26/09/2025
চট্টগ্রাম-১৩ আসনের (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো বিশ^বিদ্যালয়ে গিয়েছি, কলেজে গিয়েছি আমরা তো চাঁদাবাজিতে যাইনি। সুতরাং দেশের জনগণ এখন বুঝে গেছে কার দ্বারায় দেশে শান্তি হবে। তারাই হবে আগামী বাংলাদেশের কর্নধার।’
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারার কর্ণফুলী টানেল প্রান্তে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিলের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, আপনাদের এক নেতা সারাজীবন করেছে বিএনপি, আন্দোলনের আগে এমপি হতে গিয়েছিল আওয়ামী লীগে। আপনাদের তো আমরা বিশ্বাস করতে চাই, কিন্তু জনগণ তো আপনাদের বিশ্বাস করে না। শুধু তাই নয়, যাদের কারণে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন, যে ছাত্রজনতা না হলে আজ কথা বলতে পারতেন না আর আপনার নেত্রী থাকত জেলে। বালুর ট্রাকও সরাতে পারতেন না কোনদিন। আর আপনারই বলছেন দায় নিবেন না, শিবিরের ওপর দায় চাপিয়ে দাও।
তিনি বলেন, আপনারাই বলছেন জনগণ নাকি পিআর বুঝে না। জনগণকে নিয়ে এত কুৎ মন্তব্য করবেন না। জনগণ এত বুঝাবুঝে যে, আপনাদেরও বুঝিয়ে ছাড়বে। একটা কথা বলি, ডাকসু-জাকসুতে যারা আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবেও তারা। সেজন্য আপনাদের মাথা গরম। এ গরমেও আমরা মাথা ঠিক রেখেছি। আমরা চাই প্রতিটা মানুষের ভোট গণনা হোক। আর ভোট নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক বলেন, জামায়াত-শিবিরকে জেল-ফাঁসি, ঘুম-খুন-হত্যা করে দমাতে পারেনি অথচ একদল বলছেন তাদের নেতাকর্মীদের প্রশ্রাবে নাকি জামায়াত-শিবির ভেসে যাবে।
এসময় তিনি তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর কর্মীরা বাসস্ট্যান্ড, ট্যাম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করতে যায়নি, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ১জনও নিহত হয়নি তাদের শতাধিক নেতাকর্মী তাদের নিজেদের হাতেই খুতন হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশের জমিনে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্টার কাজ করে যাচ্ছে।
আনোয়ারার জামায়াতে ইসলামীর আমির মাষ্টার আবদুল গনির সভাপতিত্বের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঁশখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, আনোয়ারা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকার সঞ্চালনায় সভায়
দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ইসমাইল হক্কানি, কর্ণফুলীর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাষ্টার মনির আবছার চৌধুরী, সেক্রেটারী নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, আনোয়ারার নাসির উদ্দিন শাহ্সহ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আয়োজন, জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্য ও দুর্নীতির বিচার, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবী করেন।