22/10/2024
ছাত্র জনতা আজ যে ৫ দফার যুদ্ধ শুরু করলো, এই যুদ্ধে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এখন অন্তত এটা স্পষ্ট যে রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহার কারণেই মূলত বিপ্লবী সরকারটা হয় নাই। আর্মি চিফ জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেছিলেন।
ছাত্ররা ডক্টর ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট আর বিএনপি থেকে প্রধানমন্ত্রী দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলো।
এর অর্থ, ছাত্ররা এই সংবিধান মানতেও চায় নাই। চুপ্পুকে রাখতেও চায় নাই।
পুরো কাহিনীটাই করেছে বুড়ো রাজনীতিবিদরা। যত সমস্যা, যত অনীহা,সব এদেরই।
কেন?
কারণ এই সংবিধান কিন্তু শুধু হাসিনার জন্যই মধুর হাড়ি না। বরং এই সংবিধান পরের প্রধানমন্ত্রীদের জন্যও মধুর হাড়িই।
এই হাড়ি কে ভাঙতে চাইবে?
কেউই ভাঙতে চায় নাই। সাথে আসিফ নজরুলদের মতো আইনের অবতাররা তো ছিলোই। ফলাফল যা হওয়ার তাই হইছে।
শুনেছি আসিফ নজরুল নাকি আজ সারাদিন সংবিধানের পৃষ্ঠা উল্টো চুপ্পুকে সরানোর ফাঁক খুঁজতে ব্যস্ত।
কাম অন, আসিফ নজরুল স্যার।
গত ১৫ বছর এই সংবিধান কম পড়েছেন? কম পড়িয়েছেন? কম ফাঁক খুজেছেন? কই, হাসিনাকে থামানো বা নামানোর কোন পথ তো বের করতে পারেননি?
হাসিনাও তো এই সংবিধানকে বাইবেল মনে করতো।
আপনারাও ক্ষমতায় গিয়ে সেই হাসিনার মতোই বাইবেল পড়ছেন কেন?
ফেলে দেন। ছিড়ে ফেলেন। ওটা ছিড়ে ফেলার জন্যই এই বিপ্লব ।
আপনারা যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে বলে নির্বাচন চেয়ে হাসিনাকে সরাতে চেয়েছেন, এই ছেলে মেয়ে তখন হাসিনা চুদি না বলে হাসিনাকে খেয়ে দিয়েছে।
আপনারা লুজার। এইটা মেনে নিতে শেখেন।
ছাত্ররা আজ ৫ দফা দিয়েছে।
এই ৫ দফার প্রথম দফা, সংবিধান ফেলে দিতে হবে। চুপ্পুকে ফেলে দিতে হবে। নতুন ধারার সরকার তৈরি করতে হবে।
সংবাদ ফেলে এই ৫ দফা পড়েন। এইখানেই আপনাদের আমাদের মুক্তির পথটা আছে। মুক্তির পথ ঐ আইনে নাই।
আইন মেনে বিপ্লব হয় নাই। সংবিধান মেনে বিপ্লব হয় নাই। যেই সংবিধানের দোহাই আওয়ামীলীগ দিতো, সেই সংবিধানের দোহাই এখন আপনারাও দিতেছেন। যখন বিপ্লবীদের স্লোগান দিতে হয়,
আবু সাঈদ মুগ্ধ
শেষ হয়নি যুদ্ধ।
তখন আপনাদের সরকারকে আমাদের সরকার কী করে বলি?
আজ বঙ্গভবন পর্যন্ত মিছিল গেছিলো। মজার ব্যাপার কী জানেন? গণভবনের আগের মিছিলটা সবসময়ই বঙ্গভবনেই যায়।
কথা না শুনলে, বেশি সংবিধান, আইন আর কোর্ট দেখাতে থাকলে এই মিছিল আপনাদের কার্যালয় পর্যন্ত চলে যাবে। চুপ্পুকে কোনভাবে যদি রক্ষা করতে চান, আমরা আপনাদেরকেও চুপ্পুর লোক বলেই ধরে নেবো, আমাদের লোক না।
শুধু আসিফ নজরুল না, বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল যদি এই ৫ দফার সাথে একমত না হয়, হিসাব তাদের সাথেও করতে হবে।
আওয়ামী বন্দোবস্তে আর কোন রাজনীতি হবে না। লাউ ফেলে কদুকে আনার জন্য এতো মানুষ জীবন দেয় নাই। হাসিনার সাথে সাথে হাসিনার সংবিধানকেও বিদায় দিতে হবে। এই সংবিধানে আর কোন স্বৈরাচার তৈরির সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ দেবে না।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
মুজিববাদ মুর্দাবাদ।
-সাদিকুর রহমান খান