18/11/2024
বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু দ্বীন-দ্বীন ম্যাচিং হলেই ব্যাপারটা ফর গ্যারেন্টেড হয়ে না যে সম্পর্ক টিকে যাবে।
কিংবা উচ্চতা-বয়স-সৌন্দর্য্য পারিবারিক কুফু, স্ট্যাটাস হ্যান ত্যান ইত্যাদি ম্যাচিং এর পাশাপাশি মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট যে ব্যাপার টা তা হলো "মেন্টালিটি ম্যাচ করা" - অর্থাৎ দুজনের চিন্তা ভাবনা এক ধরণের।
অনেক দ্বীনদার কাপল এরও ডিভোর্স হয়ে যায়। প্রথম শ্রেণীর সাহাবা গণেরও এমন হয়েছিল, উভয় পক্ষই দ্বীনদার, ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর কারণ - জাস্ট ইট ডিড নট ওয়ার্ক।
এজন্য বিয়ের আগে কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে মেন্টালিটি বুঝে নেওয়া জরুরী। দেখা গেলো ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে একজনের স্বপ্ন মুজাহিদ/ আলেমা, আরেকজনের স্বপ্ন ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার।
- ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে কী স্বপ্ন?
- উম্মাহ কে নিয়ে কার কেমন প্ল্যান?
- দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ কার কতটুকু, কী কী হতেই হবে, কী কী না হলেও হবে। কীসের ছাড় দেওয়া যাবে, কিসে না।
- পাত্র কেমন বউ চায় যে বিয়ের পর বউ এই এই করুক, এই টাইপ হবে, পাত্রী কেমন বর চায় যে বিয়ের পর হাজবেন্ড এই এই করুক, এই টাইপ হবে এগুলোও মনের মধ্যে কথা জমিয়ে না রেখে জানিয়ে দিতে হবে।
না বলে ভেতর রেখে দিলে, পরে বিয়ের পর একটু একটু করে বুঝতে গেলে, চিনতে গেলে, প্রায় কাজে দুজনের থিংকিং আলাদা, এভাবে আসলে বেশি দূর আগানোও যায় না। মেন্টালিটি মিনিমাম যতটুকু ম্যাচ করার প্রয়োজন ততটুকু না করলে সম্পর্ক টিকানো কঠিন।
তাই এগুলো মাহরাম এর উপস্থিতিতে হোক, কিংবা মাহরাম কে দূরে রেখে , নিজেরা একটু দূরে বসে হোক (যদি কনফিডেন্টাল কোন কথা থাকে, যা মাহরামের সামনে বলা যাবে না) বা লিখিত আকারে যেভাবেই হোক, পরস্পরের জেনে নিতে হবে।
মেন্টালিটি যতটুকু ম্যাচিং করে, বাকীটা যদি এডজাস্ট করে নেওয়া যায় বলে মনে হয়, তাহলে আগালে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা টা অনেক খানিই কমে যায়।
আর এরপরও কিছু বিচ্ছেদ হবে, সেটা তকদীর।