Monir The Storyhunter

Monir The Storyhunter ✍️
(1)

Deshi Fish
24/10/2025

Deshi Fish

চাষাবাদের মৌসুম ঘনিয়ে আসছে। এইজন্য হাটে লাঙল কেনাবেচা চলছে জমজমাট।ঘিওর,  মানিকগঞ্জ
22/10/2025

চাষাবাদের মৌসুম ঘনিয়ে আসছে। এইজন্য হাটে লাঙল কেনাবেচা চলছে জমজমাট।

ঘিওর, মানিকগঞ্জ

অবসর সময়
19/10/2025

অবসর সময়

জিলাপি ভাজা
18/10/2025

জিলাপি ভাজা

সবুজে মোড়া নীরব পথ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা শান্ত বাংলা।
15/10/2025

সবুজে মোড়া নীরব পথ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা শান্ত বাংলা।

লাউলতার ছায়ায় গরুর শান্ত আশ্রয়।
14/10/2025

লাউলতার ছায়ায় গরুর শান্ত আশ্রয়।

নদীর ছোট ইছামাছ
14/10/2025

নদীর ছোট ইছামাছ

আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে আবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ...
13/10/2025

আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে আবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কুপি বাতি এখন শুধুই স্মৃতি। কালের পরিবর্তনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার ল্যাম্প, চার্জার লাইটসহ নানা আধুনিক আলোকযন্ত্র।

আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে রূপসী গ্রামবাংলা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি। একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে আলো দিত এই কুপি বাতি, যা এখন খুব কমই চোখে পড়ে। রূপসী গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রয়োজনীয় কুপি বাতি আজ কালের গহ্বরে প্রায় বিলীন। অমাবস্যার রাতে মিটিমিটি আলো জ্বালিয়ে গ্রামের মানুষের পথচলার সেই স্মৃতি এখনো সৃষ্টিশীলদের মনে নাড়া দেয়।

এক সময় গ্রামবাংলার আপামর মানুষের অন্ধকার দূর করার একমাত্র আলোকবর্তিকা ছিল এই কুপি বাতি। এগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারি রঙের—তৈরি হতো কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাসী সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারণত দুটি ধরনের কুপি পাওয়া যেত—বড় ও ছোট।

বেশি আলো পাওয়ার জন্য কুপি বাতিগুলো কাঠ ও মাটির তৈরি গছা বা স্ট্যান্ডের ওপর রাখা হতো, যা নিজেও ছিল শৈল্পিক ও বাহারি। কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপি বাতির কদর হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও মানুষ এখন ব্যবহার করছে সৌরবিদ্যুৎ ও চার্জার লাইট।

তবুও কেউ কেউ এখনো এই কুপি বাতির স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে স্বযত্নে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে এটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কুপি বাতির ব্যবহার ও কদর যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে এটি শুধু স্মৃতি হিসেবেই টিকে থাকবে। আবহমান গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আজ প্রযুক্তির অগ্রগতির কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

পালকি: অতীতের গৌরব, ঐতিহ্যের প্রতীকএক সময় বাংলার মেঠোপথে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে ভেসে আসত এক ছন্দময় আওয়াজ—“হে পালকিয়া... চল...
12/10/2025

পালকি: অতীতের গৌরব, ঐতিহ্যের প্রতীক

এক সময় বাংলার মেঠোপথে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে ভেসে আসত এক ছন্দময় আওয়াজ—
“হে পালকিয়া... চলো রে ভাই…”
দূর থেকে দেখা যেত, কয়েকজন বলিষ্ঠ বেহারা কাঁধে তুলে নিয়েছে রঙিন এক পালকি; ভেতরে বসে আছেন কোনো সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি বা নববধূ, মুখে হালকা হাসি, চারপাশে উৎসবের আমেজ।

আজ সেই দৃশ্য কেবল স্মৃতির পাতায়। সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া এই পালকি একসময় ছিল বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে যাতায়াত ব্যবস্থার বিকাশ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি পালকিও ছিল সেই ইতিহাসের এক গর্বিত অধ্যায়। গ্রামীণ জনপদে আধুনিক যানবাহনের আগমনের বহু আগে এটি ছিল সম্ভ্রান্ত মানুষের মর্যাদা ও আভিজাত্যের প্রতীক। কাঠ ও বাঁশে তৈরি মজবুত কাঠামোর ওপর কাপড়ের ছাউনি, ভেতরে আরামদায়ক আসন—সব মিলিয়ে পালকি ছিল রাজকীয় আরামের এক অনন্য বাহন। চারজন বেহারা কাঁধে তুলে হাঁটতেন ছন্দ মিলিয়ে, গাইতেন সুরেলা গান—যার তালে মুখর হতো গ্রামের পথঘাট।

পালকি শুধু যাতায়াতের মাধ্যমই ছিল না, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিয়ের শোভাযাত্রা মানেই ছিল ঢাক-ঢোলের তালে পালকিতে চড়ে বরের আগমন। কনের বাড়ি পৌঁছানোর আগে পালকি থামলে আশপাশে ছুটে আসত গ্রামের মানুষ—দেখার জন্য কে আসছে, কেমন সাজে।

বিশেষ করে সম্ভ্রান্ত পরিবারের কনে বা গৃহবধূদের বাইরে যাতায়াতে পালকি ছিল সবচেয়ে নিরাপদ ও শালীন বাহন। নারীর পর্দানশীলতা রক্ষা ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবেও এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জমিদার ও উচ্চবিত্ত ব্যক্তিরাও দূরপাল্লার যাত্রায় পালকি ব্যবহার করতেন। তখন গ্রামীণ রাস্তায় বেহারাদের কণ্ঠে ভেসে আসত সেই চিরচেনা সুর—
“হে পালকিয়া...”
যা হয়ে উঠেছিল বাংলার জনপদের এক প্রাণবন্ত প্রতীক।

কালের পরিক্রমায় প্রযুক্তির অগ্রগতি পালকির জায়গা দখল করে নেয়। ঘোড়ার গাড়ি, রিকশা, মোটরগাড়ি—সবকিছু পালকির প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয়। এক সময় এই ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখন কেবল মেলা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব বা নাট্যমঞ্চে এর দেখা মেলে—স্মৃতি রক্ষার প্রতীক হিসেবে।

তবুও গ্রামের প্রবীণদের মুখে আজও শোনা যায় পালকির গল্প। কারও মনে ভেসে ওঠে বিয়ের দিনের আনন্দ, কারও মনে জেগে ওঠে জমিদারবাড়ির শৌর্য-বীর্যের স্মৃতি। পালকি আজ শুধু এক প্রজন্মের নয়—পুরো জাতির ঐতিহ্য, যা আমাদের লোকসংস্কৃতির এক অমূল্য দলিল।

প্রাচীনকাল থেকেই পালকির প্রচলন থাকলেও বাংলায় পালকির সূচনা হয় ধারণা করা হয় ১৫শ শতকে। ধনীদের আরাম-আয়েশ, বিয়ের শোভাযাত্রা কিংবা বিশেষ অনুষ্ঠান—সব ক্ষেত্রেই পালকি ছিল গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক।

আগেকার দিনে গ্রামীণ মানুষের জীবন ছিল রীতি-নীতি, কৃষ্টি আর ঋতু অনুসারে চলমান। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছিল এক সহজ-সর...
11/10/2025

আগেকার দিনে গ্রামীণ মানুষের জীবন ছিল রীতি-নীতি, কৃষ্টি আর ঋতু অনুসারে চলমান। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছিল এক সহজ-সরল জীবনপ্রণালি—যেখানে ছিল আত্মীয়তার বন্ধন, পারস্পরিক সহমর্মিতা আর আন্তরিকতা। সুখে-দুঃখে সবাই মিলেমিশে থাকত, অল্পতেই তুষ্ট থাকতেন মানুষ।

সেই সময়ের পরিবারে নারীদের পর্দা করা ছিল সামাজিক নিয়ম। বিয়ের পর মেয়েদের চলাফেরায় আরও সংযম আসত। তারা যখন বাবার বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ি যেতেন, রিকশায় বসার সময় চারপাশে সূতি শাড়ি বা বিছানার চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে পর্দা করা হতো—যেন কেউ বউকে দেখতে না পায়। এভাবেই রিকশার ভেতরে স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বসতেন। রিকশার পাদানিতে থাকত পিঠার ডেকচি বা ছোট একটা রঙিন ট্রাঙ্ক। কখনও পরিবারের ছোটরা রিকশার সামনের পাদানিতে বসত, আবার কেউ পেছনের ডাণ্ডায় দাঁড়িয়ে যাত্রা করত।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাইয়ের পছন্দের খাবার দিতে ব্যস্ত থাকত। পর্দার ভেতর থেকে বধূ বারবার উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করত, কতদূর এসেছে রিকশা। মুখে প্রশ্ন করত, “ডেরাইভার ভাই, নিশচিন্তপুর আর কতদূর?” আর রিকশাওয়ালা জবাব দিত, “এই তো আর ইকটু।” বউয়ের অধীর অপেক্ষা যেন আর থামত না—কখন যে প্রিয় বাবা-মায়ের মুখ দেখবে!

তখন গ্রামে রিকশা ছিল বিরল। সহজে পাওয়া যেত না। তাই রিকশা না পেলে সন্ধ্যার পর হারিকেন হাতে হেঁটে যাত্রা করত পরিবারের কেউ, মাথায় থাকত পিঠার ডেকচি। মেয়েকে পৌঁছে দিয়ে ফেরত আসত ছোট ভাই বা কাজের লোক। বাড়িতে ততক্ষণে উঠানে কুপি বাতি জ্বেলে অপেক্ষা করতেন স্বজনরা। আলো মুখের কাছে তুলে বলতেন, “কই গো কামালের বউ, বিয়ের সময় আসতে পারিনি, এখন দেখলাম!”

গ্রামীণ জীবনে তখন ছিল আন্তরিকতার বন্ধন। কারও দুঃখে, কারও আনন্দে সবাই একসঙ্গে থাকত। কিন্তু রিকশায় কাপড় পেঁচিয়ে পর্দা না দিলে তা ‘অশরাফি’ আচরণ হিসেবে গণ্য হতো। বলা হতো—“অমুকের বাড়ির আদব-লেহাজ নেই, বউ পর্দা করে না।” এমনকি পুকুরে বাড়ির বউ গোসল করাও ভালো চোখে দেখা হতো না।

সময়ের বিবর্তনে এখন আর রিকশায় কাপড় পেঁচিয়ে পর্দা দেওয়ার সেই দৃশ্য দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সমাজব্যবস্থা, জীবনধারা ও মূল্যবোধ। মুসলিম সমাজের সেই শালীন রীতি, আদব-লেহাজ আর লজ্জাশীলতার চল আজ হারিয়ে গেছে। পর্দা দেওয়া রিকশা এখন শুধুই স্মৃতির এক কোমল ছবি—যা বেঁচে আছে মধ্যবয়সিদের মনে নস্টালজিয়ার মতো।

প্রকৃতির ছায়ায় পথচলা, যেখানে শান্তি আর সবুজের আলাপ মেলে।
11/10/2025

প্রকৃতির ছায়ায় পথচলা, যেখানে শান্তি আর সবুজের আলাপ মেলে।

যেখানে সময় থেমে যায়, সেখানে শুরু হয় গ্রামের গল্প।
11/10/2025

যেখানে সময় থেমে যায়, সেখানে শুরু হয় গ্রামের গল্প।

Address

Chittagong
3813

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Monir The Storyhunter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category