25/04/2025
আচ্ছা বলুন তো, কোনো মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা। তার জিন (Gene), তার শৈশব, সে কীভাবে বেড়ে উঠেছে, তার পরিবেশ, নাকি অন্য কিছু?
এগুলোর কোনটাই না। আসল Root Factor হলো তার নিজের নেয়া ছোট ছোট কিছু চয়েজ।
এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেয়।
আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোনো কারণে আপনার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে প্রশ্রয় দিয়ে তার সাথে দূরত্ব তৈরি করতে পারেন।
এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আপনার সবকিছুর গতিপথ নির্ধারণ করে — আপনি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবেন নাকি রোগ বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার ছেলেমেয়েকে জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি মন দিই না। আমি বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। ধরুন আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দিলাম :
১. আপনাকে ১ টাকা দেব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দ্বিগুণ হবে, অথবা
২. এখনই আপনাকে একবারে ১০ কোটি টাকা দিয়ে দেব।
আপনি এর মধ্যে কোন অফারটি নিতে পছন্দ করবেন?
বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকাই নেবে। আচ্ছা, আমি ১ নাম্বার অফারটা নিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর আউটকাম কী আসে।
৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০ কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮ আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি ভাবছেন আমি কত বড় বোকা, তাইনা?
এবার দেখা যাক ৩১ দিন পর কার কাছে কত টাকা আছে। আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০ কোটি, কিন্তু আমার কাছে আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা, যেটা কিনা আপনার থেকে ১০ গুণ বেশি।
সাকসেস জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে। যে ব্যক্তি ছোট ছোট চয়েজগুলো সঠিকভাবে নেয় সে ৩১ মাস পর রাতারাতি সাফল্য অর্জন করে।
আরো সহজভাবে বোঝানোর জন্য রাজীব, সাগর এবং আকাশ নামের তিন বন্ধুর উদাহরণ দেওয়া যাক। তিনজনই একই রকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই।🤬🤬