পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী

পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র, বিভাজন রুখতে জনমত গঠন করার সাইবার আন্দোলন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী ফেইজটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত, বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানি

ক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস।

দেশের এক-দশমাংশ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। বিপুল সম্ভাবনার এই অঞ্চলকে ঘিরে রয়েছে পশ্চিমা দেশসমূহের লোলুপ দৃষ্টি। খ্রিস্টানাইজেশন চলছে দঃ সুদান, পূঃ তিমুরের মত। আছে দঃ সুদান আর পূঃ তিমুর গঠনের খলনায়ক বৃটিশ যাজক লর্ড এরিক এমভুরির নেতৃত্বাধীন স্ব-ঘোষিত সিএইচটি কমিশন। এই কমিশনে আছে কিছু চিহ্নিত দেশদ্রোহী দালাল। আছে ইউএনডিপি সহ পশ্চিমা কাভার এনজিও সমূহের উদ্দেশ্যমূলক একচোখা নীতি। দেশীয় মিডিয়া সমূহ কাজ করছে তাদের হয়ে। সন্তু লারমা আর প্রসীত খীশার জেএসএস ও ইউপিডিএফ কায়েম করেছে সেখানে ত্রাস আর সন্ত্রাসের রাজত্ব। এরা সবাই এক দাবীতে অনড়, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নিতে হবে বাঙ্গালীদের, সরিয়ে দিতে হবে সেনাবাহীনিকে।

দেশবাসী রয়েছে অন্ধকারে। তাই, এগিয়ে এসেছি আমরা। নিজেদের সীমিত সাধ্যের সবটুকু দিয়ে জানানোর চেষ্টা করব, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত পরিস্থিতি। মুখোশ খুলে দেয়া হবে ষড়যন্ত্রকারীদের। সাথেই থাকুন। দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন।

পার্বত্যে বিষবৃক্ষের অঙ্কুর—পাহাড়ি নারী হত্যাকাণ্ড ও একপাক্ষিক জাতিগত অপপ্রচারের দুর্বিষহ পরিণতি।পাহাড় এক অনন্য বৈচিত্র্...
06/05/2025

পার্বত্যে বিষবৃক্ষের অঙ্কুর—পাহাড়ি নারী হত্যাকাণ্ড ও একপাক্ষিক জাতিগত অপপ্রচারের দুর্বিষহ পরিণতি।

পাহাড় এক অনন্য বৈচিত্র্যের ভূখণ্ড, যেখানে জাতিগত সহাবস্থান কল্পনা করলেও, বাস্তবতা কখনো কখনো রক্তাক্ত ও মিথ্যা ভরা। বান্দরবান জেলার থানচির দুর্গম মংখয় পাড়ায় গত ৫ মে ২০২৫ খ্রি. সংঘটিত এক নারকীয় ঘটনার জের ধরে সম্প্রদায়গত বিভাজনের চিত্র যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। তিন সন্তানের জননী চিংমা খিয়াং নামের খেয়াং উপজাতি নারীর লাশ উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সংশ্লিষ্ট অঙ্গসংগঠনসমূহের তাৎক্ষণিক একতরফা বাঙালি দোষারোপমূলক বিবৃতি, শুধু তদন্তের গতিকে বিভ্রান্ত করেনি; বরং তা এক প্রকার অনভিপ্রেত সম্প্রদায়গত প্ররোচনা রূপে প্রতিভাত হয়েছে।

ঘটনার বিস্তার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চিংমা খিয়াং (২৮), স্বামী সুমন খিয়াং, প্রতিদিনের ন্যায় নিজ জুমক্ষেতে গমন করেন এবং নির্ধারিত সময়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন না করায় পরিবারের উদ্বেগ চরমে পৌঁছে। সন্ধানকালে তাঁর মৃতদেহ নিকটবর্তী জঙ্গলে, মুখমণ্ডলে ও মস্তকে আঘাতের চিহ্নযুক্ত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সকলে সমন্বিতভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, মৃতদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে।

উপজাতি সংগঠনের প্রাথমিক বিবৃতি: অগ্রপন্থী ও প্ররোচনামূলক?

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস-এর সহযোগী সংগঠন পিসিপি ও এইচডব্লিউএফ ৫ মে রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেন যে, তিন বাঙালি সড়ক শ্রমিক কর্তৃক ভিকটিমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবির ভিত্তি হলো, ভিকটিম পূর্বদিন উক্ত শ্রমিকদের দেখে আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন, এবং মৃত্যুর দিনেও তারা ‘ঔৎপেতে’ ছিলেন। এটি একটি নির্মম অপদহ্নব (যাহা আছে তাহা নাই বলিয়া গোপন বা অস্বীকার) প্রক্রিয়ার সূচনাবিন্দু—যেখানে প্রমাণপূর্বক দায় নির্ধারণের পূর্বে জাতিগোষ্ঠী নির্ভর দায় চাপানো হয়। একই অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ সহযোগী সংগঠন পিসিপি ও এইচডব্লিউএফ। কেএনএফ ও মগ পার্টিসহ উপজাতি সব সংগঠন সম্প্রদায়গত প্ররোচনা রূপে প্রতিভাত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত এই নিয়ে চলছে বাঙালি বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ।

জানা গেছে, ইতোমধ্যেই প্রাথমিক অনুসন্ধান ও পুলিশি সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী ধর্ষণের কোনো প্রত্যক্ষ আলামত উদ্ঘাটিত হয়নি। তথাপি, কতিপয় পাহাড়ি সংগঠন একতরফা প্রচারণার মাধ্যমে ধর্ষণপূর্বক হত্যার বাঙালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করিলেও সচেতন মহলের অভিমত, উক্ত দাবির অন্তরালে বিশেষ রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিহিত রয়েছে।

একতরফা অভিযুক্তকরণ, যা বিচারহীনতার এক ধরণের অজ্ঞাতবিনাশী প্রবণতা, সেখানে জাতিগত বৈরিতা ছড়ানো এবং সহাবস্থান বিনাশের রূঢ় কৌশল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। পার্বত্যে বহু ঘটনার পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোনো অপরাধ সংঘটনের পূর্বে কিংবা ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনের পূর্বেই “বাঙালি দায়ী” — এই ধ্বনি যেন একটি রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক প্রতিধ্বনি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

থানচির যে প্রান্তিক অঞ্চলটিতে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেটি অতিকঠিন ভূপ্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতায় ঘেরা এবং সেখানে পাহাড়িদের আবাস থাকলেও বাঙালি বসতির অস্তিত্ব নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক নির্মাণকাজে নিয়োজিত বাঙালি শ্রমিক ও টুরিস্টদের উপর দায় চাপিয়ে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াস চলছে কি না, তা গভীর অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

এই বিষয়ে প্রশাসন কী বলছেন?

বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন পৃথকভাবে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি স্বচ্ছতা প্রদর্শনের প্রয়াস। জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বিবৃতিতে কোনো গোষ্ঠীকে দায়ী না করে, এতে নারীটির মৃত্যুকে “অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলমান আছে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসন তদন্তের উপর জোর দিয়ে ঘটনার ‘হত্যা নাকি দুর্ঘটনা’ — তা এখনো নিশ্চিত নয় বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিমে বিবৃতিতে বলেছেন, ৫ মে ২০২৫ তারিখ সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩:৩০-এর মধ্যে থানচির ২ নম্বর তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেপিউ পাড়ার কাছে, থোয়াইউখই খিয়াং এর জুম চাষের সীমার কাছে পাথরের নালায় এক নারীর রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃত নারীটির নাম চিংস্থা খিয়াং, স্বামী সুমন খিয়াং। তিনি সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে জুমে যান এবং দুপুরে না ফেরায় সন্ধান শুরু হয়। বিকেল ৩:৩০-এর দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ইউপি চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ মৃতদেহ থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মৃতদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সবাইকে তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবুও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর প্রাথমিক উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া প্রশাসনের এ নিরপেক্ষতা নস্যাৎ করতে তৎপর বলে অনেকে মত দিয়েছেন।

মিডিয়া ও সোশ্যাল প্রচারণা: রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অপপ্রচার?

ঘটনার তদন্ত চলমান থাকা সত্ত্বেও পাহাড়ি সংগঠন, ব্লগার ও একাংশ মিডিয়া যে পরিমাণে ঘটনাটিকে বাঙালি বিরোধী “সাংঘাতিক ধর্ষণ ও হত্যার” আখ্যা দিয়ে প্রচার করছে, তা এক প্রকার অভিরোষ বা অভিমানজনিত ক্রোধ থেকে উৎসারিত প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাবকেই নির্দেশ করে। এই প্রকার অসমীক্ষ্যভাষী প্রচারণা, জাতিগোষ্ঠীগত সাম্য ও সম্প্রীতির ভিত্তিকে কেবলই ভঙ্গুর করে না; বরং পার্বত্যকে আরও দ্বন্দ্বপ্রবণ ও বিষাক্ত বিদ্বেষের ভুবনে রূপান্তরিত করে।

একটি নারী হত্যাকাণ্ড নিশ্চয়ই একটি শোকাবহ ও গর্হিত ঘটনা। তবে, অপরাধী কে, তা নির্ধারণ না করেই জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক দোষারোপ করা একটি চরম অমর্ষণীয় কর্ম। এমনকি যদি ভবিষ্যতে তদন্তে সত্যিই অভিযুক্ত শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, তবুও প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টিমূলক একতরফা প্রচারণা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

জাতিগত সম্প্রীতির সংকট: বিচার নয়, বিভাজনের আকাঙ্ক্ষা?

পাহাড়ে ঘটিত প্রতিটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে যে প্রবণতা ক্রমাগত প্রকট হচ্ছে, তা হলো—অধিবেত্তা গোষ্ঠী কর্তৃক অপরকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে একপাক্ষিক সত্য চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় এবং বিচারের ধারাটি হয়ে পড়ে অনিশ্চিত।

এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় বাঙালি, উপজাতি ও সাধারণ সচেতন নাগরিকেরা মনে করছেন, তদন্ত ও বিচারের পূর্বে এ ধরনের জাতিগত বিভাজনমূলক প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। অপরাধী যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এক সর্বজনীন ন্যায্যতা। কিন্তু সেটি সত্যানুসন্ধান ও প্রমাণনির্ভর বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে, অনভিপ্রেত হিংসাশ্রয়ী দাবিতে নয়।

সম্প্রীতির সংকট ও প্রত্যাবর্তনের আহ্বান:

চিংমা খিয়াং হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে একটি দুঃসহ মানবিক বিপর্যয়। কিন্তু সেই ঘটনায় অপরাধী কে, তা এখনো অনুসন্ধানাধীন রহস্য। এই মুহূর্তে প্রয়োজন বিচারপন্থা অনুসারী ধৈর্য, সহনশীলতা ও সুবিবেচনা। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত হবে তদন্তের অগ্রগতি পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আগাম বিষোদ্গার না করা। বাঙালি শ্রমিক হোক কিংবা স্বগোত্রীয় কেউ—অপরাধী যেই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি সত্যিকার অর্থে অসিচ্যুৎ সম্প্রীতির ভাণ্ডার হয়ে উঠতে চায়, তবে একে রাজনৈতিক, জাতিগত ও সামাজিক হীন উদ্দেশ্য থেকে মুক্ত করতে হবে। অপরাধীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, জাতিসত্তা নয়। তাহলেই এই অঞ্চল হয়ে উঠবে সত্যিকারের অঙ্গসৌষ্ঠবমণ্ডিত শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের প্রাঙ্গণ।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে 'আদিবাসী' শব্দ, সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্রের ছক?২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কা...
22/03/2025

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে 'আদিবাসী' শব্দ, সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্রের ছক?

২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অনতিবিলম্বে কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে প্রধান উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

কমিশন প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার হাতে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিতর্কিত 'আদিবাসী' শব্দের অন্তর্ভুক্তি:

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ১৫৭ পৃষ্ঠার ২১.১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি সম্পর্কিত সুপারিশ"।

গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে:

১. গণমাধ্যম নীতিমালায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভাষা, সংস্কৃতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ;
২. গণমাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম সম্প্রচার সময়সীমা নির্ধারণ;
৩. আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে সংবাদ ও অনুষ্ঠান আদিবাসী ভাষায় প্রচারের অগ্রাধিকার;
৪. আদিবাসীদের নিজস্ব গণমাধ্যম গড়ে তুলতে নিবন্ধন সহজীকরণ ও সহায়তা প্রদান;
৫. মূলধারার গণমাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যথাযথ উপস্থাপনের জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত;
৬. সাংবাদিকতা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে 'আদিবাসী বিষয়' (Indigenous Studies) অন্তর্ভুক্ত করা;
৭. আদিবাসী সাংবাদিকদের জন্য ফেলোশিপ ও নিয়োগে অগ্রাধিকার প্রদান।

ILO কনভেনশন ১০৭ ও ১৬৯: উপজাতি ও আদিবাসী সংজ্ঞা।

এই কনভেনশনে উপজাতি ও আদিবাসীদের জন্য আলাদা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে:

(১)(এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপজাতি:

স্বাধীন দেশে বসবাসরত জনগোষ্ঠী, যাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন। যাদের নিজস্ব রীতিনীতি, ঐতিহ্য বা বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা মূল জনগোষ্ঠীর তুলনায় আলাদা সত্তা হিসেবে বিদ্যমান।

(১)(বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদিবাসী:

যারা উপনিবেশ স্থাপনের আগে বা রাষ্ট্রীয় সীমা নির্ধারণের আগে কোনো অঞ্চলে বসবাস করত। যারা ঐ অঞ্চলের আদি জনগোষ্ঠী এবং তাদের নিজস্ব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা বজায় রেখেছে।

জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী:

(১)(এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, বাংলাদেশে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী “উপজাতি” হিসাবে চিহ্নিত।

(১)(বি) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত আদিবাসী সংজ্ঞার শর্ত— "উপনিবেশ স্থাপনের পূর্বে দেশটির অন্তর্গত একটি ভৌগলিক অঞ্চল থেকে বংশোদ্ভূত"— এ অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে গণ্য হতে পারে না।

নৃবিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশে উপজাতিদের বসবাসের ইতিহাস ৩০০ বছরের বেশি নয়। তাই তারা “আদিমতম জনগোষ্ঠী” হওয়ার দাবি করতে পারে না।

বাংলাদেশে 'আদিবাসী' শব্দের সাংবিধানিক বিতর্ক:

বাংলাদেশের সংবিধানের ২৩ (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে, বাংলাদেশে বাঙালি ব্যতীত অন্যান্য জাতিসত্তা উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৭ সালের জেএসএস এ সরকার মধ্যকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমেও উপজাতিদের এই পরিচয় সংরক্ষিত রয়েছে। অথচ কিছু এনজিও, বিদেশি সংস্থা এবং কূটনীতিক গোষ্ঠী বিতর্কিত 'আদিবাসী' শব্দটি সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে উসকানি দিচ্ছে।

সরকার একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে সংবিধান সম্মত 'উপজাতি' শব্দ ব্যবহারের নির্দেশনা দেয় এবং 'আদিবাসী' শব্দটি প্রচার ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়। টিভি টকশোতে শব্দটি ব্যবহার বন্ধে গণমাধ্যম কর্মী, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিধিনিষেধ আরোপ করেন। কিন্তু এনজিও পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিদেশি অনুদান প্রাপ্ত উপদেষ্টারা এই প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে 'আদিবাসী' শব্দটির ব্যবহার বাড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

২০০৭ সালে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র ও বাংলাদেশের অবস্থান:

২০০৭ সালে জাতিসংঘ 'আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত' (United Nations Declaration on the Rights of Indigenous Peoples - UNDRIP) একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে।

এই ঘোষণাপত্রটি ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। যার পক্ষে ভোট দেয় ১৪৪টি দেশ, বিপক্ষে ভোট দেয় ৪টি দেশ (অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, আজারবাইজান, ভুটান, বুরুন্ডি, কলম্বিয়া, জর্জিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সামোয়া ও ইউক্রেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশ এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেনি, যা স্পষ্টতই বোঝায় যে বাংলাদেশ সরকার 'আদিবাসী' শব্দকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

জাতিসংঘের এই ঘোষণাপত্রে 'আদিবাসী' জনগোষ্ঠীর জন্য ৪৫টি বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

১.আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা;

২.আদিবাসীদের 'আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার' (Self-determination);

৩.রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন ও জাতীয়তাবাদ লাভের অধিকার;

এই ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো নিজেদের 'আদিবাসী' হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আন্দোলন জোরদার করে। চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা তাদের পূর্বেকার অবস্থান থেকে সরে এসে এখন 'আদিবাসী' স্বীকৃতির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র:

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয়। এসব গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে 'আদিবাসী' পরিচিতি দাবি করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।

যদি বাংলাদেশ সরকার 'আদিবাসী' স্বীকৃতি প্রদান করে, তবে এসব গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসন, পৃথক সরকার এবং জাতীয়তাবাদ দাবি করতে পারবে। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনার অংশ।

এই বিতর্কিত আদিবাসী শব্দ সংযোজন যারা করেছেন তারা হলেন, প্রধান কমিশনার কামাল আহমেদ ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ষড়যন্ত্রমূলক সুপারিশ:

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে 'আদিবাসী' শব্দের ব্যবহার বৃদ্ধি ও প্রচারের যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা স্পষ্টতই এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যেসব এনজিও এবং কূটনৈতিক সংস্থা এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

পদক্ষেপ গুলো হলো—

১. গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এই বিতর্কিত সুপারিশ বাতিল করতে হবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে;
২. গণমাধ্যমে 'আদিবাসী' শব্দের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে;
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদতদানকারী এনজিওগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে;
৪. সংবিধানের ভিত্তিতে 'উপজাতি' শব্দ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের জন্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে।

'আদিবাসী' শব্দটি বাংলাদেশে বিতর্কিত, কারণ এটি সংবিধান স্বীকৃত নয়। কিছু এনজিও ও বিদেশি সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি জনগোষ্ঠীকে 'আদিবাসী' পরিচিতি দিতে প্ররোচিত করছে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।

04/03/2025

মুক্তমত | পানছড়ি খাগড়াছড়ি পাহাড়ের বাতাসে আজ শুধুই আর্তনাদ, স্বজনহারা কান্না আর নিঃশব্দ আতঙ্ক। কতটা ভয়াবহ পরিস্...

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক: বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং করণীয়।বাংলাদেশের উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক একটি সংবেদনশীল এবং বহুমুখী ইস্...
20/01/2025

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক: বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং করণীয়।

বাংলাদেশের উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক একটি সংবেদনশীল এবং বহুমুখী ইস্যু। এই বিতর্ক শুধু তাত্ত্বিক নয়; বরং এটি রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ফেলে। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা করা হয়েছিল। তবে আদিবাসী পরিচয় দাবি এবং তা ঘিরে রাজনৈতিক ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদিবাসী দাবিকে কেন্দ্র করে নানা সমস্যা দেখা দেয়, যার মূলে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইনের অস্পষ্টতা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া অভিবাসীদের প্রথমে উপজাতি এবং পরে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাপ দেওয়া হয়। এই দাবি ঐতিহাসিক ও গবেষণালব্ধ তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং ন্যায্য শর্ত পূরণ করে না।

বাংলাদেশে একটি বিতর্কের জায়গা হলো, অনেক গোষ্ঠী যারা ব্রিটিশ বা পাকিস্তান শাসনামলে শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন, তারা কীভাবে "আদিবাসী" হওয়ার দাবিদার হতে পারেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধান জনগোষ্ঠী বাঙালিদের ঐতিহাসিক ভূমি এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস উপেক্ষা করে আদিবাসী দাবি তোলা অনেকক্ষেত্রেই বিতর্কিত। এমনটা মনে করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

আদিবাসী দাবি করা উপজাতি নেতাদের দাবি: রাস্ট্রের মূল জনগোষ্ঠী থেকে চেহারা, ভাষা ও সংস্কৃতি ভিন্ন হলে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য! জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) ও আদিবাসী ফোরামের দাবিও একই। এই দাবিতে বিশ্ব আদিবাসী দিবসে তাদের ঢাকঢোল পিটিয়ে দিবসটি পালন করতে দেখা যায়। এছাড়াও স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আদিবাসী শব্দ যুক্ত ব্যানার ফেস্টুন লক্ষণীয়।

বহু বছর থেকে উপজাতি পরিচয়ে রাস্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও কোটা ভোগী উপজাতিরা ২০০৭ সালের পর নিজেদের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। এই নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ অবস্থানে বাড়ছে নানা বিতর্ক। বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে এই নিয়ে চরম বিরোধী তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক উপজাতি আধিবাসী বিতর্ক সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে।

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক: সংজ্ঞা ও বাস্তবতা:

১. আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কনভেনশন ১৬৯-এ উপজাতি (Tribal) ও আদিবাসী (Indigenous) জনগোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজাতি (Tribal): যারা একটি রাষ্ট্রের অন্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিবর্তে ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
আদিবাসী (Indigenous): যারা একটি ভূখণ্ডের প্রথম অধিবাসী এবং ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
বাংলাদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অভিবাসিত। তারা আদিবাসী নয়; বরং আইএলও সংজ্ঞা অনুযায়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি।

২. সংবিধান ও সরকারি অবস্থান:
২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে এ দেশে কোনো আদিবাসী জনগোষ্ঠী নেই। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

৩. পার্বত্য চট্টগ্রামের জটিলতা:
পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা প্রভৃতি গোষ্ঠী নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আঞ্চলিক শাসন ছাড়িয়ে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি করছে। এ দাবি ঐতিহাসিক, সাংবিধানিক ও নৈতিকভাবে অসঙ্গত।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যুক্তির বিশ্লেষণ:
চেহারা বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য- কোনো গোষ্ঠীর ফিজিক্যাল বৈশিষ্ট্য রাষ্ট্রের মূল জনগোষ্ঠীর থেকে ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি একমাত্র যোগ্যতা নয়। এটি জীববৈচিত্র্যের অংশ এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভিত্তি নয়।
ভাষা: ভাষাগত ভিন্নতা গুরুত্বপূর্ণ, তবে অনেক সময় ভাষার উৎস এবং তার বিকাশের ইতিহাস নির্ণয় করা প্রয়োজন। অনেক উপজাতি ভাষা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আগত বা বহিরাগত।
সংস্কৃতি: সংস্কৃতি ভিন্ন হতে পারে, তবে আদিবাসী হিসেবে দাবি করার জন্য সেই সংস্কৃতির শিকড় ঐ ভূমিতে ঐতিহাসিকভাবে প্রোথিত থাকা প্রয়োজন।

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক অবসানে করণীয়:

সঠিক গবেষণা ও তথ্য উপস্থাপন-ঐতিহাসিক তথ্য, সাংস্কৃতিক ইতিহাস এবং জনসংখ্যার গতিবিধি সম্পর্কে গভীর গবেষণা। আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্টীকরণ: আদিবাসী সংজ্ঞা এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্ভুল গাইডলাইন তৈরি করা। সংলাপ ও বোঝাপড়া: উপজাতি এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সমঝোতা তৈরি এবং সমস্যা সমাধানে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টা। এমন বিতর্কগুলো সমাধান করতে গেলে নিরপেক্ষ ও ইতিহাস, ঐতিহাসিক গবেষণা ও সুদীর্ঘ বসবাসের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

গুরুত্বপূর্ণ হলো:

১. সংবিধানের বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন
সংবিধান অনুযায়ী, উপজাতি জনগোষ্ঠীকে তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে সহায়তা করা হবে।
২০১১ সালের সরকারি ঘোষণা ও ২০২২ সালের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।

২. অপপ্রচার ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধ:
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নের উপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
বিদেশি গোষ্ঠীর মাধ্যমে আদিবাসী স্বীকৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।

৩. পার্বত্য এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠা:
বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম বন্ধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উপজাতি এবং পার্বত্য বাঙালিদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।

৪. সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি:
পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক গড়ে তোলা।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভাজন দূর করতে হবে।

৫. চুক্তির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন:
১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির সব ধারা কার্যকর করা।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত সুবিধা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা এবং তা বাঙালিদের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ করা।

উপজাতি ও আদিবাসী বিতর্ক সমাধানে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতা। পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হলে বৈধ অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় শক্তিশালী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, উন্নয়ন এবং সহাবস্থানের ভিত্তি স্থাপন সম্ভব।

সূত্র: Hillnewsbd.com

পাহাড়ি নারীর গোসলের ছবি তোলে হেনস্তার মুখে মুক্তচিন্তার নারী।বাম, সুশীল ও মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল মানুষদের কাছে পার্বত্য ...
30/12/2024

পাহাড়ি নারীর গোসলের ছবি তোলে হেনস্তার মুখে মুক্তচিন্তার নারী।

বাম, সুশীল ও মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল মানুষদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা এক বড়ো অপরাধী হিসেবে অভিহিত। পাহাড়ে বাঙালি পুনর্বাসন করাকে অন্যায়ের চোখে দেখেন তারা। তাদের কাছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জাতিসত্তা নিষ্পাপ আদিবাসী হিসেবে অভিহিত। আমরা বা আমাদের সংবিধান যাদের উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে তাদের সাংবিধানিক ভাবে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে সবসময় তৎপর থাকে বাম, সুশীল ও মুক্তচিন্তার প্রগতিশীলরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করে আসছে। একচেটিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ ও উপজাতিদের পক্ষাবলম্বন করে পাহাড়ের বাঙালি ও সেনাবাহিনীকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে। মহলটি কখনো অনুভব করে না পাহাড়ের উপজাতিদের একটি অংশ যে দেশদ্রোহী, তারা যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, তারা কখনো মুসলিম ও হিন্দু তথা বাঙালিকে গ্রহণ করতে পারে না। এটি কখনো এই চেতনার মানুষদের বোঝানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যৎ হবে বলেও মনে হয় না।

ZR Rupa (প্রোফাইল লিংক: https://www.facebook.com/zr.rupaa) নামে মুক্তচিন্তার নারীবাদী বান্দরবান ভ্রমণে গিয়ে সাঙ্গু নদীর তীরে পাহাড়ি নারী ও বাচ্চার গোসলের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি Mr. momentwala নামক একটি ফেইসবুক পেইজ (প্রোফাইল লিংক: https://www.facebook.com/mr.momentwala) থেকে শেয়ার করে।

Pragati Chakam ভার্চুয়াল আর্টিস্ট (প্রোফাইল আইডি: https://www.facebook.com/pragati.chakma.161) থেকে উপজাতি নারীর গোসল করার ছবি তোলার প্রতিবাদ জানিয়ে ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে একটি পোস্ট করে। পোস্টটি উগ্র উপজাতি ও উপজাতি সংগঠনের নজরে আসলে তারা দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। উপজাতিদের একটি ছবিটি তোলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার বিষয়টি সমালোচনার ঝড় তোলে। তারা নানান যুক্তি ও পর্যটকদের বিরোধীরা করে। Pragati Chakam পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

" আমি এক যুগ পিছনে যাবো না বিগত ৬,৭ বছর আগেও পাহাড়ের নারীরা অর্ধনগ্ন হয়ে একসাথে ঝিরি ঝর্নায় গোসল করতো । নারী , পুরুষ, গ্রামের লোক একসাথে কাজ থেকে ফিরে গোসল করতো কারোর কোনো সমস্যা ছিল না । পার্বত্য অঞ্চলের রিমোট এরিয়াতে গেলেই এখন এই দৃশ্যগুলো দেখা সম্ভব।

তারপর পর্যটন কেন্দ্র বাড়ানো হলো । পাহাড়ের ঝিরি ঝর্না এক এক করে আবিস্কৃত হতে লাগলো । এরপর বস্তির পোলাপান গাড়ি ভর্তি করে পর্যটক হিসেবে আগমন করলো । শুরু হয়ে গেল দ্বন্দ্ব কারণ তারা ক্যামেরার ব্যবহার কোন জায়গায় করবে আর কোন জায়গায় করবে না তার কমন সেন্স নিয়ে জন্মায় না। জুমে সারাদিন কাজ করে একসাথে গোসল করার দৃশ্য দিনদিনই সংকীর্ণ হলো । ঢাকা থেকে আগত পর্যটক একটারে ৭,৮ বছর আগে ধরছিলাম হাজাছড়া ঝর্ণায়। নারীদের গোসল করার ছবি তুলেছিল ক্যামেরায় । পরে কিছুটা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।
আমার আসলে সন্দেহ হয় আমরা সভ্য হচ্ছি না সভ্যতার বিকাশ থেকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে যাচ্ছি।"

Pragati Chakam আইডি থেকে দ্বিতীয় আরেকটি পোস্ট করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর বিকালে:

"একটা ছবিকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত পারস্পেকটিভ থেকে পোস্ট দিয়েছিলাম এখন তা পরিণত হচ্ছে জাতিগত ইস্যুতে।
কি একটা অবস্থা অথচ সেখানে আমি নির্দিষ্ট করে কোন জাতিগোষ্ঠীর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করিনি বা ইঙ্গিত করিনি । যারা জাতিগতভাবে মন্তব্য করছে তাদের ও বারণ করেছি। একটি কমেন্ট পর্যন্ত ডিলিট করিনি। কারণ আমার সেই সৎ সাহস রয়েছে। আপনি কোন কিছু পাবলিকভাবে পোষ্ট করার পর যদি অন্য কাউকে কিছু বলতেই না দেন । আপনি যেটা বলছেন সেটা সঠিক হিসেবে ধরে নেন তাহলে তো আপনি সরাসরি ভিন্ন মতাদর্শ ও বৈচিত্র্যতাকে অস্বীকার করলেন। বিষয়টি অন্তত জাতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই দেখতে পারেন।"

পরবর্তীতে ZR RUPA Pragati Chakam পোস্টকে কেন্দ্র করে তিনি কথিত আদিবাসী প্রেমী এবং অধিকারের পক্ষের মানুষ দাবি করে তার ছবি তোলার ব্যাখা দিয়ে ২৯ ডিসেম্বর সকালে একটি বড় স্ট্যাটাস দেন।

"আমার একটাই প্রবলেম আমি মিথ্যা কথা সইতে পারিনা।

জনাব Pragati Chakma পপুলার হবার যদি এতই শখ জেগে উঠে তবে ভালো কাজ করুন অটো পপুলার হয়ে যাবেন। ইচ্ছে করে, প্ল্যান করে ভুল ইনফরমেশন দিয়ে বাঙালীদেরকে ছোট করে হয়তো একদিনের জন্যে পপুলার হতে পারবেন। এতো লাইক, শেয়ার পাবার ইচ্ছে আপনার, সঠিক তথ্য দিয়ে পোস্ট তৈরী করেন লাইক শেয়ার পাবেন। আপনার কি মনে হয়েছিলো আমাকে ব্লক করে রাখলে আপনার এই পোস্ট আমার কাছে পৌঁছাবেনা ? খুবই ভুল ভাবনা। আপনাকেতো আমি চিনিও না, তাহলে আমাকে ব্লক করেছেন কেনো ?
আমি সারাজীবন আদিবাসীদের অধিকার, সমস্যা নিয়ে কথা বলি এটা সবার জানা। আপনারও জানা তাই আমাকে ব্লক করেছেন। কারণ আপনি মিথ্যা বলেছেন আপনার পোস্টে।
আমার ধারণা আমার বন্ধু লিস্টের অনেকেই হয়তোবা বিরক্ত হয় আমি আদিবাসীদের নিয়ে এত পোস্ট দেই কেন। আমার আইডি ভর্তি আপনাদের অধিকার নিয়ে পোস্ট।
কারণ আমি আদিবাসীদের অনেক ভালবাসি তারাও আমাকে আমার চাইতেও অনেক বেশি ভালোবাসে এটা আমি অনুভব করতে পারি।
আমি ২০০৭ সাল থেকে বান্দরবান যাই প্রতিবছর। ১৭ বছর। বান্দরবান আমার সেকেন্ড হোম। তারা আমার আত্মীয় হয়ে গেছেন। রক্তের সম্পর্কের চাইতেও বেশি আপন হয়ে গেছেন।
আপনি যে ছবিটা নিয়ে কথা বলেছেন ওটা আমার ট্যুর। আমরা ইঞ্জিনের নৌকায় করে সাঙ্গু নদী দিয়ে রিজুক ঝর্ণায় যাচ্ছিলাম। ছবিটা চলন্ত নৌকায় বসে তোলা। আমি নিয়ে গেছি আমার গ্রুপ কে। মুন লাই পাড়া, রুমা বাজার। টুরিস্ট হিসেবেও যাইনি, ওই বাড়ির মেয়ে হিসেবে গেছি সাথে মেহমান নিয়ে। এই আপ্যায়নটাই পাই আমি মুন লাই পাড়াতে। এই ছবিটা সাঙ্গু নদীতে তোলা। কোনো ঝিরি বা ঝর্ণা না। বান্দরবানে ঝিরি প্রাইভেট প্লেস, অনেকটা গোসলখানা বা বাথরুম এর মতো।
সেখানে ছবি তোলা যায় না এটা আপনার চাইতেও আমার ভালো জানা আছে। এই ছবিটা ঝিরি বা ঝর্ণার না, নদীর। আপনার নিজের নদী আপনি নিজে চেনেন না ? নদী পাবলিক প্লেস, প্রাইভেট প্লেস না।
ঝিরি আর ঝর্ণা বলে চালিয়ে দিলেন। কত্ত ভালো মানুষ আপনি। আপনার মতো এইসব এক দুজন মানুষের জন্যে পুরো জাতির দোষ হয়।
ইচ্ছে করে বাঙালিদের অন্যায় ভাবে পচিয়ে পোস্ট করবেন আর লাইক শেয়ারের বন্যা বয়ে যাবে ভেবেছেন।
নৌকায় আমাদের সাথে আদিবাসীরাও ৩ জন ছিলেন। এমনকি নাজমুল পোস্টে দিয়েছেন এটা সাঙ্গু নদী।

আবার লিখেছেন বস্তির পোলাপান গাড়ি ভর্তি করে পাহাড়ে বেড়াতে চলে যায়। আমি বস্তিতে থাকিনা। ধানমন্ডিতে নিজের বাড়িতে থাকি। পাহাড় আপনার বাপ দাদার না। পাহাড় পুরো বাংলাদেশের মানুষের।
আপনার মতো আমিও বলতে পারি আপনারা বস্তির পোলাপান পাহাড় থেকে বাস ভর্তি করে ঢাকা শহর চলে আসেন কাজে, পড়তে, সব কিছুর জন্যে। কিন্তু আমি এটা বলবোনা। কারণ আমি আপনার মতো ছোটলোক না, মিথ্যাবাদী না। পুরো বাংলাদেশ এই দেশের সব মানুষের, হোক সে আদিবাসী বা বাঙালী।
আপনি অন্যায় করেছেন।
এই অন্যায়ের ফল অবশ্যেই আপনাকে একদিন সৃষ্টিকর্তা দ্বিগুণ ফেরত দেবেন। যেমন কর্ম করবেন তেমন ফল পাবেন। আমার তো মনে হয় এটা যে সাঙ্গু নদী, নদীর পারে মানুষগুলা গোসল করছে এটাই আপনার জানা নাই। তারমধ্যে আমার চারুকলার আমার ডিপার্টমেন্ট ওরিয়েন্টাল আর্ট এর ছাত্র আপনি। এটা দেখে আরও বিরক্ত হয়েছি।
আপনারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভাগ করেন, আলাদা করেন। দুঃখজনক।
আপনার ভাষা, পরিচয় দেয় আপনি কেমন মানুষ।

নিচে এই মানুষটার প্রোফাইল লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।

https://www.facebook.com/share/JRzg8HcQtKpo2uFN/?mibextid=wwXIfr "

উক্ত স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে উগ্র উপজাতিদের একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তচিন্তার নারীবাদী ZR RUPA কে হেনস্তা, হুমকি প্রদর্শন এবং তার মেয়ের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়!

Mong Ching নামের (প্রোফাইল আইডি: https://www.facebook.com/mong.ching.508675) ব্যক্তিগত ৩টি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন লিখেছেন, "ZR Rupa সেXy কন্যা !"

পরে ZR RUPA mong Ching আইডির পোস্টটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন, " মানুষ নিজের অজান্তেই নিজের পরিচয় কখন দিয়ে দেয় জানেন ?
- সে যখন মুখ খুলে কথা বলার জন্যে, কথা বলে তখন।"

এসময় পোস্টটিকে ঘিরে তার ফ্রেন্ড লিস্টের বন্ধুরা মন্তব্য করে বলেন, মায়ের বিষয় নিয়ে মেয়ের ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া অন্যায়। তারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই জঘন্য চিন্তার মানুষদের জন্যই আপনি কতকিছু করলেন। এদের তবুও পরিবর্তন আসে না। আপনি খুবই নর্মালি ডিল করতেছেন দেখে ভালো লাগলো। ওর লজ্জাবোধ থাকলে , ওর নিজের জন্যই ভালো হতো। আপনি আরো বুজবেন তাদের বেশি বেশি প্রেম দেখান। আমি তার আইডি দেখলাম খুব নোংরা মানসিকতার মানুষ ।কি সব বাজে পোস্ট দেয় । আপু এগুলো পাত্তা দিয়েন না ।আইনের সহায়তা নিন ।দেশে যদি আমাদের বাচ্চারা কাজ না করতে পারে তাহলে আইনের দরজায় অবশ্যই যেতে হবে। এই ফালতু টাকা অনেক আগেই আমি লিস্ট থেকে বিদায় করেছি। ছোট মানসিকতার না হলে এমন টা করতে পারেনা। আজো এরা ড্রেজ দিয়ে নারীর সম্মান বিচার করে। এর আধুনিক শিক্ষার দরকার। আপনার মেয়ে আসলে অনেক সুন্দরী। খুবই নোংরা আর জঘন্য।

একই ভাবে Mong Ching এর পোস্টে অনেকেই গিয়ে মন্তব্য করে বলেন, আপনি যেটা করছেন সেটা সাইবার বুলিং ও কারো পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করা। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই রিসেন্টলি এটা নিয়ে আইন পাশ হয়েছে। তার উপর আপনি ছবিগুলো বিকৃত করছেন। মেয়েটা কোরিয়ান ড্যান্সার। এখন সে কি বোরকা পড়ে ড্যান্স করবে? ছোটলোকের পরিচয় দিলেন আপনি। তার মায়ের কারণে মেয়েকে টানা একদমই উচিত নয় । সে যেই ভুল করেছে আমরা ও তাই করছি তফাত থাকলো কোথায়?
প্রতিবাদ সুন্দর সাবলীলভাবে ও করা যায়(১)।
এখানে একজন মেয়েকে তুলে ধরেছেন সে বাঙালি হোক কিন্তু মেয়ে তো। আপনার কাছে অনুরোধ রইল দয়া করে এইভাবে প্রতিবাদ করবেন না দাদা। এইটা কোন সমাধান নয়। প্রতিবাদের ভাষা এ রকম হতে পারে! দাদা এমন একটি ছবি আফলোড দিলেন যার মাধ্যমে ওনার আর আপনার মধ্যে কোন তফাত থাকলো না। ওনারা নোংরা কাজ করেছে বলে আপনিও করবেন এমনটি তো হতে পারে না। তার মায়ের কারণে মেয়েকে টানা একদমই উচিত নয় । সে যেই ভুল করেছে আমরা ও তাই করছি তফাত থাকলো কোথায়?
প্রতিবাদ সুন্দর সাবলীলভাবে ও করা যায়। ভাই আপনি কে আমি জানি না।
প্রতিবাদ করতে না জানলে চুপ থাকবেন।
প্রতিবাদ ভাষা এভাবে হতে পারে না।
পারলে যুক্তি দিয়ে লিখেন।
আমাদের সবার মা বোন আছে।একজনে জন্য অন্যজনকে ক্ষতি আমরা করবো না।
ওরে করছে বলে আমরা করতে পারি না।
আশা আপনি পোস্টটা ডিলেট করে দিবেন। আপনি নিজেও কাজটা ভালো করেন নাই, বরং এহেন কাজ করে আপনার নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিলেন। সুখী হন এবার। আপনি মূর্খতার পরিচয় দিলেন। এটা না করলে ও পারতেন। এটা প্রতিবাদের ভাষা নাকি বিকৃত মন-মানসিকতার পরিচয়??? শালা ছোটলোক! কে তুই রে? এইটা বেশিই করে ফেলেছেন। পুরাই থার্ড ক্লাস মেন্টালিটি
আপনার মতো লোকের জন্যই আমাদের কমিউনিটির নাম খারাপ হয়।
সময় থাকতে ছবিটা ডিলেট মারেন। বিকৃত চিন্তার পরিচয় দিলেন! তার মেয়ের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নিয়ে উনাকে এভাবে মেনশন দেওয়া মূর্খতার পরিচয় বহন করে। তাছাড়া তার মেয়ের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় কারো হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আপনার পরিবারের কেউ এমন প্রতিভার মডেলিং করলে আমিও হস্তক্ষেপ করবো না। ব্রাদার এইটা অন্যায়। যে অপরাধ করবে তাকে নিয়ে সমালোচনা করা যায় কিন্তু এরকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। মেয়েটি একজন হিপহপ ড্যান্সার তার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করা অযৌক্তিক। বরং এইটা বিকৃত মন মানসিকতার প্রকাশ।মায়ের সাথে মতের মিল না হলে তার মেয়েকে নিয়ে এভাবে পোস্ট দেওয়া মূর্খতা এবং চরম নিকৃষ্টতার পরিচয় | রুপা নামের মেয়েটির সাথে তর্ক হতে পারে কিন্তু আপনি তার সাথে তর্কে জেতার জন্য যেটি করেছেন তার জন্য আপনাকে শাস্তি দেওয়া উচিত | এভাবে আরেকজনের মেয়েকে নিয়ে ফালতু পোস্ট দিতে লজ্জা লাগেনা!
এসব অসভ্যতার লিমিট থাকা উচিত। খুব বাজে মনমানসিকতার পরিচয় আপনার পোস্ট, মানুষ উচ্চশিক্ষিত হলেই যে তার খোলস থেকে বের হতে পারেনা তার উদাহরণ হয়ে থাকবেন। কীসের সাথে কি মেলাচ্ছেন? একটা খারাপ বিষয়ের প্রতিবাদে আরেকটা নোংরা কাণ্ড করছেন! এগুলো তো যেচে গালি খাওয়ার কাজ করা।
ঐ মহিলার কথার সাথে একমত না, ইথিক্যালি সমালোচনা করুন। এগুলো করে আপনার নিজের নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দেয়া ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না।

পাহাড়ি নারী ও শিশুর গোসলের ছবি পরে তা শেয়ার করা নিয়ে ZR RUPA ও উগ্র উপজাতিদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তর্কবিতর্ক ও জাতিগত ও বর্ণগত আক্রমণ শুরু হয়।

উপজাতিদের যুক্তি হচ্ছে নারীর গোসলের ছবি অনুমতি ছাড়া কেন তুলবে এবং কেন তা ফেসবুকে দিবে। এটা নিয়ে ZR RUPA ও পোস্টকারী Mr. Momentwala কমনসেন্স ও পর্যটকদের উপজাতিদের সঙ্গে অন্যায় করেন বলে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন উপজাতি ও কিছু বাঙালি। এবং ছবিটি তোলা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ তারা বাম, সুশীল ও মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল মানুষদের সঙ্গে শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ে সম্পর্ক রেখেছে। স্রেফ এতটুকুই এর বাহিরে কিছু নয়। কিন্তু বাম, সুশীল ও মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল কখনো বোঝেনা। তারা উপজাতি প্রীতি ও অধিকারের কথা বলতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ও সেনাবাহিনীর বড়ো ক্ষতিসাধন করে আসছে। যা রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। আজকেও দেখা গেছে অনেক প্রগতিশীল নারীবাদীকে ZR RUPA বিরুদ্ধে লিখতে। অথচ ZR RUPA নিজেও একজন নারীবাদী।

এর আগে নারীবাদী লেখক, রোকেয়া লিটা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পুরুষদের পাহাড়ি নারী ধর্ষণ নিয়ে ডুমুর ফুলের নামের একটি বই প্রকাশ করেন। এরপর রোকেয়া লিটাকে ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন উপজাতি পুরুষেরা।

একইভাবে হুমকি না পেলেও সামাজিক ভাবে অপদস্থ হচ্ছেন ZR RUPA নামের মধ্যবয়সী মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল এই নারী। কিন্তু বাঙালিদের সবাইকে ভয়ংকর ভাবে এবং নোংরা ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে।

জানি না, এই নারীবাদী ZR RUPA উপজাতিদের এই আচরণ থেকে তাদের প্রতি যে প্রীতি ও অধিকার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন তার পরিবর্তন হয় কিনা। নাকি পূর্বের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ও সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ থেকেই যাবে?

উপর্যুক্ত বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়ে কিছু বলা উচিত: আমি অবাক হয়েছি, ছবিটি তোলা ও শেয়ার করা নিয়ে ZR RUPA ও বাঙালি পর্যটক কে নিয়ে উপজাতিরা অনেক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কিন্তু Mr. Momentwala ছবিটি যতটা প্রচার করেনি তার চেয়ে ব্যাপক প্রচারে ভূমিকা রেখেছে উপজাতিরা। Momentwala গত ২৬ ডিসেম্বর পোস্টটি করার পর সমালোচনা শুরু হলে পোস্ট সরিয়ে নেয়। ছবিটির প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিটি পোস্টে ছবিটি ব্যবহার করেছে উপজাতিরা। অথচ ছবিটি কিনা তাদের চোখে দৃষ্টিকটু! তারা এসব করে বাঙালিদের কী বোঝাতে চায়?
একটি ছবি তোলা ও শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে যেভাবেই বাঙালি ও পর্যটক বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেছে তা কোনোভাবেই সভ্য জাতির পরিচয় বহন করে না। যেভাবে বাঙালিদের খারাপ জাতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, সে হিসেবে বলতে হবে উপজাতি পুরুষদের একটি অংশকে বর্বর। তারা যে পাহাড়ে বছরের পর বছর ধরে নারী নির্যাতন করে এবং নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে তা এখনো আর অজানা নয়। সুন্দরী উপজাতি মেয়েরা বাঙালির সঙ্গে কথা ও সম্পর্ক করলে তাদের গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করা হয়। নিলামে তোলার অভিযোগও আছে। প্রথাগত অজুহাত দিয়ে অনেক সময় উপজাতি নারীকে একটি শুকুর দান করে ঘটনা মীমাংসা করা হয়। পাহাড়ে চলে অনেক বর্বরতা। নিজেদের এত এতো উচ্চ আসনে আসীন করার কিছু নেই। আজকে যেটা নিয়ে বাঙালিদের আধিপত্য বা চরিত্র খারাপ বলছেন, এই বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার আগে গুগুলে অনুসন্ধান করলে দেখবেন, বিভিন্ন দেশের উপজাতি (ট্রাইবাল) জনগোষ্ঠীর নারীদের খোলা ছবি। আমি কয়েক বছর আগে বান্দরবানের একটি উপজাতি নারীর স্তনের ছবি গুগুল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। তা নিয়ে উপজাতি কাউকে কথা বলতে দেখিনি। তখন কিন্তু উপজাতি নারীর মাচাং ঘরে উঠার নগ্ন ছবি নিয়ে আমরা বাঙালিরা কিছু বললে নিশ্চিত উল্টা বলা হতো বাঙালিদের মাইন্ড খারাপ! আজ শুধু এটাই বলবো, একজন নারী নারীর ছবি তুলেছেন। এটি যদি টপলেস ছবি হইয়ে থাকে বা অনুমতি ছাড়া তোলা হয় কিংবা দৃষ্টিকূট হয়ে থাকে তাহলে আইনের চোখে তিনি অপরাধী। তারজন্য তাকে আইনের মুখামুখি করা যেতে পারে। কিন্তু তা না করে এবং যাদের ছবি তোলা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছাড়া বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব থেকে এবং সাম্প্রদায়িক উগ্রতা থেকে হেয় প্রতিপন্ন, সামাজিকভাবে আঘাত ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা খুবই দুঃখজনক। উপজাতিরা সকল কিছুকেই তাদের কালচার হিসেবে বাঙালিদের কাছে উপস্থাপন করে। উপজাতি ব্লগাররা বাথরুমে হাগু থেকে বেডরুম পর্যন্ত ব্লগে শেয়ার করে। আমরা পাহাড়ে অনেক সময় দেখি উপজাতি মেয়েরা এমনভাবে চলাফেরা করে যেটা এর চেয়ে বেশি দৃষ্টিকটু। উপজাতি মেয়ে বা ছেলেদের ফেসবুক আইডি ঘেঁটে দেখলে পাবেন, তাদের বুক খোলা ছবি, ভিডিও ও অশালীন ভাষা। যেটার কারণেই তাদের প্রাইভেসি নষ্ট হয় না অথচ গোসলের ছবি তোলার কারণে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে। তারা সবকিছুই তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জীবনধারণ ও কালচার হিসেবে বাঙালিদের কাছে তুলে ধরে। সবকিছু যদি কালচার হয়ে থাকে তাহলে যে কালচারের অংশ হিসেবে গোসলের ছবি লিমিটেশন বজায় রেখে তোলা অপরাধ কি করে হয়? মোদ্দাকথা হলো: সবকিছু যদি কালচার না বলে থাকেন তাহলে গোসলের ছবি তোলা নিঃসন্দেহে অপরাধ।

লেখক: অনন্ত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবাধিকার কর্মী।

রেফারেন্স সংযুক্ত পোস্ট লিংক সমূহ:
১। ZR RUPA
https://www.facebook.com/100008169909910/posts/3946689418946683/?app=fbl

২। Pragati Chakma
https://www.facebook.com/100073599049535/posts/636173015512661/?app=fbl

https://www.facebook.com/100073599049535/posts/636626912133938/?app=fbl

৩। Mong Ching
https://www.facebook.com/100076386371171/posts/618007954088745/?app=fbl

৪। জুম্ম সৈনিক
https://www.facebook.com/61556964640894/posts/122198726138232154/

বিশেষ নোট: সংযুক্ত ছবি ব্লার করা হয়েছে।

Address

Khagrachari
Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী:

Share