26/08/2025
রাত গভীর।
আমার স্ত্রী ঠিক পাশে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। তার নিঃশ্বাসের মৃদু শব্দ ঘরটাকে এক অদ্ভুত শান্তিতে ভরিয়ে তুলেছে। হঠাৎ ফোনে একটি নোটিফিকেশন ভেসে উঠল—একজন পুরোনো পরিচিত মহিলা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে।
কৌতূহলবশত আমি রিকোয়েস্টটি অ্যাকসেপ্ট করলাম এবং মেসেজ দিলাম—
“আমরা কি একে অপরকে চিনি?”
কিছুক্ষণ পর উত্তর এল—
“আমি জানি তুমি বিয়ে করেছ। কিন্তু আমি এখনও তোমাকে ভালোবাসি।”
আমি এক মুহূর্ত ছবির দিকে তাকালাম। নিঃসন্দেহে সে সুন্দরী। স্মৃতির ভাঁজ খুলে গেল কিছুটা। কিন্তু আমি আর অতীতের সেই মানুষ নই।
চোখ ঘুরিয়ে তাকালাম আমার স্ত্রীর দিকে।
সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মুখে ক্লান্তি, তবুও শান্তির ছাপ। এই নতুন বাড়ি, নতুন জীবন, সবকিছু ছেড়ে সে আজ এখানে আমার পাশে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।
ভাবলাম—
সে তার পরিবারের উষ্ণ আলিঙ্গন, মায়ের কোল, বাবার যত্ন, ভাই-বোনের হাসি সবকিছু পেছনে ফেলে আমার সাথে এসেছে।
তার পুরো নিরাপত্তা, সুখ আর অশ্রুর ভরসা এখন আমি।
সে আমাকে বিশ্বাস করেছে—
এমন বিশ্বাস, যা কেবল একবারই পাওয়া যায়।
আমার হাত কাঁপল না। আমি ফোনটা হাতে নিয়ে সেই পুরোনো বন্ধুটিকে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছাড়াই “BLOCK” করে দিলাম।
কারণ আমি জানি—
আমি পুরুষ, শিশু নই।
আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকব। আমি আমার স্ত্রীর হাসি, তার চোখের শান্তি, তার হৃদয়ের আস্থা ভেঙে ফেলব না।
আমি তার দিকে ফিরে শুয়ে পড়লাম।
অতীতের সব প্রলোভন যেন মিলিয়ে গেল।
তার শ্বাসের উষ্ণতায়, তার বিশ্বাসের আশ্রয়ে আমি আবার নতুন করে নিজেকে পেলাম।
আমি লড়ব প্রতিদিন—
একজন স্বামী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে,
যেন কখনও আমার পরিবার ভেঙে না যায়,
যেন সে আর কখনও নিরাপত্তাহীন না হয়।
কারণ এটাই ভালোবাসা।
এটাই আসল শক্তি।