Pakshi Transport Agency

Pakshi Transport Agency PAKSHI TRANSPORT AGENCY

Random Selection পদ্ধতিতে ১৫,৪৯৪ টি আয়কর মামলা অডিটের জন্য নির্বাচন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
16/07/2025

Random Selection পদ্ধতিতে ১৫,৪৯৪ টি আয়কর মামলা অডিটের জন্য নির্বাচন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ওয়ান ব্যাংক পিএলসি এর পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য (সাবেক ব...
15/07/2025

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ওয়ান ব্যাংক পিএলসি এর পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য (সাবেক বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান) সাঈদ হোসেন চৌধুরী আজ মঙ্গলবার (জুলাই ১৫, ২০২৫) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন!

সাঈদ হোসেন চৌধুরী কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী, ভাষাসৈনিক ও সমাজসেবক মরহুম হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর বড় ছেলে।

মহান আল্লাহ (সু: তা:) এর নিকট মরহুমের বিদাহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক ল...
15/07/2025

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগমুখী হচ্ছেন না। যার প্রতিফলন হিসেবে দেশে মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে। এর প্রভাবে সামগ্রিকভাবে চাহিদা কমেছে ডলারের। ফলে ডলারের দাম কমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে—এই ১১ মাসে মূলধনি যন্ত্র আমদানি হয়েছে ২৬২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের। এর আগের অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের। এ হিসেবে অর্থমূল্য বিবেচনায় এক বছরের ব্যবধানে মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উইকলি সিলেকটেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরসে এখনো গত অর্থবছরের ১১ মাসের তথ্য হালনাগাদ হয়নি। ১০ মাসের (জুলাই থেকে এপ্রিল) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রের এলসি ওপেনিং বা আমদানির লক্ষ্যে ঋণপত্র খোলা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ঋণপত্র নিষ্পত্তিতেও ঋণাত্মক বা নেতিবাচক পরিস্থিতি উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে ১০ মাসে মূলধনি যন্ত্রের এলসি ওপেনিং কমেছে ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নিষ্পত্তি কমেছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নর্সের সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মূলধনি যন্ত্রের আমদানি আগে থেকেই কমছিল।
এটা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। এখন বরং কমার সেই হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ডলারের দাম কমে যাওয়ার পেছনেও এটা অন্যতম কারণ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তার পরও এখানে-সেখানে রাজনৈতিক কিছু ঘটনা ঘটছে। সামগ্রিকভাবে আস্থার ঘাটতি এখনো রয়ে গেছে। নির্বাচনের অপেক্ষাও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন হয়ে গেলে হয়তো কিছুটা স্ট্যাবিলিটি আসবে। তখন বিনিয়োগ হবে। মূলধনি যন্ত্রের আমদানিও বাড়বে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশে আমদানি হওয়া ক্যাপিটাল মেশিনারি বা মূলধনি যন্ত্রের উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, লেদার/ট্যানারি, জুট, গার্মেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্যাকিং। ১০ মাসে টেক্সটাইল মেশিনারি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা কমেছে ২২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ খাতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

লেদার/ট্যানারি খাতে ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে দশমিক ৫৩ শতাংশ। জুট ইন্ডাস্ট্রির মেশিনারি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা কমেছে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ খাতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্যাকিং ইন্ডাস্ট্রির মূলধনি যন্ত্র আমদানিও কমেছে।

বাংলাদেশে পুঁজিঘন বিনিয়োগের অন্যতম বড় খাত বস্ত্র। পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এ শিল্পে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পাওয়া নিঃসন্দেহে দেশের শিল্প ও বিনিয়োগপ্রবণতার জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। এ প্রবণতা শুধু সাময়িক মন্দার প্রতিফলন নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদে শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা, উৎপাদন সক্ষমতা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘মূলধনি যন্ত্রের আমদানি হ্রাস টেক্সটাইল শিল্পের আধুনিকীকরণ, নতুন প্রযুক্তি সংযোজন এবং উৎপাদন বৈচিত্র্যকরণের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে নন-কটন খাতে যে সম্ভাবনা ও রফতানিমুখী বাজারে প্রবেশের নতুন জানালা তৈরি হয়েছিল তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’

বিদ্যমান সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে সময়োপযোগী নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এলসি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সহজ ও বেগবান করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা ও ব্যাংকিং সহায়তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপাতি আমিরুল হক বলেন, ‘মূলধনি যন্ত্র আমদানি কমে যাওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে। প্রথমেই প্রয়োজন হয় অর্থের। ব্যাংকগুলো বর্তমানে সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন অর্থ কোথায় পাওয়া যাবে? কোন ব্যাংক টাকা দেবে? ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ অর্থ থাকে না। দ্বিতীয় কারণ, ব্যাংক ঋণের সুদহার ১৪-১৫ শতাংশ। কম্পাউন্ড সুদ মিলিয়ে এ হার গিয়ে দাঁড়ায় ১৭ শতাংশে। এ পরিস্থিতিতে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট হয় না। আর সবকিছু ছাপিয়ে বিনিয়োগ করার পরিবেশ আছে কিনা সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।’

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক আমদানিও কমেছে। আমদানির মাসিক গড় এখন আগের চেয়ে অনেক কম। মূলধনি যন্ত্র আমদানি কমে যাওয়ার অর্থ হলো কাঁচামাল আমদানিও সেই তুলনায় কমে আসবে। ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও বাজারে কিছুটা কম আছে। সব মিলিয়ে ডলারের চাহিদা স্বাভাবিকভাবে কমে গিয়ে ডলারের ওপর চাপটাও এখন তুলনামূলক কম। এদিকে উদ্যোক্তারা শিল্প সক্ষমতা বাড়াতে পারেননি। বরং তারা টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় মানুষ যখন ভবিষ্যতের কথা ভাবে তখন স্ট্যাবল সরকার দেখতে চায়। ব্যবসাকে সফল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন তা দৃশ্যমান নয়। বরং উদ্যোক্তারা সবকিছু নেতিবাচক দেখছেন। তারা দেখছেন ব্যাংক আরো কঠিন হচ্ছে। অর্থনীতিতে সংকোচন নীতির প্রয়োগও তারা দেখছেন। কাস্টমসের হয়রানি তো কমেইনি, বরং কাস্টমসের স্ট্যাবিলিটি নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। আবার নির্বাচন নিয়েও সংশয় কাটছে না।
মব রয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা দুশ্চিন্তাও কাটেনি। স্বাভাবিকভাবে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না।

15/07/2025

সীতাকুণ্ডে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী!

সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি অ্যাটাক করে লাঠিসোঁটা নিয়ে কাভার্ড ভ্যান চালকের উপর হামলা।

09/07/2025
মার্কিন বাড়তি শুল্কে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত |বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থ...
09/07/2025

মার্কিন বাড়তি শুল্কে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত |

বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশেরও কম।

বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির বাজারে ভিয়েতনামের পণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য এ হার ৩৫ শতাংশ। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুল্কহারে ছাড় না পেলে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে ১৬৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানির মাধ্যমে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটির তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ এ সময়ে ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ২১ শতাংশ। তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিযোগী ভিয়েতনাম গত বছরে ৩৩ দশমিক ৯৪ ডলার রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অন্য প্রতিযোগীদের মধ্যে গত বছর শুধু তুরস্কের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে ভারত, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে ভারত ১৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। কম্বোডিয়া ২০২৪ সালে ৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। পাকিস্তান এ সময়ে তৈরি পোশাক রফতানিতে ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। দেশটির রফতানির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। ইন্দোনেশিয়া গত বছর ৮ দশমিক ৭৩ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে চীনের হিস্যার পরিমাণ ২০২৪ সাল শেষে ২৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের বছরে যা ছিল ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ হিস্যা থাকলেও গত বছর এটি কমে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘১২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম এরই মধ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক হার নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মাত্র ৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে শুল্কের হার কেমন হয় সেটি দেখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানি গন্তব্য হওয়ায় এ শুল্কের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেবল রফতানি আদেশ হ্রাসের ঝুঁকি নয়, এর প্রভাব কর্মসংস্থান হ্রাস ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কেবল বাণিজ্যেই নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।’

বাংলাদেশের রফতানিতে কম প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডব্লিউটিওর সঙ্গে আমাদের তথ্যের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আমাদের হিসাবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে রফতানিতে ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে গত দুই-তিন বছর বৈশ্বিক ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক বৈশ্বিকভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষি ও বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক ছাড় কিংবা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ চারটি। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্কহার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা চললেও এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। চীনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব এখন পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ফলে দেশটি শুল্কের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। পাকিস্তানের ওপর শুল্কের হার বাংলাদেশের কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের জন্য এক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া কম্বোডিয়ার পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন শুল্কের কারণে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলে সেক্ষেত্রে দেশটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ক্রয়াদেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলে তারা বাংলাদেশের বাকি ৮০ শতাংশ ক্রয়াদেশের ওপর প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র তৈরি হবে। ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের রফতানির ব্যবধান খুব বেশি না হওয়ায় দেশটি তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে শুল্কের পরিমাণ কমানো সম্ভব না হলে সেটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্ক ১০০ শতাংশ আরোপ করা হলেও কিছু যায় আসবে না; যদি চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ওপর আরোপ করা শুল্কহার বেশি বা কাছাকাছি থাকে। আমি বাংলাদেশের ওপর কত শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তিত না। চিন্তিত প্রতিযোগী দেশগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কহার কী বসতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে। বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ চারটি—চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান। এর মধ্যে যেকোনো একটি দেশের ওপর বাংলাদেশের চেয়ে কম হারে শুল্ক আরোপ হলে সেটা বড় কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। কিন্তু তিনটি দেশের যদি বাংলাদেশের চেয়ে শুল্কহার কম হয় সেটা বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হতে পারে।’

🇧🇩 বাংলাদেশে আমদানি প্রক্রিয়া – গাইড 🚢📦বাংলাদেশে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করা প্রয়ো...
06/07/2025

🇧🇩 বাংলাদেশে আমদানি প্রক্রিয়া – গাইড 🚢📦

বাংলাদেশে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। আমদানিকারক, সাপ্লাই চেইন পেশাজীবী এবং ট্রেড কমপ্লায়েন্স টিমের জন্য এটি একটি সহজ ও স্পষ্ট নির্দেশিকা:



✅ ধাপ ১: আমদানি নিবন্ধন (IRC)
📌 আমদানি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (IRC) সংগ্রহ করুন প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের (CCI&E) দপ্তর থেকে। বাণিজ্যিক আমদানির জন্য এটি আবশ্যক।

✅ ধাপ ২: HS কোড সনাক্তকরণ ও LC খোলা
📌 আপনার পণ্যের সঠিক HS কোড নির্ধারণ করুন এবং Letter of Credit (LC) অথবা T/T, CAD ইত্যাদির মাধ্যমে পেমেন্ট নিশ্চিত করুন।

✅ ধাপ ৩: আমদানি অনুমতি ও নিয়ন্ত্রক ছাড়পত্র
📌 নিচের অনুমতিপত্র ও ছাড়পত্র সংগ্রহ করুন (যদি প্রযোজ্য হয়):
• BSTI লাইসেন্স
• ড্রাগ লাইসেন্স (ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য)
• BCSIR/NATP ছাড়পত্র (খাদ্য/কসমেটিকস)
• পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (DoE)
• হালাল/COA সার্টিফিকেট

✅ ধাপ ৪: পণ্য প্রেরণ ও ডকুমেন্ট পাঠানো
📦 সরবরাহকারী নিম্নোক্ত কাগজপত্র পাঠাবেন:
• কমার্শিয়াল ইনভয়েস
• প্যাকিং লিস্ট
• B/L বা এয়ার ওয়ে বিল
• উত্সের সার্টিফিকেট (COO)
• ইন্স্যুরেন্স ও প্রি-শিপমেন্ট সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)

✅ ধাপ ৫: বিল অব এন্ট্রি দাখিল
📌 একজন C&F এজেন্ট নিয়োগ করুন এবং ASYCUDA World (কাস্টমস পোর্টাল) এর মাধ্যমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করুন।

✅ ধাপ ৬: মূল্যায়ন ও শুল্ক নির্ধারণ
📌 কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাচাই করবে:
• ঘোষিত মূল্য
• CD, VAT, AIT, SD ইত্যাদি শুল্ক
• HS কোডের যথার্থতা

✅ ধাপ ৭: শারীরিক পরীক্ষা (যদি প্রযোজ্য হয়)
📌 কাস্টমস চ্যানেলের ভিত্তিতে:
• Green Channel: স্বয়ংক্রিয় ছাড়
• Yellow/Red Channel: ম্যানুয়াল চেক/সম্পূর্ণ পরীক্ষা

✅ ধাপ ৮: শুল্ক ও কর পরিশোধ
📌 প্রযোজ্য কাস্টমস ডিউটি ও ট্যাক্স অনলাইনে বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করুন।

✅ ধাপ ৯: কাস্টমস ছাড়পত্র ও ডেলিভারি অর্ডার
📌 সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস ছাড়পত্র এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেলিভারি অর্ডার (DO) সংগ্রহ করুন।

✅ ধাপ ১০: পণ্য সংগ্রহ
📌 গুদাম/বন্দর থেকে পণ্য সংগ্রহ করুন এবং C&F এজেন্ট ও শিপিং লাইন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করুন।



📌 সম্পৃক্ত সংস্থাগুলো:
• জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)
• প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক (CCI&E)
• বাংলাদেশ ব্যাংক
• BSTI, DoE, ড্রাগ প্রশাসন
• বন্দর ও শিপিং এজেন্ট

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
• ভুল HS কোড বা তথ্য গোপন করলে জরিমানা হতে পারে
• বন্ডেড গুদাম আমদানি প্রক্রিয়া আলাদা
• সর্বশেষ SRO ও নীতিমালা অবশ্যই যাচাই করুন



📦 আমদানি কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এই প্রক্রিয়াটি জানা আবশ্যক — এটি সময়, খরচ ও ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

শোক সংবাদঃ-*************চট্টগ্রাম বন্দর এর সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার জনাব মোঃ আনিস সাহেব এর  শ্রদ্ধেয় পিতার মৃত্যুতে গভ...
06/07/2025

শোক সংবাদঃ-
*************
চট্টগ্রাম বন্দর এর সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার জনাব মোঃ আনিস সাহেব এর শ্রদ্ধেয় পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
আল্লাহ মরহুমের জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুক আমীন।

সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন। গত শনিবার ও রোববার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা শ...
02/07/2025

সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন।
গত শনিবার ও রোববার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) মধ্যরাতে এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানা গেছে। যদিও গত সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, সঠিকভাবে সেবা প্রদান করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ তার পদত্যাগ দাবিতে শনিবার (২৮ জুন) থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগ দেন।

আন্দোলন থামাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৯ জুন) রাতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ। আর রোববারই ঐক্য পরিষদের সভাপতি-সহসভাপতিসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের ঘোষণা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিউমুরিং টার্মিনাল আপাতত পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী!! পূর্বের সকল শ্রমিকদের চাকুরীতে বহাল রেখেই হবে সকল...
29/06/2025

নিউমুরিং টার্মিনাল আপাতত পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী!! পূর্বের সকল শ্রমিকদের চাকুরীতে বহাল রেখেই হবে সকল কার্যক্রম!!

আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে চবক এর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় মাননীয় উপদেষ্টা জানান, OTM (Open Tender Method) হওয়ার পূর্বে এনসিটি বাংলাদেশ নৌ বাহিনী পরিচালনা করবে। এই বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সহায়তা চান এবং নৌ বাহিনীকে এনসিটি পরিচালনার কাজ দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।

বর্তমানে এনসিটি পরিচালনাকারী সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৬ জুলাই। এরপর বন্দরের ব্যবস্থাপনায় টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, ০৬ জুলাই থেকে এনসিটি পরিচালনার কাজ বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন চলমান থাকবে এবং অপারেটর নিয়োগের কাজও চলমান থাকবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় তারা এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনার জন্য ১৫০ জন অপারেটরের লিস্ট করেছে, এটা তারা নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। তারা প্রত্যেক শ্রমিককে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, কোন শ্রমিকের চাকরি যাবেনা এবং এটা সরকার নিশ্চিত করবে। পরিশেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, OTM (Open Tender Method) হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ৩-৬ মাস নৌ বাহিনী যৌথভাবে এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনা করবে। এইসময়ে এনসিটি টার্মিনালে যেসকল শ্রমিক অপারেটর কাজ করবে তাদের চাকরির নিশ্চয়তা সরকার প্রদান করবে।

এনসিটি পরিচালনার কাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রদান করা হলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী দক্ষতার সাথে উক্ত দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের গেটগুলোয় গতকাল কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ডিপো থেকে পাঠানো হয়নি রফতানি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্...
29/06/2025

চট্টগ্রাম বন্দরের গেটগুলোয় গতকাল কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ডিপো থেকে পাঠানো হয়নি রফতানি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান |

পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাবে গতকাল দেশের কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনগুলোয় বন্ধ ছিল আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম। স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সরকারের দিক থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও নিজেদের দাবিতে অনড় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি আজও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এতে অচলাবস্থা আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এনবিআর কার্যক্রমকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগে পৃথক্‌করণের অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই দেড় মাস ধরে আন্দোলন করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে অপসারণের আলটিমেটাম দেয়া হয়। তাদের এ দাবি না মানায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে শুরু হয় ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। এর ফলে সারা দেশের কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনগুলোয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তাতে স্থবির হয়ে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য। হুমকির মুখে পড়েছে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, সিরামিক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ওষুধসহ দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাত। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আন্দোলনকারী ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, এনবিআরের অচলাবস্থায় শুধু তৈরি পোশাক শিল্পে দৈনিক ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। আর এটার পুনরুদ্ধারে যা লাগবে সেটা অকল্পনীয়। এ খাতের অনেক ফ্যাক্টরি দেউলিয়া হয়ে যাবে।

এদিকে জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে চলছে স্থবিরতা। কাস্টমের কর্মীরা আন্দোলনে থাকায় পণ্যের শুল্কায়ন, বিল অব এন্ট্রি দাখিলসহ অন্যান্য কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে আমদানি কার্যক্রম স্থবির হওয়ার পাশাপাশি রফতানি পণ্যের জাহাজীকরণেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। বন্দরের গেট ও স্ক্যানিং বিভাগে কাস্টম কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গতকাল সকাল থেকেই ডিপোগুলো থেকে রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যায়নি। ফলে সময়মতো জাহাজে পণ্য তুলে দিতে না পারায় হুমকির মুখে পড়েছে রফতানি।

বেসরকারি ডিপো সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শুল্কায়নের পরই রফতানি পণ্য ডিপোগুলো থেকে এনে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেয়া হয়। ১৯টি ডিপো থেকে প্রতিদিন বন্দর দিয়ে গড়ে দুই হাজার একক কনটেইনার পণ্য রফতানি হয়। চট্টগ্রামের এসব ডিপো থেকে গতকাল কোনো রফতানি পণ্যের চালান পাঠানো যায়নি জাহাজে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে। আবার রফতানির নতুন কোনো চালানের নথিও শুল্কায়ন করেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজার রফতানি চালান শুল্কায়ন হলেও গতকাল থেকে এ শুল্কায়ন প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ বন্ধ। আগের কর্মসূচিতে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলোয় কাঁচামাল ছাড় করাতে বাধাগ্রস্ত হলেও এবার সরাসরি রফতানিমুখী চালান জাহাজীকরণেই বাধার মুখে পড়েছেন রফতানিকারকরা। ডিপোগুলোয়ও রফতানি পণ্যের কনটেইনার আটকে পড়েছে। আবার কারখানা থেকে কাভার্ডভ্যানে আনা রফতানি পণ্যবাহী গাড়িও আটকে আছে।

বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘কাজকর্ম সবই বন্ধ হয়ে আছে ডিপোগুলোয়। শুল্কায়ন হয়ে যাওয়া রফতানি পণ্য নিয়েও কাভার্ড ভ্যান পাঠানো যাচ্ছে না বন্দরে নিয়ে জাহাজে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে। কারণ বন্দরের প্রবেশ গেটে কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় স্ক্যানিংসহ অনুমতি মিলছে না। আবার ডিপোগুলোয় আসা আমদানি-রফতানি কোনো পণ্যের চালানেই নতুন করে অ্যাসেসমেন্ট করছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।’

বেনাপোল কাস্টম হাউজেও দেখা যায় একই চিত্র। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ আমদানি-রফতানিসংক্রান্ত শুল্কায়নের কাজ। কোনো পণ্যই খালাস হয়নি। ফটকে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়ে বাইরের কাউকে কাস্টম কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এনবিআরের অনলাইন সার্ভারও। ফলে আমদানি-রফতানিসংক্রান্ত কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা যায়নি।

এনবিআরের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আগামী ১ জুলাই অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসার দিন নির্ধারণ করা রয়েছে। তবে গতকালের মার্চ টু এনবিআর ও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি আজও (রোববার) তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ কর্মসূচির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া আজ সারা দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বক্তব্য দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও ভ্যাট গোয়েন্দার অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সিনিয়র সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা। ‘রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে’ এনবিআর সংস্কার বিষয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

এ আন্দোলনের কারণে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশ প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর নবনিযুক্ত প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কোনো কর্মসূচিতে রফতানি খাত সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমরা এবার এ রকম একটা অভিজ্ঞতাও পেলাম। এটা ওয়ান কাইন্ড অব টেরোরিজম। বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে তাতে বলতে হচ্ছে “‍জেনোসাইড অব দ্য বিজনেস কমিউনিটি ইন বাংলাদেশে।” আমাদের এখন বলতে হচ্ছে, বিজনেস কমিউনিটি এ জেনোসাইডের জন্য চার্জ করার অপরিহার্যতা তৈরি হয়েছে। এটা তো আমাদের রফতানিকারকদের শুধু বিপদে ফেলেনি, বরং দেশের অর্থনীতি খাদে পড়ছে। এসবের মূল্য কত দিক থেকে দিতে হবে সেটা মনে হয় ধারণাও করতে পারছে না কেউ। দেশের পুরো রফতানি যায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে, যেখানে আজ (শনিবার) গেটে যাচাই বন্ধ করে দেয়ায় পণ্যের চালান বেরও হচ্ছে না আবার প্রবেশও করতে পারেছে না। এখন যেসব রফতানি চালানের ডেলিভারি শিডিউল মিস হবে এটার দায় আসলে কে বা কারা নেবে, সেটাও আমরা জানি না। যা কিছু ঘটে চলেছে এর প্রভাব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কতটা পড়বে এর কোনো ধারণা কি আছে? একটা সমস্যা হতেই পারে এজন্য ডায়ালগ (আলোচনা) হতে পারে।’

কাস্টমসের শুল্কায়ন ও শুল্ক-কর পরিশোধের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গড়ে দৈনিক চার হাজার কনটেইনার খালাস হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গতকাল পণ্য খালাসের হার শূন্যে নেমে এসেছে।

গালফ বিডি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ও চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক আলমগীর বলেন, ‘আমার পাঁচটা চালানে কাঁচ শিল্পের কেমিক্যালের কাঁচামাল ও মেশিনারিজ খালাস করে নেয়ার কথা। কিন্তু পণ্য ছাড়করণের কোনো সুযোগই নেই। শুল্কায়ন প্রক্রিয়া থেকে খালাস কার্যক্রম সবকিছু বন্ধ।’

আমদানি ও রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। দেশের ৯০ শতাংশের বেশি আমদানি-রফতানি কার্যক্রম এ বন্দরের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এখানে সামান্য বিঘ্নও জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারে।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিদেশ থেকে চলে আসার পরও বন্দর থেকে পণ্য হাতে না পাওয়ার অর্থ হলো উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ছন্দপতন ডেকে আনছে। দেশে কয়েকদিন পর পরই নানান ইস্যুতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ পাওয়ায় ছোট কোনো বাধাও যেখানে বড় সমস্যা তৈরি করে সেখানে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি ফেস করতে হচ্ছে। পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া থেমে যাওয়ায় বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও উৎপাদন খাতে।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে থেকে নিবন্ধন করা জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো কার্যক্রম এখনো চালু রয়েছে। তবে এনবিআরের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে নতুন করে বন্দরের জলসীমায় আসা জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ পাবে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘এটা এমন একটা প্রক্রিয়া, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি সক্রিয় না হয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের স্থবিরতা কোনোভাবে কাটবে না। বরং আগামীকালও (রোববার) যদি এভাবে কন্টিনিউ করে তা বন্দর পরিচালনের জন্যও মারাত্মক একটা পরিস্থিতি তৈরি করবে। কারণ গেটে কাস্টমসের যাচাই কাজ বন্ধ থাকায় শনিবার সকাল থেকে রফতানিপণ্যবাহী কনটেইনারও বন্দরের ভেতর ঢুকতে পারেনি।’ তাই তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানান বন্দর সচিব।

এর আগে কাস্টমসের কলমবিরতি কর্মসূচি চলাকালে আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও সচল ছিল রফতানি কার্যক্রম। তবে এবারই প্রথম রফতানি কার্যক্রমে বাধা এসেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেন, ‘আমদানি পণ্যের যেগুলোয় ইনডেন্ট দেয়া আছে অর্থাৎ আজই ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোও বের হতে পারেনি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায়। এ প্রথমবারের মতো যেটা ঘটল, রফতানি পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ করে দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আবার কমপ্লিট শাটডাউন বাস্তবায়নের আগে অ্যাসেসমেন্ট হয়ে যাওয়া রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনারও চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। কারণ বন্দর গেটে প্রতিটি কনটেইনার প্রবেশ করার সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরযুক্ত অনুমোদন লাগে, যেটা বাধ্যতামূলক। জাহাজে তুলে দেয়ার জন্য ডিপো থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে আসা যানবাহনও বন্দরে প্রবেশের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিলছে না।’

পৃথিবীতে কোথাও যদি যুদ্ধও হয় সেখানেও কিছু নীতিমালা মানা হয় মন্তব্য করে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের এ পরিচালক বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ জরুরি সেবাগুলোয় ওই সময় আঘাত হানা হবে না। বাংলাদেশের রফতানি সেক্টরটা তো সেরকমই একটা জরুরি সেবা। এটা যেকোনো পরিস্থিতিতে খোলাও থাকত। এর আগেও কাস্টমসের কলমবিরতিতে যেসব কর্মসূচি ছিল তাতে আমদানি প্রক্রিয়ায় বাধা এলেও রফতানি কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হতো। এবারই প্রথম রফতানি পণ্যের জাহাজীকরণে সরাসরি বাধা দেয়া হলো। এটা এমন একটা ভয়াবহ সিগন্যাল যেটা জাহাজ জট তো তৈরি করবেই, আবার আমাদের ট্রান্সশিপমেন্ট পয়েন্টগুলোয় মাদারভেসেল ফেল করবে। কারণ ওইসব মাদারভেসেলের সঙ্গে ফিডার ভেসেলগুলোর সময় সেট করা আছে।’

এ প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কাস্টম হাউজগুলো সচল করার চেষ্টা করছেন বলে সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আজ আলোচনার জন্য ঐক্য পরিষদকে ডাকা হয়েছে। তবে আলোচনায় বসতে হলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আসতে হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এর পরও ঐক্য পরিষদ নমনীয় না হলে সরকার কঠোর হবে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গত শুক্রবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল, ‘কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে, অফিস থেকে বেরিয়ে গেলে কিংবা দেরিতে অফিসে এলে সরকারি বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ অফিসে উপস্থিত থেকে করদাতাদের সেবা দেয়ার এ নির্দেশনা অমান্য করেই গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল, কাস্টম হাউজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এনবিআর ভবনের সামনে এসে জড়ো হন। বাদ যাননি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও, এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি), আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট, কাস্টমস গোয়েন্দা ও ভ্যাট গোয়েন্দার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
তবে ‘মার্চ টু এনবিআর’ গতকালের এ কর্মসূচিতে এনবিআরের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

এদিন বেলা ৩টায় আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার কমিশনার ও কয়েকজন কর্মকর্তার দপ্তর ছাড়া বাকিদের চেয়ার খালি। তাদের সবাই আন্দোলনে গেছেন বলে জানা যায়। ইউনিটটির অতিরিক্ত কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) বেগম সেহেলা সিদ্দিকা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব। সম্প্রতি বদলি করাদের মধ্যে উপকর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিলও এখানকার কর্মকর্তা।

কর্মকর্তাদের অফিসে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা ইউনিটটির কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রকিব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমার কর পরিদর্শকদের কেউ যায়নি। স্টাফদের কেউ যায়নি। যেহেতু মহাসচিব এখানকার, সে কারণে হয়তো কেউ কেউ গেছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান ও সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব অবশ্য অফিসে উপস্থিত না থাকাদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

Address

Chittagong

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801770485185

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pakshi Transport Agency posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share