07/07/2025
তুমি যে মানুষটির সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছ, যখনই তোমার সামনে স্পষ্টত ধরা পড়বে সে মানুষটির কাছে তুমি গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছ, মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছ; তাহলে বুঝে নেবে— এই মানুষটি তোমার জন্য নয়, কিংবা তুমি তার জন্য নয়। জোরজবরদস্তি করে, আবেগতাড়িত হয়ে তুমি তার কাছে শুধু শুধু মূল্য পেতে যেয়ো না। আবেগতাড়িত হয়ে, জোরজবরদস্তি করে কারো কাছে মূল্য পাওয়া যায় না, কারো ভালোবাসা পাওয়া যায় না। যেটা পাওয়া যায়, সেটা হল তীব্র অবহেলা, অপমান! যে অবহেলা, যে অপমান তোমাকে ভেতরে ভেতরে ভীষণ কষ্ট দেবে, অসহায় করে দেবে।
ভুল করে যদি তুমি এমন একটা মানুষের আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে থাক, দিনের পর দিন তার জন্য মায়া বিলাতে থাক, অদূরভবিষ্যতে এই মানুষটির কাছ থেকে ভালোবাসা তো পাবেই না, মানুষটি তো তোমার হবেই না, উল্টো মানুষটি তোমার সামনের পথচলা রুদ্ধ করে দেবে, তোমার সুন্দর একটা ভবিষ্যত নষ্ট করে দেবে। কারণ এই মানুষগুলো চলে যাওয়ার আগে তাকে বেহায়ার মত ভালোবাসা, পাগলের মত ভালোবাসা মানুষটিকে ক্ষতবিক্ষত করে যায়, আঘাতের পর আঘাত করে যায়। যতই আকুলতা দেখাবে, ততই সে তোমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে, ইমোশনালি টর্চার করবে। তোমার মধ্যে তার প্রতি অন্ধবিশ্বাস, নির্ভরশীলতা আর মায়া থাকার কারণে তুমি সবকিছু নীরবে ঠিকই হজম করে যাবে। কোনভাবেই তুমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না, কোনভাবেই না। এটাই তখন তোমার কাছে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হয়ে দেখা দেবে।
চলমান কোন ঘটনা, অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করা যায়, প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু ভালোবাসার অত্যাচারের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা যায় না। ভালোবাসার অত্যাচার ভয়ানক এক অত্যাচার। এই অত্যাচারে মন ভাঙে, স্বপ্ন ভাঙে, ভেতরটা জ্বলে-পোড়ে, টপটপ করে চোখের পানিগুলো ঝরে পড়ে। অথচ অত্যাচারী মানুষটি দিব্যি পার পেয়ে যায়। তুমিই ভেবে দেখ, ভালোবাসার অত্যাচার সহ্য করবে, নাকি সময়মত একটা অমানুষের কাছ থেকে সরে আসবে!
লেখা: Ashraf Hossain