19/11/2023
আমার মা-বাবা দু'জনই শিক্ষক,
কিন্তু আমি আমার পড়ুয়া শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ঘৃণার চোখে দেখি।
আমার মতে বাংলাদেশের অধিক শিক্ষক,,শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না। (কেনো বলছি একটু নিচে পড়লেই বুঝতে পারবেন)
১ম আসি #প্রাইমারি_লেভেলে - তখন আমি কেজিতে পড়া লেখা করি,, আমাদের সাপ্তাহিক ক্লাস টেস্ট হতো
তখন শিক্ষক টেস্টের পেপার নিয়ে একটা টাকা তুলতো যা কিনতে ১০ টাকা লাগে কিন্তু তুলতো ৫০ টাকা। যাক এইটা সিম্পল ব্যাপার। যাক পরের ধাপে আসি।
#হাইস্কুলে_লেভেলে - হাইস্কুলে একটু পড়াশোনা বেশি তাই এক্সট্রা করে প্রাইভেট লাগতো, পড়তামও কিন্তু যে স্যারের কাছেই যান না কেনো সেই স্যারের বিপরীতে যিনি আছেন তার সমালোচনা ছড়িয়ে দিতো শিক্ষার্থীদের কাছে। তাই শিক্ষার্থীরা শিখে।
তারপরে আসেন আমি যেহেতু ডিপ্লোমা করছি আমি #ডিপ্লোমা নিয়ে লিখবো - আমার বাবা-মা আমার দিক বিবেচনা করে ইন্টারে সাইন্স নিয়ে চাপ হয়ে যাবে বিদায় আমাকে কারিগরি শিক্ষা নামে এক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান যাতে আমি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়।
ঠিক ঐ গেলাম কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে, নতুন নতুন ভালো লাগছিল। কিন্তু সেমিস্টার যেতে না যেতে দেখি শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভং দেওয়া,পুরো মাসে মোট ৩-৪ দিন ক্লাস হতো তা ও কয়টা হবে শিউর নেই ১ টা হয় বা ২ টা হয়।
জানিয়ে রাখি আমার বাসা থেকে তখন কলেজ যেতে ১০০+ টাকা লাগতো (নিম্ন শুধু গাড়ি ভাড়া ১০০ টাকা) এখন মাসে ৩-৪ টা ক্লাসের জন্য প্রতিদিন ১০০ টাকা খরচ করা বৃথা না?? আপনারাই বলেন!!
তো আমার মতো সবার প্রতিদিন কম বেশি খরচ হচ্ছে না!! তো ক্লাস ঐ যদি না চলে স্টুডেন্ট আসবেই বা কেনো, তাই স্টুডেন্ট আসতো না তবে আমি ক্লাস হবে আসায় প্রতিদিন বাবার টাকা নষ্ট করে প্রতিদিন যেতাম, আমাদের আবার এটেন্ডেন্সের জন্য নম্বর ছিল তাই সব কিছু আসা নিয়েয় যাওয়া হতো, তবে যদিও ৩য় পর্বেই যখন আসলাম তখন ১০০ স্টুডেন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫-৭ জন এর বেশি উপস্থিতি হতো না।
এবার ৪য় পর্বে আসি, এখন শিক্ষকরা বলতেছে তোমাদের উপস্থিতি কম তাই তোমাদের ক্লাস নিতে ইচ্ছে করে না এখন মনটা কি চাইবে আপনারাই বলেন। এখন আপনারা বলতে পারেন শিক্ষার্থী কেনো প্রতিবাদ করে না, প্রতিবাদ করে না তা না শিক্ষার্থীরা ঠিক ঐ যায় প্রতিবাদ করতে কিন্তু প্রতিবাদকারি বেয়াদব হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সবার কাছে পরিচয় দিবে ছেলেটা বেয়াদব। বেয়াদব হলে সমস্যা না একটা শিক্ষার্থীর ৭০% মার্ক(প্রাকটিকাল + বাই বাই + এটেন্ডেন্স + সব মিলিয়ে) শিক্ষকদের হাতে। তাই প্রতিবাদ আর করতে যেতো না ( বাস্তব প্রমাণ আমি)
অবশেষে এইভাবে + কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কোন ল্যাব ক্লাস ছাড়া শেষ করার মুহূর্তে আসলাম তখন ইন্টারশীপ
এখন ইন্টারশীপ বলার কারণ আছে। সরকারি প্রাইভেটে ও ইন্টারশীপ করা যায় যদি শিক্ষকরা একটু রেফারেন্স দেয়। কিন্তু তা না করে কিছু কমিশনের লোভে একটা প্রাইভেট লিমিটেডে ইন্টারশীপ ধরিয়ে দেয়।
যাক তবুও করলাম এখন আসেন ইন্টারশীপ করার পর সরকার থেকে আমাদের একটা এমাউন্ট দেয়, সেই টাকার ২ অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়। ১ম অংশের মধ্যে ৭৫% দিয়ে দেয়, কিন্তু ২য় অংশের টাকা নাকি স্যারদের, ২য অংশের টাকা কখন দিবে জিজ্ঞেস করায় এক স্যার বলে সেটা স্যাররা খাবে এটা স্যাররা নিলে কি হয়!
শেষমেশ শেষ করলাম কোন ল্যাব ছাড়া কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা নামক শিক্ষা।
তাই আমার কাছে অধিকতর কিছু শিক্ষকের কারণে পুরো শিক্ষক জাতি ঘৃণিত।
এইসব লিখতে ইচ্ছে হতো না, আজ এক তুরস্কের শিক্ষক ও তার ছাত্রের নিউজ দেখে। অতর্কিত অবস্থায় ছাত্রটি তার শিক্ষকের এক বিস্ময়কর সম্মান দেখালো, তখন আমার মাথায় আসলো এই সব বিস্ময়কর সম্মান আমাদের কেনো আসে না শিক্ষকের প্রতি। তাই লিখলাম।
Rahik Aoufi বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া দিন