দৈনিক মহেশখালী - Daily Maheskhali

দৈনিক মহেশখালী - Daily Maheskhali لا إله إلا الله محمد رسول اللّه
লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)❤️🦋
(1)

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বেশ কিছুসংখ্যক নারী। এরা রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। নির্বাচনে প্রার্থীর ক...
12/10/2025

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বেশ কিছুসংখ্যক নারী। এরা রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। নির্বাচনে প্রার্থীর ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতেও উত্তরাধিকার সূত্রে আসা অনেক নারী রয়েছেন।

তারাও আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য কাজ করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইতোমধ্যেই তারা ভোট চাইছেন দাঁড়িপাল্লায়। তবে জামায়াত থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতিতেও এসেছেন অনেক নারী। তারাও প্রার্থী হবেন নির্বাচনে। তবে এই নারীরা উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে আসেননি, তারা এসেছেন জুলাই-বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে। এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্য দল থেকেও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এই নারীরাও রাজনীতিতে এসেছেন, হয় পিতা কিংবা স্বামীর পরিচয়ে।

রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নতুন কিছু নয়। উপমহাদেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। যারাই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন, তারা পিতৃতান্ত্রিক বা পরিবারতান্ত্রিক পরিচয়েই হয়েছেন। এর বাইরে সফল হয়েছেন এমন সংখ্যা খুবই বিরল। যেমন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ও চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো। তেমনি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কোরাজন একুইনো। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম ইন্দিরা গান্ধী। রাজনীতিতে তার পরিচয় শুধু উত্তরাধিকার সূত্রেই নয়, তিনি বাবা জওহরলাল নেহরুর মেয়ে হওয়ার সুবাদে দীর্ঘ সময় রাজনীতি শেখা বা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছেন। অক্সফোর্ডে পড়েছেন এবং উপমহাদেশের রাজনীতিতে একজন দক্ষ রাজনীতিক হয়ে উঠেছিলেন। বেনজীর ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭২ সালে পাকিস্তান-ভারত সিমলা চুক্তি করার সময় মেয়েকে সঙ্গে করে ভারতের সিমলায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনিও রাজনীতিতে বাবার সান্নিধ্য পেয়েছেন।

বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ব্যতিক্রম। স্বামীর পরিচয়সূত্রে রাজনীতিতে এলেও তিনি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকাকালে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে তিনি রাজনীতির মাঠে এসেছেন। রাজপথে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করার মাধ্যমে। তিনি সক্রিয় কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপিকেও শক্তিশালী দলে পরিণত করেছেন। এর ফলে তিনি রাজনীতিতে নিজের একটি স্বকীয় পরিচয় দাঁড় করাতে সক্ষম হন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতি আলোকিত এবং আলোড়িত করেন। অন্যদিকে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে আসেন এবং ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি যতদিন রাজনীতি ও ক্ষমতায় ছিলেন, বাবার রাজনীতিকে পুঁজি করেই ছিলেন। বাবার জয়গান গেয়েই তিনি বছরের পর বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তরাধিকার ও পারিবারিকসূত্রে অনেক নারী এসেছেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যারা এসেছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন—

প্রবীণ রাজনীতিক ও ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদের মেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব এবং সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ। তিনি ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তিনি হাটহাজারী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তার বাবাও এই আসন থেকে চারবার এমপি হয়েছিলেন।

বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী হারুণার রশীদ খান মুন্নুর বড় মেয়ে আফরোজা খানম রিতা মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের মেয়ে সালিমা তালুকদার আরুনী জামালপুর-৪ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমানের মেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শ কমিটির বিশেষ সহকারী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলও মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সিলেট-২ থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। এছাড়া প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি স্বামীর আসন ঢাকা থেকে ভোট করতে চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার স্ত্রী ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের জন্য মনোনয়ন চাইছেন ঢাকা-৯ আসন থেকে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান তার মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী মাহরীন খানের জন্য নরসিংদীর একটি আসনে মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) থেকে নির্বাচন করবেন, তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ কক্সবাজার-১ থেকে নির্বাচন করতে চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্বাচনি এলাকা সিরাজগঞ্জ-২, তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মামলার কারণে অংশ নিতে পারেননি। সেই সময়ে তার সহধর্মিণী রুমানা মাহমুদ এই আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। তাই টুকুর নিজের আসন নিশ্চিত হলে নিজের সহধর্মিণীর জন্য এবার তিনি আরো একটি আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

নরসিংদী-১ আসনের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। তার সহধর্মিণী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা। তিনি মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকার যে কোনো একটি আসনে মনোনয়ন চাইছেন।

আওয়ামী লীগেরও অনেক নারী রাজনীতিবিদ আছেন যারা বাবা বা স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে এসেছেন। কিন্তু দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় সম্ভবত তারা এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের ঢাকায় উত্তরা থেকে প্রার্থী হবেন।

ভারতের জওহরলাল নেহরুর কথা আগেই উল্লেখ করেছি। নেহরু ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, যিনি পরবর্তীকালে ভারতীয় অধিরাজ্য ও পরে প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার পর দলে নেহরু পরিবারের আধিপত্য ছিল, যার মধ্যে ছিলেন তার মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধী। একইভাবে পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজীর ভুট্টো দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ঠিক একইভাবে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পিতংতার্ন সিনাওয়াত্রাও স্বাদ পান ক্ষমতার।

রাজনীতিতে নারীর সংখ্যা বাড়লে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ২০২১ সালের কোলোরাডো বোলডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সংসদে নারীরা প্রভাবশালী হলে সাধারণত দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ বাড়ে। একইভাবে ২০২০ সালের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর সংসদে নারীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কারটিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সুপারিশ করেছিলেন, যেসব সংসদে নারীর সংখ্যা বেশি, সেসব সংসদ শক্তিশালী জলবায়ু নীতিমালা তৈরি করতে পারে। তবে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের (সিএফআর) উইমেন্স পাওয়ার ইনডেক্সের নোয়েল জেমস সতর্ক করে বলেন যে, নারীদের নির্বাচিত করাই এই ফলাফলের নিশ্চয়তা দেয় না। তার যুক্তিতে, নারীরা কোনো সমজাতীয় গোষ্ঠী না– ফলে সবাই লিঙ্গ সমতা, শান্তি বা সহযোগিতার পক্ষে সমর্থন করবে না। তবে পরিবারতন্ত্র থেকে আসা এই নারী নেতৃত্ব ইতিবাচক রাজনীতির ধারা তৈরি করে রেখে যেতে সক্ষম হলে ভবিষ্যতে এই ধারার বাইরে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়তে পারে।

এদিকে, উইমেন্স পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৯৪৬ সাল থেকে বিশ্বের ৮০টি দেশের রাষ্ট্রপতি বা সরকার প্রধান নারী ছিলেন, যা মোট দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ। ১৯৬০ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সবাই ছিলেন শাসকগোষ্ঠীর কেউ যারা উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা পেয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাবের প্রকল্প প্রধান বাস্টিয়ান হের বলেন, তারপর থেকে আরো অনেক দেশ তাদের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নারীদের পেয়েছে। এটি এমন একটি প্রবণতা যা মূলত গণতন্ত্র দ্বারা চালিত। তবে, সর্বোচ্চ পদের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যা এখনো অনেক কম। প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক পদগুলো পুরুষরা দখল করে আছেন।

আফরোজা খানম

বাবা বিএনপির সাবেক এমপি হারুণার রশিদ খান মুন্নু। বাবার পথ ধরে তিনিও মানিকগঞ্জের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী বাবার মেয়ে হওয়ার দরুন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, মানুষের উপকার করতে হলে প্রয়োজন সততা। তিনি সৎ থেকে মানুষের উপকার করে যেতে চান।

শামা ওবায়েদ

রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ রাজনীতির পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ২০০৮ সালে ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবার পরিচয়ে পরিচিত হলেও তিনি নিজের নেতৃত্বগুণে এগিয়ে যাচ্ছেন। সংসার, ব্যবসার পাশাপাশি বৈশ্বিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

ফারজানা শারমিন পুতুল

উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে আসেন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও প্রয়াত ফজলুল রহমান পটল তার বাবা।

তিনি আমার দেশকে জানান, নিজের দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতিতে আসেন। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পেছনে পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। বাবার শূন্যস্থান পূরণ এখন তার ইচ্ছা। তবে সেটি তিনি করতে চান নিজ যোগ্যতায়।

নিপুণ রায় চৌধুরী

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। শ্বশুর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের এ অগ্রসৈনিক ঢাকা-৩ আসনে নানা জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। নিপুণ এখান থেকেই নির্বাচন করতে চান।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

রাজনীতিবিদ অলি আহাদের মেয়ে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ২০১৮ সালে তিনি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের এমপি। টকশোতে আওয়ামী সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। তবে তার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের কারণে রাজনীতিতে কিছুটা বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন।

বিএনপির এই নেত্রী আমার দেশকে বলেন, পরিবারতন্ত্র থেকে আমি আজকের এই অবস্থানে আসিনি। কারণ আমার বাবার রাজনীতির আদর্শ ও দল ছিল ভিন্ন। বলা যায়, একেবারেই শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। এজন্য আমাকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাবিহা ইসলাম রোজীর দৃষ্টিতে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। তিনি আমার দেশকে বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের মেয়েরা রাজনীতিতে আসছেন—বিষয়টিকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এতে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আমার মনে হয়, বাবা বা স্বামী যদি দক্ষ রাজনীতিবিদ হন, তবে সন্তানরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তারা যদি পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে পারেন তবে সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

নারীদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবিহা ইসলাম আরো বলেন, তারা রাজনীতিতে আসতে যদি উৎসাহবোধ করেন পরিবার থেকে তাদের বাধা না দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বর্তমানে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে নারীর সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। জাতীয় সংসদে নারী নেত্রীরা অনেক ক্ষেত্রেই ভালো কাজ করছেন। যতটুকু সম্ভব কাজ করছেন।

জামায়াতের নারী নেত্রী

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্ত্রী ডা. আমেনা দলের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি। তিনি বর্তমানে সিলেট মহানগরী জামায়াতের মহিলা শাখায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের স্ত্রী ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট মহিলা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া মহিলা জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি নুরুন্নিসা সিদ্দিকার স্বামীও জামায়াতের একজন রোকন বলে জানা গেছে।

জামায়াত নেতাদের পরিবারের এসব সদস্য ছাড়াও মহিলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারা দেশে দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে জামায়াতের নারী নেতাদের সরাসরি প্রার্থী করার কোনো নজির এ পর্যন্ত নেই। আগামীতে তাদের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনসিপির নারী প্রার্থীরা

নাগরিক জাতীয় পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী-নেতৃত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৫ জন নারী স্থান পেয়েছেন, যার মধ্যে শীর্ষ ১৯ পদের ৬টিতেই রয়েছেন নারী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী প্রার্থী দিতে চায় এনসিপি। দলটির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ১৫ শতাংশ নারীকে দলীয় মনোনয়ন

দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে। আমাদের নারী নেত্রীদের দেখে অনেক নারী রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা ঢাকা-১৭ আসন থেকে, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১ বা ঢাকা-৯ আসন থেকে, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ থেকে, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫ থেকে, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বরিশাল-৫ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এ ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন—এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়রা নুর, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মনজিলা ঝুমা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাদিয়া ফারজানা দিনা, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) শিরিন আকতার শেলী, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক দিলশানা পারুল।

05/10/2025

BNP দল কে
কেও ভোট দিবেননা
ক্ষমতায় আসার আগেই অত্যাচার শুরু করেছে

'মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী  ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ইলিশের প্রধান প্...
04/10/2025

'মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ০৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সারা দেশে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫” পালিত হবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

“ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি/শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা/তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর/দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা/ তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে। গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সকল প্রকার সৎস্য শিকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট্ এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফ্লিটের জাহাজ, ক্রাফট এবং বোটসমূহ ইলিশের প্রধান প্রজনন অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ ইলিশ আহরণ ও বিদেশি মাছ ধরার ট্রলারের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করবে। অভিযানকালে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত অসাধু ব্যক্তি ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানসমূহের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা, অবাধ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশের সুষ্ঠু সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা সর্বদা নিবেদিত। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সমৃিদ্ধতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

03/10/2025
03/10/2025
03/10/2025

মহেশখালীতে মৎস্য আহরণ বন্ধের ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হলে, সাগর পাড়ের তেলের পাম্পগুলোও বন্ধ রাখা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল !

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আজ প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে অনেকেই ফি*লি*স্তিনের প্রতি সংহ*তি প্রকাশ করেছেন।
02/10/2025

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আজ প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে অনেকেই ফি*লি*স্তিনের প্রতি সংহ*তি প্রকাশ করেছেন।

02/10/2025

সুমুদ ফ্লোটিলা: একটি বাদে সব জাহাজ আটক করেছে হিজরা-ইল

দেশের সর্ববৃহৎ বি/স/র্জ/ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। যেখানে একসঙ্গে ১৮০টি প্রতিমা বি/স...
02/10/2025

দেশের সর্ববৃহৎ বি/স/র্জ/ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। যেখানে একসঙ্গে ১৮০টি প্রতিমা বি/স/র্জ/ন করা হবে

‎‎‎গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা কেন এত আলোচনায়, অন্য দেশের সমুদ্র সীমানায় প্রবেশে আইনি ভিত্তি কি ?‎‎⚖️ আইনগত দৃষ্টিকোণ‎আন্তর্জ...
02/10/2025



‎গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা কেন এত আলোচনায়, অন্য দেশের সমুদ্র সীমানায় প্রবেশে আইনি ভিত্তি কি ?

‎⚖️ আইনগত দৃষ্টিকোণ
‎আন্তর্জাতিক জলসীমা (High Seas)
‎আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন (UNCLOS) অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক জলসীমায় সব জাহাজের অবাধ চলাচলের অধিকার রয়েছে।
‎কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় (armed conflict) কোনো রাষ্ট্র তার নিরাপত্তা যুক্তি দেখিয়ে নির্দিষ্ট এলাকা অবরোধ (blockade) দিতে পারে।
‎অবরোধের বৈধতা
‎San Remo Manual on International Law (1994) অনুযায়ী, একটি নৌ অবরোধ তখনই বৈধ, যদি:
‎এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
‎পক্ষপাতহীনভাবে কার্যকর করা হয়।
‎বেসামরিক জনগণকে অনাহারে না ফেলে।
‎সমালোচকরা বলেন, ইসরায়েলের অবরোধ “মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ” এবং “গাজার সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেয়”, তাই এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।
‎মানবিক সহায়তা পৌঁছানো
‎আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী (যেমন Geneva Convention), যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে খাদ্য, চিকিৎসা ইত্যাদি সহায়তা পৌঁছানোতে বাধা দেওয়া বেআইনি।
‎ইসরায়েল দাবি করে, তারা স্থলপথে সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়, কিন্তু সমুদ্রপথে নয়—এটাই বিতর্কের জায়গা।

‎🇮🇱 ই*স*রা*য়ে*লে*র যুক্তি
‎নিরাপত্তা ঝুঁকি:

‎সমুদ্রপথে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে যেতে পারে, যা হামাস বা অন্য গোষ্ঠীর হাতে পড়ে ইসরায়েলি নাগরিকদের ক্ষতি করতে পারে।
‎তাই তারা বলে, অবরোধ নিরাপত্তার বৈধ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

‎বিকল্প পথ:
‎ই*স*রা*য়ে*ল বলে, মানবিক সহায়তা চাইলে তা জাতিসংঘ বা মিশরীয় সীমান্ত (Rafah crossing) দিয়ে গাজায় পাঠানো যেতে পারে।
‎তাই “ফ্লোটিলা প্রয়োজন নেই, বরং এটি রাজনৈতিক প্রচারণা।”

‎আন্তর্জাতিক আইন:
‎তাদের মতে, যুদ্ধাবস্থায় নৌ অবরোধ বৈধ, এবং আন্তর্জাতিক আইন এতে অনুমোদন দেয়।
‎তারা বারবার উল্লেখ করেছে, পূর্বে ফ্লোটিলা জাহাজে “অস্ত্র বা কৌশলগত সরঞ্জাম লুকানো” ঘটেছে।

‎🚢 ফ্লোটিলা সমর্থকদের যুক্তি
‎মানবাধিকার ও মানবিক সংকট
‎গাজার জনগণ চরম খাদ্য, ওষুধ, পানি ও বিদ্যুতের অভাবে ভুগছে।
‎স্থলপথে সাহায্য প্রবেশ সীমিত, ধীর এবং প্রায়শই আটকানো হয়। তাই সমুদ্রপথে প্রবেশের চেষ্টা অপরিহার্য।

‎অবরোধ অবৈধ
‎তারা বলে, ইসরায়েলের অবরোধ “collective punishment” (সমষ্টিগত শাস্তি), যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।
‎জাতিসংঘের একাধিক প্রতিবেদনও অবরোধকে “মানবিক সংকটকে গভীর করছে” বলে উল্লেখ করেছে।

‎প্রতীকী আন্দোলন:
‎শুধু সহায়তা পৌঁছানো নয়, বরং অবরোধকে রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।

‎বিশ্বকে গাজার অবস্থা স্মরণ করানো এবং ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা তাদের কৌশল।

‎🔑 সারসংক্ষেপ
‎ইসরায়েলের অবস্থান: “নিরাপত্তা ছাড়া উপায় নেই, সমুদ্রপথে প্রবেশ হুমকি হতে পারে।”

‎ফ্লোটিলার অবস্থান: “অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী, গাজার জনগণকে না খাইয়ে মারা হচ্ছে, তাই আমাদের সমুদ্রপথে যাওয়া বৈধ ও নৈতিক।”

‎Global Sumud Flotilla
‎মূল উদ্দেশ্য হলো:

‎গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা (Global Sumud Flotilla, সংক্ষেপে GSF) একটি আন্তর্জাতিক, বেসরকারি / নাগরিক-সমর্থিত নো-নংস (nonviolent) অভিযান। এটি ভূমধ্যসাগর থেকে গাজা উপকূলে বিভিন্ন ছোট নৌকা ও ক্যাটার ব্যবহার করে কনভয় তৈরি করেছে।

‎ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ (blockade) ভেঙে দেওয়া — গাজা উপকূলে সমুদ্রপথে প্রবেশ করে হুমানিটারিয়ান সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।


‎মানবিক সহায়তা দেওয়া — খাদ্য, ওষুধ ইত্যাদি জরুরি পণ্য গাজার জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো।

‎আন্তর্জাতিক মনোযোগ ও নীতি প্রভাব — গাজার পরিস্থিতি ও অবরোধ নীতির বৈধতা নিয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

‎গঠনতন্ত্র ও অংশীদাররা
‎GSF তৈরি হয়েছে কয়েকটি ইতিমধ্যে পরিচালিত ফ্লোটিলা ও সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ে — যেমন Freedom Flotilla Coalition, Global Movement to Gaza, Maghreb Sumud Flotilla, Sumud Nusantara ইত্যাদি।

‎উদাহরণস্বরূপ, Sumud Nusantara হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশগ্রহণকারী একটি শাখা যারা গাজা অভিযানে অবদান রাখে।

‎গতি ও অভিযানের অবস্থা:
‎২০২৫ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন বন্দরে (যেমন বার্সেলোনা, জেনোভা, টিউনিসিয়া ইত্যাদি) থেকে নৌকাগুলো সমম্বিতভাবে প্রস্থানে যায়।

‎অভিযানের পথে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা ও তৎপরতা ঘটেছে — যেমন ড্রোন হামলা সন্দেহ, প্রযুক্তিগত সমস্যা, জটিল আবহাওয়া, এবং ইসরায়েলের নৌবাহিনী দ্বারা বাধা।
‎যেমন: একটি প্রধান জাহাজকে টিউনিসীয়ান জলসীমায় ড্রোন দ্বারা আঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

‎নৌবাহিনী তাদের ধাওয়া বা যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটানোর কাজ করছে বলে ফ্লোটিলা দাবি করেছে।

‎বেশ কিছু নৌকাকে অবস্থা খারাপ হওয়া বা আবহাওয়াগত কারণে চালিয়ে যেতে না পেরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

‎কেন আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু?
‎এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল কারণ:
‎অবরোধ ও আন্তর্জাতিক আইন
‎গাজার উপকূলে ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ বহু বছর ধরে চালু আছে। এই অবরোধকে অনেকে “অবৈধ” বা “মানবাধিকার লংঘন” হিসেবে দেখেন। GSF এই অবরোধকে চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে।

‎ই*স*রা*য়ে*ল দাবি করে, তারা নিরাপত্তা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় এই অবরোধ বজায় রাখে এবং নৌকাগুলিকে আটক করার অধিকার রয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট আইন ও সীমানার দৃষ্টিকোণ নিয়ে বিতর্ক তীব্র।

‎সীমান্তের ও সীমানার সমস্যা
‎নৌ পথে গাজায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক সীমানা, যুদ্ধক্ষেত্র অঞ্চলে প্রবেশ ইত্যাদি জটিল বিষয় রয়েছে। ফ্লোটিলার নৌকাগুলি “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল” প্রবেশ করায় তা ইসরায়েল দেখাচ্ছে আইন লঙ্ঘন।

‎মানবিক বিপর্যয় ও প্রচারণা:
‎গাজার জনগণ বর্তমানে মানবিক সংকটে রয়েছে — খাদ্য, পানি, ওষুধের ঘাটতি, অবকাঠামোর ধ্বংস এবং বেসামরিক জনহানির আশঙ্কা। এই অবস্থা বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যম ও জনমতকে আকৃষ্ট করেছে।

‎ফ্লোটিলা একটি প্রতীকী (symbolic) ও সরাসরি প্রয়াস — “নির্যাতন বিবেচনায় নাও” বার্তা দেয়, বিশ্ববাসীর উদ্যম ও সমর্থন সংগ্রহ করে।

‎রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
‎যেহেতু এই অভিযানে বিশ্বের নানা দেশের নাগরিক (যেমন গ্রেটা থুনবার্গ) ও সদস্যরা অংশ নিয়েছেন, এটি আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের নজরে এসেছে।

‎কিছু দেশ ইতিমধ্যে এই অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কনসুলার ও কূটনৈতিক সহায়তা ঘোষণা করেছে, আবার অন্যরা ইসরায়েলের নিরাপত্তার দাবি সমর্থন করেছে।

‎মিডিয়া, সচেতনতা ও প্রতিবাদ
‎এই ফ্লোটিলা একটি মিডিয়াম (মাধ্যম) হিসেবে কাজ করছে — সামাজিক ও প্রচারমূলক আন্দোলন চালু করার একটি সুযোগ। এটি গাজার দুর্দশার প্রতি সাধারণ জনসাধারণকে জোরালোভাবে প্রশ্ন তুলতে উদ্বুদ্ধ করছে।
‎ঝুঁকি ও মানবিক নিরাপত্তা
‎অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা সম্ভাব্য ধাওয়া, উদ্ধার অভিযানের বাধা, গ্রেফতার, জাহাজ জব্দ ইত্যাদির ঝুঁকি মেনে নিয়েছেন। এ ধরনের সরাসরি কাজ রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

তথ্য সংগ্রহে
ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান
সাংবাদিক

02/10/2025

Big shout out to my newest top fans! Mdd Norul, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, ZiaurRahman Dalim

Address

Cox's Bazar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক মহেশখালী - Daily Maheskhali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক মহেশখালী - Daily Maheskhali:

Share