লেখক-পাঠকদের ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম 'গল্পীয়ান' এর অফিশিয়াল পেজে আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ।
আমাদের সম্পর্কে বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে ২০১৫ সালে। ‘গল্পীয়ান’ নামক প্লাটফর্মটার জন্ম আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে। একদল সাহিত্যপ্রেমী তরুণ-তরুণির হাত ধরে, ছোট্ট একটা ফেসবুক চ্যাট গ্রুপ থেকে।
একদল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণির ছোট্ট স্বপ্নের নাম ছিল ‘গল্পীয়ান’। এই স্বপ্নের গোড়াপত্তন হয়েছিল মূলত ২০১৫ সালে। ২০১৫ সালের আগস্ট ম
াসে বাংলা কথাসাহিত্যকে কিছু দেবার প্রত্যয়ে অনলাইনে তথা ফেসবুকে সৃষ্টি হয়েছিল 'গল্পীয়ান' এর। নামেই বোঝা যাচ্ছে এটা মূলত গল্পভিত্তিক কিছু। পথচলা শুরুর পর থেকেই গল্পীয়ান চেয়েছে নবীন-তরুণ লেখকদের তুলে আনতে, লেখক-পাঠককে একই সূত্রে গাঁথতে। একারণে এই পর্যন্ত অনলাইনে সফলভাবে আয়োজন করেছে গল্প লেখা প্রতিযোগিতার চারটি পর্ব। এ প্রতিযোগিতায় লেখকদের পাশাপাশি পাঠককেও পুরষ্কৃত করে উদাহারণ সৃষ্টি করেছিল গল্পীয়ান।
এরপর অনলাইনের লেখাকে ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করার মতো কাজও হয়েছে গল্পীয়ান প্লাটফর্ম থেকে। ‘সাহিত্যের সাতকাহন’ এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় ২০১৭ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ করেছে ‘গল্পোদ্যান’ নামক গল্প সংকলন। যাতে স্থান পেয়েছিল অনলাইনের নবীন-তরুণ লেখকদের অসংখ্য গল্প।
২০১৭ এর পর বিভিন্ন জটিলতার কারণে ও সম্পাদকদের ব্যস্ততার কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গল্পীয়ানের কার্যক্রম। মাঝখানে একবার মাসিক গল্প পত্রিকা আকারে আত্মপ্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, শেষমেষ সেটাও বাস্তবায়ন হয়নি আর। তবে কী লেখক-পাঠকদের আত্মমিলনের প্রিয় প্লাটফর্ম ‘গল্পীয়ান’ এভাবেই হারিয়ে যাবে? না, আমরা চাই না গল্পীয়ান লেখক-পাঠকদের মন থেকে হারিয়ে যাক। চাই না সাহিত্য জগৎ থেকে মুছে যাক গল্পীয়ানের নাম।
আমরা চাই, গল্পীয়ান যুগ যুগ ধরে লেখক-পাঠকদের হৃদয়ে বেঁচে থাকুক। হয়তো, চেনা মুখগুলো বদলে যাবে, পুরোনো মুখগুলোর জায়গায় আসবে নতুন নতুন মুখ। অবয়ব বদলাবে গল্পীয়ানেরও। তবুও সাহিত্য আঙিনায় লেখক-পাঠকদের মনে গেঁথে থাকুক ‘গল্পীয়ান’ নামটা। মূলত এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই, প্রায় তিন বছর পর, নতুন আঙ্গিকে ওয়েব ভার্সনে যাত্রা শুরু করল ‘গল্পীয়ান’। আবার লেখক-পাঠকের সরাগমে মুখরিত হবে গল্পীয়ান, তবে এখন থেকে ওয়েবসাইটে। আগেই মতোই একই নিয়মে গল্প লেখা উৎসব হবে, কিন্তু ফেসবুক পেজের স্থলে এখন থেকে আমাদের সব কার্যক্রম চলবে আমাদের এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। এ ছাড়াও যদি আপনাদের সহযোগিতা পাই, তবে সব সমস্যা কাটিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই মাসিক গল্প পত্রিকা আকারেও আত্মপ্রকাশ করব।
আশাকরি, যারা গল্পীয়ানের শুভাকাঙ্ক্ষী ও লেখক-পাঠক ছিলেন, তারা সবাই আগেই মতোই গল্পীয়ানকে ভালোবেসে আমাদের পাশে থাকবেন। এই প্লাটফর্মটি মূলত আপনাদেরই, আপনারা ছাড়া এটি প্রায় অচল। তাই এটাকে জিইয়ে রাখার দায়িত্বও আপনাদের উপর।
কলম চলুক তবে! আবার গল্পের আসর জমুক! ‘গল্পীয়ান’ দীর্ঘজীবী হোক!
**********
⏩ আমাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: www.golpiyan.com
⏩ স্যোশাল মিডিয়াতে আমাদের ফলো করুন:
ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/golpiyan/
ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/golpians/
টুইটার: https://twitter.com/golpiyan/
ইউটিউব: https://www.youtube.com/
লিংকডইন: https://www.linkedin.com/company/গল্পীয়ান/
পিনটেরেস্ট: https://www.pinterest.com/golpiyan/
মিডিয়াম: https://medium.com/
থাম্বলার: https://golpiyan.tumblr.com/
⏩ সম্পাদকীয় কার্যালয়:
বরিশাল টাওয়ার ১১/১, পশ্চিম ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ঢাকা-১২০৪।
⏩ যোগাযোগ:
মোবাইল: 01819515292
ইমেইল: [email protected]