11/05/2025
মানুষ এত কিছু পেলেও কেন তৃপ্ত নয়?
একবার ভেবে দেখেছেন?
একটা প্রশ্ন করি…
আপনার কি কখনো এমন মনে হয়েছে—
সবকিছু আছে, কিন্তু তারপরও শান্তি নেই?
চারপাশে এত কিছু চলেছে, তবুও মনে হয় কিছু একটা নেই…
এই ‘না-পাওয়া’র হাহাকারই ধীরে ধীরে কেড়ে নেয় আপনার হাসি, ঘুম, আর আত্মবিশ্বাস।
কারণ,
আমরা যা পাইনি — সেটা নিয়েই বেশি ভাবি।
আর যা পেয়েছি, সেটাকে কৃতজ্ঞভাবে অনুভব করি না।
আজ আপনাকে একটি ছোট্ট গল্প বলি…
একজন সফল মানুষ — বড় ব্যবসা, দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট, সব কিছু আছে। তবু রাতের ঘুম হারাম। মনে হয়, কিছু একটা নেই… কিছু একটা অপূর্ণ।
একদিন রাতে, তার সাত বছরের মেয়ে চুপিচুপি এসে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল।
ছবিতে মেয়েটি তার বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নিচে ছোট্ট হাতে লেখা: "বাবা, তুমি আমার সুপারহিরো। আমি প্রতিদিন আল্লাহকে ধন্যবাদ দিই যে তুমি আমার বাবা।"
লোকটি স্তব্ধ হয়ে যায়। তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে…
হয়তো জীবনে এই প্রথম সে বুঝতে পারল —
- সে যা চায়নি, তা নিয়ে সে কষ্ট করছিল।
- কিন্তু যা পেয়েছে, তা নিয়েই সে কৃতজ্ঞ হয়নি।
সেদিন থেকে সে প্রতিদিন রাতে একটা কাজ শুরু করল:
নিজের জন্য একটা ছোট্ট খাতা খুলে, লিখে নেয় "আজকের সেই ৩টি জিনিস, যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।"
প্রথমে একটু অস্বাভাবিক লাগছিল।কিন্তু ৭ দিনের মাথায় তার মন বদলে গেল।মানসিক শান্তি ফিরে এল। রাতের ঘুম ফিরল।জীবনটা হালকা হয়ে গেল।
কারণটা জানেন?
মানুষ যখন কৃতজ্ঞ হয়, তখন তার মস্তিষ্কে dopamine ও serotonin তৈরি হয় । এগুলোই তো "হ্যাপি কেমিক্যালস"!
- তাই সুখ আসে না শুধু কিছু পাওয়ার পর,
- সুখ আসে যখন আপনি যা পেয়েছেন, তা উপলব্ধি করতে শিখেন।
তাই কৃতজ্ঞতা মানে শুধু সৌজন্য নয় —
এটা এক ধরণের মানসিক মেডিটেশন।
সুখের ‘shortcut’। কারণ, কৃতজ্ঞতা হচ্ছে আমাদের মনের রিসেট বাটন।
গ্রাটিটুড একটা প্র্যাকটিস—not একটা অনুভূতি।
প্র্যাকটিস করলেই সুখ ধরা দেয়—নাহলে সে কেবল গল্পেই থেকে যায়।
চলুন, আজ থেকেই আমরা শুরু করি।
আজ রাতেই এক টুকরো কাগজ নিন। লিখুন ৩টি জিনিস—যার জন্য আপনি আজ কৃতজ্ঞ।
এই কাজটি শুধু ৭ দিন করুন।তারপর নিজেই বুঝবেন… জীবন আসলে কতটা সুন্দর ছিল, কিন্তু আপনি খেয়াল করেননি।
কমেন্টে লিখুন—আজ আপনি কিসের জন্য কৃতজ্ঞ?
পোস্টটি শেয়ার করুন তাদের সাথে যারা আজও সুখ খুঁজে ফিরছে, অথচ সেটি হয়তো তাদের সামনেই আছে।