
13/07/2025
রাত ১০টা। ছোট্ট ঘরের এক কোণে কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলছে। রিপন মিয়া বসে আছে একটা পুরোনো খাতা আর ক্যালকুলেটর নিয়ে। আজকের বাজারের হিসেবটা মিলছে না—ডাল, চাল, তেল, ছেলে-মেয়ের স্কুল ফি, মা'র ওষুধ… সবকিছুর দাম তো আকাশ ছুঁয়েছে।
সে একজন মধ্যবিত্ত। না খুব গরিব, না খুব ধনী। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো—সে কারো কাছে হাত পাততে পারে না, আবার নিজের পরিবারকে কষ্টেও রাখতে পারে না।
তার স্ত্রী চুপচাপ একটা কাপ চা এনে দেয়। রিপন মিয়া বলে, “তুমি চিনি দিলা তো? চিনি শেষ তো হইছে।”
স্ত্রী হেসে বলে, “তোমার মুখটা তো আর কষা থাকতে পারি না!
এই হাসিটাই রিপন মিয়ার শক্তি।
তার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ, নিজের দায়িত্ব, সমাজের লজ্জা—সব কিছুর ভার সে চুপচাপ বয়ে চলে।
অভাব আছে, কিন্তু অভিযোগ নেই। কারণ সে মধ্যবিত্ত।