TSS News

TSS News HEALTH+CARRIER+FAMILY (HCF)

29/08/2025

তারিখঃ ২৯/০৮/২০২৫ ইং,

*"শিকারির শিকার আর কত কাল?"*

সভ্য, উন্নত ও সুশৃঙ্খল জাতীতে পরিণত হতে হলে প্রয়োজন আইন, শাষণ, বিচার, পরিবহন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ বাসস্থান, জন-নিরাপত্তা, আত্মসম্মান, কর্মসংস্থান, কর্মপরিবেশ, মানবিক আচারণ, আত্ম-সততা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য, ভালো-মন্দের পার্থক্য, ন্যায়-অন্যায় বোঝা, অন্যের সুযোগ-সুবিধা ও অসুবিধা অনুভব করা, সহযোগিতামুলক মনোভাব, বাকস্বাধীনতা ও উন্নত মননশীলতা! যা রাষ্ট্র গঠন ও জাতী গঠনের মুল সহায়ক, কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের এতো বছরেও কোন শাসকগোষ্ঠী, আমলা, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানমনস্ক গবেষক অর্থাৎ যারা রাষ্ট্র গঠন ও জাতী গঠনের সুযোগ পেয়েছে, তারা কেউই উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর নজর দেয় নি! যার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদস্থ ব্যাক্তিদ্বয়ের মধ্যে সভ্যতার লেস ও লজ্জাবোধ বিন্দুমাত্র পরিলক্ষিত হয় না! দেশের সাধারণ সুশিক্ষিত ও সুশীল মানুষরা হয়তো স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ একটি সভ্য ও স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত হোক। সেই আশায় তারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ ও মৌন সমর্থন দিয়ে শাষক দলের পরিবর্তন ঘটিয়ে বার বার প্রতারিত হচ্ছে! আর একটা চতুর মহল সাধারণ মানুষের এই অনুভুতিকে পুঁজি করে নিজেদেরকে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাগামহীন উন্নয়নের চুড়ায় অধিষ্ঠিত করছে। এখন আমার আশংকা! আদৌওতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের এই আকাংঙ্খা কখনও কি বাস্তবে রুপ নিবে? নাকি তাঁরা বার বার মব সম্প্রদায়ের চতুর শিকারির শিকারে পরিণত হবে?

গোলাম এহিয়া সবুজ,
সাবেক সভাপতি,
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন
জীবননগর উপজেলা শাখা,
চুয়াডাঙ্গা।

25/07/2025

তারিখঃ ২৫/০৭/২০২৫ ইং,

*"অর্জিত সম্পদের নিরাপত্তা কোথায়"*

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থাই হলো রাজনৈতিক দল ভিত্তিক, এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকবে, যে দল নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনসমর্থনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। আর দেশের জনগণ ঐ সকল রাজনৈতিক দলের নীতি আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী রাজনৈতিক দল সমর্থন ও দলের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে তৃণমুল থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত নেতৃত্বের সাথে সংযুক্ত থাকে। ফলে আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের সমর্থক হওয়ায় একই সমাজের মানুষের মধ্যে মতাদর্শগত মতানৈক্য তৈরি হয়। এখন যে রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষতায় যায়, সেই দলের তৃণমুল থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত পদধারি কিছু মানুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অ-বৈধ কিছু সম্পদ অর্জন করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ মতাদর্শের বাইরের মানুষ গুলোকে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে হেনস্থা ও হয়রানি করার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে হয়রানির শিকার মানুষগুলোর মধ্যে হয়রানিকারি মানুষগুলোর প্রতি একধরণের ক্ষোভ ও প্রতিশোধ পরায়ন মনোভাব তৈরি হয়ে থাকে। যারই ফলশ্রুতিতে গত ০৫-ই আগষ্ট ২০২৪ ইং, তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাথে সাথে তৃণমুল থেকে শুরু করে পার্লামেন্টের সদস্য পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি মানুষের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জালাও পোড়াও ও লুটপাট চালানো হয়েছে! এর মধ্যে তৃণমুল পর্যায়ে কিছু অ-রাজনৈতিক নিরিহ সাধারণ মানুষও রাজনৈতিক বিদ্রোহের সুযোগে বিদ্রোহী কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত রোষানলের শিকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর পার্লামেন্টে সদস্য থেকে শুরু করে কিছু পদস্থ সরকারি আমলারা দেশের বাইরে হয়তো কিছু অথবা অগাধ সম্পত্তি করে রেখেছিলো, যা হয়তো সুরক্ষিত আছে। এখন আমার আলোচনার বিষয় হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আজ হোক, কাল হোক যেকোন রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবেই এবং সেই দলের কিছু মানুষ দুর্ণীতির মাধ্যমে হোক আর সৎ পথে পরিশ্রমের মাধ্যমে হোক ঘর বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু সেটা নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ এলাকার বা নিজ দেশের বাইরে করবে, না কি নিজ এলাকা বা নিজ দেশেই করবে? অ-বৈধ না হোক, বৈধ পথে অর্জিত সম্পদেরই বা নিরাপত্তা কোথায়? কারণ বাঙ্গালী জাতী তো জন্মগত ভাবেই প্রতিশোধ পরায়ন! যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা যদি নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশে সম্পদ তৈরি করে, তাহলে কি এইভাবে পাল্টা পাল্টি দেশটা লুটপাট হতেই থাকবে? বাংলাদেশে যেহেতু আইন, বিচার, শাষণ সব ব্যবস্থায় ছিলো, সেহেতু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে হয়রানিকার, দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীদের রাষ্ট্রীয় আইনে সাজা ও অ-বৈধ ভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা করলে রাষ্ট্র অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না, এবং এই শিক্ষা থেকে মানুষের মাঝে আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠিত এবং রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরির সম্ভবনা তৈরি হতো।

মোঃ গোলাম এহিয়া সবুজ
সাবেক সভাপতি
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন
জীবননগর উপজেলা শাখা, চুয়াডাঙ্গা।

25/04/2025

তারিখঃ ২৫/০৪/২০২৫ ইং,

"সামাজিক অগ্রগতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায়"

মুর্খ ও দুর্নীতি গ্রস্থ দেশে দলীয় রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্রের সামগ্রিক সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যার্থ! এখানে কারণ হিসাবে দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছেঃ ১/ মুর্খতা ২/ দুর্নীতি
প্রথমে ১/ মুর্খতা নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ মুর্খদের সাধারণত কোন বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে তাঁরা বুদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, রাষ্ট্রীয় অইনকানুন, কর্ম, ধর্ম ও অর্থনৈতিক জ্ঞানের দিক থেকে দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকে, ফলে তারা তাদের ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও অন্যান্য সকল বিষয় ও সমস্যায় পরনির্ভরশীল হয়ে থাকে। আর তাদের নির্ভরতা থেকে উৎপত্তি হয় স্থানীয় নেতার, এই সমস্থ স্থানীয় নেতাদের অধিকাংশই আবার মুর্খ ও বেকার! এভাবেই বাই চেইন এদের অসহায়ত্ব ও পরনির্ভরশীলতা ব্যবহৃত হয় আইনপরিষদের সদস্যদের দ্বারা এবং সর্বপরি একটা রাজনৈতিক দলের মুল পুঁজিই হচ্ছে মুর্খ ও বেকার শ্রেণীর নেতা সহ ঐ সমস্ত নেতাদের উপর নির্ভরশীল সাধারণ মুর্খ মানুষদের অসহায়ত্ব ও নির্ভরশীলতার সুযোগ। আমাদের দেশের মানুষের জন্য টেকসই ও স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় এই সমস্থ স্থানীয় বেকার নেতাদের রাজনৈতিক কর্মি হিসাবে ব্যবহারের নিমিত্বে ক্ষমতাসিন রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইনকামের পথ করে দেয়। এ সকল নেতাদের নিজেদের যোগ্যতার উপর Confidence না থাকায় ঐ বৈধ-অবৈধ কর্মকাণ্ড গুলোকে কর্ম হিসাবে মেনে নেয় এবং নিজের স্বার্থ ও দলের প্রতি অন্ধ হয়ে ন্যায় নীতি বিসর্জন দিয়ে নির্লজ্জ মানুষে পরিণত হয়! ফলে তাদের নেতৃত্বের দ্বারা সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে সমাজগুলো বিশৃঙ্খলায় পতিত থাকে।
২/ দুর্নীতিঃ দুর্ণীতি হচ্ছে সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার একটা বড় অন্তরায়, সমাজের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্ণীতি গ্রস্থ ব্যাক্তিদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রচলন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ একে অপরের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত থাকে, কেউ সৎ পথে পরিশ্রম করে উপার্জন করে, কেউ সুদের কারবারি করে, কেউ ঘুষের টাকায় সম্পদ বৃদ্ধি করে, আবার কেউ ব্যাংকে টাকা রেখে সুদের টাকায় জীবন চালায়, আবার কেউ নেশা দ্রব্যের ব্যাবসা করে। সর্বপরি মানুষ নিজের মানুষিকতা অনুযায়ী কর্মের পথ বেছে নেয়, কেউ সফল হয়, কেউ সফল হয় না। তবে সবাই চায় সামাজিক মর্যাদা, সে ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্ব এবং সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে সৎ যোগ্য মানুষকে মনোনিত না করে অর্থনৈতিক সামর্থের ভিত্তিতে যদি দুর্ণীতি গ্রস্থ ব্যাক্তিকে মনোনিত করা হয় তাহলে সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠা না হয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলায় চলতে থাকে। শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দুর্ণীতিমুক্ত মেধা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের নেতৃত্বে না বসালে সেই সমাজ বর্তমান স্তর থেকে উন্নত স্তরে উপনিত হওয়া কখনই সম্ভব না!

মোঃ গোলাম এহিয়া
সাবেক সভাপতি,
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন, জীবননগর উপজেলা শাখা, চুয়াডাঙ্গা।

15/04/2025

তারিখঃ ১০/০৪/২০২৫ ইং,

"টেকসই উন্নয়ন কি দোয়ারের নিকট"

এক রাজ্যের রাজার হঠাৎ একদিন শখ হলো মাছ শিকার করার, তখন রাজা মশায় রাজ্যের আবহাওয়াবিদকে ডেকে বললেন, আমি আজ নদীতে মাছ শিকার করতে যাবো, আপনি আবহাওয়া পরিক্ষা করে বলেন আজ বৃষ্টি হবে, না কি আবহাওয়া ভালো থাকবে। আবহাওয়াবিদ ভাবলেন রাজা মশায় শখ করেছে মাছ শিকারের, আর আমি যদি বলি আজ আবহাওয়া খারাপ যাবে, তাহলে রাজা মশায়ের মন খারাপ হবে, তার চেয়ে বলি আবহাওয়া আজ খুবই ভালো থাকবে, পরে যা হওয়ার হবে। আবহাওয়াবিদ রাজা মশায়কে বললেন রাজা মশায় আজ আবহাওয়া খুব ভালো থাকবে এবং বৃষ্টি হবে না। ভিজে যাওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। রাজা তার লোকবল ও সারঞ্জাম নিয়ে নদীর ধারে হাজির হলেন। নদীর ধারে যেতেই দেখলেন এক রাখাল বালক ছাগল চরাচ্ছে, সে রাজামশায়কে দেখে কাছে এসে বললো রাজামশায় মাছ শিকার করার আর সময় পেলেন না? কিছুক্ষণের মধ্যেই তো বৃষ্টি শুরু হবে। তখন রাজামশায় বললেন আমার আবহাওয়াবিদ বলেছে আজ বৃষ্টি হবে না আর তুমি বলছো বৃষ্টি হবে, তা কিভাবে হয়? কিন্তু দেখা গেলো কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। তখন রাজামশায় ফিরে এসে হুকুম দিলেন আবহাওয়াবিদকে বাদ দিয়ে তার পদে ঐ রাখাল বালককে বসাতে। যথারিতি রাখালবালককে ধরে আনা হলো এবং আবহাওয়ািদের চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু রাখাল বালক ঐ চেয়ারে বসতে নারাজ, সে রাজামশায়কে বললো হুজুর আমি এই পদের দায়ীত্ব পালন করতে পারবো না, রাজামশায় বললেন তুমি তো আমার আবহাওয়াবিদের চেযে বেশী অভিজ্ঞ, তখন রাখাল বালক বললো হুজুর আমি কিছুই জানি না, আমার ঐ বড়ো ধাঁড়ী ছাগলটা বৃষ্টি শুরু হওয়ার আধা ঘন্টা আগে থেকে ঘন ঘন প্রসাব করে, আর তাই দেখে আমি বুঝতে পারি কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি শুরু হবে। আজও একই ঘটনা ঘটেছে, তাই আমি আপনাকে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছিলাম কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি হবে। তখন রাজামশায় খুবদ্রুত ঐ ধাঁড়ী ছাগলটাকে আবহাওয়াবিদ হিসাবে নিয়োগ দিয়ে আবহাওয়াবিদের চেয়ারে বসিয়ে দিলেন! স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর ধরে এই সম্ভবনার সোনার বাংলার গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে সুযোগমত ঐ ধাঁড়ী ছাগল গুলো বসে পড়েছে, যার কারণে দিন দিন অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা এবং মুর্খ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে এদেশের কোন সম্ভবনাকে এনালাইসিস করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয় নি! যাদের হাতে আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিলো তাঁরা দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা, দেশের সম্ভবনার কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র নিজ ব্যাক্তি স্বার্থ চটিতার্থ করেছে যুগের পর যুগ! দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সুশিল ও মেধাবী, জ্ঞানী মানুষ যারা রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক দিক থেকে অর্থনৈতিক ও ক্ষমতা কেন্দ্রীক ভাবে বেনিফিটেড ছিলো না, তারা এদেশকে এই জটিলতার বেঁড়াজাল থেকে মুক্তির একটা স্বপ্ন দেখতো আর হতাশার হাহাকার বুকে বয়ে নিরব থাকতো! আর এই সংকটের কারণেই এদেশের হাজার হাজার মেধাবী, বুদ্ধিজীবি, গবেষক, বিজ্ঞানী, আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও আন্তর্জাতিক প্রভাব সমৃদ্ধ ব্যাক্তি এ দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশের মাটিতে। এদেশের কয়টা মানুষ জানতো যে আমাদের একজন আশিক চৌধুরী আছে, যার ক্ষমতা আছে সমস্ত পৃথিবীর সেরা সেরা কোম্পানীর বিখ্যাত বিখ্যাত বিনিয়োগকারীদের একত্র করে এ দেশে বিনিয়োগ মেলা করে বিনিয়োগের সম্ভবনাময় খাত গুলোকে চোঁখে আঙ্গল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া! এখন দেশের মানুষ জেনে গেছে একজন ডঃ মহাম্মদ ইউনুছ আছে, যে কি না, জানে কিভাবে আশিক চৌধুরীর মত হাজার হাজার সম্পদ গুলোকে দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের আমুল পরিবর্তনে কাজে লাগানো যায়। বাংলাদেশের জন্মের পর এই প্রথম দেখলাম এমন অকল্পনীয় উদ্দ্যোগ, অনেক বিনিয়োগকারি অলরেডি বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে। আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি এমন একটি আইডিয়া দাঁড় করানো কতখানি জ্ঞানী, মেধাবি ও গবেষক না হলে সম্ভব! আর তা হলো বিনিয়োগ মেলার স্থান হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল এর ওয়ালে বাংলাদেশের ম্যাপ তৈরি করে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে প্রত্যেকটা জোনকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগের সম্ভবনা গুলোকে বিনিয়োগকারিদের সামনে উপস্থাপন করার আইডিয়া! স্থলপথ, নৌপথ ও আকাশ পথে যাতায়াত ও পন্য পরিবহনের সুবিধা থেকে শুরু করে কাঁচা মাল সরবরাহ ও জনবলের সুবিধা সুচারু ভাবে বিনিয়োগকারীদের মাথায় ঢোকানো হয়েছে, যা আমার কাছে একটা অসাধারণ ও এক্সেপশনাল আইডিয়া বলে মনে হয়েছে। এখন রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক ভাবে বেনিফিটেড ব্যাক্তিগণ চাইবে এই উদ্দ্যোগকে বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্থ করতে। যারা নিজেকে ভালোবাসেন, নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন, দেশে একটা সভ্য জাতী চান তারা সবাই ধর্য সহকারে সহযোগীতার মনোভাব তৈরি করা উচিৎ। ধন্যবাদ ডঃ মহাম্মদ ইউনুছ, ধন্যবাদ আশিক চৌধুরী, রাজনৈতিক দল সমর্থন করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হওয়া সত্তেও সব বিসর্জন দিয়ে একবুক আশা নিয়ে চেয়ে থাকলাম আপনাদের মুখপানে!

গোলাম এহিয়া সবুজ
সাবেক সভাপতি,
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন,
জীবননগর উপজেলা শাখা, চুয়াডাঙ্গা।

09/09/2024

তারিখঃ ০৯/০৯/২০২৪ ইং

"কক্সবাজার থেকে বিদায় লগ্নে সাগরের সাথে বিচ্ছেদ মুহুর্তের একটি ভিডিও"

25/08/2024

তারিখঃ ২৫/০৮/২০২৪ ইং,

"মুর্খতা ও রাষ্ট্র গঠন পরিকল্পনা"

মুর্খতা এমন একটা যোগ্যতা যেখানে থাকে না কোন প্রমাণ, যুক্তি ও বাস্তবতা। মুর্খ বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে, লেখা-পড়া না জানা এক ধরণের মুর্খ, আবার ক্লাস বাই ক্লাস লেখা-পড়া করে এম এ পাশ করা মানুষও এক ধরণের মুর্খ হয়ে থাকে। যাদের কাজ হলো কোন কিছুর প্রমাণ ছাড়া হুঁচুকে মেতে থাকা। আমাদের দেশে এই ধরণের শিক্ষিত মুর্খের সংখ্যা এখন অনেক। সম্প্রতি দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশমুখী যে নদীতে বাঁধ দিয়েছে, সেই নদী গুলোর উপর বাংলাদেশের সীমানায় নতুন বাঁধ তৈরি করে বন্যা মুকাবেলা করার জন্য প্রবাসী সহ দেশের অধিকাংশ মানুষ টাকা Donate করার জন্য উন্মুখ হয়ে গেছে। আচ্ছা বিকল্প বাঁধ দেওয়ার বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে পরে আলোচনা করছি। আগে আসেন ইন্ডিয়া আমাদের দেশে প্রবাহিত প্রায় ৩০টি নদীর উপর বাঁধ দিয়েছে। এখন আমরা কয়টা বাঁধ দেওয়ার জন্য চাঁদা তুলতে সক্ষম হবো? অনেকে বলছে ফাঁরাক্কা বাঁধের বিপরীতে আমরা আরেকটা বাঁধ নির্মাণ করবো, কিন্তু তার কোন দরকার নেই। ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের আর ২৯টি বাঁধ বাদে ফাঁরাক্কা নিয়ে চুক্তি আছে। কাজেই ফাঁরাক্কা থেকে আমরা নিরাপদ। এখন আসেন আমরা হয়তো ৩০টি বাঁধের বিপরীতে ৩০টি বাঁধই নির্মাণ করে ফেললাম! তাতে আমাদের কি কোন লাভ হবে? আগে দুটি দেশের ভৌগলিক অবস্থান বুঝতে হবে। ইন্ডিয়া হলো উজানের দেশ, আর বাংলাদেশ হলো ভাঁটির দেশ। কাজেই উন্ডিয়া বাঁধ দেওয়ার ফলে আমাদের দেশের নদী গুলো শুকিয়ে চর পড়ে গেছে, এখন যদি আমরা নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করি তাহলে বাংলাদেশের সীমানায় পানি ষ্টোরেজ হওয়ার পর অতিরিক্ত পানি উজানে ফেরত যাওয়া পানির ধর্ম না। কাজেই বাংলাদেশের সীমানায় স্টোরেজ করা পানি অতিরিক্ত চাপের কারণে আমাদের নির্মিত বাঁধ ভেঙ্গে ফেলবে অথবা পানি বের হওয়ার জন্য নতুন রাস্তা তৈরি করে সেই বন্যা পরিস্থিতিই তৈরি হবে! মুর্খতা দিয়ে তর্ক সৃষ্টি করা যায়, বাস্তবতা নয়! এখন যেটা করা যেতে পারে সেটা হলো বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় নদী গুলো দখল মুক্ত করে প্রসারতা বৃদ্ধি এবং খনন করে গভীরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত পানিকে বঙ্গোপসাগরে দ্রুত প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করা।

মোঃ গোলাম এহিয়া
সাবেক সভাপতি
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন
জীবননগর উপজেলা শাখা,
চুয়াডাঙ্গা।

তারিখঃ ০১/০৭/২০২৪ ইং,ছবিতে যাকে দেখছেন, ওর নাম ইরফান, বয়স ১০-১২ বছর, থাকে কক্সবাজার বাস- টার্মিনালে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁ...
01/07/2024

তারিখঃ ০১/০৭/২০২৪ ইং,

ছবিতে যাকে দেখছেন, ওর নাম ইরফান, বয়স ১০-১২ বছর, থাকে কক্সবাজার বাস- টার্মিনালে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে, জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে, খুঁড়াচ্ছো কেনো? ও খুব শান্ত ভাবে বললো রাঁতে এখানে বেঞ্জে ঘুমিয়ে ছিলাম তখন একজন পায়ে চাকু মেরেছে। আমি বললাম কেনো চাকু মারলো? ছেলেটি বললো এই টার্মিনালের বিল্ডিংয়ে রাঁতে ঘুমানো নিষেধ, তো আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, তাই এখানেই ঘুমায়। কিন্তু ঘুমালে কারা যেনো লাঠি দিয়ে ঘুমের মধ্যে মারে, আবার কখনও কখনও চাকু মারে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ওরা কারা, ছেলেটি বললো ওরাও ছোট মানুষ, কিন্তু কেবল গুন্ডা হয়ে উঠছে! আমি ওর বাবা, মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলাম, বললো মা, বাবা বেঁচে নেই, ছোট বেলায় মারা গেছে, বাবা, মায়ের কথা অল্প, অল্প মনে পড়ে, দু- জনাই কিভাবে মারা গেলো তা আমি জানি না, তবে একজনও যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আমি এই ছোট বয়সে আর একা হয়ে যেতাম না! বাড়ি বললো সম্ভবত ঢাকার দিকে, একটা ভাই ছিলো, বিয়ে করে বউ নিয়ে থাকে, আমাকে সাথে রাখে না, তাই আমি মনের অজান্তে গাড়িতে উঠে এখানে এসে নেমেছি, আর এখানেই অনেক দিন যাবৎ আছি। খাওয়া দাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা তো নেয়-ই, আবার রাতে ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারি না, ভয় হয়, কখন জানি কেউ লাঠি দিয়ে মারে, অথবা চাকু মারে! হায়....রে জীবণ, পৃথিবীতে কার জীবণ সংগ্রাম কেমন, কেউ কারও খোঁজ রাখে না। আসলে এরাও তো মানুষ! এদের প্রতি কোনো ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠানের বা রাষ্ট্রের কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই? একবেলা ওর সাথে ওর পছন্দ মতো খেলাম। ওরা কতো অল্পতেই কতো বেশী খুঁশি!
( আমার লেখার উদ্দেশ্য এক মাত্র মানুষকে এদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহীত করা বৈকি আর কিছুই না)

27/06/2024

তারিখঃ ২৭/০৬/২০২৪ ইং,

মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে টেকনাফ টেরিটোরি ভিজিটে গিয়েছিলাম, রাস্তার এক পাশে সাগর আর এক পাশে পাহাড়, এক অভুতপুর্ব মনোরম দৃশ্য!

06/06/2024

তারিখঃ ২২/১১/২০১৯ ইং,

এশিয়ান জার্নালিষ্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের জীবননগর শাখা, চুয়াডাঙ্গা, আয়োজিত, জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে "উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠানে" বক্তব্য দেওয়ার সময়।

Address

SHENERHUDA, JIBANNAGAR
Chuadanga

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TSS News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share