Anisur Rahman Ashrafi waz

Anisur Rahman Ashrafi waz নিজের চিন্তা করেন কি করলে আপনার আখেরাতো দুনিয়া ভালো হবে তাই নিয়ে একটু ভাবনা করেন।
(2)

রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুনযাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণএকটি কথা। এক ব্যক্তি...
11/07/2025

রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাহলে গল্পটি পড়ুন
যাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ
একটি কথা। এক ব্যক্তি হযরত ইব্রাহিম ইবনে আদহাম
(রহঃ) এর সাথে তর্ক করছিলো যে-'বরকত' বলতে কিছুই
নেই।
তিনি বললেন, তুমি কি ছাগল ও কুকুর দেখেছো?
লোকটি বলল,
জি দেখেছি।
শায়খ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন- বলতো কুকুর আর
ছাগল এর মধ্যে কে বেশি বাচ্চা দেয়?
লোকটি বললো, কুকুর।
শায়খ বললেন, এদের মধ্যে তুমি কোন জন্তুটিকে বেশি
দেখতে পাও, কুকুর না ছাগল?
লোকটি বললো, ছাগল।
শায়খ ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রহঃ) বললেন,
"ছাগলকে মানুষ খায়, কোরবানির সময় কত ছাগল
কোরবান করা হয়, এরপর ও ছাগলের সংখ্যায় বেশি দেখা
যায়, কমে না। এর রহস্য কি বলে মনে হয় তোমার?
লোকটি জিজ্ঞাসা করলো- কি রহস্য শায়খ?
শায়খ বললেন- একবার ভেবে দেখো, এটা কি বরকত নয়?
লোকটি বললো, তাহলে এর কারণ কি যে ছাগলের মধ্যে
বরকত হয়, আর কুকুরের মধ্যে বরকত হয় না?
শায়খ বললেন, এর কারণ হলো ছাগল সন্ধ্যা হতেই ঘুমিয়ে
যায়, আর ভোরে জাগ্রত হয়, এই সময়টাই হয় রহমত ও
বরকত বর্ষণের মুহূর্ত। ফলে তার মধ্যে বরকত হয়। আর
কুকুর সারা রাত জাগ্রত থাকে ফজরের আগে ঘুমায়। তাই
সে বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে।
একটু চিন্তার বিষয়, নবীজি (সঃ) এর সুন্নাত হলো-এশার
নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া। শেষ রাতে জাগ্রত হয়ে
তাহাজ্জুদ পড়া, কেননা আল্লাহ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
প্রথম আসমানে নেমে এসে বান্দাদের কে দোয়া করার জন্য
ক্ষমা চাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন।
আর আমরা? সাড়া রাত মোবাইলে, ইন্টারনেটে হা'রা'ম
কাজে ব্যস্ত থেকে ঠিক এই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আর
ফজরের তো খবরই নেই। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই
আছেন যারা যখন শুনেন মসজিদের ফজরের আজান
হচ্ছে, ঠিক তখনই তারা ঘুমাতে যান। তাদের মনে হয়
হায়রে, ঘুমের সময় হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের এটা মনে হয়
না, আজানটা যখন হয়েই গেছে, নামাজটা পড়ে ঘুমিয়ে
পড়ি।
অথচ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ফজরের কেবল দুই রাকাত
সুন্নাত সালাত পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা আছে সবকিছুর
চাইতে উত্তম, সুবহানআল্লাহ। তাহলে দুই রাকাত ফরজের
কতটা মর্যাদা হতে পারে? এমন অতি মূল্যবান সময় আমরা
ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। তাহলে আমাদের কাজ কর্মে আল্লাহ
বরকত দিবেন কিভাবে?
আবার আমরাই দোয়া করে অস্থির হয়ে যাই আর ভাবি -
আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না কেন?
কিন্তু যখন আমাদের হাতে মোবাইল ছিল না, তখন সময়টা
এমন ছিল না। আগের দিনের মানুষ সন্ধ্যার একটু পর পর
সাত আটটার দিকে ঘুমিয়ে যেত। স্বামী স্ত্রী রাতে ঘুমানোর
আগে অনেক গল্প করতেন। অনেক লম্বা একটা সময়
ঘুমানোর পরে তাদের ভোর পাঁচটার দিকে উঠতে কোন
সমস্যা হতো না। ভোর বেলায় তারা খেতে খামারে কাজ
করতে চলে যেত। দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ করে বাড়ি
ফিরত। তারপর বউ বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে পারতো।
কিন্তু এখন আমাদের আর সেই সুযোগ হয় না। ঘুমের সময় ছাড়া আমারা
আর কেউ বাসায় থাকি না। শুধু কাজ আর কাজ।
আমাদের সামাজিক বন্ধন ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। নারীরা
তাদের সঙ্গীর কাছে সময় ভিক্ষা চাইছেন, পুরুষেরাও
তাদের নারীর কাছে। কিন্তু কেউ কাউকে সময় দিতে
পারছেন না।
তাই আসুন আমরা এখনই নিজেকে পরিবর্তন করি,
আল্লাহর বিধান সমূহকে যথাযথভাবে গুরুত্বের সাথে পালন
করি। তাহলে আশা করা যায়, তিনি আমাদের দোয়া কবুল
করবেন এবং কাজকর্মে বরকত দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান
করুন, আল্লাহুম্মা আমিন।
এডমিন পোস্ট

গানের আসরে হঠাৎ মৃ'ত্যু (সম্পূর্ণ ঘটনা)রাতে গ্রামের এক বড় বাড়িতে আয়োজন হয়েছিল একজমকালো পার্টির। বন্ধুরা মিলে হৈ-হুল্...
11/07/2025

গানের আসরে হঠাৎ মৃ'ত্যু (সম্পূর্ণ ঘটনা)
রাতে গ্রামের এক বড় বাড়িতে আয়োজন হয়েছিল এক
জমকালো পার্টির। বন্ধুরা মিলে হৈ-হুল্লোড়, ম'দ-সি'গা'রেট
আর গান-বাজনার আসর। সেখানে আসা এক যুবক
ছিল
একটু আলাদা। কারণ তার মুখে সবসময় আল্লাহ-রাসূল
নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা।
নামাজ-রোজা তো দূরের কথা, কেউ নামাজের কথা
তুললেই সে রেগে যেত। বলত –
"আরে আল্লাহ-টাল্লাহ কিছু না। এসব হুজুরদের কথা। মজা
করতে এসেছি, আল্লাহ মরুক গে!"
সেদিনও ঠিক এমন এক রাত। একে একে গান বাজতে
লাগলো। এক সময় এক বিদেশি গান চালু হলো। যার
কথাগুলো ছিল
-
"ম'র'ণ যদি আসেও আজ রাতে, আমি তবুও নাচবো।"
গানটা শোনা মাত্রই ছেলেটা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বললো –
"আসুক না ম'র'ণ, আজকে এমন নাচবো, মরণও দেখে ভ'য়
পাবে!"
বন্ধুরা হেসে উঠলো। কেউ তালি দিল, কেউ চিৎকার
করলো।
সে নাচতে নাচতে মঞ্চের একদম মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালো।
তুমুল আলো, মিউজিকের তালে একেকটা পা ফেলছে,
মাথা নাড়ছে।

হঠাৎ করে দেখা গেল
-
ওর মুখের একপাশ শক্ত হয়ে
গেছে। ঠোঁট নীলচে হয়ে উঠছে। চোখ দুটো বড় বড়। শরীর
হালকা কাঁপছে।
সবাই ভেবেছিল সে মজা করছে। কেউ ভিডিও করছিল।
কেউ হাসছিল।
কিন্তু এক মুহূর্ত পরেই –
-
সে মাটিতে ধপ করে পড়ে গেল।
মঞ্চের আলো তখনও ঝলমল। মিউজিক চলছেই। এক বন্ধু
এগিয়ে এসে ডাকলো
-
"আরে ওঠ ওঠ! বেশি অভিনয় করিস না।"
কিন্তু কোনো সাড়া নেই। মুখটা একদিকে বেঁকে গেছে। ঠোঁট
পুরো কালো। চোখ দুটো খোলা। শরীর ঠান্ডা।
পাশের এক বন্ধু ডেকে উঠলো –
"ডাক্তার ডাকো... ডাকো..."
ডাক্তার এলো। পরীক্ষা করেই জানাল
-
"মৃ'ত্যু হয়েছে। সম্ভবত গান চলার মাঝেই ও মা'রা গেছে
তবে শরীর তখনও একটু নড়ছিল বলে কেউ বুঝতে
পারেনি।"

হাসি-ঠাট্টার আসর মুহূর্তেই কান্নার আসরে রূপ নিল। যেসব
বন্ধুরা তার সাথে হাসছিল, তারা মুখ ঢেকে কান্না করছিল।
আরেকজন হাউমাউ করে বলে উঠলো –
"ভাইরে... কয়দিন আগেও বলছিল, ম'র'ণ'কেও ভয় পাই
না। আজ ম'র'ণ এমনভাবে নিল যে, দুনিয়ার সব হাসি থেমে
গেল।"
লোকজন বলাবলি করলো
-
"ম'র:ণ এভাবে আসতে পারে, কেউ জানতো না। ঠাট্টার
জবাব এভাবে মিলতে পারে, চোখে দেখা গেল আজ।"
মনে রাখো
-
মৃত্যু ঠাট্টা-তামাশা মেনে নেয় না।
মর'ণ যখন আসে, তখন আর ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ
থাকে না।
সেই রাতের পর থেকে এলাকায় কেউ আর নাচ-গানের
আসরে যেতে সাহস করে না। কেউ আল্লাহ-রাসূল নিয়ে
ঠাট্টা করতেও ভ'য় পায়।
এক বৃদ্ধ বলেছিল –
-
"মনে রেখো, যে ম'র'ণকে ডাকে ম'র'ণ তাকে ফিরায় না।
একদিন আমাকেও তোকে এমন করেই নিয়ে যাবে। প্ৰস্তুত
থাক।"

এডমিন পোস্ট

ছেলেরা হায়াত ন'ষ্ট করে দিও না বাপ। কাজে লাগাইলো যৌ'ব'ন ন'ষ্ট হয়ে যাবে। কাজে না লাগাইলেও যৌ'ব'ন ন'ষ্ট হয়ে যাবে। মাওলান...
11/07/2025

ছেলেরা হায়াত ন'ষ্ট করে দিও না বাপ।
কাজে লাগাইলো যৌ'ব'ন ন'ষ্ট হয়ে যাবে।
কাজে না লাগাইলেও যৌ'ব'ন ন'ষ্ট হয়ে যাবে।

মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী ❤️❤️🤲🤲

10/07/2025

দুনিয়ার জীবনে সবচেয়ে দামি সম্পদ সময়

মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী

পুরুষের দায়িত্ব অনেক, একথা সত্যি। তাই বলে তাকেঅনুভূতিহীন যন্ত্র ভাবা বন্ধ করুন। এমনও অনেক পুরুষআছেন যারা সারাদিন পর বাড...
10/07/2025

পুরুষের দায়িত্ব অনেক, একথা সত্যি। তাই বলে তাকে
অনুভূতিহীন যন্ত্র ভাবা বন্ধ করুন। এমনও অনেক পুরুষ
আছেন যারা সারাদিন পর বাড়ি ফিরে মা কিংবা স্ত্রীর
কাছে দুটো ভালো ভালো কথা, আশা-ভরসার কথা শোনার
বদলে নালিশের পরে নালিশ শুনে যায়। বহু দীর্ঘ সংগ্রামের
পর যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন শুরু হয় একে একে সবার
আবদার-আহ্লাদ মেটানোর পালা। দিতে না পারলেই মুখ
কালো, প্রশ্ন শুনতে হয়- কী করেছো আমাদের জন্য?
এর-ওর-তার শখ পূরণ করতে গিয়ে নিজের দুইটা শখ
পূরণের জন্য পুরুষটিকে হয়তো দশবার ভাবতে হয় ।
কত পুরুষ আছেন যাদের বোন বিবাহযোগ্য হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হয়, এরপর বোনের বিয়ে হলে তবেই
নিজে বিয়ের মুখ দেখতে পান। ভাই-বোনের সমস্ত দায়িত্ব
পালন করতে গিয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব পালন
করতে পারেন না, স্ত্রীর মন রক্ষা করার জন্য মাকে বাড়িতে
আসতে নিষেধ করতে হয়, মায়ের মন রক্ষা করার জন্য
স্ত্রীকে বকাঝকা কখনোবা মা/র/ধো/র করতে হয়! ছেলের
সংসারে অশান্তি হতে দেখে যে খুশি হয় সে কেমন মা?
স্বামীর মাকে অসম্মানিত হতে দেখলে যে শান্তি পায় সে
কেমন স্ত্রী?
মা নাকি বউ- এই দ্বন্দ্বের ভয়ে বিয়েকেই ভয় পান অনেক
পুরুষ। অথচ একজন পুরুষের জীবনে এই দুইজন নারীর
থেকে বেশি অবদান কারও হওয়ার কথা নয়। একজন যদি
জান্নাত হয়, অপরজন তবে জান্নাতে যাওয়ার সার্টিফিকেট।
কিন্তু কখনো কখনো এই দু'জনের দ্বন্দ্বেই পুরুষটির জীবন
হয়তো জাহান্নাম হয়ে যায়!
এডমিন পোস্ট

ঋণ মুক্তির দোয়া
10/07/2025

ঋণ মুক্তির দোয়া

09/07/2025

আমার মৃ'ত্যু'র দিন পর্যন্ত আমি এই কথা বলে যাব
মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী

বাবা হারা সন্তানই বুঝে, পৃথিবীটা কতভয়া'ন'কপৃথিবীটা দেখতে যতটা সুন্দর, বাস্তবে কিন্তু ঠিক ততটাইকঠিন। এই কঠিন পৃথিবীতে টি...
09/07/2025

বাবা হারা সন্তানই বুঝে, পৃথিবীটা কত
ভয়া'ন'ক
পৃথিবীটা দেখতে যতটা সুন্দর, বাস্তবে কিন্তু ঠিক ততটাই
কঠিন। এই কঠিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে একজন
সন্তানের সবচেয়ে বড় ভরসা হলো তার "বাবা"। বাবা যেন
সন্তানের জীবনের প্রথম পাহাড়—যে পাহাড় ভেঙে জীবন
এগিয়ে যায়, আশ্রয় খুঁজে পায়। কিন্তু যখন কোনো সন্তান
তার বাবাকে হারায়, তখন সে হঠাৎ করেই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা
টের পায়। তখন বুঝে যায়—এই পৃথিবীটা আসলে কত
ভয়া'ন'ক, কতটা নির্দয়।
একজন বাবা শুধু একজন অভিভাবক নয়, তিনি হচ্ছেন
একটা নিরাপত্তার দেয়াল।
ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা পদক্ষেপে বাবা
থাকেন একজন অদৃশ্য অভিভাবকের মতো।
যখন সন্তান হাঁটতে শেখে, প্রথম হাতটা বাবারই তো থাকে।
যখন স্কুলে ভর্তি হয়, পাশে থেকে সাহস দেন বাবা।
যখন জীবনের প্রথম ব্যর্থতায় বুক ফেটে কাঁদে, তখন কাঁধে
হাত রেখে বলেন— “ভ'য় নেই বাবা, আমি আছি।”
কিন্তু যেদিন সেই বাবা আর থাকেন না, সেদিন থেকেই শুরু হয় সন্তানের জীবনের এক নতুন অধ্যায়
অন্ধকার, কঠিন আর নীরবতার অধ্যায়।
কোনো ভরসা থাকে না, কেউ জিজ্ঞেস করে না, "কেমন
আছো?"
রাতের অন্ধকারে বুক চেপে কান্না আসে, কিন্তু সান্ত্বনা
দেওয়ার কেউ নেই।

বন্ধুরা যখন বাবাকে নিয়ে গল্প করে, কেউ বলে “আমার
বাবা নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছে", কেউ বলে “আমার
বাবা কলেজে ভর্তি করিয়েছে”–তখন বাবা-হারা সন্তান চুপ
করে থাকে। মুখে হাসি রাখলেও ভিতরে এক টুকরো করে
ভেঙে পড়ে।
বাবা না থাকলে অনেক দরজা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের
বেতন, সংসারের খরচ, ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব—সবকিছু
নিজের ঘাড়ে এসে পড়ে। অথচ সেই সন্তানের বয়স তখনো
খুব
বেশি নয়, হয়তো এখনো সে নিজের জন্যও ঠিকঠাক
ভাবতে শেখেনি। কিন্তু বাস্তবতা কোনো সুযোগ দেয় না,
তাকে বড় হতে বাধ্য করে।
বাবা হারানোর পর বুঝি, জীবনের সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ শুরু
হয় ঘরের ভেতর থেকে।
মায়ের চোখের অশ্রু দেখে মুখ ফিরিয়ে কান্না চেপে রাখতে
হয়।
নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে পরিবারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে
হয়।
কেউ বুঝতে চায় না তার ভেতরের যুদ্ধ, কেউ জানতে চায়
না তার রাতের ঘুম কেমন কেটে যায়।
তবুও সে থামে না ।
কারণ সে জানে, এখন সে একা নয়, একা হয়ে গেছে।
একা পথ চলতে হয়, একা সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
একা ভুল করতে হয়, আবার একাই তার মাশুল দিতে হয়।
শেষ কথা:
বাবা হারা সন্তানদের চোখে পৃথিবীটা আর রঙিন থাকে না।
সেখানে সবই ধূসর, শূন্য আর ভয়ের।
তারা জানে, এই পৃথিবী কাউকে দয়া করে কিছু দেয় না—
সব অর্জন করতে হয় নিজের রক্ত-ঘামে।
আর সে কারণেই আমরা বলি,
“বাবা হারা সন্তানই সবচেয়ে ভালো বুঝে, পৃথিবীটা আসলে
কত ভ'য়া'নক!
এডমিন পোস্ট

যেই নারীকে তার স্বামী বলে সুন্দর  সেই নারী মূলত সুন্দর বানীঃ- মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী
09/07/2025

যেই নারীকে তার স্বামী বলে সুন্দর
সেই নারী মূলত সুন্দর
বানীঃ- মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফী

কবরের নিচে অপেক্ষমাণ সেই অজানা ভ'য়একটা ছোট্ট গ্রাম ছিলো, নাম আল-মাহজুরা। গ্রামটা ছিলোসবুজে ঘেরা, শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সে...
08/07/2025

কবরের নিচে অপেক্ষমাণ সেই অজানা ভ'য়
একটা ছোট্ট গ্রাম ছিলো, নাম আল-মাহজুরা। গ্রামটা ছিলো
সবুজে ঘেরা, শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সেই গ্রামের এক কোণে
একটা পুরনো কবরস্থান ছিলো, যেটাকে সবাই এড়িয়ে
চলতো। কারণ বলা হতো, রাতে ওখানে অশরীরী আত্মারা
কান্না করে।
রায়হান নামের এক যুবক ছিলো গ্রামের। ধর্মে তেমন
মনোযোগী ছিলো না, দিনভর বন্ধুদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা আর
হা'রা'ম কাজে মেতে থাকতো। নামাজ, রোযা – সবই তার
কাছে ব্যঙ্গের বিষয়।
এক রাতে সে বন্ধুরা মিলে সাহস দেখাতে পুরনো সেই
কবরস্থানে গেলো। উদ্দেশ্য – প্রমাণ করবে এসব ভৌতিক
-
কথা মি'থ্যে। এক কবরের পাশে গিয়ে তারা হাসতে হাসতে
বললো,
"ওই, ভূত থাকলে সামনে আয়!"
বন্ধুরা দৌড়ে পালালেও রায়হান দাঁড়িয়ে থাকলো। হঠাৎ
একটা ঠাণ্ডা হাওয়া বইলো, চারপাশ কুয়াশায় ভরে গেলো

অন্ধকারের মধ্যে এক বৃদ্ধ লোকের মতো কেউ তার পাশে
এসে দাঁড়ালো। বললো,
"এত হাসছিস? দেখ, তোর জন্য কবরের নিচে কী
অপেক্ষা করছে!"

রায়হান ভয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখলো — লোকটা নেই।
তার পায়ের নিচে মাটি ধসে পড়ছে। সে দেখলো, নিচে এক
গর্ত... আর সেই গর্তের ভেতরে হাজারো পোকা-মাকড়,
আগুনের শিখা, আর কবরের আ'যা'বের ফেরেশতা মুনকার
ও নাকীর দাঁড়িয়ে আছে।
ওরা বললো,
"তুই দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুম মানিস নি, নামাজ পড়িস
নি, মানুষের সাথে বাজে ব্যবহার করেছিস – এখন তোর
হিসাব শুরু!"
হঠাৎ রায়হান দেখলো, তার জান বের করে নেওয়া হচ্ছে।
সে কাঁ'দ'ছে, আর আর্তনাদ করছে। কিন্তু কোনো উপকার
নেই।
ঠিক তখনই সে চিৎকার করে উঠলো
-
ঘুম ভেঙে গেলো।
শরীর ঘামে ভিজে গেছে। আশেপাশে অন্ধকার। সেই রাতেই
সে আল্লাহর ভ'য়ে কাঁদতে কাঁদতে তওবা করলো।
পরদিন ভোরবেলা গ্রামের মসজিদে প্রথম নামাজ পড়তে
দেখা গেলো রায়হানকে। কারণ সে জানতো সত্যিই
-
কবরের নিচে এমন ভ'য়ং'ক'র আ'যা'ব অপেক্ষা করছে, যা
দুনিয়ার কোনো ভ'য় এর ধারে-কাছেও যায় না।

মৃ,ত্যু,র য,ন্ত্র,ণামৃ,ত্যু,র য,ন্ত্র,ণা...! শুনলে গা শিউরে ওঠে, কলিজা কাঁ,পে!হাদিসে আছে, মৃত্যুর সময় মানুষের আত্মা শরী...
08/07/2025

মৃ,ত্যু,র য,ন্ত্র,ণা
মৃ,ত্যু,র য,ন্ত্র,ণা...! শুনলে গা শিউরে ওঠে, কলিজা কাঁ,পে!
হাদিসে আছে, মৃত্যুর সময় মানুষের আত্মা শরীরের রগ
রগ থেকে এমনভাবে টেনে নেওয়া হবে, যেমন কাঁটা তারের
মধ্যে ভেজা তুলা ঢুকিয়ে একপাশ থেকে টেনে বের করা
হয়। ভাবো তো, তোমার দেহের প্রতিটি শিরা, উপশিরা, স্নায়ু
দিয়ে দহনযন্ত্রণা নিয়ে আত্মা বের হবে। সেই মুহূর্তে কেউ
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না, তুমি নিজের মুখ
দিয়ে ডাকতে পারবে না... কেবল আ,ত,ঙ্কে চিৎকার করবে
নিঃশব্দে। কবরের প্রথম রাত হবে সবচেয়ে ভ,য়ঙ্ক,র, মাটি
তোমাকে চাপা দেবে, দাফনকারী লোকগুলোও সেইদিন
তোমাকে মাটির নিচে ফেলে রেখে চলে যাবে। তখন
তুমি একা... একা... কবরের অ,ন্ধকা,রে, যেখানে দুনিয়ার
কোনো আলো নেই। দুটো সাদা কাপড়ে মুড়ে, নিজের
সমস্ত অ,হংকা,র, দম্ভ, অর্থ, গৌরব সব ছুঁড়ে ফেলে রেখে
তুমিই শুধু সেই অ,ন্ধকা,র কবরে। তখন শুধু আল্লাহ ও
মৃত্যু-পরবর্তী হক কথা মনে আসবে। সেদিন পৃথিবীর কোন
ডাক্তার, কোন বন্ধু, কোন প্রিয়জনও তোমাকে বাঁচাতে
পারবে না। তোর সমস্ত পা,পে,র হিসাব সেই মাটির নিচেই
শুরু হবে।
হে মানুষ! মৃ,ত্যু,র স্বাদ কত ভ,য়া,বহ তা তখনই টের পাবি,
যখন মালাকুল মাউত তোর মাথার পাশে এসে দাঁড়াবে।
সেই মুহূর্তের দহন, আতঙ্ক, য,ন্ত্রণা,র কথা চিন্তা করলেও
ঘুম হারাম হয়ে যায়। এ দুনিয়ার কোন বেদনা, কোন ক,ষ্ট
মৃ,ত্যু,র য,ন্ত্র,ণার কাছে কিছুই না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে
ঈমানের সাথে কবরে শান্তির ঘুম দান করুন।
এডমিন

Address

Comilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anisur Rahman Ashrafi waz posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Anisur Rahman Ashrafi waz:

Share

Category