Pakshi Transport Agency

Pakshi Transport Agency PAKSHI TRANSPORT AGENCY

“Bond Factory মানেই বিদেশে রপ্তানি — Non-Bond মানেই দেশের জন্য পোশাক।দুইটাই আমাদের গর্ব, কারণ দুটোই বাংলাদেশের নাম বিশ্ব...
07/11/2025

“Bond Factory মানেই বিদেশে রপ্তানি — Non-Bond মানেই দেশের জন্য পোশাক।
দুইটাই আমাদের গর্ব, কারণ দুটোই বাংলাদেশের নাম বিশ্বে ছড়াচ্ছে!”

👉গার্মেন্টস বা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে Bond Factory আর Non-Bond Factory — এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিচে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি 👇

🏭 Bond Factory (Bonded Factory)

🔹 যেসব ফ্যাক্টরি শতভাগ রপ্তানিমুখী (100% Export Oriented) — তারা Bond License পায়।
🔹 মানে, তারা বিদেশি ক্রেতার জন্য (Buyer) পোশাক তৈরি করে এবং দেশের বাজারে বিক্রি করতে পারে না।
🔹 এরা কাঁচামাল (যেমন: ফ্যাব্রিক, অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি) শুল্ক (Duty/Tax) ছাড়া আমদানি করতে পারে।
🔹 এই সুবিধা পায় কারণ তারা সব প্রোডাক্ট রপ্তানি করে — দেশের বাইরে বিক্রি হয়।

📦 Example:
একটি Buying House থেকে ইউরোপের H&M অর্ডার দিয়েছে।
বাংলাদেশের Bonded Factory সেই পোশাক তৈরি করে H&M-কে রপ্তানি করবে।

🧵 Non-Bond Factory

🔹 এরা দেশীয় বাজারের জন্য (Local Market) প্রোডাকশন করে।
🔹 বিদেশি ক্রেতার জন্য নয়, বরং দেশের দোকান, ব্র্যান্ড বা অনলাইন বিক্রির জন্য কাজ করে।
🔹 এদের কাঁচামাল কিনতে হয় ট্যাক্স-সহ (with duty)।
🔹 Non-bond factory রপ্তানি করতে পারে না (unless they go through bonded facility via 3rd party exporter)।

📦 Example:
দেশীয় ব্র্যান্ড “Yellow” বা “Cats Eye”-এর জন্য পোশাক বানানো ফ্যাক্টরি।

আশা করি আমার এই পোস্টগুলো টেক্সটাইলেই স্টুডেন্ট এর জন্য উপকারী হবে। অথবা জেনারেলের যারা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করতে চায় তাদের কাজে। আমাকে ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন গার্মেন্টসের বিষয়গুলো আমি share করব

#মাদেঈনবাংলাদেশ

আমাদের অনিয়মের কারনেই আজ অধিকাংশ দেশে ভিসা পেতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।। ভিসা পায় ভ্রমণের জন্য কিন্তু গিয়ে কাজ করে।ভিসা পায়...
07/11/2025

আমাদের অনিয়মের কারনেই আজ অধিকাংশ দেশে ভিসা পেতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।।
ভিসা পায় ভ্রমণের জন্য কিন্তু গিয়ে কাজ করে।
ভিসা পায় উমরাহ এর জন্য কিন্তু গিয়ে মিটিং করে।
ভিসা পায় হজ্জ করার জন্য কিন্তু গিয়ে ভিক্ষা করে।
আজিব মানুষ আমরা সব!!

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ছোট্ট দ্বীপ সোনাদিয়া। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপটির আয়তন নয় বর্গকিল...
01/11/2025

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ছোট্ট দ্বীপ সোনাদিয়া। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপটির আয়তন নয় বর্গকিলোমিটার। চারদিক দিয়ে জলরাশিতে আচ্ছাদিত এ ভূখণ্ডে মিলেছে ভারী প্রাকৃতিক খনিজ ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল ও মোনাজাইট।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ছোট্ট দ্বীপ সোনাদিয়া। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপটির আয়তন নয় বর্গকিলোমিটার। চারদিক দিয়ে জলরাশিতে আচ্ছাদিত এ ভূখণ্ডে মিলেছে ভারী প্রাকৃতিক খনিজ ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গারনেট, জিরকন, রুটাইল ও মোনাজাইট। সোনাদিয়ায় এ ধরনের মূল্যবান খনিজ সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক সাত লাখ টন। তবে গারনেট ও ইলমেনাইটের আধিক্যই সবচেয়ে বেশি। মূল্যবান এ সম্পদের আর্থিক হিসাব না মিললেও বাণিজ্যিকভাবে তা উত্তোলন করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা।

সোনাদিয়া দ্বীপের মূল্যবান সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা জার্নাল ‘ডিসকভার জিওসায়েন্স’। নিউজিলান্ডের ডুনেডিনের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার গবেষক মো. শাখাওয়াত হোসেন, মো. শাহরিয়ার রহমান, গোলাম তাকি ও মাফতুহা জাহান গবেষণাটি করেছেন।

‘জিওলজিক্যাল ক্যারিক্টারাইজেশন অ্যান্ড রিজার্ভ এক্সিমেশন অব দ্য ইকোনমিক হেভি মিনারেলস অব সোনাদিয়া আইল্যান্ড, বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণার মাধ্যমে দ্বীপের বিভিন্ন দিক তুলে আনা হয়। এর মধ্যে সোনাদিয়ার ভারী খনিজ সম্পদের পরিমাণ, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক মূল্য এবং দ্বীপের আধারে লুকিয়ে থাকা খনিজের প্রভাবকে দেয়া হয় বেশি গুরুত্ব। বালির নমুনা পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, দ্বীপটিতে গারনেটের পরিমাণ ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ইলমেনাইট ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া ম্যাগনেটাইট ৫ দশমিক ৭৪, জিরকন ১ দশমিক শূন্য ১, রুটাইল ৩ দশমিক ৫৭ ও মোনাজাইট দশমিক শূন্য ১ শতাংশ পাওয়া গেছে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মূল্যবান খনিজ ইলমেনাইট, রুটাইল, গারনেট, জিরকনসহ বিভিন্ন ম্যাগনেটাইটের উপস্থিতি উঠে এসেছে স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও মাঠ সমীক্ষায়। সোনাদিয়া দ্বীপের বালিয়াড়িতে মূল্যবান ভারী খনিজ পদার্থের ঘনত্ব সৈকতের অন্য অংশ তীর (ফোরশোর) ও তীরবর্তী এলাকার (ব্যাকশোর) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বলে দাবি করেন গবেষকরা। তারা জানান, দ্বীপে মজুদ থাকা ভারী খনিজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকা গারনেট বালিয়াড়ির বালিতে রয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৮ টন। এছাড়া সমুদ্রের তীরের (ফোরশোর) বালিতে ১৯ হাজার ৭৯৪ টন ও তীরবর্তী এলাকার (ব্যাকশোর) বালিতে রয়েছে ৪৭ হাজার ৩২৪ টন গারনেট। বালিয়াড়ির বালিতে ইলমেনাইটের পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৯২ টন। আর ফোরশোরে ১৫ হাজার ১৬ টন ও ব্যাকশোরে খনিজটির পরিমাণ ৩০ হাজার ৪৮৭ টনের মতো। সমুদ্রের ঢেউ, স্রোত এবং প্রকৃতিগতভাবে সোনাদিয়া অঞ্চলে নতুন নতুন পলি জমার কারণে মূল্যবান এ খনিজ সম্পদ ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।

গবেষণায় দ্বীপটিতে যে পরিমাণ ভারী খনিজ সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা যৎসামান্য বলে মনে করে ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি (আইএমএমএম)। সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপে সাত লাখ টনের যে হেভি মিনারেল (ভারী খনিজ) পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, এটা খুবই যৎসামান্য। এ সম্পদ বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে কিনা তা আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী ও সোনাদিয়া দ্বীপের ভারী খনিজ সম্পদ নিয়ে ১৯৮০ সালেও গবেষণা হয়। তখনকার গবেষণায় ওই অঞ্চলে ২১ মিলিয়ন (২ কোটি ১০ লাখ) টন ভারী খনিজ সম্পদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়। বালি থেকে হেভি মিনারেলকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। তবে এটা অনেক ব্যয়বহুল ব্যাপার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কতটা লাভজনক হবে সে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।’

ভৌগোলিক ও ব্লু ইকোনমির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সোনাদিয়া দ্বীপ। এরই মধ্যে সেখানকার পর্যটন শিল্পসহ মৎস্য শিল্প দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। গত বছর এ দ্বীপে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দসংক্রান্ত একটি চুক্তি নিয়ে এগোয় অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এ পার্কসংক্রান্ত ওই চুক্তির বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, সরকার এখন নদীর বালিকে প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছে। এজন্য লজিস্টিক সক্ষমতার প্রকল্পও নেয়া হয়েছে এরই মধ্যে। তবে সমুদ্র বা দ্বীপাঞ্চলের বালি নিয়ে সরকার এখনই ভাবছে না। প্রতি বছর নদীতে যে পরিমাণ পলি আসে তার ১০ ভাগও যদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারী খনিজের বাণিজ্যিক ব্যবহার করা যায় তাহলে বছরে ২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সোনাদিয়া দ্বীপের খনিজ সম্পদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপের ব্যাপারে আমাকে জানতে হবে। তবে সরকার নদীর বালি প্রক্রিয়াকরণের কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে।’

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ নিয়ে করা গবেষণায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি খনিজের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা। এতে দেখা যায় জিরকন, রুটাইল ও ইলমেনাইটের মতো খনিজগুলোয় তাদের মূল উপাদানগুলো উচ্চ ঘনত্বে বিদ্যমান। এছাড়া অ্যাম্ফিবোল, মাস্কোভাইট, কোয়ার্টজসহ অন্যান্য খনিজের উপস্থিতি ও পরিমাণও নির্ণয় করা হয়েছে গবেষণায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে চিহ্নিত খনিজগুলোর মধ্যে ইলমেনাইট ও রুটাইল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো থেকে উৎপাদিত টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইড রঙ, প্লাস্টিক, কাগজের আবরণ এবং বিশেষ ধাতু মিশ্রণের জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। জিরকন সিরামিক, কাচ ও ঢালাইয়ের কাজে উচ্চ তাপসহনীয়তা তৈরি করে এবং উৎপাদিত পণ্যে এনে দেয় চাকচিক্য। কেটে এ খনিজকে পলিশ করলে মূল্যবান রত্ন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। গারনেট জেট-কাটিং ও পলিশে অসাধারণ অ্যাব্রেসিভ (মসৃণ কাজে ব্যবহৃত পদার্থ) হিসেবে এবং গহনা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। মোনাজাইটে থাকে দুর্লভ উপাদান, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানির টারবাইন থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকসেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ম্যাগনেটাইট লোহা-ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল, আর কায়ানাইট রি-ফ্র্যাক্টরি ইট ও বিশেষ সিরামিকের জন্য দরকারি। অবকাঠামো নির্মাণ, পেইন্ট-প্লাস্টিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারের এসব খনিজের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বালি বিক্রির বদলে খনিজ পৃথক, শোধন ও ব্র্যান্ডিংভিত্তিক রফতানির সুযোগ রয়েছে বহু গুণ।

দেশের দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বালিতে থাকা ভারী খনিজ উত্তোলনে তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা মিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের দেশের নদীবাহিত এলাকার চরাঞ্চলে এবং সমুদ্রের দ্বীপ এলাকায় ভারী খনিজ পদার্থ রয়েছে। সরকার এরই মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। বিশেষ করে যমুনার চরে হেভি মিনারেলগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য একটা প্রতিষ্ঠানকে সরকার লাইসেন্সও দিয়েছে।’

দ্বীপাঞ্চলে থাকা খনিজ নিয়ে সঠিক গবেষণা প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা মিয়া বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপের মতো এলাকায় অবশ্যই হেভি মিনারেল আছে। আমার পরামর্শ হলো, এসব খনিজ সম্পদ নিয়ে সঠিক স্টাডি হওয়া প্রয়োজন। সরকার এরই মধ্যে চেষ্টা করছে। তবে শুরুতেই বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে যেন স্টাডি করা না হয়। কেন না, এসব খনিজ পদার্থের সঙ্গে অনেক রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট আছে, যেগুলো খুবই দামি। উন্নত দেশগুলো যেগুলো হন্যে হয়ে খুঁজছে। এ ধরনের এলিমেন্ট আমাদের দেশে থাকার সুযোগ আছে। তাই এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ধীরেসুস্থে সঠিকভাবে স্টাডি করে আমাদের সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হোক।’

31/10/2025

ইসলামের দৃষ্টিতে, একজন সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে থাকেন এবং তিনি নবী, সিদ্দিক (সত্যবাদী) এবং শহীদদের সাথে স্থান পাবেন। এই মর্যাদা পেতে হলে, ব্যবসায়ীকে অবশ্যই হালাল ও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে ব্যবসা করতে হবে, সুদ ও ঘুষ পরিহার করতে হবে, এবং সকল লেনদেনে সততা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে হবে।

31/10/2025
🔰 দালালদের অধিকাংশই কার্মকর্তা- কর্মচারীদের আত্মীয় স্বজন। কে কার আত্নীয় স্বজন?
31/10/2025

🔰 দালালদের অধিকাংশই কার্মকর্তা- কর্মচারীদের আত্মীয় স্বজন। কে কার আত্নীয় স্বজন?

ঢাকার পার্শ্ববর্তী শিল্প অধ্যুষিত এলাকার একটি পাদুকা কারখানার ইউনিট সম্প্রতি বন্ধ (লে-অফ) ঘোষণা করা হয়েছে। গত প্রায় দেড় ...
31/10/2025

ঢাকার পার্শ্ববর্তী শিল্প অধ্যুষিত এলাকার একটি পাদুকা কারখানার ইউনিট সম্প্রতি বন্ধ (লে-অফ) ঘোষণা করা হয়েছে। গত প্রায় দেড় বছর পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন চালানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ও রফতানি বাজারের অন্যতম বৃহৎ এ কারখানাটির উদ্যোক্তা। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হারে বাড়তে থাকায় কারখানার একটি ইউনিট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারখানার ইউনিট বন্ধ করার মতো এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পুঁজিঘন বস্ত্র শিল্পের সুতা ও কাপড়ের কিছু কারখানাও। বস্ত্র ও পাদুকা ছাড়া অন্য উৎপাদন খাতের শিল্প-কারখানার পরিস্থিতিও নাজুক বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ কিংবা সক্ষমতা কোনোটাই তাদের নেই। বিনিয়োগ খরার কারণে সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন, দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। এমনকি কভিডকালের চেয়েও এ সময়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বছর পাঁচেক আগে কভিড মহামারীকালে লকডাউনের কারণে পুরো বিশ্ব একরকম থমকে গিয়েছিল। শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবকিছুই বন্ধ ছিল সে সময়। বৈশ্বিক মহামারীর সে বছর বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে দশমিক ২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে কভিডকালে কর্মযজ্ঞ থেমে যাওয়ার মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি না থাকলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার বৃদ্ধি, কাঁচামালের দামে ঊর্ধ্বমুখিতা এবং জ্বালানি সংকটের কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটি ৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে যায়। কভিডের কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র দশমিক ২ শতাংশ। তবে লকডাউন তুলে নেয়ার পর অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়ায়। এর পরের ২০২১-২২ অর্থবছরে এটি আরো বেড়ে হয় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। অবশ্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধিতে বড় ধস নামে। সে অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে মাত্র দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রাক্কলন করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরটি যেমন গেছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছিল যে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হবে। সেক্ষেত্রে সামান্য হলেও তো ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক্ষেত্রে মূল কথা হচ্ছে যে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে ছিল ও আছে। যদি ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে তাহলে আমরা প্রত্যাশা করতে পারি যে সামনের অর্থবছরে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে জ্বালানির ঘাটতি আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন সরকার এসে যদি জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারে এবং আর্থিক খাতের অবনতি না হয় তাহলে সামনের অর্থবছরে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

দেশের বস্ত্র খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ খাতের কিছু কারখানা আগে দৈনিক তিনটি শিফটে উৎপাদন পরিচালনা করত। কিন্তু এখন সেগুলোতে চলছে দুই শিফট। আবার কেউ কেউ মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে কারখানা সচল রেখেছেন। কিছু কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) তথ্য অনুযায়ী গত ছয় মাসে এ ধরনের পরিস্থিতিতে থাকা কারখানার সংখ্যা ২০ থেকে ২২টি। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রড-সিমেন্টের কারখানাগুলো ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশের বেশি সক্ষমতায় চলতে পারছে না। কারণ চাহিদা নেই। সরকারের কাজ বন্ধ, আবার আবাসনেও কিছু হচ্ছে না। ছোট ছোট অনেক শিল্প বসে গেছে। গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। বাজারে চাহিদা নেই। মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ এখন রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করতে যাচ্ছে না, কাপড় কেনা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোমল পানীয়ের শিল্প বন্ধ হওয়ার তথ্য শুনতে পাচ্ছি। টেক্সটাইল শিল্পের কারখানাও বন্ধ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অনেকে কম সক্ষমতায় কারখানা সচল রেখেছেন।’

শিল্প ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খারাপ অবস্থার কারণে মানুষ ঘরের বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ রয়েছে এমন বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে গ্যাসের অভাবে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। কেউ এখন সম্প্রসারণের কথা ভাবতে পারছেন না। সরকার কারো কোনো কথা শুনছে না। কোনো ব্যবসায়ীর সমস্যা শুনতে সরকার আগ্রহী না। এ রুগ্‌ণ পরিস্থিতি আরো তীব্র হবে। সবাই এখন শুধু টিকে থাকতে চাচ্ছে। নির্বাচন ছাড়া এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ব্যবসায়ীদের আস্থা নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া এ অস্বস্তির পরিবেশ থেকে বের হওয়া কঠিন হবে।’

বস্ত্র ও পাদুকা খাতের মতো প্রায় একই অবস্থা অন্য উৎপাদন খাতের কারখানায়ও। অধিকাংশ কারখানা বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। রড-সিমেন্ট থেকে শুরু করে কোমল পানীয় কারখানা পর্যায়ক্রমে রুগ্‌ণ হতে শুরু করেছে।

সিমেন্ট শিল্প খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যমান সিমেন্ট কারখানাগুলো সক্ষমতার মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন করতে পারছে, যা শিল্পের পূর্ণ সম্ভাবনার তুলনায় অত্যন্ত কম। এর মূল কারণ হিসেবে তারা অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদার অস্থিরতার কথা বলছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সরবরাহ শৃঙ্খলায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সিমেন্ট খাতে নতুন করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনও বর্তমানে নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, ‘বর্তমানে সিমেন্টের উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। সরকারিভাবে প্রজেক্ট নেই, নতুনভাবে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে না। আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছে। এসবই মূল কারণ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মূল্যায়নেও দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতার চিত্র উঠে আসছে। তবে একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে এ স্থবিরতা কাটতে শুরু করবে।’

অদূর ভবিষ্যতে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ না বাড়লে অর্থনীতির গতি শ্লথ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত ‘মাসিক সামষ্টিক অর্থনীতি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা খাতে মন্দার কারণে বছরের শেষ প্রান্তিকে তা ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমে যায়। ফলে গত অর্থবছরে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে। মূলত দুর্বল বিনিয়োগ পরিবেশ, রফতানি প্রবৃদ্ধির স্থবিরতা ও বিনিয়োগ না আসার কারণেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ দশা। এতে আরো বলা হয়, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ২৩ বছর পর গত আগস্টে সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমে আসে। উচ্চ সুদহার, কঠোর মুদ্রানীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমিয়ে আনা গেছে। তবে মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চেয়ে পিছিয়ে থাকায় প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।

নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠায় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে। এক বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও রফতানি আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্প খাতের মৌলিক তিনটি উপকরণের (মূলধনি যন্ত্রপাতি, মধ্যবর্তী পণ্য ও কাঁচামাল) আমদানি এলসি খোলার প্রবণতা নিম্নমুখী। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি এলসি ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, মধ্যবর্তী পণ্যের এলসি ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে বিনিয়োগ খরা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও ভোগ ব্যয় কমে যাওয়ার প্রভাব রয়েছে।

বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলধনের অন্যতম উৎস হচ্ছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগ খরার কারণে পুঁজিবাজার থেকেও মূলধন সংগ্রহে আগ্রহী হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। গত এক বছরে উৎপাদন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ১২টি কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায় ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এক বছরে এত কমসংখ্যক কোম্পানির কাছ থেকে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা এর আগে কখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিও এখন কভিডের সময়ের তুলনায় কম। চলতি বছরের আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি বছরের জুনে দেশের বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি ইতিহাসের সর্বনিম্নে নেমে এসেছিল। আর জুলাই ও আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণ স্থিতি প্রবৃদ্ধি নয়, বরং ঋণাত্মক ধারায় চলে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস তথা জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আগস্টে এসে এ ঋণ স্থিতি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ঋণ স্থিতিতে প্রবৃদ্ধি না হয়ে বরং ঋণাত্মক ধারায় নেমে গেছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তিন অর্থবছর ধরে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংকোচনমুখিতার অংশ হিসেবে গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর শেষে সে লক্ষ্যের ধারে-কাছেও যেতে পারেনি দেশের ব্যাংক খাত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে এনে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু আগস্ট শেষে এ লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য জানাচ্ছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি অর্থবছরের একই মাস পর্যন্ত এক বছরে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

বেসরকারি খাতের বিরাজমান ঋণ প্রবৃদ্ধিকে ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন বলে আখ্যায়িত করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। সরকারের এ বিভাগের সেপ্টেম্বরের ‘ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুক’-এ বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে থাকা এ প্রবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ, উচ্চ সুদহার, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংকগুলোর সতর্ক ঋণনীতির প্রতিফলন।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাড়ানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার (রেপো রেট)। এর পর থেকে ক্রমাগতভাবে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। নীতি সুদহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়। এ নীতি সুদহার এখনো বহাল রয়েছে। নগদ টাকার (তারল্য) সংকট ও নীতি সুদহার বাড়ানোর প্রভাবে ২০২৩ সালের জুন থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ থেকে বেড়ে এখন প্রায় ১৬ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও সুদহার বৃদ্ধির কোনো সুফল জনগণ পাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বরং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি যখন সর্বনিম্ন, তখনো মূল্যস্ফীতির হার উসকে উঠতে দেখা গেছে।

ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, ব্যাংকগুলো সে অর্থে নতুন কোনো ঋণই বিতরণ করছে না। বার্ষিক ভিত্তিতে ঋণের যে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, সেটিও অনাদায়ী সুদ ও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব থেকে এসেছে। বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহে এতটা খরা এর আগে দেখা যায়নি। যদিও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস হলো বেসরকারি খাত। পণ্য উৎপাদন, বিপণন কিংবা সেবা খাতের বড় অংশ বেসরকারি উদ্যোগনির্ভর। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ বাড়ানো সম্ভব না হলে দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরবে না।

ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিচ্ছে না, অন্যদিকে উদ্যোক্তারাও নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ ব্যাংকে ঋণ শুরু হয় আমদানির এলসি খোলা থেকে। গত দুই বছর আমদানি পরিস্থিতি ভালো নেই। মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ব্যাংকগুলো সে অর্থে নতুন কোনো ঋণই দিচ্ছে না। ব্যাংকাররা এখন ঋণ না দিয়ে সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগকে বেশি নিরাপদ ও লাভজনক মনে করছেন। এ কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে।’

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ‘গত দেড় দশকে বেসরকারি খাতে যে উচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল সেটিও অস্বাভাবিক। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ বের করে নেয়া হয়েছে। যে ১১-১২টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে অস্বাভাবিক মাত্রায় ঋণ বের হতো, সেগুলো এখন পঙ্গু। পাঁচটি ব্যাংক এখন একীভূত হওয়ার পথে। এ ব্যাংকগুলোর ১ টাকা ঋণ দেয়ার সক্ষমতাও নেই।’

নিজদের বসবাসের জন্য কোনো আবাসন কোম্পানির প্রকল্পে একটি অ্যাপার্টন্টে কিনেছেন। সেখানে বাস করছেনও দীর্ঘসময় ধরে। হঠাৎ করেই ...
31/10/2025

নিজদের বসবাসের জন্য কোনো আবাসন কোম্পানির প্রকল্পে একটি অ্যাপার্টন্টে কিনেছেন। সেখানে বাস করছেনও দীর্ঘসময় ধরে। হঠাৎ করেই একদিন দেখলেন, ওই অ্যপার্টমেন্ট বা পুরো ভবন খেলাপি ঋণ আদায়ে নিলামে তুলেছে ব্যাংক। এবার ওই জায়গায় নিজের ও পরিবারের বিস্ময় ও অসহায়ত্ব কল্পনা করুন।

ঢাকায় এমন দুঃস্বপ্ন এখন শত শত ফ্ল্যাটমালিকের বাস্তবতা। কারণ, কিছু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আগে বা চলাকালীন সময়ে প্রকল্পগুলো গোপনে ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছেন, অথচ সে বিষয়ে ক্রেতাদের কখনোই জানায় না।

এরপর যখন আবাসন কোম্পানির ঋণ খেলাপি হলে— সেটি আদায়ে ব্যাংক মামলা করেছে। তখন আদালত সেই মামলার রায় ব্যাংকের পক্ষে দিয়েছে। রায়ে ওই সম্পত্তি যখন নিলামে উঠেছে, তারপরই অ্যপার্টমেন্টের ক্রেতা বা বাসিন্দারা জানতে পারছেন, আর হতবাক হয়ে পড়ছেন।

আইনি লড়াই বাড়ছে

আদালতের নথি বলছে, এরকম প্রতারণার শিকার হয়ে হাইকোর্টে নিলাম ঠেকাতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১,০৭৬ টি রিট দায়ের হয়েছে, যার সাথে জড়িত ক্রেতাদের প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ। শতাধিক আবাসন কোম্পানির বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে।

গত চার বছর ধরে এ ধরনের মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে:

২০২৪ সালে হয়েছে ৭৫৪টি রিট, যার সাথে প্রায় ১,০৫০ কোটি টাকা জড়িত।
২০২৩ সালে ৮১৩টি রিট, যার সাথে জড়িত ১,০০০ কোটি টাকা।
২০২২ সালে ৬১৮টি রিট, যার সাথে জড়িত ৮০০ কোটি টাকা।
২০২১ সালে ৫৬৯টি রিট, জড়িত ৭৫০ কোটি টাকা।
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন– রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) কাছে গত সেপ্টম্বর পর্যন্ত এরকম প্রতারণার ঘটনায় প্রায় ৩৪০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার সাথে গ্রাহকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা জড়িত।

'ক্রেতারা আইনি অন্ধকারে'

রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে এরমধ্যে ৫০ শতাংশ কোম্পানি রিহ্যাবের সদস্য নয়। এছাড়াও এরকম প্রতারণার ঘটনায় আবাসন কোম্পানির সদস্যপদ স্থগিত করা ছাড়া—আর কোনো আইনগত প্রতিকার দিতে পারে না রিহ্যাব। ফলে নিজেদের সম্পদ ও বিনিয়োগ রক্ষায় হাইকোর্টে রিট বা প্রতারণার মামলা করছেন ভুক্তভোগীরা।

এখানে কার কী করণীয়, এবিষয়ে রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, "সাধারণত ব্যাংক কোনো সম্পত্তি বন্ধক নিলে, সেটির সামনে ওই সম্পত্তি দাগ নম্বর বা স্পেসিফিকেশন উল্লেখ করে বন্ধকীর সাইনবোর্ড ঝুলানোর কথা। কিন্তু অভিযুক্তরা ব্যাংক বা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগসাজশ করে সাইনবোর্ড ঝুলায় না, ফলে গ্রহকরাও সঠিক তথ্য পায় না।"

তিনি বলেন, একজন সাধারণ অ্যাপার্টমেন্টে ক্রেতার পক্ষে কোনাভাবেই সম্ভব নয়, প্রতিটি ব্যাংকে গিয়ে ওই ভবন বা জমির বিষয়ে তথ্য যাচাই করা। তাই বন্ধকী সম্পত্তির বিষয়ে দৃশ্যমান সাইনবোর্ড ঝুলানো অবশ্যক করতে হবে। নাহলে সম্পত্তি আইনগত দিক নিয়ে ক্রেতারা অন্ধকারেই রয়ে যাবেন।"

তাছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বন্ধকী সম্পত্তির তালিকা সংরক্ষণ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ থাকে। যেটি বাংলাদেশে নেই। একটি ডিজিটাল ডেটাবেইজে ওইসব দেশে বন্ধকী রাখা সম্পত্তির সব তথ্য থাকে। বাংলাদেশেও এরকম ব্যবস্থা স্থাপন করা এখন সময়ের দাবী বলে উল্লেখ করেন রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান।

ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংয়ের ঘটনা

এরকম ভুক্তভোগীদের একজন, ডা. রফিকুল বারী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরার 'ব্রাইট সাউথ' প্রকল্পে ১,২৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কেনেন। প্রায় দেড় কোটি টাকা পরিশোধের পর ওই বছরের এপ্রিল মাসেই ফ্ল্যাটে পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন

ভালোভাবেই বসবাস করছিলেন তিনি। ঠিক এক বছর পর হঠাৎ করে একদিন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হতেই চোখে পড়ে ১২ ইউনিট বিশিষ্ট ওই ছয় তলা ভবন পুরোটাই নিলামে বিক্রি করার নোটিশ। আর এই নোটিশ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক উত্তরা শাখা।

ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৩ ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংয়ের ৩০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য ভবনটি নিলামে তোলার নির্দেশ দেন। ডা. রফিকুল বারী জানান, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি তাকে শুধুমাত্র অস্থায়ী সম্পাদন দলিল দিয়েছিল। মূল দলিল করে দিতে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করে আসছিল।

পরে তিনি জানতে পারেন, কোম্পানির চেয়ারম্যান আখতার হোসেন সোহেল ভবনটি ২০১২ সালেই বন্ধক রেখে ২১ কোটি টাকা ঋণ নেন এবং সেই ঋণ তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রফিকুল বারী বলেন, "আমরা মহা-বেকায়দায় পড়ি, ২০ দিন পড়েই নিলামের তারিখ ধার্য রয়েছে। এমতাবস্থায় কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিই। এরপর নিলাম ঠেকাতে হাইকোর্টে একটি রিট করি এবং একই সাথে ঢাকার আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে মানবিক কারণে হাইকোর্ট নিলাম স্থগিতের আদেশ দেন।"

তদন্তকারীরা জানান, সোহেল একই কৌশলে রাজধানীর মিরপুর, খিলখেত ও উত্তরায় অন্তত সাতটি প্রকল্পে প্রতারণা করেছেন। প্রায় ৫০টি মামলার আসামি এই ব্যবসায়ীকে গত ২১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়; তার বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে নিলামের উদ্যোগকে সমর্থন করে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান বলেন, "ব্যাংক তার খেলাপি ঋণ উঠানোর জন্য মামলা করে। এটি একটি আইনি পথ। কোনো কোম্পানি যদি গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে, সেটির দায়িত্ব ওই কোম্পানিকেই নিতে হবে। আদালতের রায় অনুযায়ী, বন্ধকী সম্পত্তি ব্যাংক নিলামে বিক্রয় করতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেওয়ার পর—ব্যাংক সেটিতে বন্ধকীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু, ব্যাংক সাইনবোর্ড লাগালেও অনেক সময় ভবন বা জমির মালিকপক্ষ তা খুলে ফেলে—এটা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

নিজের ফ্ল্যাটে থাকতে হচ্ছে ভাড়া দিয়ে

পূর্ব রামপুরার বাসিন্দা রাফিউর রহমানের জন্য এই অভিজ্ঞতা আরও বিপর্যয়কর।

ওই এলাকায় তিতাস রোডে ঝলক হাউজিং তাদের একটি প্রকল্পের চারটি ফ্ল্যাট ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখেছিল। পরে ৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয় কোম্পানিটি। বায়িং হাউজিং কর্মকর্তা রাফিউর রহমানসহ চারজন ওই ফ্ল্যাটগুলো কিনেছিলেন। ২০২২ সালে হঠাৎ করেই তাঁরা জানতে পারেন, এবি ব্যাংকের কাছে ৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ের পর নিলামে উঠানো হয় ওই চারটি ফ্ল্যাট। কিন্তু কোনো দরদাতা না পেয়ে ওই চারটি ফ্ল্যাট ব্যাংক নিয়ে নেয়।

রাফিউর রহমান বলেন, "ব্যাংক ওই ফ্ল্যাটগুলো নেওয়ার পর আমরা চারজনই ১৫ টাকা করে মাসিক ভাড়া দিয়েছি। আমার তিন প্রতিবেশী এসব ফ্ল্যাট ছেড়ে এখন অন্য জায়গায় চলে গেছে। আমি এখনো প্রতিমাসে ভাড়া গুনছি, অথচ এই ফ্ল্যাটটি আমার কেনা।

তিনি বলেন, প্রতারণার অভিযোগে আমরা ঢাকার আদালতে মামলা করেছি, মামলার বিচার চলছে। কবে নাগাদ এই বিচার শেষ হবে জানি না। ঝলক হাউজিংয়ের আরো কয়েকটি প্রকল্পে এরকম আরো ১৫ জনের বেশি প্রতারণার শিকার হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান রাফিউর রহমান।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্পত্তি বন্ধক নেওয়ার পর সেটিতে বন্ধকীর সাইনবোর্ড ঝুলানো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যাংকের ঋণদাতা শাখা ওই সা্ইনবোর্ড রয়েছে কি-না, সেটি প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করার কথা। "সেটি না করার কারণেই জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট কিনে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এটি নিশ্চিত করতে হবে।"

প্রতারণা ঠেকাতে নেই সরকারের কার্যকর উদ্যোগ

রিহ্যাবের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ টিবিএসকে বলেন, "আবাসন খাতের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ হয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কিন্তু নাগরিকরা এরকম সমস্যায় পড়লে সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলো সমাধানে বা কাউকে জবাবদিহিতায় আনার কোনো নির্দিষ্ট সেল বা কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে প্রতারক আবাসন কোম্পানিগুলো বেপরোয়া।"

তবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এরকম অভিযোগ আসলে সেটি তদন্ত করে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, এরকম কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। জরিমানাও করা হয়।

কামাল মাহমুদ অভিযোগ করেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যে কাজ করে তা যথেষ্ট নয়। এরকম অভিযোগ আসলে কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কোম্পানিগুলো পার পেয়ে যায়।

বন্ধকী দলিলের তথ্য প্রতারক কোম্পানি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গোপন করা হয়—এমন অভিযোগ করেছেন অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতারা।

তবে সাব-রেজিস্ট্রারদের সংগঠন– বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরএসএ) কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ কাউসার আহমেদ বলেন, যে অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে, এর দায় শুধু সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ওপর চাপানো ঠিক না।

তিনি বলেন, "একটি দলিল সম্পাদনের পর সেটির তথ্য সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিস-সহ আরো কিছু জায়গায় রেকর্ড হয়। শুধু সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বন্ধকী দলিলের খোঁজ নিলে হবে না, দলিল হওয়ার পর সেটির খারিজ খতিয়ান (মিউটেশন) হয়, সেটিরও তথ্য যাচাই করতে হবে। সব পর্যায়ে সঠিকভাবে যাচাই করা হলে ক্রেতাদের এমন প্রতারণার শিকার হতে হবে না।"

বন্দর ডেমারেজ চার্জলিষ্ট।
31/10/2025

বন্দর ডেমারেজ চার্জলিষ্ট।

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের সিপাইদের ঘুষ বাণিজ্য এখন চরমে।তাদের এই রমরমা ঘুষ ব্যবসার কারণে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামে স্বাভাব...
31/10/2025

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের সিপাইদের ঘুষ বাণিজ্য এখন চরমে।
তাদের এই রমরমা ঘুষ ব্যবসার কারণে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামে স্বাভাবিকভাবে কাজ করা দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ঘুষ ছাড়া এই সিপাইরা কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের কাজ সম্পন্ন করতে দেয় না — এমন অভিযোগ এখন সর্বত্র।

সিপাইদের ঘুষের চাপ ও প্রভাবের কারণে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতাদের কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় কিছু সংখ্যক সিপাইকে সাসপেন্ড ও কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এটি স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, অভিযোগগুলোর ভিত্তি বাস্তব, এবং এখনই প্রয়োজন আরও বিস্তৃত ও নিরপেক্ষ তদন্তের।

আমরা আশা করি, কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত থেকে স্বচ্ছ, ন্যায্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করবে এবং অভিযুক্ত কাস্টসম হাউস-এর সিপাইদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তাদের ঘুষ অপকর্মের অনেক ভিডিও হাতে আছে তা অতিদ্রুত প্রকাশ্যে আনা হবে।

Happy Birthday dear respected MD Sir  . Gauhar_Siraj_Jamil. On this special day we guys wishing you good health and long...
30/10/2025

Happy Birthday dear respected
MD Sir . Gauhar_Siraj_Jamil.
On this special day we guys wishing you good health and long life.

Address

Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801770485185

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pakshi Transport Agency posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share