুগামী ছিলেন, তারা সবই লক্ষ্য করলেন। ঠাকুরবাড়ী এলেন। ঠাকুরের যথারীতি প্রণাম করে বসলেন। এমন সময় প্রফুল্লদা শ্রীশ্রীবড়দাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বড়দা আপনার কাঁধে যে শালিক বসেছিল আপনি বুঝতে পেরেছিলেন ? বড়দা অতি সহজভাবেই বললেন, ওরা তো এমনিভাবে আপন মনে হামেশাই আসে বসে আবার এমনি চলে যায়। বড়দার এই উক্তি শুনে উপস্থিত সকলেই অবাক।
SNG. স্মৃতিযানে আমার জীবন
HOWRAH. শ্রীকালীপদ রাহা
আলোচনা * আষাঢ় * ১৪২৫

11/05/2025

অধিক ভোজন যারাই করে
🍀কম্পোজিশানঃ কিশোরী মোহন দে
🍀 শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ছড়ার গান
অধিক ভোজন যারাই করে
দারিদ্রতায় ধরেই ধরে।
অধিক ভোজন যারাই করে
দারিদ্রতায় ধরেই ধরে।
অন্নে জানিস মন বয়
অন্ন মাফিক প্রবৃত্তি হয়।
অন্নে জানিস মন বয়
অন্ন মাফিক প্রবৃত্তি হয়।
আমিষে বিধান উত্তেজিত
অযথা হয় জর্জরিত।
আমিষে বিধান উত্তেজিত
অযথা হয় জর্জরিত।
ভাবতে ভাবতে আসে ধ্যান
করতে করতে আসে জ্ঞান।
ভাবতে ভাবতে আসে ধ্যান
করতে করতে আসে জ্ঞান।
শ্রদ্ধাতপে যোগ্য যারা
দাবীর পূরন পাবেই তারা।
শ্রদ্ধাতপে যোগ্য যারা
দাবীর পূরন পাবেই তারা।
অপাত্রে দান সিদ্ধ নয়
ওতে কিন্তু বাড়ায় ভয়।
অপাত্রে দান সিদ্ধ নয়
ওতে কিন্তু বাড়ায় ভয়।
কথায় নীতি কাজে নয়
ভন্ডামীতে তার ক্ষয়।
কথায় নীতি কাজে নয়
ভন্ডামীতে তার ক্ষয়।
পন করে নেয় দেয় না
শতেক দিলেও পায় না।
পন করে নেয় দেয় না
শতেক দিলেও পায় না।
বৃদ্ধিতে যা হানি আনে
টেনে নেয় তা নরক পানে।
বৃদ্ধিতে যা হানি আনে
টেনে নেয় তা নরক পানে।
অকৃতজ্ঞ দূর্বলের
সমর্থনই হয় পাপের।
অকৃতজ্ঞ দূর্বলের
সমর্থনই হয় পাপের।
মননে করনে মিতালী নাই
খাঁকতি জ্ঞানের সর্বদাই।
মননে করনে মিতালী নাই
খাঁকতি জ্ঞানের সর্বদাই।
স্বভাব গুনে অভাব নষ্ট
এটা কিন্তু খাঁটি স্পষ্ট।
স্বভাব গুনে অভাব নষ্ট
এটা কিন্তু খাঁটি স্পষ্ট।
জয়গুরু
বন্দেপুরুষোত্তমম

11/05/2025

#রোগী_যে_কুপথ্য_করে_সে_কি_আর_করে_তা_করায়_ব্যাধিতে
🚩শ্রীশ্রীঠাকুর এক দাদাকে কাজ-কর্ম্মের বিষয় জিজ্ঞাসা করছিলেন, তিনি বললেন-সহকর্মীর ঔদাসীন্য ও গাফিলতির দরুন কাজ আশানুরূপ হয়নি।
🚩সেই প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর ললিতগম্ভীর ভঙ্গীতে বলতে লাগলেন-আমরা principle-এ (আদর্শে) যদি খুব strong (অটুট) হই-তাহ'লে আমরা পারিপার্শ্বিকের কাছে yield (বশ্যতাস্বীকার) করি না, বরং পারিপার্শ্বিক আমাদের কাছে yield (বশ্যতাস্বীকার) করে। আমাদের যদি এমন ঝোঁক থাকে যে, যা' করার তা' করবই, আর সত্যি-সত্যি তা যদি করিই এবং সে-কাজে যদি পারিপার্শ্বিককে নিয়ে চলা প্রয়োজন হয়, তবে পারিপার্শ্বিকের সকলেও উদ্বুদ্ধ হ'য়ে ওঠে-যারা চায় না, তারা আপনা থেকে খ'সে পড়ে।
🚩 আমি আর বীবুদা (রায়) একদিন একসঙ্গে যাচ্ছি-বীবুদা কিছুদূর গিয়ে tired (ক্লান্ত) হ'য়ে ব'সে পড়ল-আমি তার জন্য wait (অপেক্ষা) না ক'রে সোজা হাঁটতে লাগলাম, বীৰুদাও উপায়ান্তর না দেখে হাঁটতে সুরু করল। তাই, ঢিলেমি বা গাফিলতিকে প্রশ্রয় দিতে নেই। মজা এমনি-মানুষের ইচ্ছাকৃত ত্রুটি অবশভাবে ভুল-ত্রুটিকেই ডেকে আনে। কেউ হয়তো কোথায়ও যাবে কোন কাজের জন্য-পাকে-চক্রে হয়তো মঘার দিনই যাত্রা করল-আগে-পরে যাওয়ার সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তা' ঘ'টে উঠলো না-ঐ দিন গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির পর তবে হয়তো কার্য্য সমাধা হ'লো-এমন দেখলে বুঝতে হবে, তাদের principle (আদর্শ)-মুখী motor-sensory co-ordination (বোধ ও কর্মস্নায়ুর সঙ্গতি)-সম্বন্ধে কোন-না-কোন গণ্ডগোল আছে-হয়তো immediatet motor-sensory co-ordination (ত্বরিত-সঙ্গতি) নেই, পারিপার্শ্বিকের influence (প্রভাব) হয়তো original intention then and there fulfil (মূল উদ্দেশ্য তখন-তখন পূরণ) করতে দেয়নি, গোড়ায় একটা intention (অভিপ্রায়) ব্যাহত হবার দরুন brain-এ (মস্তিষ্কে) একটা blundering twist (ভুলের গেরো) পড়ে -পরে একটা intention (অভিপ্রায়)-মাফিক কাজ করার সময় সেই twist: (গেরো)-টাই ভুল ও বেঘোরের সৃষ্টি ক'রে তোলে।
তবে কাজের পথে বাধা-বিঘ্ন থাকলেও ঘাবড়ে যেতে নাই।
🚩আমাকে একবার কুষ্টিয়ার D. S. P. (ডি. এস. পি.) ডেকে নিয়ে বললেন-তোমার কাছে সকল রকম লোককে আসতে দিতে পারবে না। নানারকম ভয় দেখালেন। কিন্তু আমি বললাম-আমি কাউকে বারণ করতে পারব না, আর আপনারও: এমন কথা বলা উচিত না। পরে তিনিই দু'বেলা আসতেন, দু'বেলা না হ'লেও। একবেলা তো আসতেনই। এইরকম হয়।
আগে যখন আমরা কথাবার্তা বলতাম, আলাপ-আলোচনা করতাম, কত spy (গুপ্তচর) আসত, সব টুকে-টুকে নিত। একটা বাক্স তৈরী করেছিলাম, steamer-এর passenger (ষ্টীমারের যাত্রী)-দের কাছে থেকে ভিক্ষা করা হ'তো-সেই টাকা দিয়ে কতজনের সাহায্য করতাম-কত spy (গুপ্তচর)-দের। পর্যন্ত তাদের বিপদ-আপদে সাহায্য করেছি-তারাই আবার আমার পিছনে লাগত, আমি বুঝতাম সব, তবু দিতাম।
🚩প্রফুল্ল-তা'তে তো তাদের ক্ষতিই করা হ'তো।
🚩শ্রীশ্রীঠাকুর-আমি ভাবতাম, ওদের যদি না দেখি ওরা বাঁচবে না। রোগী যে কুপথ্য করে, সে কি আর বুঝে করে-ব্যাধিতে করায়। ওদেরও সেইরকম। আমি ভাবতাম-বেঁচে তো থাক, বেঁচে থাকলে তবে আস্তে-আন্তে correction (সংশোধন) হবে, পথ খোলা থাকবে-যদি সাবাড়ই হ'য়ে যায়, তাহ'লে তো কোন আশাই থাকে না।

শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের চতুর্থ মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ ভবতোষ  বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের আজ তিরোধান দিবস।🌼🙏🌼মহারাজকে দর্শন ও তাঁ...
10/05/2025

শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের চতুর্থ মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের আজ তিরোধান দিবস।🌼🙏🌼
মহারাজকে দর্শন ও তাঁহার কুশল সংবাদ যাদবপুরের শ্রীধামে জানিতে গেলে একদিন তিনি বলিলেন, "শ্রীশ্রী ঠাকুরের চিত্রপটের শ্রীদেহে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে চন্দন দ্বারা, 'সজ্জিত না' করাই উচিত, পরিবর্তে ফুলের মালা ব্যবহার করা সমীচীন।" তখন মনে প্রশ্ন জাগে আমি বিনীতভাবে মহারাজ জীউকে জিজ্ঞাসা করিলাম, "আমাদের বাসায় দয়াল ঠাকুরের যে শ্রীচরণ আছে, যাহাতে নিত্যপূজা করা কালীন যে চন্দনসহ তুলসীপত্র ও পুষ্পাদী অর্পণ করা হয় সেইক্ষেত্রে আমাদের কি করণীয়, যদি দয়া করিয়া একটু বলিয়া দেন তবে সার্থক প্রথায় পূজা করিতে পারি। উত্তরে মহারাজ বলিলেন, "চন্দনসহ তুলসীপত্র ও পুষ্পাদি শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীচরণে নিশ্চয়ই দিবা, কিন্তু পূজার অন্তে সেই চন্দন অবশ্যই মুছাইয়া দিবা, তাহা না করিলে ঠাকুরের অস্বস্তি বোধ হয়। তাই বইল্যা নিজ অঙ্গের পরিহিত বস্ত্রাদির দ্বারা কখনওই মুছাইও না। একটি ভিজা রুমাল দিয়া মুছাইয়া দিও।" ইহা শ্রবনে আমার মনের সকল সংশয় দূরীভূত হইল।
স্মরনিকা
চতুর্থ মহারাজ শ্রীমত ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়- এর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
"স্মৃতি তর্পণ"
শ্রীদূর্গাশংকর মুখোপাধ্যায় (শংকর)
পৃষ্ঠা: ৬৩
#জয় #গৌবিন্দ #রামঠাকুর

10/05/2025

মহম্মদ আলী, যিনি বগুড়া মহম্মদ আলী নামে পরিচিত, একসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ঘটনাক্রমে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় সূত্রে ঐ পরিবারের সহিত চেনাশোনা হয়। বগুড়া মহম্মদ আলী একসময় অবিভক্ত বাংলার ফজলুল হক্ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। দেশ বিভক্ত হওয়ায় তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়ে ব্রহ্মদেশে বদলি হয়ে যান। একবার গীষ্মের ছুটি শেষে জাহাজে ব্রহ্মদেশ যাওয়ার সময় আলী সাহেবের স্ত্রী তাঁর ছোট দুটি ছেলেকে নিয়ে জাহাজের ডেকে বেড়াবার সময় আমার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর থেকে তাদের ঘরে যাতায়াত শুরু। আমাকে ছোটভাই বলে সম্বোধন করতেন। খুব সাধারণ ভাবেই চলতেন।
আলী সাহেব ও তাঁর স্ত্রী দুজনই নবাব পরিবারের সন্তান। কিন্তু আমি ওই মহিলার মধ্যে কোনদিন কোন বংশজাত অহংকার বা আভিজাত্য দেখি নাই। পরিচয়সূত্রে আমাদের সৎসঙ্গ অধিবেশনে এসেছেন। সৎসঙ্গে তাঁর খুবই ভালো লাগত। বাংলাভাষা তাঁর খুবই প্রিয়। শ্রীশ্রীঠাকুরের বই নিয়ে পড়তে খুব ভালোবাসতেন। আলী সাহেব ছিলেন ঠিক তাঁর বিপরীত ধাঁচের লোক। তিনি সর্বদা পাশ্চাত্য দেশের আদব-কায়দায় থাকতে ভালোবাসতেন। বাংলা ভাষায় বিশেষ কথা বলতেন না। খানাপিনা সর্বদাই বিদেশি পছন্দ করতেন। নানা কারণে স্ত্রীর সঙ্গে মতান্তর হত।
আমি বড় বোনের মতো তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম। শ্রীশ্রীঠাকুরের বহুবিবাহ নীতি সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানবার জন্য একবার শ্রীশ্রীঠাকুরের নিকট চিঠি লেখেন। যথা সময়ে উত্তর পেয়ে খুবই খুশি হন। মুসলিম সমাজে চারটি বিবাহ করার অধিকার আছে। তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ- নীতি ভালোভাবে অনুধাবন করেন। পরবর্তীকালে মহম্মদ আলী আমেরিকায় বদলি হয়ে যান। পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। আমেরিকায় থাকাকালীন আলী সাহেব তাঁর ব্যক্তিগত সহয়িকার পানিগ্রহণ করেন। মুসলিম ধর্মের অঙ্গ, তাই তাঁর প্রথম স্ত্রীর কিছুই করণীয় নাই। আলী সাহেবের স্ত্রী ছিলেন যেমন বিদূষী, তেমনি তেজস্বী। তিনিই প্রথম মহিলা, পাকিস্তানে পুরুষের বহুবিবাহের বিরুদ্ধে একটি মহিলা সংগঠন করেন। তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের বহুবিবাহ নীতি ব্যাখ্যা করে তাদের প্রচার পত্রে লিখেছেন---- 'পুরুষ উপযুক্ত হলে একাধিক বিবাহ করতে পারেন। কিন্তু অনুপযুক্ত হলে নারীমহলে প্রবেশ করাও নিষেধ। জ্ঞানে-গুণে, বিদ্যা-শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ পুরুষকে বরণ করে সুসন্তান লাভের আশায় ঐ নারী তার স্বামীর প্রথমা স্ত্রীর সন্মতি অবশ্যই গ্রহণ করবেন। তিনি করাচি শহরে আন্দোলন গড়ে তোলেন। একদিন চিঠিতে শ্রীশ্রীঠাকুরের বিবাহ বিষয়ক সমস্ত ধরনের পুস্তক আমাকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য লিখেছিলেন। আমি বই জোগাড় করি, পাঠাতে কয়েকদিন সময় লাগে। একদিন পত্রিকায় দেখলাম হঠাৎ হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
SNG স্মৃতিযানে আমার জীবন
HOWRAH. শ্রীকালীপদ রাহা
আলোচনা * শ্রাবণ * ১৪২৪

Address

Paschim Chhagalnaiya
Chittagong

Opening Hours

09:00 - 17:00

Telephone

+8801728524888

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nipu Banik posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nipu Banik:

Share