12/09/2025
গল্পের নামঃ ভয়ংকর সেই পাহাড়ি জঙ্গল
লেখকঃ #সাদিদ_ইসলাম
পর্বঃ ১৩
তার পরের দিন জানতে পালাম ও আত্মহত্যা করেছে। আপনাদের কাছে যে মেয়ের ছবি আছে ঐটা রাইহানার ছবি।
এসব বলে ঈশান চুপ করে আছে।
আমরাও চুপ করে আছি।
তখন আমার মোবাইলে সাইমের ফোন আসে.......
আমিঃ হ্যাঁ, সাইম বল
সাইমঃ তোরা তারাতারি আয় জাহিদ হাসপাতাল থেকে কোথায় চলে গেছে, ওকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমিঃ আচ্ছা আমরা আসতেছি।
আমরা তারাতারি করে রওনা দিলাম সাথে ঈশানও আসলো। সকাল দশটা বাজে। আমরা হাসপাতালে পৌছে আশেপাশে অনেক খুজলাম কিন্তু ওকে খুজে পাইনি। আমাদের জানা মতে আমাদের এখন একটা জায়গাই খোজা বাকী রয়ে গেল, সেটা হলো, ভয়ংকর সেই পাহাড়ি জঙ্গল, আমরা সবাই তারাতারি করে রওনা দিলাম ঐখানে যাওয়ার জন্য। ঐখানে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধে হয়ে গেল, আমার যেই হোটেলে ছিলাম ঐটার সামনে এসেছি, আমরা খেয়াল করলাম ঐখানে হোটেলের দ্বিতীয় তলায় মানুষের ভীড়, আমরা গিয়ে দেখি আমরা আগে যে রুমে ছিলাম ঐরুমের সামনে জাহিদকে সবাই ধরে রেখেছে আমরা গিয়ে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ও শান্ত না হওয়াই ওকে ধরে পাশের মেন্টাল হাসপাতালে পাটিয়ে দিই, আমি, ঈশান, নিপুন, ভাই কী হয়েছে জানার চেষ্টা করি......
হোটেল ম্যেনেজারঃ ওনি আপনাদের কে হয়?
আমিঃ ফ্রেন্ড, কী হয়েছিল?
মেনেজারঃ ওনি এইখানে এসে এই রুমের দরজা ভেঙে, খাট উল্টে দিল, আমার কর্মী ওকে আটকাতে গেলে ওনি ওদেরকে গলা ধরে দূরে ছুড়ে ফেলছে। অনেক কষ্ট করে সবাই মিলে ওকে আটকা করি।
আমরা তারাতারি ঐ খাটটা চেক করতে থাকি, অনক্ষন খুজার পর.......
নিপুনঃ আজমল এইটা কী দেখ
আমরা দেখলাম একটা মেমরি কার্ড, ঐটা মোবাইলে ঢুকিয়ে দেকলাম দুটি ভিডিও একটা প্লে করে.......
"""""আমি রাইহানা আজ আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি কারন নিলয় গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যানের ছেলে শিহাব আমার বোনকে কিডনেপ করে আমাকে হুমকি দিচ্ছ এবং ও রাইহানকে হত্যা করেছে আমার মৃত্যুর জন্য শিহাব দায়ী।"""""
আরেকটা ভিডিও রাইহানের মৃত্যুর আগে যে ভিড়িও করেছিল ঐটা।
আমিঃ এরা কী মইন আর রাইহানা?
ঈশানঃ হ্যাঁ,
আমিঃ এই ভিড়িও পুলিশ কমিশনার অফিসে দেখাতে পারলে শিহাবের শাস্তি নিশ্চিত।
আমরা সবাই হ্যাঁ সম্বতি দিলাম।
আমরা জাহিদকে দেখতে হাসপাতালে গেলাম ওকে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড়ে রাখা হলো ওর মুখ দিয়ে ফানা বের হচ্ছে চোখ উল্টে আছে, ডাক্তার বলল ও আর হয়তো বেশি দিন বাছবে না।
জাহিদের আব্বু ঐটা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল, আমাদের চৌখ থেকেও পানি ঝরতে শুরু করলো।
আমরা ঈশানের সাথে ওদের ঐখানে গিয়ে কমিশনার অফিসে সব বললাম, শিহাবকে গ্রেপ্তার করা হলো আজ চারদিন হয়ে গেল আজ শিহাবের কোর্টে ফাইনাল ডিসিশন দিবে , ঐদিকে জাহিদের অবস্থা খারাপ। কোর্টে সব সাক্ষি দেওয়ার পর শিহাবকে ফাসির রায় দেওয়া হলো। আমরা সবাই হাসপাতালে চলে আসি, আরো কদিন চলে গেল এখন জাহিদের একটু একটু ভালো লাগছে।
একমাস পর ও প্রায় সুস্থ হয়ে উঠল।
সমাপ্ত
Warning এই গল্পটি সম্পূর্ন কাল্পনিক, এইসব ঘটনা কাহিনীতে ভালো লাগে বাস্তবতা আরো কঠিন, এগুলো শুধু কল্পনা, দয়া করে কেউ সিরিয়াস ভাবে নিয়েন না বাস্তব জিবনের সাথে কেউ তুলনা করবেননা, এইটা সম্পূর্ন কাল্পনিক।
গল্পটি কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাবেন।
দেরিতে গল্প পোষ্ট করার জন্য দুঃখীত।
গল্পে কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।