Aungsheprue marma

Aungsheprue marma যে কোন পরিস্থিতিতে সত্য কথা বলার জন্য আমার এই পেজ। লাইক করে রাখুন, সত্য জানবেন।

 # **মারমাদের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প রাক্কেইং (ရက်ကန်း): ইতিহাস, শিল্পপ্রকৌশল ও সংকট**   # # **ভূমিকা**  মারমা সম্প্রদায়ে...
07/07/2025

# **মারমাদের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প রাক্কেইং (ရက်ကန်း): ইতিহাস, শিল্পপ্রকৌশল ও সংকট**

# # **ভূমিকা**
মারমা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম স্তম্ভ হলো তাঁতশিল্প, যা স্থানীয় ভাষায় **রাক্কেইং (ရက်ကန်း)** নামে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম (বাংলাদেশ) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মারমারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শিল্পকে লালন করে আসছে। তাঁতশিল্প শুধু মারমাদের অর্থনৈতিক জীবনেরই অংশ নয়, এটি তাদের সামাজিক রীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং শিল্পসাধনারও প্রতীক। এই নিবন্ধে মারমা তাঁতশিল্পের ইতিহাস, প্রযুক্তি, নকশা, সামাজিক ভূমিকা এবং বর্তমান সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

---

# # **১. ঐতিহাসিক পটভূমি**
# # # **উৎপত্তি ও বিকাশ**
মারমা তাঁতশিল্পের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। ধারণা করা হয়, মারমারা যখন মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসন করেছিল (১৬-১৮শ শতাব্দী), তখন তারা তাঁতশিল্পের জ্ঞানও সঙ্গে নিয়ে আসে।

- **মিয়ানমারের প্রভাব:** রাখাইনের মারমা তাঁতশিল্পে বর্মী ও মন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পরীতির প্রভাব রয়েছে।
- **স্থানীয় উপকরণ:** পার্বত্য অঞ্চলের সুতা, রং এবং নকশা মারমা তাঁতকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।

# # # **ঔপনিবেশিক ও আধুনিক যুগে তাঁতশিল্প**
ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে কারখানাজাত কাপড়ের প্রভাবে মারমা তাঁতশিল্প কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও, স্থানীয় চাহিদা এবং সাংস্কৃতিক টিকে থাকার সংগ্রামে এটি আজও বেঁচে আছে।

---

# # **২. মারমা তাঁতশিল্পের প্রযুক্তি ও উপকরণ**
# # # **তাঁতের ধরন**
মারমারা সাধারণত **বাঁশ বা কাঠের হস্তচালিত তাঁত** ব্যবহার করে, যা স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়। দুটি প্রধান ধরন দেখা যায়:
1. **পিঠে বাঁধা তাঁত (Backstrap Loom):** সহজে বহনযোগ্য এবং ছোট আকারের, যা নারীরা ঘরে ব্যবহার করে।
2. **ফ্রেম তাঁত (Frame Loom):** বড় আকারের, সাধারণত পেশাদার শিল্পীরা ব্যবহার করেন।

# # # **সুতা ও রং**
- **সুতা:** তুলা, পাট এবং রেশম মারমা তাঁতের প্রধান উপকরণ। আগে হাতে কাটা সুতা ব্যবহৃত হতো, এখন বাজার থেকে কেনা সুতাও ব্যবহার হয়।
- **রং:** ঐতিহ্যগতভাবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে রং তৈরি করা হতো, যেমন:
- **লাল:** মেহগনি গাছের বাকল
- **নীল:** ইন্ডিগো গাছ
- **হলুদ:** হলুদ বা কর্পূর গাছের শিকড়
বর্তমানে রাসায়নিক রংও ব্যবহৃত হয়।

---

# # **৩. মারমা তাঁতের নকশা ও পণ্য**
মারমা তাঁতের নকশাগুলো প্রকৃতি, ধর্ম এবং দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত।

# # # **প্রধান নকশা**
1. **জ্যামিতিক নকশা:** ডায়মন্ড, চেকারবোর্ড, সর্পিল আঁকাবাঁকা রেখা।
2. **প্রাকৃতিক নকশা:** ফুল, পাতা, পাখি এবং পাহাড়ের আদলে।
3. **ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতীক:** বৌদ্ধ মোটিফ, যেমন পদ্মফুল, হাতি ও নাগরাজ।

# # # **তৈরিকৃত পণ্য**
- **লুঙ্গি/থামি (সারং):** পুরুষ ও নারীদের পরিধেয় কাপড়।
- **এংটি (শাল):** শীতকালে ব্যবহার্য উষ্ণ বস্ত্র।
- **ঘরের সাজ (চাদর, কুশন কভার):** আতিথেয়তায় ব্যবহৃত হয়।

---

# # **৪. সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব**
# # # **নারীর ক্ষমতায়ন**
মারমা সমাজে তাঁতশিল্প **মহিলাদের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড**। মেয়েদের从小 তাঁত বোনা শেখানো হয়, যা তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে।

# # # **সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভূমিকা**
- **বিবাহ:** কনের পরিবার বরকে তাঁতের তৈরি পোশাক উপহার দেয়।
- **ধর্মীয় উৎসব:** কঠিন চীবর দান (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাপড় দান) অনুষ্ঠানে তাঁতের কাপড় ব্যবহার করা হয়।

---

# # **৫. বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা**
# # # **সংকটের কারণ**
1. **কারখানাজাত কাপড়ের প্রতিযোগিতা:** সস্তা মেশিনে তৈরি কাপড়ের কারণে হস্ততাঁতের চাহিদা কমছে।
2. **প্রাকৃতিক উপকরণের অভাব:** বন উজাড় ও রাসায়নিক রংয়ের প্রভাবে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি হারিয়ে যাচ্ছে।
3. **তরুণ প্রজন্মের অনাগ্রহ:** আধুনিক পেশার দিকে ঝুঁকছে মারমা যুবকেরা।

# # # **সংরক্ষণের উদ্যোগ**
- **স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা:** কিছু এনজিও মারমা তাঁতশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন করছে।
- **পর্যটনের মাধ্যমে প্রচার:** বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের জন্য তাঁতের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
- **ডিজিটাল বিপণন:** ফেসবুক ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে মারমা তাঁতের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

---

# # **৬. উপসংহার**
মারমাদের তাঁতশিল্প রাক্কেইং কেবল একটি পেশা নয়—এটি তাদের **সাংস্কৃতিক সত্তার জীবন্ত দলিল**। যদিও আধুনিকতার চাপে এই শিল্প আজ হুমকির মুখে, তবুও স্থানীয় সম্প্রদায় এবং সংস্কৃতিপ্রেমীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এটিকে টিকিয়ে রাখতে পারে। মারমা তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য রক্ষা শুধু একটি জাতিগোষ্ঠীর জন্যই নয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের **সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য অপরিহার্য**।

---
**তথ্যসূত্র:**
- মারমা স্থানীয় কারিগরদের সাক্ষাৎকার
- "The Weaving Traditions of the Rakhine Mara" (Cultural Heritage Journal, 2018)
- বাংলাদেশের পার্বত্য জাদুঘরের তথ্যবিবরণী

ছবিঃ ArtLab

13/06/2025

চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন, ১৯০০: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা

#ভূমিকা
ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন **চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন, ১৯০০ (CHT Regulation, 1900)** পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিল। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকার, স্বায়ত্তশাসন ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষা করা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই আইন বাতিল করা হয়, যা পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংঘাতের সূত্রপাত করে। এই প্রবন্ধে এই রেগুলেশনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, মূল বিধানসমূহ, এর বিলুপ্তি এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

---

#ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্রিটিশ শাসনামলে একটি দুর্গম ও স্বতন্ত্র অঞ্চল ছিল, যেখানে মূলত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। ব্রিটিশরা এই অঞ্চলের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সাধারণ বাংলার আইন থেকে আলাদা রাখতে চেয়েছিল, কারণ:

👉১। সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্ব: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল ব্রিটিশদের জন্য একটি সুরক্ষিত সীমান্ত অঞ্চল।
👉 ২। আদিবাসীদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা: স্থানীয় জনগণের ভূমি ও সংস্কৃতিকে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া।
👉৩। জুম চাষের স্বীকৃতি: আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী কৃষি পদ্ধতিকে আইনি বৈধতা প্রদান।

এসব বিবেচনায় ১৯০০ সালে ব্রিটিশ সরকার এই বিশেষ রেগুলেশন প্রণয়ন করে।

#রেগুলেশনের প্রধান বিধানসমূহ
এই আইনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বিচারিক ক্ষমতা একটি স্বতন্ত্র কাঠামোয় সংগঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য ধারাগুলো হলো:

▪️১. প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে "এক্সক্লুডেড এরিয়া" ঘোষণা করা হয়, যেখানে সাধারণ ব্রিটিশ ভারতীয় আইন প্রযোজ্য হতো না।
- জেলা প্রশাসক (ডেপুটি কমিশনার)"চীফ" হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তার হাতে প্রশাসনিক ও বিচারিক ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল।
- স্থানীয় *হেডম্যান* (মৌজা প্রধান) ও *কার্বারি* (গ্রাম প্রধান) নিয়োগের মাধ্যমে স্ব-শাসনমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

▪️২. ভূমি অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ
- অ-আদিবাসীদের জন্য ভূমি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল, যা বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রোধ করতে সহায়ক ছিল।
- জুম চাষকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং আদিবাসীদের ভূমি ব্যবহারের ঐতিহ্যবাহী অধিকার সংরক্ষিত হয়।

▪️৩. বিচার ব্যবস্থা
- স্থানীয় প্রথা ও রীতিনীতির ভিত্তিতে বিচার কার্য পরিচালিত হতো।
- জেলা প্রশাসক ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিচার করতেন, এবং হেডম্যান-কার্বারিরা ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তি করতেন।

▪️৪. অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ
- কোনো **বহিরাগত (নন-ট্রাইবাল)** ব্যক্তির পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ বা বসতি স্থাপনের জন্য সরকারি অনুমতি প্রয়োজন ছিল।

---

#রেগুলেশনের বিলুপ্তি ও পরবর্তী প্রভাব
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরও এই আইন বহাল থাকলেও, ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সরকার এটি বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সাধারণ প্রশাসনের অধীন করে। এরপর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার **পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিল** করে, যা আদিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে:

👉১। বাঙালি বসতি স্থাপন বৃদ্ধি পায়, যা ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত করে।
👉২। জেএসএস (জুম্ম জনসংহতি সমিতি) গঠিত হয় এবং সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয় (১৯৭৭-১৯৯৭)।
👉৩। ১৯৯৭ সালের 'শান্তি চুক্তি' স্বাক্ষরিত হলেও, রেগুলেশনের মূল নীতিগুলো (যেমন ভূমি অধিকার, স্বায়ত্তশাসন) পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

---

#বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা ও বিতর্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নেতারা এই রেগুলেশনকে তাদের "অধিকারের আইনি ভিত্তি" হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো:

- ভূমি অধিকার পুনর্বহাল: অ-আদিবাসীদের জমি দখল বন্ধ করা।
- স্বায়ত্তশাসন পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন: ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদকে শক্তিশালী করা।
- সেনা উপস্থিতি কমানো: সামরিক ক্যাম্প প্রত্যাহার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা।

অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয় যে, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে এবং পৃথক আইনী কাঠামো রাষ্ট্রের একতাকে দুর্বল করতে পারে।

---

#উপসংহার
চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন, ১৯০০ কেবল একটি আইনই নয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীক। এই আইনের বিলুপ্তি অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রেগুলেশনের ঐতিহাসিক শিক্ষা হলো—জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বকীয়তাকে সম্মান করেই কেবল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব।

---
**তথ্যসূত্র**:
- The Chittagong Hill Tracts Regulation, 1900.
- Amnesty International Reports on CHT.
- সৈয়দ আবুল মকসুদ, "পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ও রাজনীতি"।

যারা শিক্ষক হতে চান কিংবা শিক্ষক হওয়ার যাদের স্বপ্ন। কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান/ইতিহাস/সমাজ কর্ম ইত্যাদি বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়ার...
13/11/2023

যারা শিক্ষক হতে চান কিংবা শিক্ষক হওয়ার যাদের স্বপ্ন। কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান/ইতিহাস/সমাজ কর্ম ইত্যাদি বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়ার কারনে নিবন্ধন পাশ করা কঠিন হচ্ছে আবার পাশ করলেও নিয়োগ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পরার ভয় তাদের জন্য আমি বলব, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে ১ বছর মেয়াদি অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ইন ফাইন আটর্স কোর্সটি করে ফেলুন। এই বিষয়ে নিবন্ধন পাশ করলে ১০০% চাকরি নিশ্চিত।

সরকারি চাকরিতে প্রথমবারের মতো পদ সংখ্যা ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলাম, 😀😀😀✍️শর্তের ২ নাম্বারে দেখলাম 👉"দরখাস্তকারী যে উপ...
09/10/2023

সরকারি চাকরিতে প্রথমবারের মতো পদ সংখ্যা ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলাম, 😀😀😀
✍️শর্তের ২ নাম্বারে দেখলাম 👉"দরখাস্তকারী যে উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা, তাঁর প্রার্থিতা উক্ত উপজেলার জন্য বা অনুকূলে নির্ধারিত থাকবে এবং তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তদানুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে। বিবাহিতা প্রার্থীগণ দরখাস্তে তাঁদের স্বামী অথবা পিতার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করে দরখাস্ত করতে পারবেন। তবে, এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি দরখাস্তে উল্লেখ করবেন, তাঁর প্রার্থিতা সেই উপজেলার কোটায় বিবেচিত হবে।"
✍️এর মানে কি উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ হবে? কিন্তু কোন উপজেলায় কয়টি পদ খালি আছে তা তো উল্লেখ নাই। তার মানে ঘাপলা আছে 😀😀😀
,,✍️বয়স নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই কারণ উপরে ৩০ লিখলেও শর্তের ৫ নাম্বারে বলা হয়েছে উপজাতি ও অউপজাতি স্থায়ী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিল করা হবে।

05/09/2023

👉নির্বাচন প্রচারনায় ধর্মীয় অনুভূতি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার এবং সেখানে রাজনৈতিক শ্লোগান কতটুকু যুক্তসঙ্গত?

সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িক, জাতিগত সংস্কৃতি পোষাক পরিচ্ছেদ এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।প্রতিটি ধর্মতেই বলা হয়েছে অসাম্প্রদায়িক ...
24/08/2023

সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িক, জাতিগত সংস্কৃতি পোষাক পরিচ্ছেদ এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।

প্রতিটি ধর্মতেই বলা হয়েছে অসাম্প্রদায়িক কথা, তবে কি আমরা সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক হতে পেরেছি?? আদৌ কি আমরা সভ্য মানুষ হতে পেরেছি? নাকি নামের মাত্রই মানুষ আমরা!! আমাদের তথাগত গৌতম বুদ্ধ যেমন অসাম্প্রদায়িক, অহিংসুক প্রেম লালন করে সকল জীবের কল্যাণ কামনা করেছিলেন, ঠিক তেমনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী (সাঃ)ও শান্তির ধর্মই প্রচার করেছিলেন।

আক্ষরিক অর্থে মানুষ সভ্য হয়েছে বহু বছর আগে। আসলেই কি মানুষ সভ্য হয়েছে?? মানুষের যখন সভ্যতা ছিলনা, তারা গুহায় বাস করতো। বল্লম দিয়ে সবাই মিলে পশু শিকার করে নিজেদের পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতো। পাতা লতা অথবা গাছের বাকল দিয়ে নিজেদের লজ্জা নিবারণ করতো। দিন দিন যখন মানুষ সভ্য হতে শুরু করলো, গুহা ছেড়ে তারা ঘর বাড়ি আবিষ্কার করে সেখানে বাস করা শুরু করলো। ক্ষুধা নিবারণের জন্য আবিষ্কার করলো চাষ করার পদ্ধতি। আবিষ্কার করলো লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য কাপড় চোপড়। দিন দিন এই দিক দিয়ে শুধু উন্নতই হচ্ছে, আরো সভ্য হচ্ছে। কিন্তু মনের দিক দিয়ে তারা কি সভ্য?? অসভ্য লোকেরা পশু হত্যা করতো, এখন সভ্য লোকেরা মানুষ হত্যা করে। নিজের স্বজাতীকে তারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। সাম্প্রদায়িক চেতনাকে পোষে আঘাত করে সভ্যটাকে। নির্বিচারে পিপড়ের মত মানুষ হত্যা করতে, আঘাত করতে কুন্ঠিত বোধ করেনা এরা।

শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রবর্তক মহানবী (সাঃ) তার বিদায় হজ্জ এর বক্তব্যতে বলেছিলেন "হে লোকসকল, তোমরা শোন- কোন আরবের উপর অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, আবার কোন অনারবের উপরও আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন কালোর উপর সাদার এবং সাদার উপর কালোর শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কেননা, সবাই আদম থেকে এবং আদম মাটি থেকে সৃষ্ট। শ্রেষ্ঠত্ব যাচাইয়ের মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া ।" অর্থাৎ যেখানে মহান আল্লাহ্‌তায়ালার প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে, তিনি নিজেই যেখানে সাম্প্রদায়িকতার এক অনন্য উদাহরণ সেখানে আমরা তাঁর উম্মত হয়ে কেন এমন কাজ করি যেটা ইসলাম কখনই সম্মতি দিবে না। সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে মহানবী (সাঃ) আরও বলেছেনঃ "যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বৎসরের দুরত্ব থেকে লাভ করা যায়।" সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ৬/২৫৩৩

তিনি আরও বলেন, "বিধর্মীকে হত্যা করা তো দূরের কথা, বিধর্মীদের সাথে অভদ্র আচরণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ধর্মবিশ্বাস বা উপাস্যদেরকে গালি দিতেও নিষেধ করা হয়েছে। মুসলিম তার নিজের বিশ্বাসের শ্রেষ্টত্ব বর্ণনা করবেন, তবে কারো অনুভূতিকে আহত করবে না।" পবিত্র আল কুরআন, মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার এক অসীম নিদর্শন যাতে কোন ভুল নাই। এই কুরআন কে গবেষণা করে কত কিছু আবিষ্কৃত হল, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। পৃথিবীর বড় বড় মনীষী, বিজ্ঞানী সবাই এক বাক্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে এটা একটা নির্ভুল কিতাব। এই মহাগ্রন্থে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা অনেক কিছু বলেছেন। যা এক অনন্য দলিল। পবিত্র কুরআন এ মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, " আল্লাহ্কে ছেড়ে যাদেরকে তাঁরা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না; কারণ এতে তারাও সীমালংঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্কে গালি দিবে।" ঃ আল-আন'আম, আয়াত ১০৮। তিনি অশান্তি কিংবা অসাম্প্রদায়িক কিছুই সমর্থন করেন নাই।

তথাগত মহামানব বুদ্ধ বলেছেন,অহিঃসার পথে চলতে। আজ সেই বুদ্ধের নীতি কথার কোনো দাম নেই। জগৎময় এখন ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। এখন সবার কাছে সাম্রাজ্যবাদ জিনিস বেশি প্রতিফলন। তাই তো তাদের স্বার্থের জন্য দয়া, মায়া,মমতা, মৈত্রি নেই এই জীবের জন্য। সবাই চাই পরিবার বাবা মা,সন্তান নিয়ে সুখী জীবন কাটাতে। ঠিক তখন এক সাম্রাজ্যবাদ দল এসে সুখী পরিবারকে ধ্বঃস করে দেয়। তথাগত গৌতম বুদ্ধ সবসময় শান্তির কথা বলেছেন, প্রেমের কথা বলেছেন, মৈত্রীর কথা বলেছেন, অহিংসার কথা বলেছেন। সকল প্রানীর প্রতি মৈত্রী পোষণ করেছেন। আজ যদি তার আদর্শে আদর্শীত হতো হয়তো স্বপ্নের বিশ্ব দেখতে পেতাম। আমরা অহিংসা, অসাম্প্রদায়িক কথা বলি শুধুমাত্র মূখে, মন থেকে নই। ধর্মের নীতিনুশারে যে অহিংসা ও অসাম্প্রদায়িক লালন করতে চেষ্টা করবে, তাকে সাম্প্রদায়িক সাম্রাজ্যবাদ ঘায়েল করবেই করবে। যেমনটি আমাকেও করা হয়েছে! আসলে আমরা নামের মাত্রই বৌদ্ধ হয়েছি, কর্মে বৌদ্ধ হতে পারিনি!

ধর্ম ও জাত নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, অহিংসুকতা। পৃথিবী শাসন করে ধর্ম নাকি মানুষ? আপাত দৃষ্টিতে পৃথিবীর শাসনকর্তা হিসেবে মানুষকে দেখা গেলেও পৃথিবীর শাসনকর্তা ধর্ম। সভ্যতার আদিকাল থেকে অদ্যাবদী ধর্মেই জয় জয়কার। জ্ঞান, মানবিকতা, বীরত্ব কোন কিছুই এই ধর্মের কারণে সমাজে প্রতিষ্ঠা পায়নি। শিকড়ে যদি ধর্মের বিষ ঢালা হয়, শাখায়-প্রশাখায় মানবিকতার জল ঢেলে লাভ কি? বড়জোর ফলটা শূণ্য হতে পারে।

ধর্ম কি তবে বিষ? অবশ্যই না। বরং স্বার্থের ন্যায় পশুত্ব ও অন্ধতা, কুসংস্কার এবং যাবতীয় কূপমুন্ডকতা থেকে বার বার সুদ্ধ হয়ে ধর্মই মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। মানুষ যখন হয়ে উঠেছে চরম স্বেচ্ছাচারি ও লুটেরা তখন ধর্মই আইনের কথা বলেছে, নীতির কথা বলেছে। বলেছে অপরের সুখ-দুঃখের কথা। এমন কি প্রকৃতিতেও আশ্রয় দিয়েছে। বলেছে, যে জন দয়া করে জীবে, সে জন দয়া করে শিবে। যার ফলে বার বার উৎপাদন বেড়েছে, বার বার মানব জাতি চুড়ান্ত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ। সুতারাং ধর্ম বিষ নয়। বিষ তবে কি? বিষ হচ্ছে ধর্মের নামে ধর্মের বিকৃত অবস্থা বা মিথ্যা চাপিয়ে দেয়া। হিন্দু বা মুসলমান, বৌদ্ধ বা খৃষ্টান- একজন ধার্মিকের পূর্বে সবাই একজন মানুষ। আর মানুষ হচ্ছে প্রকৃতির অনুসঙ্গ পশু। অন্যান্য প্রাণীর মত একটা প্রাণী। আর প্রাণী মাত্রই আবেগের দাস। তার লোভ, তৃষ্ণা, হিংসা ও স্বেচ্ছাচারিতা বিদ্যমান। অপরকে হটিয়ে, অপরকে মেরে বা অপরকে বঞ্চিত করে বাঁচবার পক্ষপাতি- প্রকৃতির দয়ানির্ভর সন্তান। পেলে খায়, না পেলে মারা যায়। মানুষ যেহেতু প্রকৃতির উদ্ভব- মানুষও জম্ম সূত্রে যাবতীয় নির্বোধ পশুত্ব জগতই ধারণ করে তার মন ও মগজে। এবং সে মানুষ তার জম্মগত সহজাত প্রবনতা নিয়েই এগুবার পক্ষপাতি। কিন্তু মৌলিক চাহিদা পূরণে শুরুতেই হোচট খেয়ে শুরু হয় তার বোধের জগতে বিচরণ- সামাজিক জীবন। নিজের অস্তিত্ব রক্ষা ও উৎপাদনের তাগিদে স্বভাবতই মানুষ কিছু নিয়ম বা শর্তের সম্মূখিন হল। এই নিয়মাবলি বা শর্ত সমূহই ধর্ম। পরবর্তীকালে যা রাজনীতি সমাজনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কেননা ধর্ম শুধু স্ব-ধর্মের লোকেরই অধিকার রক্ষাই সচেষ্ট থাকে। অথচ অধুনিক মানুষ বহু জাতিক, এই বহু জাতিক মানুষ ধর্মের বাইরে গিয়ে সম্মান অধিকার প্রদান পূর্বক এক শাসনের আয়ত্বে আনার জন্যই আধুনিক মানব বিজ্ঞানের জন্ম। জন্ম ধর্ম নিরপেক্ষতা, সেকুলারিজমের। যদিও পৃথিবীর সব মানুষ ধর্ম নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা কথা বলে, কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে দেখা যায় এটি কথার কথা মাত্র। কেননা সব মানুষের ভেতরে ভেতরে ধর্ম কেন্দ্রীক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম রেখেছে। ধর্মের শাসন নয়, শাসনটা জ্ঞান ভিত্তিক, কিন্তু উন্নয়ন ধর্মের মানুষদের নিয়ে। স্বভাবতই অন্য ধর্মের লোকেরা থেকে গেছে বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং অবহেলিত। এখানে ধর্মতো বটেই, বর্ণও বিশেষ ক্রিয়া করেছে।

তথাগত গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, তুমি শুনেছো বলেই কোন কিছু বিশ্বাস করো না, কোন কিছু বলা হয়েছে বা সবাই বলছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, ধর্মীয় বইতে লেখা অাছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, তোমার গুরু কিংবা শিক্ষক বলেছেন বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কোন কিছু চলে অাসছে বলেই তুমি তা বিশ্বাস করো না। নিজের পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা এবং বিশ্লেষণের পর যদি তুমি দেখো তা যুক্তিযুক্ত এবং সকলের জন্যে কল্যাণকর তখন কেবল তুমি তা গ্রহণ করো তা ধরে রাখো। কিন্তু বর্তমান যুগে কিছু মানুষ রূপী নিকৃষ্টরা লোভে, হিংসায় কিছু শুনতে পেলেই যাচাই বাছায়হীন ভাবে তিলকে তাল বানিয়ে আঘাত করে। তথাগত গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে অবিশ্বাস, প্রেমহীনতা, লোভ-লালসা এবং হিংসা ও সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণে বুদ্ধ অহিংসা, নির্লোভ, ক্ষমা, প্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক বাণী প্রচার করেছেন। বুদ্ধের মতে, মৈত্রী হচ্ছে সব প্রাণীর প্রতি কল্যাণ কামনায় ব্রতী হওয়া। মৈত্রীর সংজ্ঞায় তথাগত বুদ্ধ বলেছিলেন ঃমা যেমন তার স্বীয় একমাত্র পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে বিপদ থেকে রক্ষা করেন, তদ্রুপ সব প্রাণীর প্রতি অপ্রমেয় মৈত্রী প্রদর্শন করবে। এই মহা-মৈত্রীই শত্রুকে মিত্র, দূরের মানুষকে কাছে আনার ধারক ও বাহক। এটাই বিশ্বভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে সৌহার্দ্য, নৈকট্য, অহিংসা ও অসাম্প্রদায়িক গড়ে তোলার চাবিকাঠি। এতে মানুষের সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা বিদূরিত হয়। জাতীয় সংহতি বিধানে ও বৈশ্বিক সম্পর্কোন্নয়নে মহামৈত্রী এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই মানুষের প্রতি গৌতম বুদ্ধের অমর অবদান ‘বিশ্বমৈত্রী’। এই বিশ্বমৈত্রী কিন্তু শ্রেণী বা সম্প্রদায়গত নয়। সর্বজনীন মানবধর্ম রূপেই স্বীকৃত। এই বিশ্বে জন্ম নিয়ে বৌদ্ধ করুণাঘন অন্তরে যে দর্শন ও বাণী পরিবেশন করেছেন, তাতে বিশ্বমৈত্রীই ব্যাপকতা লাভ করেছে। বিশ্বের সকল প্রাণীর সার্বিক মঙ্গলের জন্য বুদ্ধ পরিবেশিত দর্শন ও বাণী পৃথিবীতে এক অসাধারণ অধ্যায়ের সূচনা করে। হিংসা-দ্বন্দ্বযুক্ত সমাজের বিপরীতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নির্মাণে মৈত্রীময় চেতনাকে স্থাপন করার কথা বলেছেন বুদ্ধ। বিশ্বমৈত্রীর ভাবনা ছাড়া মানুষের সুখ-শান্তি যে সম্ভাবনার হিত, আড়াই হাজার বছর আগে বুদ্ধ তা উচ্চারণ করেছিলেন। চেয়েছিলেন ‘তুমি যেমন সুখে থাক, অপরকেও সুখে থাকতে দাও। বুদ্ধের মৈত্রী ভাবনাই তো হচ্ছে, অপরের সুখ ও হিত কামনা করা। সৃষ্ট জগতকে খণ্ড খণ্ড করে নানা দেশ, নানা জাতি হিসেবে দেখার নাম যে মানবতা ও অসাম্প্রদায়িক নয়, তা উল্লেখ করে বুদ্ধ বলেছিলেন ঃ সমস্ত বিশ্ব ও প্রাণীলোককে অখণ্ড হিসেবে দেখার নামই মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। মানুষ মাত্রই সমান। মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা ও বৈষম্য পরিহার করতে হবে। গৌতম বুদ্ধ যুক্তির অনুশীলনে বিশ্বমানবের মধ্যে ত্যাগ তিতিক্ষা, ক্ষমা, অহিংসা, অসাম্প্রদায়িক, শান্তি ও কল্যাণের বাণী ছড়িয়েছিলেন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ঘুচাতে সাম্য-মৈত্রীর কথা বলেছেন। এক অখণ্ড সমাজ এবং পৃথিবীর সব মানুষ এক অবিচ্ছেদ্য পরম আত্মীয়তার সূত্রে গ্রথিত— এ তথ্য তিনিই প্রথম প্রচার করেন। মানুষে মানুষে সংঘাত, অন্ধ কুসংস্কার, জাতিভেদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে বুদ্ধই প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি কামনা করেছিলেন এমন এক সমাজের, যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসে। একে অপরের কল্যাণ কামনা করে। সমস্ত মানুষের কল্যাণ; সমগ্র জাতির শান্তি— এই ছিল বুদ্ধের বাণী ও দর্শনের মূল কথা। দীর্ঘ আড়াই হাজার বছরেরও আগে বুদ্ধ এমন বাণী প্রচার করেছেন, যার লক্ষ্য বিশ্বশান্তি ও মানব কল্যাণ। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা; শ্রেণী বৈষম্যহীন এবং বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ ইত্যাদি যে সব আদর্শের কথা আধুনিক পৃথিবীতে বলা হয়, সুদূর অতীতেই এসব প্রচার করেছেন বুদ্ধ। তার প্রচারিত বাণী ও দর্শনে অত্যাচার বা উৎপীড়নের নজির নেই। ত্যাগ আর মৈত্রীর বাণী দিয়ে তিনি মানুষকে আপ্লুত করেছেন। সমস্ত প্রাণীজগতের প্রতি অনাবিল একাত্মভাব প্রকাশ করাই ছিল বুদ্ধের বিশ্বমৈত্রী ভাবনা। আর এই বিশ্বমৈত্রীই বিশ্বশান্তির এক এবং অদ্বিতীয় উৎস।
সাম্প্রদায়িকদের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক এই কামনা করছি।

এবার আসি জাতিগত সংস্কৃতি বিষয়েঃ
আমরা বর্তমানে আমাদের আইডেন্টি ক্রাসিসে ভোগছি। বর্তমানে বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের জাতির পরিচয় আমরা "মারমা"। এক সময় ছিলাম "মগ"। মগ থেকে আমরা মারমাতে রূপান্তরিত হয়েছি। পূর্বপুরুষদের ইতিহাস ও বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখলে সেখানে দেখবে "মগ" অস্থিত্ব রয়েছে। বর্তমানে আমরা যে মারমা পরিচয়ে বেঁচে আছি সেটার অস্থিত্ব ভবিষ্যতে থাকবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছা অনুযায়ী ও আমাদের নেতা নেতৃত্বদের দূরদর্শিতা অভাবের ফলে আমরা বার বার রুপান্তর হচ্ছি। আন্তজার্তিকভাবে এক সময় আমার জুন্ম পাহাড়ি ছিলাম, তারপর হয়েছি উপজাতি, তারপর আদিবাদি। আর বর্তমান সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী বিশ্ববাসীর কাছে আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে।

"মারমা"
মারমা জাতি হিসেবে আমাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, পরিচ্ছেদ পোষাকসহ একজাতি হিসেবে যেসব সংস্কৃতি থাকা প্রয়োজন সেসব আমাদের রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের সংস্কৃতির সচেতনতা অভাব ও আধুনিকায়ন এবং শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসনে আমাদের ভাষা ও পোষাকের সংস্কৃতি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষার্থে আমাদের নাম গন্ধও নাই। আধুনিক হতে গিয়ে আমরা বাঙ্গালির সংস্কৃতি পাঞ্জাবী ও শাড়ী পরিধান করছি। অনেক ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ও দলগত সংস্কৃতি রক্ষার দোহাই দিয়ে এসব পোষাক ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতি হিসেবে প্রথমে পরিচয় করিয়ে দেয় মানুষের পোষাক, তারপর ভাষা। এই পোষাক ও ভাষাটাকে আমরা যদি এই সময়টাতে সচেতন না হই, তাহলে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মরা হারিয়ে ফেলবে আমাদের জাতিসত্বার অস্থিত্ব।

লেখা চলবে......
© bhikkhu

natural beauty
18/08/2023

natural beauty

খাগড়াছড়ি মানুষদের নামে অভাব পরে গেলে, মানে খাগড়াছড়িতে নামকরন করার মত কি কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলই না? উড়ে এসে জুড়ে বসিয়ে কেন...
10/08/2023

খাগড়াছড়ি মানুষদের নামে অভাব পরে গেলে, মানে খাগড়াছড়িতে নামকরন করার মত কি কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলই না? উড়ে এসে জুড়ে বসিয়ে কেন নামকরন করা লাগবে?

যারা শিক্ষক হতে চান বা শিক্ষকতা করছেন তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিএড অত্যাবশ্যক।  বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ...
04/08/2023

যারা শিক্ষক হতে চান বা শিক্ষকতা করছেন তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিএড অত্যাবশ্যক।

বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
আবেদনের তারিখঃ ০৭-০৮-২০২৩ থেকে ২২-০৯-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।
আবেদনের লিংকঃ https://osapsnew.bou.ac.bd

21/07/2023

যেখানে ১০ টাকা লাগবে সেখানে ৩০ টাকা খরচ করে উন্নয়ন করছেন বলে দোল বাজান সামনে নির্বাচনে আমরা অবশ্যই তাদের ভোট দেব।

02/07/2023

ফেসবুক ব্যবহারের জন্য যেসব কমনসেন্স আপনার থাকা উচিত-

১. কারো ফেসবুক পোস্ট, ছবি, অন্যান্য এক্টিভিটিজ দেখে তার ব্যক্তিগত জীবনকে জাজ করবেন না।

২. কারো পাবলিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য কমেন্ট বক্সে- "ভাইয়া/আপু, আমি কি এটা শেয়ার করতে পারি?" বলার প্রয়োজন নাই। যেহেতু শেয়ার অপশন আছে, সুতরাং শেয়ার করলে দোষ নাই।

৩. কারো স্ট্যাটাসে বানান ভুল থাকলেই তারে পচানোর চেষ্টা করবেন না। বিনয় নিয়ে তাকে কমেন্ট বক্স অথবা ইনবক্সে বলতে পারেন- আপনার এই বানানটা সম্ভবত ভুল হয়েছে কিংবা টাইপিং মিস্টেক।

৪. কারো কমেন্টবক্স থেকে সুন্দরী মেয়েদের গণহারে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না।

৫. কারো পাবলিক প্রোফাইল, যেখানে আপনি সব পোস্ট অথবা স্ট্যাটাস দেখতে পারেন; সেখানে বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার কথা বলা জরুরী না। আপনি তার ফ্যান হইলে, তার সব লেখা কিংবা ছবি কষ্ট করে খুঁজেই দেখতে পারেন। তাছাড়া ফলো করলেও সব আপডেট আপনার নিউজফিডে আসবে।

৬. কারো পোস্ট কিংবা ছবিতে ইরেলিভ্যান্ট কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।

৭. "এড মিহ, ব্রো" ইজ অ্যান ওল্ড ট্যাকনিক। প্রোডাক্টিভ কিছু কমেন্ট করুন, যাতে সে আপনাকে মনোযোগ দেয় এবং নিজেই এড করে।

৮. কোন মেয়ের স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কমেন্টে স্ল্যাং ইউজ করা কিংবা এইটিন প্লাস মিম শেয়ার করা দেখে, তারে বিছানায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেন। এভরিওয়ান ইজ নট ইউর কাপ অব টি। বি অ্যা ম্যাচিউর ম্যান।

৯. সাহিত্য চর্চা করে এমন কারো দুঃখের পোস্টে যেয়ে- "ভাইয়া, আপনার কি মন খারাপ?" বলা বন্ধ করুন। সবকিছুকে ব্যক্তিগত ভাবাটাও বোকামি।

১০. অন্যের লেখা ভাল লাগলে শেয়ার করুন। রিচ পেতে চাইলে কপি করে তার নাম কার্টেসি সহ পোস্ট করুন। লেখক সম্পর্কে অবগত না থাকলে, কালেক্টেড লিখে দিন। যা আপনার নয়, তা নিজের বলে দাবি করা মূর্খতা। ব্যক্তিত্বহীনতা। কারো লেখা কপি করে, তার নাম লিখে দিলে আপনার ভাবমূর্তি কমে যাবেনা বরং বাড়বে। এতেই আপনার স্বচ্ছতা।

১১. কারো লেখা আপনার মতাদর্শের বাইরে হলেই তাকে এট্যাক করা জরুরী নয়। আপনি যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করতে পারেন। সেই জ্ঞ্যান না থাকলে, চুপ থাকুন।

১২. কারো কথা আপনার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তাকে জ্ঞ্যান না দিয়ে, গালাগালি না করে, তাকে আপনার পথ সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। আপনার সিদ্ধান্ত তারে চাপায় দিতে পারেন না। এই পৃথিবীতে আপনি যেমন আস্তিক হওয়ার অধিকার রাখেন, কেউ নাস্তিক হওয়ারও অধিকার রাখে। দুনিয়াটা আপনার একার তো না।

১৩. আপনি যেই ধর্মেরই হন না কেন, অন্যের ধর্মকে শ্রদ্ধা করুন। এটাই আপনার শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

১৪. রাত বারোটার পর অচেনা মেয়েদের ইনবক্সে নিজের পেনিসের ছবি পাঠানোর চর্চা থেকে বের হয়ে আসেন। বড় পেনিস দিয়ে আসলে কিছু হয়না; মেন্টাল এটাচমেন্ট না থাকলে- ওইসবে লাভ নাই।

আশা করি এইসব কমনসেন্স নিজের ভেতর ধারন করার চেষ্টা করবেন।
ধন্যবাদ।
হ্যাপি ফেসবুকিং ❤️

© আসাদুজ্জামান জীবন

19/06/2023

Argentina vs indunesia live football




Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aungsheprue marma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Aungsheprue marma:

Share