Mohammad Misbah uddin

  • Home
  • Mohammad Misbah uddin

Mohammad Misbah uddin Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Mohammad Misbah uddin, .

আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা,আমাদের প্রতিটি দুঃখ-দুঃখী মুহূর্তে তাঁর রহমত আমাদের সঙ্গে থাকে। আমরা যদি তাঁর পথ অনুসরণ করি,তাহলে আমাদের জীবনে শান্তি এবং সফলতা আসবে আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর হুকুম মেনে চলারশক্তিদিন।

06/11/2025

সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার — ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দিনে বা রাতে এই দোয়া পাঠ করবে, আর সেই দিন বা রাতে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
তারপর তিনি বললেন —

سَيِّدُ ٱلِاسْتِغْفَارِ (সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার):

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَىٰ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِن شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي، فَٱغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আন্তা রব্বী, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, খালাকতানী ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতাতু, আ’উযু বিকা মিন শাররি মা সানা’তু, আবূউ লাকা বি নি‘মাতিকা ‘আলাইয়া, ওয়া আবূউ বি জানবী, ফাগফিরলী, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা।

— সহীহ বুখারী: ৬৩০৬

[Bukhari Sharif | সহীহ বুখারী:

12/10/2025

মুখে মিষ্টি কথা বলা সদকা

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমার ভাইয়ের প্রতি মিষ্টি কথা বলা একটি সদকা।
— (তিরমিযী ১৯৭০

[Bukhari Sharif | সহীহ বুখারী

10/10/2025

وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
(سورة الشعراء، 80)

বাংলা উচ্চারণ:
“ওয়া ইযা মারিজতু ফাহুয়া ইয়াশফীন।”

বাংলা অর্থ:
“আর আমি যখন অসুস্থ হই, তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে আরোগ্য দান করেন।”

এই আয়াতটি নবী ইব্রাহীম (আঃ)-এর সুন্দর দোয়া ও বিশ্বাসেরমূল আরোগ্যের দোয়া (কুরআন থেকে):

اللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَأْسَ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা রব্বান্নাস, আযহিবিল-বা'স, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শিফা’আ ইল্লা শিফাউক, শিফা’আল্লা ইউগাদিরু সাকামা।

অর্থ:
“হে মানুষদের প্রতিপালক আল্লাহ! কষ্ট দূর করুন, আপনি-ই আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ছাড়া আর কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দান করুন যাতে কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।”
📖 (সহিহ বুখারী, মুসলিম)

---
কুরআনের দোয়া (সূরা আশ-শু’আরা ৮০):

Arabic:
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ

বাংলা উচ্চারণ:
ওয়া ইযা মারিজতু ফাহুয়া ইয়াশফীন।

অর্থ:
“আমি যখন অসুস্থ হই, তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে আরোগ্য দান করেন।”
📖 (সূরা আশ-শু‘আরা ২৬:৮০)

---

কষ্ট বা ব্যথার জায়গায় পড়ার দোয়া:

যেখানে ব্যথা অনুভব করছো সেখানে হাত রেখে বলবে—

Arabic:
بِسْمِ اللّٰهِ (তিনবার),
তারপর বলবে:
أَعُوذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ (সাতবার)

বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহ (৩ বার), তারপর — আউযু বিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজির।

অর্থ:
“আমি আল্লাহর নামে (তিনবার), এবং আমি আশ্রয় চাই আল্লাহ ও তাঁর ক্ষমতার কাছে, যা কষ্ট আমি অনুভব করছি ও যার আশঙ্কা করছি, তার অনিষ্ট থেকে।”
📖 (সহিহ মুসলিম)

---

সাধারণ রোগের সময় পড়ার ছোট দোয়া:

Arabic:
اللّٰهُمَّ اشْفِنِي شِفَاءً تَامًّا

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইশফিনি শিফা’আন তাম্মা।

অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমাকে সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করুন।”

---

মাথা ব্যথা বা শরীর দুর্বল হলে আমল:

১. আযান শুনে “اللهم رب هذه الدعوة التامة…” দোয়াটি পড়বে।
২. ৩ বার সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে নিজের মাথা বা শরীরে ফুঁ দেবে।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী ও সূরা ফালাক-নাস পড়ে শরীরে হাত বুলিয়ে দেবে।

12/09/2025

জকের দোয়া
‏اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ

উচ্চারণ:
আল্লা-হুম্মাগ্‌ফির্লী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া’আফিনী ওয়ারযুকনী।

অর্থ:
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে হেদায়াত দিন, আমাকে সুস্থতা দিন এবং আমাকে রিজিক দিন।

আজকের দোয়া
যারা প্রতিদিন এই দোয়াটি পড়েন, তাদের জীবনে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও বরকত নেমে আসে। 💚
আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

#আজকের_দোয়া #ইসলামিক_পোস্ট #আল্লাহ_ভরসা

23/07/2025

সতর (ستر) একটি ইসলামী পরিভাষা, যার অর্থ হলো শরীরের সেই অংশ যা পরপুরুষ বা নামাহরাম নারীর কাছ থেকে ঢেকে রাখা ফরজ (আবশ্যক)। সতরের ধারণা ইসলামি শালীনতা ও পর্দা রক্ষা করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে কোরআন ও হাদীসের আলোকে সতর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

--

সতর কী?

সতর অর্থ: গোপন বা ঢাকার বিষয়। ইসলামী শরীয়তে এটি সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বোঝায় যেগুলো ঢেকে রাখা ফরজ।

১. কোরআন থেকে সতর সম্পর্কে নির্দেশ:

📖 সূরা আন-নূর (২৪:৩০-৩১):

> “মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন দৃষ্টি সংযত করে ও নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটি তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সম্পর্কে জানেন যা তারা করে।”

“আর মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে, নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে—তাদের যা আপনা-আপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে তা ছাড়া।”

(সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০-৩১)

এই আয়াত দুটি থেকে বোঝা যায়, সতর রক্ষা করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরিহার্য।

---

🔹 ২. হাদীস থেকে সতর:

📘 হাদীস ১:

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

> “যখন কোনো ব্যক্তি বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, তখন তার জন্য সতরের অংশ হচ্ছে নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত।”
📚 (সুনান আবু দাউদ: ৩১৪০)

এ হাদীসটি পুরুষদের সতর স্পষ্ট করে দেয়: নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ ঢেকে রাখা ফরজ।

📘 হাদীস ২:

রাসূল ﷺ বলেন:

কোনো পুরুষ যেন পুরুষের সতরের দিকে না তাকায় এবং কোনো নারী যেন নারীর সতরের দিকে না তাকায়।
📚 (সহীহ মুসলিম: ৩৩৮)

হাদীস ৩:

হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেন:

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন আমাকে দেখাতেন, আমি সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতাম, এমনকি আমার হাতের আঙুলও।
📚 (আবু দাউদ, হাদীস: ৪১০৪)

এর থেকে নারীদের সতরের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়।

৩. সতরের সীমা: (ইসলামিক ফিকাহ অনুযায়ী)

ব্যক্তি সতরের সীমা

পুরুষ নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত
নারী (অন্য নারীর সামনে) নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত
নারী (নামাহরাম পুরুষের সামনে) সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হবে, কেবল চোখ (বা প্রয়োজনে হাত) খোলা রাখা যেতে পারে
নামাজে সতর নামাজের সময় পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাঁটু, নারীর জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত (চেহারা, হাত ও পা ছাড়া) আবৃত রাখতে হবে

সতর না ঢাকার গুনাহ:

রাসূল ﷺ বলেন:

দুই শ্রেণির মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী হবে যাদের আমি এখনো দেখিনি—(১) সেই নারীরা যারা পোশাক পরা সত্ত্বেও নগ্ন, অন্যদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে হাঁটে..
📚 (সহীহ মুসলিম: ২১২৮)

এতে বোঝা যায়, সতরের লঙ্ঘন শুধু দুনিয়ার নয়, আখিরাতের শাস্তিও ডেকে আনে।

উপসংহার:

সতর ঢেকে রাখা ইসলামে শুধু পর্দা নয়, এটি ইমানের একটি অংশ। মুসলমান নারী-পুরুষের উচিত সতরের গুরুত্ব বোঝা, শালীন পোশাক পরিধান করা এবং আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করা।
#সতর #ইসলামীশালীনতা #নারীরপর্দা #পর্দা #ইসলামীজীবন #আল্লাহরআদেশ #আখিরাতেরপ্রস্তুতি

15/03/2025

১. ধৈর্য ধারণকারীদের জন্য আল্লাহর সাহায্য:

سورة البقرة (আল-বাকারা) ২:১৫৩
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।”

২. বিপদে ধৈর্য ধরার পুরস্কার:

সورة البقرة (আল-বাকারা) ২:১৫৫-১৫৭
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
অর্থ: “আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।”

৩. কষ্টের পর সহজি আসবে:

سورة الشرح (আল-ইনশিরাহ) ৯৪:৫-৬
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا ۝ إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে সহজি রয়েছে। আবারও বলছি, কষ্টের সঙ্গে সহজি রয়েছে।”

07/03/2025

আজ শুক্রবারের নামাজের মোট রাকাত সংখ্যা এবং তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

জুমার নামাজের সম্পূর্ণ রাকাতসমূহ

ফরজ ও সুন্নতসহ নামাজের বিবরণ:

1. জুমার পূর্বে সুন্নত: ৪ রাকাত (সুন্নতে মুআক্কাদা)

2. জুমার ফরজ: ২ রাকাত (ওয়াজিব) – ইমামের সাথে জামাতে পড়তে হয়

3. জুমার পরে সুন্নত: ৪ রাকাত (সুন্নতে মুআক্কাদা)

4. পরবর্তী অতিরিক্ত সুন্নত: ২ রাকাত (সুন্নত)

মোট: ১২ রাকাত

তবে কেউ চাইলে ২ রাকাত নফল নামাজও আদায় করতে পারেন, যা আরও সওয়াবের কাজ।

বিবরণ:

জুমার ফরজ (২ রাকাত) ছাড়া বাকি সব সুন্নত মুআক্কাদা, অর্থাৎ নিয়মিত পড়া রাসুল (সা.)-এর অভ্যাস ছিল।

ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নত নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

যদি কেউ মসজিদে প্রবেশ করে এবং খুতবা শুরু হয়নি, তবে সে ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজও পড়তে পারে।

বিধান:

পুরো নামাজ আদায় করা উত্তম ও সুন্নাত।

কেউ যদি ৪ রাকাত পরবর্তী সুন্নত না পড়ে, তবে কোনো গুনাহ হবে না, তবে তা না পড়া বাঞ্ছনীয় নয়।

আশা করি, আপনি উপকৃত হয়েছেন।

07/03/2025

জুমার ফজিলত ও আনন্দ ভ্রমণ

জুমার ফজিলত:
জুমার দিন হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ দিন। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে,

➤ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিনেই তিনি জান্নাত থেকে নামেন। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।" (মুসলিম, ৮৫৪)

জুমার দিনে বিশেষ আমলসমূহ:
✅ গোসল ও উত্তম পোশাক পরিধান করা
✅ জুমার নামাজ পড়া ও খুতবা শোনা
✅ দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া
✅ সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা
✅ দোয়া করা (জুমার দিনে বিশেষ মুহূর্ত আছে, যেখানে দোয়া কবুল হয়)

---

জুমার দিনে আনন্দ ভ্রমণ

জুমার নামাজের পর একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরতে যাওয়া, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা – এসবও ভালো কাজ। রাসুলুল্লাহ ﷺ মাঝে মাঝে সাহাবাদের নিয়ে বেড়াতে যেতেন, বিশেষ করে নামাজের পর আলোচনা ও ভ্রমণ করতেন।

ভ্রমণের কিছু ভালো দিক:
✔ মন প্রশান্ত হয়, মানসিক চাপ কমে
✔ আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়
✔ পরিবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো যায়
✔ শরীরচর্চা হয়, সুস্থ থাকা যায়

আজ যদি সুযোগ থাকে, তাহলে জুমার নামাজের পর কাছের কোনো সুন্দর জায়গায় গিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখা যায়। সমুদ্র, পাহাড়, নদী বা কোনো পার্কে সময় কাটালে মনও ভালো থাকবে। তবে অবশ্যই নামাজ ও আল্লাহর স্মরণ যেন ভুলে না যাই।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জুমার বরকত দান করুন এবং এই দিনকে আনন্দময় ও ইবাদতে ভরিয়ে তুলতে তৌফিক দিন। আমিন।

04/03/2025

রমজানের প্রতিটি দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে আপনি নিম্নলিখিত আমলগুলো করতে পারেন—

১. কুরআন তিলাওয়াত করা

🔹 প্রতিদিন অন্তত কিছু পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করুন।
🔹 সুরা মুলক ও সুরা ওয়াকিয়া রাতের বেলা পড়তে পারেন।

২. বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তিগফার করা

🔹 রমজান গুনাহ মাফের মাস, তাই বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন।
🔹 তওবার দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।"

৩. দান-সদকা করা

🔹 রমজানে দান-সদকার সওয়াব ৭০ গুণ বেশি হয়।
🔹 গোপনে কাউকে সাহায্য করতে পারেন।

৪. নফল নামাজ পড়া

🔹 তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ুন— এটি কবুল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।
🔹 দোহা (চাশত) নামাজ পড়তে পারেন।

৫. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া

🔹 দরুদ পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয়, রহমত নাযিল হয়।
🔹 ১০০ বার দরুদ ইবরাহিমি পড়ুন।

৬. শবেবরাত, লাইলাতুল কদর পাওয়ার দোয়া

🔹 আমরা জানি না কোন রাত লাইলাতুল কদর, তাই আজ থেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন তিনি আমাদের সেই রাত পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দেন।

"রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, কুরআনের মাস, রহমতের মাস। আসুন, বেশি বেশি ইবাদত করি, গুনাহ থেকে বাঁচি এবং আমাদের রবের কাছে ফিরে আসি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন।"

দান-সদকার প্রতি উৎসাহিত করা:

"রমজানে একটি ছোট দানও পাহাড়সম সওয়াবের সমান হতে পারে। আপনার সামান্য দান কারও ইফতারের কারণ হতে পারে, কারও চোখের পানি মুছতে পারে। আসুন, দান করার অভ্যাস গড়ে তুলি।"

নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব:

"রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। যারা এখনো নামাজ শুরু করেননি, আজই শুরু করুন। যারা কুরআন পড়তে গাফেল, আজই কুরআনের দিকে ফিরে আসুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন।"

ক্ষমার বার্তা:

"রমজান শুধু রোজা রাখার মাস নয়, এটি আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস। এই পবিত্র মাসে যদি আমার দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, দয়া করে ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।"

লাইলাতুল কদরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ:

"রমজান দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে! আমরা জানি না কোন রাত হবে লাইলাতুল কদর। আসুন, আজ থেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন আমরা সে রাতের ইবাদত করতে পারি।"

আশা করি, এই আমল ও স্ট্যাটাস আপনার কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন!

04/03/2025

নিম্নে বিভিন্ন সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু প্রমাণিত আমল ও দোয়া দেওয়া হলো। আপনি যে সমস্যার সম্মুখীন, সে অনুযায়ী আমল করতে পারেন।

১. দুশ্চিন্তা ও মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তির আমল

দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল-হাম্মি ওয়াল-হাজান, ওয়া আউযু বিকা মিনাল-আজজি ওয়াল-কাসাল, ওয়া আউযু বিকা মিনাল-জুবনি ওয়াল-বুখল, ওয়া আউযু বিকা মিন গালাবাতিদ-দাইনি ওয়া কাহরির-রিজাল।
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে এবং ঋণের ভার ও মানুষের দমন থেকে।"
📌 প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই দোয়া পাঠ করলে দুশ্চিন্তা কমবে ইনশাআল্লাহ।

---

২. ঋণমুক্তির আমল

🔹 প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার:
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল।
📌 এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য সহজ ব্যবস্থা করে দেবেন।

🔹 ঋণ পরিশোধের দোয়া:
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার হালাল রুজির দ্বারা যথেষ্ট করো, যেন হারাম থেকে বেঁচে থাকতে পারি এবং তোমার অনুগ্রহে অন্যের মুখাপেক্ষী না হই।"
📌 নিয়মিত পড়লে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

---

৩. শারীরিক রোগব্যাধি থেকে মুক্তির আমল

🔹 সুস্থতার দোয়া:
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ: আযহিবিল বাসা রব্বান নাস, ওয়াশফি আন্তাশ শাফি, লা শিফা' ইল্লা শিফাউক, শিফাউ লা ইউগাদিরু সাকামা।
অর্থ: "হে মানুষদের রব! ব্যাধি দূর করে দাও। তুমি হচ্ছো শেফা দাতা, তোমার শেফা ছাড়া আর কোনো শেফা নেই, এমন শেফা দাও, যা কোনো রোগ রেখে যাবে না।"
📌 এই দোয়া রোগীর ওপর ৩ বার পড়ে ফুঁ দিলে আল্লাহ শেফা দেবেন ইনশাআল্লাহ।

---

৪. শত্রুর অনিষ্ট থেকে মুক্তির আমল

🔹 প্রতিদিন ৭ বার পড়ুন:
اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাকফিনিহিম বিমা শিত্তা।
অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি যেমন ইচ্ছা তাদের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করো।"

🔹 সুরা আল-ফালাক ও সুরা আন-নাস ৩ বার করে পড়ুন
📌 এটি শত্রুর ষড়যন্ত্র ও বদনজর থেকে রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।

---

৫. গুনাহ থেকে মুক্তির আমল

🔹 তাওবা করার দোয়া:
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
📌 ১০০ বার পড়লে গুনাহ মাফ হবে ইনশাআল্লাহ।

🔹 সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার:
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ: রব্বিগফিরলি ওয়া তুব আলাইয়া, ইন্নাকা আন্তাত-তাওয়াবুর রহীম।
অর্থ: "হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার তওবা কবুল করো, তুমি তো তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।"

---

৬. দারিদ্র্য ও অভাব থেকে মুক্তির আমল

🔹 প্রতিদিন সকালে ১০০ বার:
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
📌 এটি দারিদ্র্য দূর করবে এবং রিজিক বৃদ্ধি করবে ইনশাআল্লাহ।

🔹 সুরা ওয়াকিয়া প্রতিদিন পড়ুন
📌 রাতের সময় পড়লে দারিদ্র্য আসবে না বলে হাদিসে এসেছে।

---

৭. জিন ও বদনজর থেকে মুক্তির আমল

🔹 সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার:
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ: আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।
📌 এটি জিন, শয়তান ও বদনজর থেকে রক্ষা করবে।

🔹 ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ুন
📌 শয়তান ও খারাপ স্বপ্ন থেকে রক্ষা পাবেন।

---

উপসংহার

✅ যে সমস্যাই হোক, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে নিয়মিত আমল করলে মুক্তি মিলবে ইনশাআল্লাহ।
✅ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও কুরআন তেলাওয়াত করা দুনিয়া ও আখিরাতের সব সমস্যা থেকে মুক্তির প্রধান উপায়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন!

03/03/2025

রমজানে বেশি বেশি যেসব আমল করলে ভালো হবে:

১. কুরআন তিলাওয়াত

➤ কুরআন নাজিলের মাস হওয়ায় এই মাসে বেশি বেশি কুরআন পড়া উত্তম।
➤ প্রতিদিন অন্তত কিছু পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করুন।

হাদিস:
রাসুল (সা.) বলেছেন,
"কুরআনের একটি হরফ পড়লে দশটি নেকি পাওয়া যায়।" (তিরমিজি: ২৯১০)

---

২. বেশি বেশি দোয়া করা

➤ রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
➤ ইফতারের আগে ও তাহাজ্জুদের সময় দোয়া করুন।

✅ বিশেষ দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
"আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি।"
(হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করো।) (তিরমিজি: ৩৫১৩)

---

৩. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া

➤ রাতের শেষ অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলতপূর্ণ।
➤ এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

হাদিস:
রাসুল (সা.) বলেছেন,
"আল্লাহ রাতের শেষ ভাগে দুনিয়ার কাছের আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, 'কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে? আমি তাকে তা দান করব।'" (বুখারি: ১১৪৫)

---

৪. অধিক ইস্তিগফার ও তাওবা করা

➤ নিজের গুনাহ মাফের জন্য বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন।

✅ ইস্তিগফারের দোয়া:
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
"আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি"
(আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি এবং তাঁর দিকে তাওবা করছি।)

---

৫. দরুদ শরীফ পড়া

➤ রাসুল (সা.)-এর উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করলে দোয়া কবুল হয়।

✅ দরুদ শরীফ:
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ
(হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করুন, যেমন তুমি ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করেছো।)

---

৬. ইফতার করানো

➤ অন্যকে ইফতার করালে অনেক সওয়াব হয়।

হাদিস:
রাসুল (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে, তবে রোজাদারের সওয়াব কমানো হবে না।" (তিরমিজি: ৮০৭)

---

৭. দান-সদকা করা

➤ রমজানে দান-সদকা করলে সওয়াব বহু গুণ বৃদ্ধি পায়।

হাদিস:
রাসুল (সা.) বলেছেন,
"সদকা গুনাহকে এমনভাবে মিটিয়ে দেয়, যেমন আগুন পানি দ্বারা নিভে যায়।" (তিরমিজি: ৬১৪)

---

৮. বেশি বেশি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করা

➤ এই কালিমা পড়লে বিপুল সওয়াব লাভ হয়।

✅ তাসবিহ:
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই, এবং তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।)

---

৯. শবে কদরের ইবাদত

➤ শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করুন।

কুরআন:
"শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।" (সূরা আল-কদর: ৯৭:৩)

---

১০. ভালো ব্যবহার ও গীবত থেকে বেঁচে থাকা

➤ কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা।
➤ মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা থেকে দূরে থাকা।

হাদিস:
রাসুল (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ করা বন্ধ না করে, তার খালি না খেয়ে থাকার কোনো দরকার নেই।" (বুখারি: ১৯০৩)

---

উপসংহার:

✅ প্রতিদিনের আমল:
✔ কুরআন তিলাওয়াত
✔ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া
✔ ইস্তিগফার ও দোয়া
✔ ইফতার করানো
✔ দান-সদকা
✔ তাহাজ্জুদ পড়া
✔ গীবত ও মিথ্যা থেকে বাঁচা

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের বরকতপূর্ণ আমল করার তৌফিক দিন। আমিন!

03/03/2025

রোজা রেখে কি কি করা যাবে না

রোজা রেখে কিছু বিষয় এড়ানো উচিত যাতে রোজার পূর্ণতা ও ফজিলত বজায় থাকে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী, রোজা অবস্থায় নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যাবে না—

১. ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া বা পান করা

ভুলবশত খেলে রোজা ভঙ্গ হবে না, তবে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলে রোজা ভেঙে যাবে।

২. স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন

রোজার সময় এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা রোজা ভঙ্গের কারণ হয়, যেমন সহবাস করা।

৩. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা

যদি নিজে থেকে বমি করে ফেলেন, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হলে রোজা ভাঙবে না।

৪. ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটানো

কোনো অশ্লীল চিন্তা বা কাজে নিজেকে উসকে দেওয়া এবং এর ফলে বীর্যপাত হলে রোজা ভেঙে যাবে।

৫. সুগন্ধি বা ধোঁয়া সরাসরি গ্রহণ করা

ধূমপান, ধূপ বা আতর থেকে সরাসরি ধোঁয়া গ্রহণ করলে রোজার ক্ষতি হতে পারে।

৬. ইনজেকশন বা স্যালাইন গ্রহণ (যা পুষ্টি সরবরাহ করে)

শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এমন কোনো ইনজেকশন বা স্যালাইন নিলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে ওষুধজাতীয় ইনজেকশন (যা খাবারের বিকল্প নয়) নিলে রোজা নষ্ট হবে না।

৭. গীবত, মিথ্যা বলা, গালি দেওয়া

এসব কাজ রোজার ফজিলত নষ্ট করে এবং আল্লাহর কাছে রোজা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

৮. দাঁতের মাজন বা মাউথওয়াশের মাধ্যমে কিছু গিলে ফেলা

মিসওয়াক করা সুন্নত, তবে মাজন ব্যবহার করলে সাবধান থাকতে হবে যাতে কিছু গিলে না ফেলা হয়।

এই নিয়মগুলো মানলে রোজার সওয়াব পাওয়া যাবে এবং রোজার গুরুত্ব বজায় থাকবে।

Address


Telephone

+258878191140

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Misbah uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share