News Flare

News Flare Follow our page to get daily news updates .

১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ১৫ জন #পুলিশ  #চাকরি    ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্র...
11/02/2025

১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ১৫ জন
#পুলিশ #চাকরি

১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৫ জন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরসরাই থানা পুলিশ এই ১৫ জনের নাম প্রকাশ করেছে এবং থানায় তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- শরিফ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ইরফান উদ্দির আবির, রেজাউল করিম, ফয়সাল আলম অয়ন, জয় বড়ুয়া অসীম, মো. সরওয়ার হোসেন, মো. সাকিবুল হাসান, দুর্জয় চন্দ্র দাশ, মাহমুদ হাসান মাহিন, সিজয় বড়ুয়া, শওকত আলী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও নাজমা আক্তার।
উপজেলার মিরসরাই থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ি এই ১৫ জনের। এদিন মিরসরাই থানা প্রাঙ্গণে উচ্ছ্বসিত অবস্থায় দেখা যায় তাদের।

নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের সাকিবুল হাসান অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর একটা দোকানে গিয়ে আবেদন করি। এরপর আমাদের যাছাই-বাছাইয়ের দিনক্ষণ জানানো হয়। মৌখিক, লিখিত, শারীরিক, মানসিক ও মেডিকেল-সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আসলে চাকরিটা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে সোনার হরিণ পাওয়ার চেষ্টা করি। অবশেষে সফল হয়েছি।

শরীফ, ইরফান, নাজমাসহ অন্যরা জানান, তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে চান। সরকার তাদের ওপর যে দায়িত্বভার দিয়েছে তার যথাযথ মূল্যায়ন করে দেশ ও মানুষের সেবায় সারা জীবন কাজ করতে চান। চাকরি পেয়ে তারা অনেক খুশী।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্তভাবে এই ১৫ জন কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেতে তাদের কারও কাছে ধরনা দিতে এমনকি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করতে হয়নি। শুধু অনলাইনে আবেদন খরচ ১২০ টাকা সেটাই লেগেছে।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শও দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মরক্কো #ভূমিকম্প  #মরক্কোমরক্কোর উত্তরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্...
11/02/2025

৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মরক্কো
#ভূমিকম্প #মরক্কো

মরক্কোর উত্তরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর মরক্কোর কাসার এল কেবিরের কাছে ৫.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে আজ ভোরে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।

ভূমিকম্পটি রাজধানী রাবাতসহ ভূমিকেন্দ্রের ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দক্ষিণে অনুভূত হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার এই দেশটিতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

সাগর-রুনি খুনের ১৩ বছর, সরকার পরিকল্পিতভাবে আলামত নষ্ট করে অভিযোগ আইনজীবীর #সাংবাদিক  #হত্যাকান্ড  #সাগর  #রুনিসাংবাদিক ...
11/02/2025

সাগর-রুনি খুনের ১৩ বছর, সরকার পরিকল্পিতভাবে আলামত নষ্ট করে অভিযোগ আইনজীবীর
#সাংবাদিক #হত্যাকান্ড #সাগর #রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর আজ। ২০১২ সালেরর ১১ ফেব্রুয়ারি দিনের আলো ফোটে এক নৃশংসতার খবর নিয়ে। সাংবাদিক সাগর-রুনি খুন হয়েছেন রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায়।

এই হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশ, ডিবি ঘুরে তদন্ত যায় র‍্যাবের কাছে। মাঝের তের বছরে কিছু আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো ছাড়া বলার মত অগ্রগতি নেই এ হত্যা মামলায়। এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় পিছিয়েছে ১১৪ বার। যেটিও নিকট অতীতে বিরল।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। এই দম্পতি খুনের ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। খুনের দুইদিন পর তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহামুদ খন্দকার বলেছিলেন, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এরপর আওয়ামী শাসনামলে আর অগ্রগতি হয়নি এই হত্যা মামলার।

গত আগস্টে পট পরিবর্তনের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রধান করে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেল ৪ নভেম্বর তদন্তভার গ্রহনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাস্কফোর্স।

এ মামলায় গ্রেফতার আটজনের মধ্যে দুজন আছেন জামিনে। এ নিয়ে অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি টাস্কফোর্স সদস্যরা। তবে বিচারের আশায় নতুন করে বুক বেধেছেন স্বজনরা।

এ মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে আলামত নষ্ট ও বিচারকাজ বিলম্বিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, অপরাধীদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকার এ কাজ করেছিল।

এই দম্পতি যখন নিহত হন তখন রেখে গিয়েছিল ছোট্ট ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘকে। এখন তার বয়স আঠারো। তিনি এখন স্বপ্ন দেখেন তার বাবা-মার খুনিদের সাজা হবে। মেঘ বলেন, আগে তো কোনো কাজ হয়নি। এখন কিছুটা কাজ হচ্ছে। আশা করছি বিচার হবে। এর পরক্ষণেই তিনি বলেন, আর না হলেও সমস্যা নেই, আগেও দেখেছি কিছুই (বিচার) হয়নি। বিচার না হলে আগের সরকারের মতই ধরে নেবো।

নতুন সরকার দ্রুত এই মামলার বিচার কাজ শেষ করবেন এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন এমনই প্রত্যাশা স্বজনদের। এ বিষয়ে মামলার বাদী ও সাংবাদিক রুনির ভাই নওশের রোমান বলেন, তৎকালীন সরকার ইচ্ছে করেই মামলাটির অগ্রগতি হতে দেয়নি। এতে আমরা নিশ্চিত সেখানে সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত। সেজন্য তারা তদন্তের কাজ চলতে দেয়নি। এখন দেশে ওই সরকার নেই, এখানে নতুন সরকারের স্বার্থ আছে বলেও মনে করি না। তাই আশাবাদী, এখন ইতিবাচক বিচার পাবো।

সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, আর কত রাত জাগবো? আর কত অপেক্ষা করবো? এই সরকারের সদিচ্ছা থাকলে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবে। দ্রুতই এই খুনের বিচার পাবেন এমন আশায় ‍বুক বেধেছেন তিনি।

ভারতীয় গৃহবধূ প্রেমিক নিয়ে পালিয়ে এসে বিজিবির হাতে আটক #ভারতীয়গৃহবধূ  #প্রেমিক  #আটক  #বিজিবিসীমান্তের কাঁটাতার পেরি...
20/01/2025

ভারতীয় গৃহবধূ প্রেমিক নিয়ে পালিয়ে এসে বিজিবির হাতে আটক
#ভারতীয়গৃহবধূ #প্রেমিক #আটক #বিজিবি

সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতীয় এক গৃহবধূ তার প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার বাধার উদ্দেশে বাংলাদেশে আসে ঘর বাঁধার জন্য। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি দিল বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যরা। দালালের মাধ্যমে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাংলাদেশি সহযোগীসহ বিজিবির হাতে আটক হয় ওই ভারতীয় প্রেমিক যুগল।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী সীমান্তের পাশে বালাতাড়ী গ্রামে। আটকের পর সন্ধ্যায় বাংলাদেশি সহযোগী এবং দুই ভারতীয় নাগরিককে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
আটককৃতরা হলেন, ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার ধামাই গ্রামের এক সন্তানের জননী রেশমা মন্ডল (২৮), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উশতি থানার গড়খালী গ্রামের সৌরভ কুমার সাপুই (১৮) এবং সহযোগী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কাশিরডারা গ্রামের ইউসুফ আলী (২২)।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মামুনুর রশীদ জানান, সন্ধ্যায় বিজিবি ভারতীয় এক নারী, এক যুবক এবং তাদের সহযোগীকে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ব্যাপারে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

মুক্তি পেল ফিলিস্তিনের ৯০ বন্দি #ফিলিস্তিন  #বন্দি  #মুক্তিযুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দি...
20/01/2025

মুক্তি পেল ফিলিস্তিনের ৯০ বন্দি
#ফিলিস্তিন #বন্দি #মুক্তি

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় কার্যকর হয় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি। মুক্তি পাওয়া ৯০ জনের মধ্যে ২১ জন কিশোর ও ৬৯ নারী। খবর, রয়টার্সের।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনকে সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে, রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পরে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে সেইসাথে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। গতকাল রোববার গাজায় এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

মার্চে ড. ইউনুসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান #ডইউনুস  #ইউনুস  #বেইজিং  #চীন  #বিশেষবিমানমার্চে ড. ইউ...
20/01/2025

মার্চে ড. ইউনুসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান
#ডইউনুস #ইউনুস #বেইজিং #চীন #বিশেষবিমান

মার্চে ড. ইউনুসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান
মার্চে ড. ইউনুসকে বেইজিং নিতে আগ্রহী চীন, পাঠাতে চায় বিশেষ বিমান
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করতে মনোযোগ দিচ্ছে চীন। এর ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনে সর্বোচ্চ স্তরের সফরে আগ্রহী বেইজিং। তাই দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তিতে আগামী মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বেইজিং সফরে নিতে চায় চীন।
আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বাও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এশিয়াসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থার এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের নেতা, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও শিক্ষাবিদেরা অংশ নিয়ে থাকেন।

তবে সে সময়ে স্বাধীনতা দিবসে প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য চার্টার ফ্লাইটও পাঠাতে প্রস্তুত চীন।

এদিকে সোমবার দুপুরে দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সফরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া আলোচনা হবে অর্থনৈতিক সহযোগীতা আরও জোরদার করা ও স্বাস্থ্যখাতে চীনের অংশিদারিত্ব বাড়ানো বিষয়েও।
বৈঠকে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সহযোগিতা কীভাবে এগোবে, তা গুরুত্ব পাবে। দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব পেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চীনের সহায়তায় মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপন, বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংসহ একাধিক প্রদেশে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য স্বল্প মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং ঢাকায় আহত ব্যক্তিদের সেবা ও পুনর্বাসনে বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে একাধিক সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

মাঝরাতে ঢাবিতে আবার ‘কোটা না মেধা’ স্লোগান, বিক্ষোভ #কোটানামেধা  #স্লোগান  #বিক্ষোভ  #ঢাবিমেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ...
20/01/2025

মাঝরাতে ঢাবিতে আবার ‘কোটা না মেধা’ স্লোগান, বিক্ষোভ
#কোটানামেধা #স্লোগান #বিক্ষোভ #ঢাবি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে আবার ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’ স্লোগানে মাঝরাতে বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটা রেখে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করেন ঢাবি-ঢামেক এবং ঢাকা কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
এসময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘মেডিকেলে কোটা কেন? প্রশাসন জবাব দে’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘অন্যায় হবে যতবার জেগে উঠবো ততবার’, ‘লড়াই লড়াই চাই’, ‘এই লড়াইয়ে জিতবে কারা? ২৪ এর সৈনিকরা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধীতা করে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও এমন স্লোগান দেওয়া হত।
সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে টানা ১৫ বছরের শাসন শেষ হয় শেখ হাসিনার।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এক কঠিন গণ-আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার পতনের ইতিহাস লেখেছি। মনে রাখতে হবে, এই কোটা আন্দোলনের মাধ্যমেই সেই গণ-আন্দোলনের শুরু। কিন্তু বর্তমান সরকারের ৬ মাস হয়ে গেলেও এখনো কোটা প্রথার বিলুপ্তি দেখতে পাইনি। এখনো কেউ কোটার জোরে ৪১ পেয়ে চান্স পায়, আরেকজন ৭৩ পেয়েও চান্স পায় না। যেই বৈষম্য নিরসন করতে গিয়ে আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছিল সেই বৈষম্য দূর করতে যদি আবারও নামতে হয়, তাহলে এই সরকারেরও পরিণতি হাসিনার মতো হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের ভাইরা যে বৈষম্য দূর করতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, সেই বৈষম্য এখনো থাকা মানে তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আমরা এটি সহ্য করবো না। অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে সব চাকরি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে, রাত ১০টায় ঢাকা কলেজ হল পাড়া থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সাইন্সল্যাবে যায়। এরপর সাইন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত হয়ে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
রোববার মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৩৭টি সরকারি কলেজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৭২ জন।
পরে রাতে মেডিকেলের ভর্তির ফলাফল তৈরিতে কোটা রাখার বিরোধিতা করে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটা’ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মধ্যরাতে বিক্ষোভের পর তারা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন। এতে তারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে সেটি বাতিল করে নতুন করে আবারও ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।

লে.তানজিম হত্যার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল #লে_তানজিম  #চার্জশিট  #হত্যাকক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা এলাকায় সেনা কর্মকর্তা ...
20/01/2025

লে.তানজিম হত্যার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল
#লে_তানজিম #চার্জশিট #হত্যা

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা এলাকায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারওয়ার নির্জন হত্যার ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
প্রায় চার মাস পর এই ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা, চকরিয়া থানার উপ পরিদর্শক অরুপ কুমার রবিবার(১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চার্জশিটটি চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবিরের আদালতে দাখিল করেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী আহসান সেজান।
আহসান সেজান আরও জানান, আদালত পর্যালোচনার পর চার্জশিট গ্রহণ করেছে এবং আসামিদের মধ্যে যারা পলাতক, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আহসান সেজান বলেন, “এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ৬ জনকে। নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে ৭ জন আসামী।”
এ পর্যন্ত ১২ জনকে এ হত্যাকাণ্ডে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর বিগত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সার্জেন হারুন চাকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির তথ্য পেয়ে সেখানে পৌঁছায়। ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে, লে. তানজিম তাদের পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় ডাকাতরা লে. তানজিমকে আক্রমণ করে, তার ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে এবং রক্তক্ষরণের ফলে তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তানজিম জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। ২০২২ সালের ৮ জুন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ৮২তম লং কোর্স সম্পন্ন করেন এবং সেনাবাহিনীর সার্ভিস কোরে কমিশন প্রাপ্ত হন।

গুম, গণহত্যায় অভিযুক্ত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য #গুম  #গণহত্যা  #নির্বাচন  #অযোগ্যগুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ব্যক্তি...
20/01/2025

গুম, গণহত্যায় অভিযুক্ত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য
#গুম #গণহত্যা #নির্বাচন #অযোগ্য

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে একটি বিশেষ আইনের খসড়া তৈরি করছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। খসড়ায় বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণহত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত রাখার বিধান রাখা হচ্ছে।

সংস্কার কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশের যে সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে, সেখানেও এ–সংক্রান্ত সুপারিশ রয়েছে। এখন তারা এ বিষয়ে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে তা সরকারকে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। কমিশন খসড়া তৈরির কাজ করছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে এই খসড়া প্রস্তাব দেওয়া সম্ভব হবে বলে কমিশন আশা করছে।

এ ধরনের আইন হলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি বড় অংশ আগামী নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে যেতে পারেন। অবশ্য অভিযুক্ত হলেই কাউকে নির্বাচনের অযোগ্য করা হলে ভবিষ্যতে এই সুযোগের অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা করেন আইন অঙ্গনের কেউ কেউ।

বর্তমান বিধানে যা আছে
বিদ্যমান সংবিধানে জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা–অযোগ্যতার শর্ত সম্পর্কে বলা আছে। সেখানে কয়েকটি অযোগ্যতার একটি হচ্ছে, কোনো ব্যক্তির নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। আরেকটি অযোগ্যতা হলো, ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিও নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো আইনে দণ্ডিত ব্যক্তিও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এই ধারাটির ওপর ভিত্তি করে সংস্কার কমিশন একটি নতুন বিশেষ আইন প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যমান বিধানে সাজা না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনের অযোগ্য হবেন না। আবার নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলেও উচ্চ আদালতে আপিল করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নজির আছে। সংস্কার কমিশন মনে করছে, স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেও দূরে রাখা দরকার। তা না হলে ক্ষত পুরোপুরি দূর হবে না। এই বিবেচনায় সংস্কার কমিশন বিশেষ আইনের খসড়া তৈরি করছে। যাতে দণ্ড হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না হয়।

সংস্কার কমিশনের অবস্থান হলো—তারা যে আইন প্রস্তাব করবে, সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেউ অভিযুক্ত হলেই সেই ব্যক্তিকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মেলে এবং তিনি অভিযুক্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে আদালতের রায় বা সাজার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

এ ধরনের আইন হলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি বড় অংশ আগামী নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে যেতে পারেন। অবশ্য অভিযুক্ত হলেই কাউকে নির্বাচনের অযোগ্য করা হলে ভবিষ্যতে এই সুযোগের অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা করেন আইন অঙ্গনের কেউ কেউ।

পরিবর্তনের চিন্তার পেছনে যুক্তি কী
সংস্কার কমিশনের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ বিশেষ ধরনের অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিচালিত হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার অর্থ হচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যথেষ্ট তথ্য–প্রমাণ আছে। তাই বিশেষ আইনের খসড়ায় এ বিষয় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা গুম কমিশনের তদন্তে যাঁরা অভিযুক্ত হবেন, তাঁদেরও অযোগ্য ঘোষণার বিধান রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। একই সঙ্গে গুরুতর দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযুক্ত হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে কমিশনের মধ্যে এখনো সংশয় আছে। এটি নিয়ে আরও পর্যালোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে সাজা হওয়ার পর তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান রাখা হতে পারে।

এ ছাড়া কোনো আদালত কাউকে ফেরারি আসামি ঘোষণা করলে তিনিও নির্বাচনের অযোগ্য হবেন, এমন বিধানও সেখানে রাখার চিন্তা আছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন মনে করছে, এই বিশেষ আইনটি করা হলে রাজনীতি থেকে দুর্বৃত্তায়ন ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমে আসবে।

কমিশন সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা গুম কমিশনের তদন্তে যাঁরা অভিযুক্ত হবেন, তাঁদেরও অযোগ্য ঘোষণার বিধান রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।

অবশ্য এভাবে শুধু অভিযুক্ত হলেই কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, তারাও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। এটি নিয়ে তারা দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কয়েকজন আইন ও মানবাধিকারবিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা মনে করছেন, এ ধরনের বিধানে সমস্যা হবে না। কারণ, আইনে যেসব অপরাধের কথা বলা হবে, সেগুলো বিশেষ ধরনের গুরুতর অপরাধ। প্রাথমিক একটি তদন্তে সত্যতা পেলেই তাঁদের অভিযুক্ত করা হবে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা করে তাঁরা এ–সংক্রান্ত সুপারিশ করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ গুরুতর অপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হলে তাঁকে এবং গুম কমিশনের তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা—এ রকম একটি বিশেষ আইন করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নির্বাচনের অঙ্গন থেকে দূরে রাখা যায়। এ বিষয়ে তাঁরা একটি আইনের খসড়া দেবেন, যাতে সরকার এটিকে আইনে পরিণত করতে পারে।

শেষ পর্যন্ত যদি এ ধরনের আইন করা হয়, তাহলে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি বড় অংশ আগামী নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে যেতে পারেন। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেও ট্রাইব্যুনালে মামলা আছে। এগুলোর তদন্ত চলছে। যদি তদন্ত শেষে চার্জশিট হয়, আর বিশেষ আইনটি কার্যকর হয়—তখন তাঁরা নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা করে তাঁরা এ–সংক্রান্ত সুপারিশ করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ গুরুতর অপরাধ।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত ৩ অক্টোবর কমিশন গঠন করে সরকার। ১৫ জানুয়ারি কমিশন তাদের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে। সেখানে কোনো আদালত থেকে ঘোষিত ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিশেষ আইনে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করা হয়। এখন তারা এ–সংক্রান্ত বিশেষ আইনের খসড়া করছে।

তবে দণ্ডিত হওয়ার আগেই নির্বাচনে অযোগ্য করা যৌক্তিক হবে কি না, এই প্রশ্নও কেউ কেউ তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকার চাইলে আইন করতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেউ দণ্ডিত না হন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে নির্বাচনের অযোগ্য করা উচিত হবে না।

নাটোরে এসআই প্রত্যাহার: থানায় সেবাপ্রার্থী বললেন, ‘আমি ৩০০ টাকা উনাকে চা খেতে দিয়েছি’ #এসআইপ্রত্যাহার  #নাটোর পুলিশ ছাড়...
19/01/2025

নাটোরে এসআই প্রত্যাহার: থানায় সেবাপ্রার্থী বললেন, ‘আমি ৩০০ টাকা উনাকে চা খেতে দিয়েছি’
#এসআইপ্রত্যাহার #নাটোর

পুলিশ ছাড়পত্র (পুলিশ ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার জন্য সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে হয়। পরে ভিডিওটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নাটোর সদর থানা ভবনে এসআই আমিনুল ইসলামের ডেস্কে গেছেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি কিছু টাকা আমিনুলের হাতে দেন। তাৎক্ষণিক আমিনুল ওই টাকা তাঁর টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন। ওই ডেস্ক থেকে আসার সময় সেবাপ্রার্থীকে টাকা দেওয়ার কারণ চান আরেক ব্যক্তি। তখন সেবাপ্রার্থী বলেন, ‘আমি ৩০০ টাকা উনাকে চা খেতে দিয়েছি।’ এ সময় তিনি আরও জানান, পুলিশ ছাড়পত্র পেতে এর আগে তিনি অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। তবে ওই কর্মকর্তার পরিচয় তিনি উল্লেখ করেননি। তদন্তের জন্য যে কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান এসআই আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের হামলা, প্রতিবাদে নাগরিক কমিটির বিক্ষোভ #চাঁপাইনবাবগঞ্জ  #বিক্ষোভ   #হামলা  #বিএসএফ  #প্রতিবাদ চ...
19/01/2025

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের হামলা, প্রতিবাদে নাগরিক কমিটির বিক্ষোভ
#চাঁপাইনবাবগঞ্জ #বিক্ষোভ #হামলা #বিএসএফ #প্রতিবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ‘আগ্রাসন’ ও বাংলাদেশিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সংগঠনটি। পরে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘দিল্লির আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা অংশ নেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দিনেদুপুরে বিএসএফ এসে আমাদের ফসল নষ্ট করেছে ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র নিক্ষেপ করার সাহস দেখিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তাদের প্রতিহত করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।’
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পরাধীনতার স্বাদ আর কোনোভাবেই সহ্য করবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমাদের যে ভাইয়েরা আজকে বিজিবির সঙ্গে মিলে ভারতের আগ্রাসন রুখে দিয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

আজহারীর মাহফিল থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু #কিশোরেরমৃত্যু  #আজহারী  #মাহফিললালমনিরহাটে আজহারীর মা...
19/01/2025

আজহারীর মাহফিল থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
#কিশোরেরমৃত্যু #আজহারী #মাহফিল

লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিল শুনে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে রাজ (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানীয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দিনাজপুর বিরল থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী গামী এক্সপ্রেস ৭১ ট্রেনটি কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তরন কলেজ এলাকায় পৌঁছালে ঐ ট্রেনে থাকা কিশোর রাজ অসাবধানতা বসত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়ে মারা যায়। রাজ কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত এলাকার মহুবার রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিল শুনে ট্রেন যোগে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ, অসাবধানতা বসত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়ে মারা যায় সে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি মামুন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলের গেছেন। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when News Flare posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share