23/08/2024
একটু ভূগোল পড়া উচিৎ আমাদের এই Gen Z জেনারেশনের। এমনিতেও আমাদের পড়াশোনা খবর নাই। পড়াশোনা বাদে সব কিছু সম্ভবত আমাদের Gen Z দিয়ে। পড়াশোনা না করলেও কিন্তু নিজেদের বহুত জ্ঞানী ভাবি আমরা।
যাই হোক, যারা এই ফেসবুকে ফেনা তুলতে ফেলতেছেন এখনি সময় এসেছে ফারাক্কা বাধের ৪০ কিলোমিটার দূরে নতুন বাধ দেবার। আচ্ছা, আপনারা নদী সম্পর্কে জানেন তো..? না জানলে অন্তত নদী নিয়ে একটু পড়াশোনা করবেন। ইন্ডিয়া থেকে আমরা কত ফুট নিচে এটা জানেন..? না জানলে জেনে নিবেন।
শোনেন, উজানের পানি সবসময়ই ভাটির দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরে পতিত হয়। আপনে যদি ভাটিতে থাইকা বাধ দিতে চান তাইলে নদীর আবহমান ধারা বন্ধ হবে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাই বাধ নির্মান করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি।
আগে বুঝতে হইবে নদীর ফোলো উজান থেইকা ভাটির দিকে হয়। পাহাড় থেইকা সাগর বা নদীর দিকে হয়। এখন বাংলাদেশের ভাটিতে একটা কেন ১০ টা বাঁধ দেন, লাভ হবে বলে মনে হয় না।
আর একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের আগেও বাংলাদেশ নদী বিশেষজ্ঞরা এইসব চিন্তা করেছে। এরপর উনারা ভারতের সাথে সমোঝোতায় আসতে চাইছে।
তাছাড়া আমাদের দরকার পানি। কিন্তু, সময় মত পানি পাইনা, আবার যখন বর্ষায় আসে তখন আমাদের ভাসিয়ে দেয়। তাই এই সব হেড মার্কা চিন্তা বাদ দিয়ে। এটা চিন্তা করেন যে আন্তর্জাতিক নদীতে তারা বাধ কেন দিল..?
এসব বাধ অবৈধ। কোনো আন্তর্জাতিক নদীতে বাধ দেওয়া যায়না। দিলে চুক্তিতে দিতে হয়। চুক্তি আছে কিন্তু সেই চুক্তি তো এখন ভারত মানে না।
সৃষ্টি শুরু থেকেই প্রকৃতি প্রকৃতির মতই চলতে দিতে হয়। সেই অনুযায়ী নদী চলবে নদীর মতো, নদীর পানি আটকে রাখার অধিকার তাদের নেই। যখন পানি বেশি হবে তখন হুট করে ছেড়ে দিবে, যখন আমাদের পানির দরকার হবে তখন পানি দেবে না এটা আন্তর্জাতিক আইন বহির্ভূত অপরাধ, যেটা ইন্ডিয়া বছরের পর বছরে করে আসছে। আমাদের কে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে।
এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। হয় চুক্তি অনুযায়ী পানি দিতে হবে। নয়তো বাধ রাখা যাবেনা। এই সব নিয়ে চিন্তা করেন। এই সব নিয়ে কথা বলেন। আর হ্যা, আপনার আমার থেকে বেশি জ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার,,🙏
সো, আবেগে লাফানো বন্ধ করো হে আবেগী বাঙ্গালী। একটু হলেও পড়াশোনা করো। পড়াশোনা তো খাইয়া দিছো আরও আগেই। এখন আবার অটো পাশ চাইয়া কি অটো চালাইবা নি দিনশেষে দেখো বাকি পড়াশোনার ত সান্ডেমান্ডে ক্লোস করসোই বাকি নাই কিছুই আর