surjobartanews.com

surjobartanews.com Online News portal.

Gautam Mitra :রোগক্লান্ত জীবনের শেষ নববর্ষ। ততক্ষণে হাতে হাতে বিলি হয়ে গেছে জন্মোৎসবের ভাষণ 'সভ্যতার সংকট' পুস্তিকাটি। র...
08/08/2025

Gautam Mitra :রোগক্লান্ত জীবনের শেষ নববর্ষ। ততক্ষণে হাতে হাতে বিলি হয়ে গেছে জন্মোৎসবের ভাষণ 'সভ্যতার সংকট' পুস্তিকাটি।

রবীন্দ্রনাথ তো আর যাপন ও লিখনকে আলাদা করে দেখেননি কখনও! শরীর দিয়ে সত্তা দিয়ে অস্তিত্ব দিয়ে তাঁর একেকটি লেখা নির্মাণ করেছেন।

কী ছিল 'সভ্যতার সংকট' নিবন্ধটিতে!

ছিল আশাভঙ্গের কথা। আলগা হয়ে যাওয়া সম্পর্কের কথা। মানবতাবোধ থেকে বিচ্যুতির কথা। কারণ তিনি বুঝেছিলেন:

'...আমার জীবনের এবং সমস্ত দেশের মনোবৃত্তির পরিণতি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। সেই বিচ্ছিন্নতার মধ্যে গভীর দুঃখের কারণ আছে।'

অনুভব করেছিলেন:

'...য়ুরোপে বর্বরতা কিরকম নখদন্ত বিকাশ করে বিভীষিকা বিস্তার করতে উদ্যত।এই মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার মজ্জার ভিতর থেকে জাগ্রত হয়ে উঠে আজ মানবত্মার অপমানে দিগন্ত থেকে দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কুলষিত করে দিয়েছে।'

আমরা জানি এই অভিভাষণটি সেই ১লা বৈশাখ ১৩৪৮-এর সভায় ক্ষিতিমোহন সেন পাঠ করেছিলেন।কিন্তু আমরা যা জানি না তা কিছু দিন আগে একজনের কাছ থেকে শুনলাম।যাঁর কাছে শুনলাম তিনি তখন বালক। সেই সভার দর্শকাসনে সেই বালকটিও ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ নাকি নিজেই ভাষণটি পড়া শুরু করেছিলেন।কিন্তু পড়তে পড়তে এতটাই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন যে অসুস্থবোধ করছিলেন।তখন ক্ষিতিমোহন সেন উঠে এসে রচনাটির পাঠ সম্পূর্ণ করেন।

কখন এমন হয়? যখন ভাবনা ও লেখার আর কোনও আলাদা অস্তিত্ব থাকে না।একটি বিন্দুতে তারা মিলে যায়।শরীরের ভাঙন রবীন্দ্রনাথের কাছে বড়ো নয়, মনেও তো তার ভাঙন ধরেছে বারবার।রবীন্দ্রনাথের কাছে ১৯৪১-এর দিনগুলোতে বড়ো হয়ে দেখা দিল সভ্যতার ভাঙন।এই বিপর্যয় হয়তো রবীন্দ্রনাথকে দ্রুত অসুস্থতার দিকে নিয়ে গেল।

উল্টোদিকে একটা আশ্রয় খুঁজছিলেন রবীন্দ্রনাথ ।সেদিনের গাওয়া গানটিতে যেন সেই আশ্রয়েরই আভাস:

'ওই মহামানব আসে,
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।'

এরপর, ১ লা বৈশাখ থেকে ২২ শ্রাবণ অবধি, কবিতা লিখবেন মাত্র ৯টি।সেই ৯ টি কবিতায় শুধু জীবনমোচনের কথা!মোহমুক্তির কথা।ছলনাভঙ্গের কথা।

জীবনের প্রথম গ্রন্থ থেকে যা লেখা হল তা 'মুছে ফেলে বর্ণ তার রেখা তার উদাসীন চিত্রকর কালো কালি দিয়ে।' উপলব্ধি করলেন,'সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।' বা 'এই হার-জিত খেলা, জীবনের মিথ্যা এ কুহক,... দুঃখের পরিহাসে ভরা।'

চিঠিতে লিখবেন:

'...স্বৈরাচার আমাকে পেয়ে বসেছে।কিন্তু স্বৈরাচারের অন্তর্নিহিত যে নিয়ম তাকে ভিতরে ভিতরে চালনা করে, সে আমার কাছে অত্যন্ত গোপন আছে।'

আর জীবনের শেষ কবিতার সেই মন্ত্রপ্রতিম উচ্চারণ:

'তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে,
হে ছলনাময়ী।'

আসলে দীপশিখা যখন ফুরিয়ে যায় তখন তা শেষবারের মতো দপ করে জ্বলে ওঠে।এই সময় রবীন্দ্রনাথের সেই প্রজ্জ্বলিত সময়।বুদ্ধদেব বসুর যাকে মনে হবে 'বর্ণাঢ্য গীতিনিঃস্বন'!

আসলে রবীন্দ্রনাথ তো কোনও মানুষের নাম নয়, রবীন্দ্রনাথ একটি যুগের নাম, একটি চেতনার নাম, বাঙালির অণু-পরমাণুতে অনুরণনের নাম।

২৫ শে বৈশাখ থেকে ২২ শে শ্রাবণের দূরত্ব মাত্র চারমাসের নয়, বাংলার জন্য তা আলোকবর্ষ।

আজ সেই ২২শে শ্রাবণ!

গুরুদেবের অন্তিম যাত্রায় গণমাধ্যমে ২২শে শ্রাবণ সূর্যবার্তা নিউজ ডটকম ০৭ আগষ্ট ২০২৫: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, ২২শে শ্রাবণবাঙাল...
08/08/2025

গুরুদেবের অন্তিম যাত্রায় গণমাধ্যমে ২২শে শ্রাবণ

সূর্যবার্তা নিউজ ডটকম ০৭ আগষ্ট ২০২৫:
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, ২২শে শ্রাবণ
বাঙালির জীবনে শোকের দিন। অমৃতলোকে যাত্রা করেন বিশ্বকবি।
তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ জেনে সেদিন সকালেও ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় এবং ডাক্তার ললিত বন্দ্যোপাধ্যায় এসে দেখে যান কবিকে।
শেষ যাত্রার পথে কবি-তাঁরা
বুঝে যান, শোকবিধ্বস্ত হৃদয়ে বিদায় নেন তাঁরা।

টেলিভিশন যুগ আসে নি তখনো, সংবাদপত্র, বেতার বা রেডিও একমাত্র গনমাধ্যম।
বেতার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর কবির স্বাস্থ্যের খবর জানানো হবে শ্রোতাদের। সেই মতো জোড়াসাঁকো থেকে খবর পৌঁছতে থাকল অফিসে, সে খবর সম্প্রচার করে চললেন কিংবদন্তী বেতার ঘোষক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে অন্তিম যাত্রার সংবাদ প্রচারের পর বেতারকেন্দ্র থেকে ধারাবিবরণী করে গেলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, "টেলিফোনে খবর নিতে নিতেই ঠাকুরবাড়িতে বেশিক্ষণ শবদেহ রাখার রীতি নেই, বিশেষত মধ্যাহ্নে যিনি প্রয়াণ করেছেন বিকেলের মধ্যে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতেই হবে। সংবাদ সংগ্রহ করতে করতে আমরাও নিমতলা শ্মশানে এসে হাজির। ও পারে দূরের ওই নীলাকাশে অস্তগামী সূর্য শেষ বিদায়ের ক্ষণে পশ্চিম দিগন্তে ছড়িয়ে দিল অগ্নিবর্ণ রক্তিম আভা, আর এপারে এই পৃথিবীর বুকে বহ্নিমান চিতার লেলিহান অগ্নিশিখায় পঞ্চভূতে বিলীন হল এক মহাপ্রাণের পূত-পবিত্র শরীর। রবি গেল অস্তাচলে...!"
একই সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরম।স্নেহভাজন বাংলা সাহিত্য জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বরচিত কবিতা," ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে...."

কবির শেষ যাত্রার সঙ্গী হলেন দূর দূরান্তের বেতারের শ্রোতারা ও,বেতারের অনুষ্ঠানে। বাংলায় প্রথম কোন মহামনিষীর অন্তিমযাত্রার ধারাবিবরণী শুনলেন বাংলার শ্রোতাকুল!

ধর্ম যখন শোষনের হাতিয়ার, মানুষ তখন বিপন্ন।‘সদগতি’ র আক্ষরিক অর্থ অন্ত্যেষ্টি।উর্দু কথাসাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচাঁদ তাঁর গল...
08/08/2025

ধর্ম যখন শোষনের হাতিয়ার, মানুষ তখন বিপন্ন।‘সদগতি’ র আক্ষরিক অর্থ অন্ত্যেষ্টি।উর্দু কথাসাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচাঁদ তাঁর গল্প উপন্যাসে তুলে ধরেছেন সমাজের নানান চিত্র। ধর্মের নামে '৪৭ এর দেশভাগ ও তার পরবর্তী সময়ের অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে তাঁর লেখনিতে।
কথা সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচাঁদের মানবিক অক্ষরচিত্রের চলচ্চিত্র রূপ দিয়েছেন অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।
মানুষের শেষকৃত্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ‘সদগতি’ উপন্যাসে মুন্সী প্রেমচাঁদ তুলে ধরেন, ধর্ম যখন শোষণের হাতিয়ার,সেই চিত্র।
📽️

Sadgati is a 1981 Hindi film directed by Oscar winner filmmaker Satyajit Ray. Based on a short story by Munshi Premchand, this film is a grim reminder into the harsh realities of the Indian society and the injustice perpetrated by its cruel caste system that exists to date.

Sadgati was made for television and produced by Doordarshan.

CAST
• Om Puri – Dukhi
• Smita Patil – Jhuria
• Mohan Agashe – Ghasiram
• Gita Siddharth – Lakshmi
• Richa Mishra – Dhania

CREW
• Direction – Satyajit Ray
• Story – Munshi Premchand
• Script – Satyajit Ray, Amrit Rai
• Screenplay – Satyajit Ray
• Cinematography – Soumendu Roy
• Editing – Dulal Dutta
• Art – Ashoke Bose
• Music – Satyajit Ray

08/08/2025

এক দিনে ৬ সাংবাদিক হত্যা
সিলেট সদর, মৌলভীবাজার, গাজীপুর, নাটোর লাল স্বাধীনতা জনগণের রক্তে দেশ আজ লাল-

সমন্য়কদের চাঁদাবাজি- অপু বৃত্তান্ত
03/08/2025

সমন্য়কদের চাঁদাবাজি- অপু বৃত্তান্ত

গুলশানে সমন্বয়কদের চাঁদাবাজি: অপু গ্রেফতারে পর ফাঁস আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য | Gulshan Extortion News | BD Crime Update l Apu | NCP | ATN News ...

"সংবিধানে হাত দেবেন না- হাত কেটে দেবো..."
03/08/2025

"সংবিধানে হাত দেবেন না- হাত কেটে দেবো..."

03/08/2025
03/08/2025

Protesting Crimes against Humnaity committed by Yunus Waker in Bangladesh

অষ্টম শ্রেণিতে ফেল, সবাই উপহাস করত — আজ ১১০০ কোটির কোম্পানির মালিক!
01/08/2025

অষ্টম শ্রেণিতে ফেল, সবাই উপহাস করত — আজ ১১০০ কোটির কোম্পানির মালিক!

জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ ব্লগার দার্শনিক অভিজিৎ রায় : এ বি  সিরাজুল হোসেনসূর্যবার্তা নিউজ ডটকম ৩১ জুলাই ২০২৫:বলেছিলাম জ...
31/07/2025

জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ ব্লগার দার্শনিক অভিজিৎ রায় : এ বি সিরাজুল হোসেন
সূর্যবার্তা নিউজ ডটকম ৩১ জুলাই ২০২৫:
বলেছিলাম জুলাই রঙিন বিপ্লবের প্রথম আমেরিকান শহীদ হচ্ছে মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়। দেশ আমেরিকার কলোনি হবার পর এখন হিসাব মিলল? খূনিরা বা খুনের পরিকল্পনাকারীরা সবাই এখন মুক্ত পাখি। অভিজিৎ ও অন্যান্য ব্লগারকে খুন করা হয়েছিল মার্কিন রঙিন বিপ্লবের স্বার্থে সরকারকে একনায়ক ও তার বাহিনীগুলোকে নৃশংস ও আইনবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করতে। এটা করা ছাড়া আপনি সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে পারবেন না। এটাকে বলা হয় ব্রুটালাইজেশন অব দি গভর্নমেন্ট। মার্কিন ও পাক-বাংলা ডিপ স্টেটের হিসাব মিলছে?

মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্পেশাল অপারেশনের সাইকোলজিক্যাল অপারেশনস (সাইঅপস) এই কাজটি যেভাবে করে থাকে তার আমি নাম দিয়েছি প্রতিক্রিয়া নির্ভর অসীম যুদ্ধ চক্র (Reactive Infinite War)। এই পদ্ধতিতে ছোট ছোট সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে ক্রমেই প্রতিক্রিয়াশীল করা হয়। এতে সরকার পুলিশি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পুলিশকে সামরিকিকরণ করে। ক্রমেই নানা দমনমূলক আইন কানুন ও আইন না মেনে ধড়পাকড় বাড়ায় এবং দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বাড়তে থাকে। সরকারের চরিত্র হয়ে যায় একনায়কের মত। এতে গণ অসন্তোষ বাড়তে থাকে। তরুণরা, যারা নিয়ম কানুন ও নিয়ন্ত্রণ পছন্দ করে না, তারা সরকার বিরোধী হয়ে যায়। এর সাথে ধর্ম ও ঘৃণা অপবাদ যুক্ত করে গুজব বৃদ্ধি করলে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তে থাকে।

এই পরিস্থিতি তৈরি করে যদি একসময় একটি বড় ছাত্র আন্দোলন তৈরি করা যায় যাকে আরব স্প্রীং বলা হচ্ছে, তখন সরকারকে প্রভোক করে যদি কিছু তরুণকে হত্যা করানো যায়, তখন লাশ দেখিয়ে বহু বছরের মগজ ধোলাই করা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা যায় যে এই যে দেখ, এতদিন যা বলেছিলাম সব সত্য। এই সরকার ফ্যাসিবাদী। তখন সরকার পতন ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। “সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারের দমনমূলক আচরণ বৃদ্ধি ও মানবাধিকার সীমিতকরণ” চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে যে কিভাবে সন্ত্রাস প্রয়োগ করে ক্রমেই সব সরকারকেই নিপিড়ক ও দমনমূলক করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ, যা মূলত ভয় এবং সহিংসতা প্রদর্শনের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের একটি উপায়, ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। আলজেরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দেশেই সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসন এবং বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানো হয়েছে।

চিত্র: ২০০১ থেকে বাংলাদেশে কিভাবে সন্ত্রাসী ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিভাবে সেটা সব সরকারগুলোর আচরণ পরিবর্তন করে সরকারগুলোকে আরও দমনমূলক করে তোলে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সংকুচিত করে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরে সেটা কিছুটা কমে যায়।

Address

Surjo Mental Health Assistance And Cultural Centre ( SMHC), UTTARAYAN, 14/A A. C. Dutta Lane Patherghata
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when surjobartanews.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to surjobartanews.com:

Share