15/05/2025
আজ দুপুরে সংবাদ - চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণ বম যুবকের। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)–এর একটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে। কিন্তু এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শুধু তাকেই নয়—বেথেলপাড়ায় চলছে গণগ্রেপ্তারের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। নারী, শিশু, গর্ভবতী নারী, থ্যালাসেমিয়া রোগী, তরুণ, বৃদ্ধ—নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল, রুমায় সোনালী ব্যাংকে। পুলিশ বলছে, হামলার সময় তাদের অস্ত্র লুট করা হয় এবং ঘটনা চলে দীর্ঘ সময় ধরে। অথচ সেই ব্যাংক, পুলিশ থানা, সেনাবাহিনী ও বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের নিকটেই অবস্থিত। তারপরও অভিযানে যেতে সময় লেগেছে ৬ দিন। ৮ এপ্রিল শুরু হয় “অভিযানের” নামে গণগ্রেপ্তার।
এই অভিযানে “ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী” ও “রাষ্ট্রদ্রোহী” তকমা লাগিয়ে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিশুসহ গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ রোগীও।
আজ কারাগারে মৃত্যুবরণকারী তরুণটি গ্রেপ্তারের আগে ছিলেন সুস্থ, সুঠাম ও প্রাণবন্ত। কিন্তু গ্রেপ্তারের পরে কারাবন্দি অবস্থায় তাঁর মৃত্যু আমাদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়।
বর্তমানে এখনও দুইজন থ্যালাসেমিয়া রোগী, ২৫ জন নারী, তিনজন শিশু এবং শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষ বন্দি আছেন চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের কারাগারে।
এ মৃত্যু শুধুমাত্র একটি মানবিক বিপর্যয় নয়, এটি রাষ্ট্রীয় আচরণের এক গভীর প্রশ্নচিহ্ন হয়ে রইল।