Md Firoz Alam

Md Firoz Alam Assalamu Alaikum, Apnake Amar "Md Firoz Alam" Page sagotom, Ami ai page islamer bibinno bisoi niye alocona kore thaki. Sobay Page Follow diye connect thakben.

Dhonnobad

 #শিরক ও বিদ'আতের বর্ণনা"!------------        --------------ঈমান অপেক্ষা মূল্যবান রত্ন ও অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রী জগতে আর নে...
03/08/2025

#শিরক ও বিদ'আতের বর্ণনা"!
------------
--------------
ঈমান অপেক্ষা মূল্যবান রত্ন ও অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রী জগতে আর নেই। মনে-প্রাণে এ অমূল্য রত্নের হেফাযত করা আবশ্যক এবং এর প্রয়োজনীয় সামগ্রীকে প্রাণের চেয়েও অধিক মুহাব্বত করা উচিত।

হাদীস শরীফের বর্ণনা মতে, আখিরী জামানায় ঈমান রক্ষা করা কঠিন হবে। তথাপি সাবধান! জীবন দিয়ে হলেও প্রত্যেক মু'মিনকে তার ঈমানের হেফাযত করতেই হবে। ঈমান চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ।

আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন- 'যারা সরল পথ ইসলামের শিক্ষা। প্রকাশ পাওয়ার পর রাসূলের সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং মুসলমানের তরিকা ছাড়া অন্য তরীকা অবলম্বন করবে, আমি তাদেরকে সেই পথগামীই করব এবং পরিণামে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। জাহান্নাম ভীষণ মন্দ জায়গা। আল্লাহর সঙ্গে শরিক করার পাপ কিছুতেই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করবেন না। এছাড়া অন্যান্য পাপ যার জন্যে যতটুকু ইচ্ছা করেন, ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে, তারা মহাপাপী। তারা আল্লাহকে ছেড়ে স্ত্রী জাতির অর্থাৎ দেবীদের এবং খোদার অভিশপ্ত সেই পাপিষ্ঠ শয়তানেরই পূজা করছে, যে মানবজাতির সৃষ্টির লগ্নে বলেছিল- আমি মানবজাতির মধ্য হতে এক দলকে নিজের অনুসারী বানিয়ে তাদেরকে বিপথগামী করব, তাদেরকে নানা দুরাশায় আক্রান্ত করব, আর তাদেরকে গৃহপালিত পশুর কান কাটতে আদেশ করব।
আর তা-ই করবে এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করতে "অর্থাৎ শ্মশ্রুমুগুণ বা দাড়িমুগুণ ইত্যাদি শরী'আত বিরোধী কাজ করতে। আদেশ করব, তারা তাই করবে। বস্তুত যারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানের আদেশ পালন করবে, তারা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শয়তান তাদের নিকট ওয়াদা করে এবং আশ্বাস বাণী শোনায়, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে শয়তানের ওয়াদা ও আশ্বাস বাণী প্রবঞ্চনা ব্যতীত কিছুই নয়" সূত্র: সূরা নিসা,আয়াত ১৫-১৬"

শিরক, বিদ'আত, জাহিলিয়্যাতের রসম ও শয়তানের পায়রবি যে কত জঘন্য অন্যায়, নিন্দনীয় এবং ঈমানের জন্যে অনিষ্টকর, উপরোক্ত আয়াতগুলো দ্বারা তা স্পষ্টই বোঝা যায়। এসব কাজ করলে তাওহীদ ও রিসালাতের আক্বীদা নষ্ট হয় এবং ইমানের নূর ও রশ্মি চলে গিয়ে তথায় অন্ধকার বিস্তার লাভ করে।
তাই ঈমানের বিষয়াবলী ও ইসলামী আক্বায়িদ বর্ণনা করার পর সাধারণের মাঝে প্রচলিত বিভিন্ন বদ রসম ও বড় বড় গুনাহ "গুনাহে কবীরা।
বর্ণনা করে দেওয়া সমীচীন মনে করছি। ঈমানদারগণ উক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে সেগুলো হতে বিরত থেকে নিজ নিজ ঈমানের হেফাযত করতে চেষ্টা করবেন বলে আশা করি।

প্রচলিত বদ রসমসমূহের মধ্যে কতগুলো কুফর ও শিরক পর্যায়ের, আর কতগুলো কুফর ও শিরক তো নয়, কিন্তু কুফর ও শিরকের কাছাকাছি, আর কতগুলো বিদ'আত ও গোমরাহী এবং কতগুলো হারাম, মাকরূহ ও গুনাহে কবীরা। সবগুলো থেকেই বেঁচে থাকা আবশ্যক। তবেই ঈমান গ্রহণীয় ও সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হবে।
#শিরক কাজসমূহ
:::::::::::::::::::::::::::
নিম্নলিখিত কাজগুলো শিরক। এসব হতে দূরে থাকা অপরিহার্য কর্তব্য-

১..কোন বুযুর্গ বা পীর সম্বন্ধে এ রকম আক্বীদা রাখা যে, তিনি সবসময় আমাদের সব অবস্থা জানেন।
২..জ্যোতির্বিদ, গণক, ঠাকুরদের নিকট অদৃষ্টের কথা জিজ্ঞেস করা।
৩..কোন পীর-বুযুর্গকে দূরদেশ থেকে ডাকা এবং মনে করা যে, তিনি তা শুনতে পেয়েছেন।
৪..কোন পীর-বুযুর্গ, জিন-পরী বা ভূত-ব্রাহ্মণকে লাভ-লোকসানের মালিক মনে করা।
৫..কোন পীর বুযুর্গের কবরের নিকট আওলাদ বা অন্য কোন উদ্দেশ্যের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করা।
৬..পীর বা কবরকে সিজদা করা।
৭..কোন পীর-বুযুর্গের নামে শিরনি, সদকা বা মান্নত মানা।
৮..কোন পীর-বুযুর্গের দরগাহ বা কবরের চতুর্দিক দিয়ে তওয়াফ করা।
৯..আল্লাহর হুকুম ছেড়ে অন্য কারো আদেশ বা সামাজিক প্রথা পালন করা।
১০..কারো সামনে মাথা নিচু করে সালাম করা বা হাত বেঁধে নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকা।
১১. মুহাররমের সময় তাজিয়া বানানো।
১২. কোন পীর-বুযুর্গের নামে জানোয়ার যবেহ করা বা কারো দোহাই দেওয়া।
১৩. পীরের বাড়ির বা কোন বুযুর্গের দরগাহ বা তীর্থকে, কাঁবা শরীফের মতো আদব বা তা'যিম করা।
১৪. কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য কারো নামে ছেলের নাক, কান ছিদ্র করা, আংটি পরান, চুল রাখা, টিকি রাখা ইত্যাদি
১৫. আলী বখশ, হোসাইন বখশ ইত্যাদি নাম রাখা।
১৬. কোন জিনিসের বা ব্যারাম-পীড়ার ছুত লাগে বলে বিশ্বাস করা।
১৭. মুহররম মাসে পান না খাওয়া, নিরামিষ খাওয়া, খিচুড়ি খাওয়া ইত্যাদি।
১৮. নক্ষত্রের তাছির মানা বা তিথি পালন করা। ১৯. ভালো-মন্দ বা বার তারিখ জিজ্ঞেস করা। যেমন, অনেকে জিজ্ঞেস করে, এই চাঁদে বিবাহ শুভ কি-না? কোন দিন নতুন ঘরে যেতে হয়? রোববারে বাঁশ কাটা যায় কি-না? ইত্যাদি।
২০. গণকের নিকট বা যার ঘাড়ে জিন সওয়ার হয়েছে, তার নিকট হাত দেখিয়ে অদৃষ্ট জিজ্ঞেস করা।
২১. কোন জিনিস হতে কু-লক্ষণ ধরা বা কুযাত্রা মনে করা। যেমন, যাত্রামুখে কেউ হাঁচি দিলে অনেকে সেটাকে কু-যাত্রা মনে করে থাকে।
২২. কোন দিকে যাত্রা করার সময় ঘরের দুয়ারে মা খাকি বলে সালাম করে বিদায় গ্রহণ করা। ২৩. কোন দিন বা মাসকে অশুভ মনে করা।
২৪. কোন বুযুর্গের নাম ওজীফার মতো জপ করা।
২৫. এ রকম বলা যে, আল্লাহ ও রাসূলের মর্জি থাকলে এ কাজ হবে, বা আল্লাহ-রাসূল যদি চান, তবে এ কাজ হবে।
২৬. এ রকম, বলা যে, উপরে খোদা, নিচে আপনি।
২৭. কারো নামের কসম খাওয়া বা যিকির করা। কাউকে 'পরম পূজনীয়' সম্বোধন করে লেখা, 'কষ্ট না করলে কেষ্ট পাওয়া যায় না' বলা, 'জয়কালী নেগাহবান' ইত্যাদি বলা।
২৮. তেমাথা পথে ভেট দেওয়া, পূজা উপলক্ষে কর্ম বন্ধ রাখা, দোল-পূজায় আবির মাখানো, বিষকরম পূজায় ছাতু খাওয়া, পৌষ মাস সংক্রান্তিতে গরু দৌড়ানো, ঘোড়া দৌড়ানো, আশ্বিন মাস সংক্রান্তিতে গাশ্চি, গোফাগুণে পূজা উপলক্ষে আমোদ উৎসব, নতুন কাপড় ক্রয়, পার্বণী দেয়া, মনসা পূজা বা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নৌকা দৌড়ানো। হিন্দুদের আড়ঙ্গে, মিছিলে, উৎসবে যাওয়া।
২৯. ছবি, ফটো বা মূর্তি রাখা, বিশেষ করে কোন বুযুর্গের ফটো তা'যিমের জন্য রাখা।
#বিদ'আতের বর্ণনা
""""""""""""""""""""'""''
নিম্নলিখিত কাজগুলো বিদ'আত। এগুলো থেকে দূরে থাকা কর্তব্য।

১..কোন বুযুর্গের মাযারে ধুমধামের সাথে উরস করা, মেলা বসানো, বাতি জ্বালানো।
২..মেয়েলোকের বিভিন্ন দরগায় যাওয়া।
৩..কবরের ওপর চাদর, আগরবাতি, মোমবাতি ও ফুল দেওয়া।
৪..কবর পাকা করা।
৫..কোন বুযুর্গকে সন্তুষ্ট করার জন্যে শরী'আতের সীমারেখার বেশি তাযিম করা।
৬..কবরে চুমো খাওয়া।
৭..কবরে সিজদা করা।
৮..দ্বীনের বা দুনিয়ার কাজের ক্ষতি করে দরগায়-দরগায় বেড়ানো।
৯..কোন কোন অজ্ঞ লেখক আজমীর শরীফ, বাজেবোস্তান, পীরানে কার্লিয়ার ইত্যাদিকে মুসলমানদের তীর্থস্থান বলে উল্লেখ করেছে, তা দেখে তীর্থ গমনের ন্যায় সেসব স্থানে যাওয়া। ১০. উঁচু উঁচু কবর বানানো।
১১. কবর সাজানো, সেখানে ফুলের মালা দেওয়া।
১২. কবরে গম্বুজ বানানো।
১৩. কবরে পাথর খোদাই করে কিছু লিখে লাগানো।
১৪. কবরে চাদর, শামিয়ানা ইত্যাদি টানানো। ১৫. মাযারে মিঠাই নজরানা দেওয়া।


゚viralシ2025

03/08/2025

#ফরজ সালাতের পর প্রিয় নবীজি যেভাবে জিকির করতেন"
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ أَعْرِفُ انْقِضَاءَ صَلوةِ رَسُولِ اللَّهِ ه بالتكبير"'مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
অর্থাৎ.হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস "রা." হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ "সা."এর নামাযের পরিসমাপ্তি চিনতাম তাকবীর দ্বারা। অর্থাৎ,নামায শেষ করতে তিনি তাকবীর বলতেন, এতে আমি মনে করতাম যে,তিনি নামায শেষ করেছেন।
(ইমাম বুখারী "র."ও ইমাম মুসলিম "র." ঐকমত্যে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন")

#তারপর তিনি এই জিকির গুলো করতেন,
ফরয নামায পরবর্তী যিক্রসমূহ

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয নামায শেষে যে সমস্ত দু'আ পাঠ করা নাবী কারীম এর অনুসরণে সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো.
أستغفر الله ৩ বার পড়বে,
অতঃপর নিম্নের দু'আগুলি ১ বার পড়বে,
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الجُلالِ وَالإِكْرَام
অর্থাৎ.হে আল্লাহ! তুমি শাস্তি দাতা, আর তোমার কাছ থেকেই শাস্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময়।"
لا إلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ؛ لَا إِلَهَ إلا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الحُسَنُ؛ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الجُدَّ مِنْكَ الجُدُّ
অর্থাৎ.আল্লাহ ছাড়া "সত্য" কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দুঃখ কষ্ট দূরকরণ এবং সম্পদ প্রদানের ক্ষমতা আর কারো নেই। আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা'বুদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নিআমত সমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) মা'বুদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠ ভাবে পালন করি। যদিও কাফিরদের নিকট উহা অপছন্দনীয়। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না।"

মাগরিব ও ফজর নামাযের পর পূর্বের দু'আগুলো সহ নিম্নের দু'আটি ১০ বার পড়বে।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ يُحْيِ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ.আল্লাহ ছাড়া "সত্য" কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।"

অতঃপর "سبحان الله" ৩৩ বার "الحمد لله" ৩৩ বার, "الله أكبر" ৩৩ বার পড়বে। এই মোট ৯৯ বার

আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দু'আটি পড়বে।
لا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থআল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা'বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।"

অতঃপর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে,
اللهُ لَا إِلَهَ إِلا هُوَ الحَيُّ الْقَيُّومُ لا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
অর্থাৎ.আল্লাহ তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক, তাকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীময় পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণা-বেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।"সূরা বাকারা ২৫৫ আয়াত"

অতঃপর সূরা ইখলাস, সূরা নাছ এবং সূরা ফালাক্ক পাঠ করবে।
সর্বশেষ বলতে হবে
ربنا تقبل منا انك انت السميع العليم
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের কাছ থেকে কবুল করুন, কারণ আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। امين আমিন।

03/08/2025

সুবহানাল্লাহ্

 #আল্লাহর  #পরিচয়".!রবের পরিচয় ও মানুষের অঙ্গীকার!আমরা সকলেই বলি যে, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। এর মানে কি?বলেন,وَمِنَ ا...
02/08/2025

#আল্লাহর #পরিচয়".!
রবের পরিচয় ও মানুষের অঙ্গীকার!
আমরা সকলেই বলি যে, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। এর মানে কি?

বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ أَمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ
মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে যে, আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি, "আমরা তাকে বিশ্বাস করি" কিয়ামতকে বিশ্বাস করি,কিন্তু তারা মুমিন নয়।"বাকারা ২.০৮"

এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা কিছু লোকের নিজেদের ঈমানদার দাবি করার ব্যাপারে বলেছেন যে ওরা মুমিন নয়,
ওরা মুনাফিক। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের আলোচনা শুরুই করেছেন মূলত এই আয়াত দিয়ে।
এর আগে পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার প্রথম পাঁচটি আয়াত হচ্ছে মুমিন সম্পর্কে।
তার পরের ২টি আয়াত কাফিরদের সম্পর্কে। তার পরের ১৩টি আয়াত নাজিল হয়েছে মুনাফিকদের সম্পর্কে।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে,সবচেয়ে ভয়াবহ হলো মুনাফিক। এমনকি কাফিরের চেয়েও ভয়াবহ হলো মুনাফিক। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। আর তুমি কখনও তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী পাবে না।"নিসা ৪.৪৫"

পবিত্র কুরআনে কাফিরদের নামে একটি সুরা নাজিল হয়েছে সুরা আল কাফিরুন যা মাত্র ৬ আয়াতের। একইভাবে মুনাফিকদের নামেও একটি সুরা নাজিল হয়েছে সুরা আল মুনাফিকুন যা প্রায় দেড় পৃষ্ঠা। যার আয়াত সংখ্যা ১১" সুতরাং বুঝা গেলো যে, মুনাফিকরা হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে,
আমরা আবার এই মুনাফিকদের দলে পড়ে যাই কি না? এজন্য শুরুতেই আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান বা 'আল্লাহকে বিশ্বাস করা' নিয়ে আলোচনা করব, ইনশা-আল্লাহ।
প্রথমেই আসুন জেনে নেয়া যাক আল্লাহকে বিশ্বাস করার অর্থ কি?আল্লাহকে বিশ্বাস করার অর্থ হলো চারটি জিনিসকে বিশ্বাস করা।وُجُودِ بَارِي تَعَالَي
ওযুদে বারী তা'আলা' অর্থাৎ আল্লাহর অস্তিত্বকে বিশ্বাস করা। তিনি আছেন। আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, খাল-বিল, নদী-নালা, পশু-পাখি, গাছ-গাছালি, পাহাড়-পর্বতসহ যাবতীয় কিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু স্রষ্টা ব্যতিত এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা নয়। এভাবে আল্লাহর অস্তিত্বকে বিশ্বাস করা হলো ঈমান বিল্লাহ-এর প্রথম ধাপ।
تَوْحِيدِ بَارِي تَعَالَي
তাওহীদে বারী তা'আলা' অর্থাৎ আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করার সাথে সাথে তাঁর এককত্বে বিশ্বাস করা অর্থাৎ তিনি এক ও একক। তাঁর কোনো শরীক নাই।
তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সকলেই তাঁর কাছে মুখাপেক্ষী। তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি। তিনি কাউকে জন্ম দেননি। তাঁর সমকক্ষ ও সমতুল্য কেউ নেই। তাঁর সত্ত্বা ও গুণাবলীতে যেমন কোনো শরীক নেই, তেমনিভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ, আইন-বিধানের ক্ষেত্রেও কোনো শরীক নেই। আর না শরীক আছে তাঁর ইবাদতের ক্ষেত্রে। এটাই ইসলামের মূল ভিত্তি 'তাওহীদ।
امْتَالُ الْأوامر
ইমতেসালুল আওয়ামের' আল্লাহর যাবতীয় আদেশগুলোকে মেনে চলা। ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ও আন্তর্জাতিক জীবনসহ সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুমের আনুগত্য করা।
اجْتَنَابُ النَّوَاهِي
ইজতিনাবুন নাওয়াহী' আল্লাহর নিষেধাবলীকে পরিহার করে চলা। ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ও আন্তর্জাতিক জীবনসহ সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর যাবতীয় নিষেধাবলীকে পরিহার করা।
আমরা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে এই চারটি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা পেশ করবো, ইনশা-আল্লাহ।
#প্রথম #বিষয়
وُجُود بارِي تَعَالَي
ওষুদে বারী তা'আলা'
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআন মাজিদে ঘোষণা করে দিয়েছেন
-وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونَ
আমি জিন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।"যারিয়াত ৫১.৫৬"

এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেছেন যে,তিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত,আনুগত্য ও দাসত্ব করার জন্য। আর কারো পরিচয় লাভ করা ছাড়া আনুগত্য করা সম্ভব নয়। যেমন কোনো একটি কারখানায় দশ হাজার কর্মচারী রয়েছে। তাদের একজন অপরিচিত ব্যক্তি এসে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু কর্মচারীরা তার পরিচয় না জানার কারণে তার বক্তব্যে কর্ণপাত না করে উল্টো তাকে পাগল বলে উপহাস করতে লাগলো। ইতিমধ্যেই ঐ কারখানার কর্মকর্তারা এসে লোকটির পরিচয় দিলো যে, ইনিই হচ্ছেন আমাদের এই কারখানার মালিক। সঙ্গে সঙ্গেই কর্মচারীদের সবকিছু পাল্টে যায়।
লোকটির আসল পরিচয় পাওয়ার পরে সকলেই তার আনুগত্য করে। সে যা বলে তাই আইন হিসেবে গ্রহণ করে। আদেশ করলে বাস্তবায়ন করে। নিষেধ করলে বিরত থাকে।
এককথায় সকলেই এখন তার কথায় উঠাবসা করে। ঠিক তেমনিভাবে আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রসহ মহাকারখানার মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তা'আলা মানবজাতীকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মানুষ আল্লাহর পরিচয় না জানার কারণে অথবা ভুলে যাওয়ার কারণে আল্লাহর আনুগত্য না করে তারই মতো অন্য মানুষের আনুগত্য ও দাসত্ব করে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তা'আলা মানবজাতীকে দুনিয়াতে পাঠানোর পূর্বেই সমস্ত রূহগুলোকে আরাফাতে ময়দানে একত্র করে একটি ঐতিহাসিক পরিচিতি অনুষ্ঠান করেছিলেন। যেখানে আদম আ.থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে সকলকেই সেই সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিলো।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তা'আলা ইরশাদ করেন-
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنفُهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ
আর স্মরণ করো,যখন তোমার রব বণী-আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের বংশধরকে বের করলেন এবং তাদের তাদের নিজেদের ওপর সাক্ষী করলেন যে, 'আমি কি তোমাদের রব নই'? তারা বললো,হ্যাঁ, আমরা সাক্ষ্য দিলাম। যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, নিশ্চয়ই আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম।' "আরাফ ৭.১৭২"

এই আয়াতে من ظهورهم দ্বারা বেশিরভাগ মুফাসসিরীণদের মতে আদম আ.এর পিঠের থেকে তার সরাসরি সন্তানদের রূহগুলো বের করা হয় এবং তাদের পিঠের থেকে আবার তাদের সন্তানদের রূহ বের করা হয়। এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ জন্মগ্রহণ করবে তাদের সকলকেই সৃষ্টি করে তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
উক্ত বক্তব্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সকলের সামনে নিজের পরিচয় তুলে ধরলেন। আর পরিচয় দিতে গিয়ে সর্বপ্রথম তিনি নিজেকে রব হিসেবে পেশ করেছেন। অতঃপর তাদের থেকে পরীক্ষা নিলেন এবং তাদের নিজেদের ব্যাপারে নিজেদের সাক্ষী বানালেন। এজন্য তাদের জিজ্ঞেস করলেন, آلست بربِّكُمْ
আমি কি তোমাদের রব নই? তখন তারা সকলে উত্তর দিয়েছিলো,
بلی شهد
হ্যাঁ,আমরা সকলেই সাক্ষ্য দিলাম অবশ্যই আপনি আমাদের রব।

আরবিতে কোনো কিছু স্বীকার করা, বা সাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে দু'টি শব্দ ব্যবহৃত হয়। একটি হচ্ছে সে আর অপরটি হচ্ছে। এই দুটির মাঝে পার্থক্য হচ্ছে, যখন কোনো বিষয়কে প্রমাণসহ ব্যক্ত করা হয় তখন বলা হয় بلی। অর্থাৎ অবশ্যই আপনি আমাদের রব।
আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি।
কেন এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো? এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তা'আলা নিজেই ইরশাদ করেছেন-
أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ
'যাতে করে কিয়ামতের দিন এটা বলতে না পারো যে আমরা তো এ সম্পর্কে গাফেল ও অজ্ঞ ছিলাম। "আপনি যে আমাদের রব তা আমরা জানতাম না।"আরাফ ৭.১৭২"
অন্য একটি আয়াতে আসছে,
أَوْ تَقُولُوا إِنَّمَا أَشْرَكَ آبَاؤُنَا مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا ذُرِّيَّةً مِنْ بَعْدِهِمْ أَفَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ

الْمُبْطِلُونَ

'অথবা যাতে তোমরা একথা বলতে না পারো আমাদের পিতৃপুরুষরা আগে শিরক করেছে। আমরা তো তাদের পরবর্তী তাদের সন্তান ছিলাম তাদের অনুসরণ করেছি মাত্র। আপনি কি আমাদের আমাদের পূর্ববর্তী বাপ-দাদারা আগে যেই শিরক করেছে সেই পূর্ববর্তী বাতিলদের অন্যায়ের কারণে শাস্তি দিবেন?' (আরাফ ৭:১৭৩)

এই আয়াতের মাধ্যমে আরো একটি বিষয় পরিষ্কার হয়, তা হলো পূর্ববর্তী লোকেরা দলিল নয়। দলিল হবে কুরআন এবং সুন্নাহ। এজন্যই মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে আসার আগেই আমাদের থেকে এ ব্যাপারে অঙ্গীকার নিলেন। آلت بربِّكُم
আমি কি তোমাদের রব নই? তখন তারা সকলেই উত্তর দিয়েছিলো,
قَالُوا بَلَی شهدنا
সব লোকেরা বললো অবশ্যই আপনি আমাদের রব এবং আমরা এর সাক্ষ্য দিচ্ছি এবং বিষয়টি যথাযথভাবে পবিত্র কুরআনেও উল্লেখ করে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

এভাবে সাক্ষ্য আদায় করে দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিলেন এবং দুনিয়াতে তাদের জন্য কিছু ইবাদত নির্ধারণ করে দিলেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের নাম হচ্ছে সালাত বা নামাজ। সেই সালাতের মধ্যে একটা সুরাকে নির্দিষ্ট করে দিলেন যা না পড়লে সালাত হবে না। সেই সুরাটি হলো সুরা ফাতিহা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ يَبْلُغ به النبي - صلى الله عليه وسلم - لا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأُ بفاتحة الكتاب
উবাদা ইবনুস সামিত রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, যেই ব্যক্তি সালাতে সুরায়ে ফাতিহা না পড়বে তার সালাত হবে না।"বুখারী ৭২৩"
এই হাদিসের ওপর ভিত্তি করে ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন যে, সালাতে সুরায়ে ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। যদি কেউ না পড়ে তাহলে সালাত
#ইনশাআল্লাহ পরবর্তী আলোচনা পরে হবে)

31/07/2025

#ফজরের সুন্নত আগে ফরজ পরে".!
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ اللهُ لَا صَلَاةَ بَعْدَ الصبح حتى ترتفع الشَّمْسُ وَلا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيْبَ الشمس
অর্থাৎ.হযরত আবু সাঈদ খুদরী "রা." হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ফজরের নামাজের পরে আর কোন নামাজ নাই, যতক্ষণ না সূর্য কিছু উপরে উঠিয়া যায় এবং আছরের পর কোন নামায নাই যতক্ষণ না সূর্য সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হইয়া যায়। (বোখারী, "মুসলিম"
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ اللهُ مَنْ لَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَي الْفَجْرِ فَلْبَصَلّهما بعدما تَطْلُعُ الشَّمْسُ

অর্থাৎ. #হযরত আবু হুরাইরা 'রা." হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়িতে পারে নাই সে সূর্য উঠার পর এই দুই রাকাত নামাজ পড়িয়া নিবে। "তিরমিযি"

30/07/2025

#দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফেরদের জন্য জান্নাত"!
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ الله الدُّنْيَ سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِير
অর্থাৎ. হযরত আবু হুরায়রা "রা." হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, দুনিয়া মুমিনদের জেলখানা ও কাফেরদের জান্নাত। (মুসলিম)

#প্রাসঙ্গিক আলোচনা.!
জেলখানার মানুষ কখনও স্বাধীন নয়।
বন্দী জীবনের।
প্রতিটি মুহূর্ত অন্যের হুকুমের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যখন যে হুকুম হয় তখন সে হুকুম বন্দীকে পালন করিতেই হয়। বন্দী কখনও একথা বলিতে পারে না যে, সে জেল কর্তৃপক্ষের হুকুম মানিবে না। দুনিয়ার জীবনও মুমিনের জন্য জেলখানার ন্যায়। মন যা চায় মুমিন তাহা করিতে পারে না। খাহেশাতের লোভ যত প্রবলই হউক না কেন মুমিন ব্যক্তি অবশ্যই তাহা প্রত্যাখ্যান করিতে বাধ্য।

29/07/2025

#মাগরিবের মত তিন রাকাত বিতর পড়া নিষেধ করেছেন"রসুলুল্লাহ্ "সা."!
#তিন রাকাত বিতরের ক্ষেত্রে উল্লেখিত দু'টি পদ্ধতি ছাড়া আরো একটি পদ্ধতি আছে তা হলো বিতর নামাযকে মাগরিবের নামাযের মত করে পড়া। অর্থাৎ- দু'রাকাত পড়ে তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে পড়া ও এক রাকাত পড়া।
যেমন আমাদের সমাজে সচরাচর হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিটির পক্ষে দলীল হলো-

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ "রা."থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ "ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" বলেন,
وتر الليل ثلاث ركعات كوتر النهار
রাতের বিতর তিন রাকাত, উহা হল দিনের বিতর মাগরিবের মত।
এ হাদীছটি ইমাম দারাকুতনী বর্ণনা করে বলেন, হাদীছটি ছহীহ নয়,হাদীছটি যঈফ।

ইমাম বাইহাক্বী বলেন,হাদীছটি রাসূলুল্লাহ "ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" থেকে বর্ণিত হলেও তা মূলত.ইবনে মাসউদের নিজস্ব কথা হিসেবে প্রমাণিত।

বিতর নামায মাগরিবের মত আদায় করার ব্যাপারে আরেকটি যুক্তি পেশ করা হয়। তা হচ্ছেঃ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে,

المغرب وتر النهار فأوتروا صلاة الليل
মাগরিব হচ্ছে দিনের বিতর নামায। অতএব তোমরা রাতের নামাযকে বিতর কর।

ব্যাখ্যা.এ হাদীছ থেকে বুঝা যায়, রাতের বিতর মাগরিবের মত করেই আদায় করতে হবে।
কিন্তু এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।
কেননা এখানে রাকাতের সংখ্যার দিক থেকে যেমন মাগরিব নামায বিতর তথা বেজোড় করা হয়,অনুরূপ রাতেও বিতর তথা বেজোড় নামায আদায় করবে- উক্ত নামায আদায় করার জন্য মাগরিবের মত দু'ই তাশাহুদে পড়তে হবে একথা বলা হয়নি।
এখানে রাকাতের সংখ্যার দিক থেকে বিতরকে মাগরিবের মত বলা হয়েছে-পদ্ধতির দিক থেকে নয়।
এই কারণেই অন্য হাদীছে নবী "ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" বিতর নামাযকে মাগরিবের সাথে সাদৃশ্য করে পড়তে নিষেধ করেছেন। আবু হুরায়রাহ্ "রা." হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ "ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" বলেন,

ولا توتروا بثلاث تَشَبَّهوا بصلاة المغرب، ولكن أُوتِرُوا بخمس أو بسبع أو يتسع أو باحدى عَشَرَة
তোমরা মাগরিবের নামাযের সাথে সাদৃশ্য করে তিন রাকাত বিতর পড়না,বরং পাঁচ রাকাত দ্বারা বা সাত রাকাত দ্বারা বা নয় রাকাত দ্বারা কিংবা এগার রাকাত দ্বারা বিতর পড়।

শায়খ আলবানী বলেন,তিন রাকাত বিতর দু'তাশাহুদে পড়লেই তা মাগরিবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। আর হাদীছে এটাকেই নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি একেবারে শেষ রাকাতে বসে তবে কোন সাদৃশ্য হবে না। হাফেয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে একথাই উল্লেখ করেছেন এবং ছানআনী সুবুলস্ সালামে এই পদ্ধতিকে উত্তম বলেছেন।

#সুতরাং প্রমাণিত হলো যে,বিতর নামাযকে মাগরিবের মত করে আদায় করা তথা দু'তাশাহুদে অর্থাৎ- দু'রাকাতের পর তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে এক রাকাত পড়া সুন্নাতের পরিপন্থী যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য

অনেকে বলতে পারেন,আমরা কুনূত, ক্বিরাত ও বর্ধিত তাকবীরের মাধ্যমে মাগরিব থেকে পার্থক্য করে নেই। কিন্তু একথা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা বিতর নামাযে কুনূত পাঠ করা ঐচ্ছিক বা মুস্তাহাব বিষয়।
তাছাড়া নবী "ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" মাগরিবের নামাযেও কুনূত পড়েছেন। আর ছহীহ্ হাদীছের ভিত্তিতে ফরয ছালাতের সমস্ত রাকাতে সূরা মিলানো যায়। বিতর নামাযে বর্ধিত তাকবীরের তো কোন ভিত্তিই নেই।
সুতরাং প্রচলিত নিয়মে বিতর পড়লে তথা দু'রাকাত পড়ে তাশাহুদে বসে সালাম না ফিরিয়েই আরেক রাকাত

পড়লে তা মাগরিবের সাথে মিলে যায় এবং হাদীছের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হয়।
অতএব এই নিয়মে বিতর পড়া উচিত নয়।

শায়খ আলবানী বলেন,মাগরিবের মত করে দু'তাশাহুদে বিতর নামায সুস্পষ্ট ছহীহ্ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এই কারণে আমরা বলব, তিন রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে মধ্যখানে তাশাহুদের জন্য বসবে না। আর বসলে সালাম ফিরিয়ে দিবে। তারপর এক রাকাত পড়বে। আর তিন রাকাতের ক্ষেত্রে এটাই উত্তম পদ্ধতি।

 #আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীটাকে বিভিন্নভাবে সাজিয়েছেন এবং এর মধ্যে একটি হলো সম্পদ ও দারিদ্র্যের বৈচিত্র্য। তিনি মানুষকে বিভি...
27/07/2025

#আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীটাকে বিভিন্নভাবে সাজিয়েছেন এবং এর মধ্যে একটি হলো সম্পদ ও দারিদ্র্যের বৈচিত্র্য। তিনি মানুষকে বিভিন্ন স্তরের করে সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে একে অপরের থেকে উপকৃত হতে পারে এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গঠন করা যায়।

এছাড়াও, আল্লাহ তা'আলা মানুষকে তাদের কর্ম ও তাকওয়ার ভিত্তিতে পরীক্ষা করেন, যেখানে সম্পদ ও দারিদ্র্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আল্লাহ তা'আলা মানুষকে তাদের পার্থিব জীবন এবং সম্পদের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করে, তা দেখে এবং দরিদ্র ব্যক্তিরা তাদের দারিদ্র্যের মধ্যে কেমন আচরণ করে, তাও পর্যবেক্ষণ করেন।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। ধনী ও দরিদ্রের এই বিভাজনও একটি পরীক্ষা। কিছু মানুষ সম্পদ পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং তা সৎকাজে ব্যয় করে, আবার কেউ কেউ সম্পদের মোহে পড়ে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে, দরিদ্র মানুষরা তাদের অভাব-অনটনে ধৈর্য্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং তাঁর কাছে সাহায্য চায়। এই ধৈর্য্য ও তাকওয়ার মাধ্যমে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে।

আমার কাছে বাড়িটা অনেক ভালো লাগে।
18/07/2025

আমার কাছে বাড়িটা অনেক ভালো লাগে।

বরকত হোমিও হল,,ইসলামপুর বগার গুদারা ব্রীজের পূর্ব ঢালে, ইসলামপুর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
12/07/2025

বরকত হোমিও হল,,ইসলামপুর বগার গুদারা ব্রীজের পূর্ব ঢালে, ইসলামপুর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।

বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহতালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে,,.اللهم اكفنا شر المطر، وعوضنا خيرا منهহে আল্ল...
09/07/2025

বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহতালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে,,.اللهم اكفنا شر المطر، وعوضنا خيرا منه
হে আল্লাহ বৃষ্টিতে আমাদের যে ক্ষতি হয় তা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন,,আর আমাদের ক্ষতি পূরণ করে দিন।

09/07/2025

আল্লাহতালা যেন আমাদের সকলকে বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md Firoz Alam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share