30/06/2025
এক হিন্দু নারী ধ*র্ষিত হলেন। এর প্রতিবাদে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ পুরো দেশ মিডিয়ায় সরব হলো। আর, এমনটাইতো হওয়ার কথা!
কিন্তু, দুদিন আগেই যখন নোয়াখালীতে আমার ১৭ বছর বয়সী, মাদ্রাসাগামী বোনকে দিনভর গণ'ধ*র্ষণ করে, নির্যাতন চালিয়ে শেষে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় অভিজিৎ মণ্ডল নামের এক ই'স্ক-ন জ*ঙ্গি সদস্য, তখন সবার মুখে কুলুপ আঁটা। কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নেই, যেন কিছুই ঘটেনি!
মিডিয়া ঘটনাটি চেপে যায়। লিবারেল, নারীবাদী ভাইবোনদের কিবোর্ড উদাস হয়ে ঘুমিয়ে পরে।বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি ফুরিয়ে আসে।
কারণ, ভিকটিম ‘মুসলিম’। অপরাধী ‘ই'স*কন’।
ফর্মুলায় ম্যাচ করেনি, তাই বাতিল!
খেয়াল করে দেখুন, এই একই কাজ যদি কোনো ই'স্ক-ন সদস্য না করে দাড়ি-টুপি পরিহিত কোনো লেবাসধারী করত, তাহলে চিত্রটা হতো একেবারে ভিন্ন। চারদিকে তোলপাড় পড়ে যেত। তবে হ্যাঁ, সেটা নিশ্চয় মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানির প্রতিবাদে নয়, ন্যায়বিচার আদায়ে নয়, বরং ফোকাস হতো “হুজুররা কেমন হয়” সেই বয়ান প্রমাণে। এক্ষেত্রে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া, সুশীল সমাজ, আর তথাকথিত প্রগ্রেসিভরা সবাই এক যোগে মাঠে নেমে পরতো। সেখানেও আমার বোনের ইজ্জতের কোনো দাম থাকত না, থাকত না কোনো বিচার! তাদের ফোকাস থাকত না ধ*র্ষিতার ওপর, বরং পুরো ইসলামকে কাঠগড়ায় তোলার খেলায় মেতে উঠত।
আচ্ছা!
মুসলমানদের সম্পদের কি কোনো মূল্য থাকতে নেই?
মুসলমানদের র*ক্তের কি কোনোই দাম নেই?
মুসলিম নারীর ইজ্জত কি কোনো নিরাপত্তার যোগ্য নয়?
ওহে মুসলমান পুরুষেরা!
কবে তোমরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেবে?
লেখা : আহমাদ ফাইয়াজ
゚viralシfypシ゚