Cox's Bazar - কক্সবাজার

Cox's Bazar - কক্সবাজার আমরা চাই কক্সবাজার হোক শিক্ষিত, উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও মানুষের মধ্যে থাকুক সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি।

ঢাকায় দিনে ৩৯ টা  ডিভোর্স হচ্ছে।ঘন্টাতে একটিরও বেশী। এটা শুনে সবাই সেই পুরাতন কাসুন্দি নিয়ে বসে পড়েছে। সব দোষ ঐ মেয়েদের।...
06/10/2025

ঢাকায় দিনে ৩৯ টা ডিভোর্স হচ্ছে।
ঘন্টাতে একটিরও বেশী। এটা শুনে সবাই সেই পুরাতন কাসুন্দি নিয়ে বসে পড়েছে। সব দোষ ঐ মেয়েদের।

কারনঃ
*মেয়েরা এখন বেশী শিক্ষিত হচ্ছে,
*মেয়েরা চাকুরী করেছে,
*মেয়েরা বিজনেস করছে!
*আবার একদল হাসছে আর বলছে দেখো বেপর্দা মেয়ে বিয়ে করলে তো ডিভোর্স হবেই!

একদিন তো রিপন ভাই বলেই বসলো এজন্যই আমি বেশী শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করিনি,আর বউকে চাকুরী করানো আমার পছন্দ না। সেদিন সাধুবাদ জানিয়েছিলাম তাকে আর
আমি শুধু বলেছিলাম আপনার মায়ের জরায়ুর অপারেশনটাতো ডা. ফাতিমার কাছেই করিয়েছিলেন তাইনা? আর ডা. ফাতিমাও কারো স্ত্রী। সবাই আপনার স্ত্রীর মতো গৃহীনি হলে বাচ্চা প্রসব করাবেন কার আছে?

রিপন ভাইরে মতো পছন্দ হলে কোন কথা নেই। সুখী হন।
কিন্তু আপনি শিক্ষিত, সুন্দরী, স্মার্ট, ধার্মিক, আধুনিক, গালে টোল পড়া, ভুবন ভোলানো হাসির রানী, ধনী শ্বশুরের আদরের দুলালী, বংশীয় ঘরের চাকুরীজীবি নারী বিয়ে করবেন আর সার্ভিস চাইবেন গ্রামের কপালপোড়া সখিনাবিবির মেয়ে সাগিরার মতো। সকাল সন্ধ্যা সে গরম খাবার নিয়ে বসে থাকবে আর বাতাস করবে, কিংবা নায়ক রেড ওয়াইন খেয়ে বাড়িতে ফিরবেন তবুও শাবানার মতো লাথি খেয়েও আপনার জুতা খুলে দিবে, মসজিদে গিয়ে টাকা দান করে আপনার মঙ্গল কামনা করবে এসব ভাবাটা এই একবিংশ শতকে অবান্তর।

আপনার সব অন্যায় সে মুখ বুজে সহ্য করবেনা। আপনি পর্ণ এডিক্টেড হোন কিংবা ইয়াবা তারপরও আপনার পায়ের নিচে জান্নাত বলে তাকে বোকা বানাতে পারবেন না।

একজন উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ধার্মিক হলেও সে অন্যায়কে আঙ্গুল তুলে অন্যায় বলার সাহস রাখে। প্রতিবাদ করতে পারে। বরং সে একটু বেশীই সাহসী কারন তার হৃদয়ে রাসুল সা. কে ধারন করে আর আল্লাহ্ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করে না।

সময় পাল্টে গেছে ব্রো! নিজের মানসিকতা পরিবর্তন করুন।
বিয়ের আগে ডিসিশন নিন। কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চান?
সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন ।

আপনার শিক্ষিত সুন্দরী বউটাও সাতঘাট ঘুরে, লেখাপড়া করে, জবযুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজেকে আপনার জন্য স্মার্ট হিসাবে প্রস্তুত করলেও আপনি কিন্তু আপনার দাদা তার দাদার আমলের মতো ক্ষ্যাত মানসিকতা নিয়েই অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে লুঙ্গি পরে এসি ছেড়ে দিয়ে মোবাইলে এ্যানি, ব্যানি, এঞ্জেলার সাথে সেক্সচ্যাট শুরু করেন।
বউ তখন বাহিরের পোশাক খুলে এ্যাপ্রণ পরে কিচেনে ঢুকে রান্না করে আর বাচ্চাকে ডাইনিং টেবিলে পড়াতে বসায়।
যিনি ঘর এবং বাহির দুটো সামাল দিচ্ছে এমন দুরন্ত আর ভুবনজয়ী নারীকে পাশে রাখবেন, তার সম্মানে বুক ফুলিয়ে রাস্তাতে হাঁটবেন অথচ শতবছরের পুরানো, বাসি, পঁচা, দূর্গন্ধযুক্ত প্রভুত্ববাদ মগজে পুষে রেখে শান্তি কামনা করবেন!

কি অদ্ভুত না!

রাত জেগে আপনার বউটা অসুস্থ বাচ্চা কোলে সারারাত কাটিয়ে দিবে আর আপনি নাকে সর্ষের তৈল দিয়ে তৈলাক্ত ঘুম দিবেন তা নিয়ে সংসারে অশান্তি হতেও পারে। কারন সকাল নটাতে তারও অফিস আছে। সকালের নাস্তাটাও তাকেই বানাতে হবে ভেবে আপনি উঠবেন সকাল ৮টা ১০ এ।

একসময় জরিনাবানুর স্বামী মরেছে আর কপাল খুলেছে পাশে বাড়ির কুদ্দুস চকিদারের। নিয়মিত জরিনাবানুর সাথে লটরপটরে ইতিহাস গ্রামের সবার মুখের মজাদার টপিক হলেও কুদ্দুসের বউটা কিন্তু নিরবে নিভৃতে চোখের পানি ফেলেছে, স্বামীকে বলতে গেলে রক্তাক্ত হয়েছে, সংসার ছেড়ে চলে যেতে বলেছে, কিংবা ভাত কাপড়ের খোটা তাকে রাতদিন শুনে আধমরা হয়ে অসুখে বিসুখে অবহেলা আর অযত্নে মরার মতো করে বেঁচে থাকতে হয়েছে।

কিন্তু ধরেন আপনি যদি আজ আপনার সুন্দরী ফেসবুক ফ্রেন্ড, স্বামী বিদেশ থাকে মারাও যাইনি এমন একজনেরর বাড়িতে গিয়ে দু ঘন্টা কাটিয়ে আসেন তখন আপনার বউ তর্জনি উঁচু করে বলতেই পারে আর যদি কোনদিন এমন করো তবে কিন্তু খবর আছে। সে এটা সহ্য করবেনা। না শুনলে আপনাকে মুখের উপরই বলে দিবে একদিন আমিও আমার কলিগ কে নিয়ে রাস্তাতে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাবো আর সেলফি তুলবো। সে কিন্তু মুখ বুজে কাঁদবে না।
মাইন্ড ইট।

নারীর অন্যায় মেনে না নেবার প্রবনতাকেই আজকাল অহংকার বলে চালানো হচ্ছে। সেটাই মুল সমস্যা।
আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা বদনবুকে নাক ডুবিয়ে শুয়ে থাকবেন, সুন্দরী বান্ধবীর সাথে রাতবিরাতে কথা বলবেন, নিজের অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা না করিয়ে ল্যাপটপ কাধে ঝুলিয়ে বড়লোকি দেখাবেন! ইউটিউবের অন্ধকার গলিতে ঢুকে নোংরামীতে স্নান করবেন,
দুনিয়ার সকল বন্ধুবান্ধবের বাড়ির কুক্তা বিড়িলের খবর রাখবেন আর স্ত্রীর খোঁজ রাখবেন না! আর প্রতিবাদ করতে গেলে বলবেন উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা উগ্র হয়, বদমেজাজি হয়, অসহিষ্ণু হয়, অধৈর্য্য হয়, বেয়াদব হয়, মুখে মুখে তর্ক করে!
ব্যাপারটা কেমন অলিক হয়ে গেল না?

বিশ্বাস করেন এমন একদিন খুব নিকটে যেদিন চাকুরীজীবী মা এবং বিজনেসম্যান বাবা তার কর্মজীবি মেয়েকে বিয়ে দেবার আগে ছেলেকে প্রশ্ন করবে তুমি কি কি রান্না করতে পারো? আমার মেয়ে যখন তোমার সন্তান কে গর্ভে ধারন করতে গিয়ে বমি করতে করতে বিছানা থেকে উঠতে পারবে না তখন কি তুমি তাকে এক বাটি স্যুপ বানিয়ে খাওয়াতে পারবে?

ছেলে উত্তর না হলে মুখের উপর তার অভিভাবকদের বলে আসবে পুত্রকে রাজপুত্র না বানিয়ে মানুষ বানান। কারন রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে।
নিজের মা ও তো অসুস্থ হতে পারে তাকে দেখার জন্য ছেলেরবউ আছে কিন্তু বউটার অফিস আওয়ারে তো নিজের ছেলেটার কাছে একটু সেবা কি মা আশা করতে পারেনা!

মেয়ের অভিভাবকেরা বুঝে, শুনে, দেখে নিজের সমস্যাগুলোকে অভারকাম করে জামাতা নির্বাচন করবে। কেবলই বর্তমানের ছেলেপক্ষের মতো কেবল চেহারা আর দিঘলকালো চুল দেখে নয়।

সেই সাহসও অর্জন করতে শিখতে হবে।

ডিভোর্সের মুল কারন পুরুষদের অনুন্নত মানসিকতা, প্রভুত্ত্বের প্রবনতা,নারীকে তার সঠিক সম্মান আর মর্যাদা না দেওয়া দায়ী। এমনকি নারীকে মানুষই মনে না করা!

নারীও দুধে ধোয়া না। তবে সব দোষ তার একার না না না।

ডিভোর্সি মেয়ের পিতার সাথে একদিন সময় নিয়ে কথা বলবেন প্লিজ। বাকীটা বুছতে পারবেন!
কিংবা ঐ যে মেয়েটার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছিল তার স্বামী তার ভাইটার সাথে একদিন কথা বলবেন!

নিজেকে কেবল পুরুষ নয় পিতা, ভাই, পুত্রের স্থানে দাঁড় করিয়ে নিজেদের দিকে আঙ্গুল তুলতে শিখুন। সমস্যা কমে শুন্যে নেমে যাবে।

©INTERNET-ইন্টারনেট

‎রাত প্রায় তিনটা হবে, ইমারজেন্সী থেকে ফোনে জানানো হলো,খারাপ রুগী এসেছে। কিছুক্ষনের ভেতর প্রচন্ড শ্বাসকস্ট আর বুকে চাপ ব্...
06/10/2025


রাত প্রায় তিনটা হবে, ইমারজেন্সী থেকে ফোনে জানানো হলো,খারাপ রুগী এসেছে। কিছুক্ষনের ভেতর প্রচন্ড শ্বাসকস্ট আর বুকে চাপ ব্যাথা নিয়ে রুগী সিসিউ তে বেড নাম্বার তিন এ ভর্তি হলো।

সাথে থাকা দুই ছেলে আর স্ত্রীর কাছ থেকে যাবতীয় তথ্যাদি জানার পর এবং প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা করে ডায়াগনোসিস হলো, ম্যাসিভ হার্ট এট্যাক সাথে হার্ট ফেইলিউর।

ভোরের দিকে রুগীর হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়, যাকে আমরা কার্ডিয়াক এরেস্ট বলি, এবং তার স্ত্রী ও ছেলেদের অনুমতি নিয়ে আমরা তাকে লাইফ সাপোর্ট এ দিয়ে দেই।

রুগীটি প্রায় চার দিন লাইফ সাপোর্ট এ ছিলো, এবং এই কয়দিন আমি ছেলে দুটোকে অল্প বিস্তর আসা যাওয়া করতে দেখলেও স্ত্রী টিকে কখনই এক বারের জন্য ও অনুপস্থিত হতে দেখিনি। তিনি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতেন সিসিউ এর গেটের বাইরে, আর ভিজিটিং আওয়ার হলে সবার আগে এসে স্বামীর বেড এর কাছে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কখনো দেখতাম হাতে দোয়ার বই নিয়ে বিড় বিড় করে দোয়া পড়ছেন, কখনোবা হাতে তজবী।
চার দিন পর রূগীকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে আনা গেলো। আর সেদিন ই ঘটলো ঘটনা টি।
রূগীর স্ত্রী এবার সিসিউ তে ভর্তি হলেন হার্ট ফেইলিওর নিয়ে। ছেলে দুটো আমাদের জানালো যে তার বাবার এর আগে কোনো কার্ডিয়াক সমস্যা ছিলো না, এবার ই প্রথম। তবে মায়ের কার্ডিয়াক সমস্যা আছে,আর এই কয়দিনের অনিয়মে তার আজ এই অবস্থা।
আমরা স্ত্রী রুগীটিকে পাঁচ নাম্বার বেডে দিলাম।

স্বামী এবং স্ত্রী, দুজনের মাঝখানে ছিলো চার নাম্বার বেড টি। তিন নাম্বার বেডে শুয়ে থাকা পুরুষ রুগীটি কিন্ত তখনো জানতেন না যে পাশের এক বেড পরেই তার প্রিয়তমা স্ত্রী আছেন। কারণ ছেলেদের বারণ ছিলো যেনো আমরা তাদের বাবা কে মায়ের অসুস্থতার কথা না জানাই।
এভাবে প্রায় দুই দিন, চিকিৎসা পাওয়া অবস্থাতেই স্ত্রী রুগীটির কিডনি এবং ব্রেইন এ ও সমস্যা দেখা দেয়, যার কারনে তার সিভিয়ার রেস্টলেসনেস শুরু হয়, এবংপ্রায় সারাদিন ই সে চিৎকার করত।এর তার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকত।
এদিকে বেড তিন থেকে পুরুষ রুগীটি তখন বার বার শুধু জানতে চাইত যে পাশের বেডে কে চিৎকার করছে! তার ছেলেরা সিস্টার এবং আমরা তখন তাকে এটা সেটা বলে কথা ভুলাবার চেস্টায় থাকতাম কারন তার নিজের অবস্থাও তখন ততটা ভালো ছিলো না।

এর দুই তিন দিন পর স্ত্রী রুগীটি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠে, এবং আমাদের কাছে তার স্বামীর কথা জানতে চায়। তার অনুরোধে চার নাম্বার বেডের পর্দা অল্প সরিয়ে তাকে তার স্বামীকে একটু দেখতে দেয়া হয়।
এই ঘটনার আমাদের কাছে অভিনব ছিলো এবং আমরা তাদের ছেলেদের কাছে জানতে পারি তাদের বাবা মায়ের অসম্ভব ভালোবাসার কথা।
এই দুই রুগী আমাদের কাছে চিহ্নিত হয়ে যায় লাভ বার্ড হিসেবে। স্ত্রী রুগীটি জানত যে তার স্বামী পাশে আছে, আর পুরুষ রুগীটি বার বার ছেলেদের কাছে জানতে চাইত তাদের মা আসছে না কেনো!!
মাঝখানে নাইট ডিউটি পরায় আমার দুইদিন অফ পরে যায়। পরের দিন সিসিউ তে এসে ফলো আপ দিতে দিতে আমি পাঁচ নাম্বার বেডের কাছে গিয়ে দেখলাম বেড ফাঁকা। আমি খুশি হলাম ভেবে, হয়ত পেশেন্ট ওয়ার্ডে শিফট হয়ে গেছে। হটাৎ আমার চোখ হ্যান্ডওভার খাতার বেড পাঁচের ঘরে আটকে যায়, সেখানে লিখা নামটি এক টানে কেটে পাশে বড় বড় অক্ষরে লিখা.....
EXPIRED at 3:30 AM.....
ধাক্কা খেলাম একটা, মন অসম্ভব খারাপ হয়ে হয়ে গেলো। আস্তে আস্তে বেড তিনের কাছে গেলাম, দেখলাম বড় ছেলেটি বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর তাকে কবে বাসায় নিয়ে যাবে তা সান্ত্বনার সুরে বলছে। হতভাগ্য লোকটি তখনো জানে না যে করুন একটা মর্মস্পর্শী গল্প গাঁথা হয়ে গেছে তার আড়ালে।
কেও অপেক্ষা করে নেই আর সিসিউর বাইরে হাতে দোয়ার বই নিয়ে।
বাস্তবতা গল্প কে হারিয়ে দিতে পারে, এই অভিজ্ঞতা তার করুন প্রমান নিয়ে আমার মনে গেঁথে আছে আজো
কস্টের স্মৃতি হয়ে....।

©ডা: মিম

টিকটকে হাওরে ডুব দিয়ে বাইম মাছ ধরেন এল এক্স সবুজ এবং তার ভিডিওর ভিউ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। গাজীপুরে এখন তার জুতার দোকান। সে ...
03/10/2025

টিকটকে হাওরে ডুব দিয়ে বাইম মাছ ধরেন এল এক্স সবুজ এবং তার ভিডিওর ভিউ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। গাজীপুরে এখন তার জুতার দোকান। সে রীতিমতো সেলিব্রেটি। ঘরের বাইরে বের হলে সেলফি তোলার জন্য লড়াই শুরু করে তার ভক্তরা। মানিক মিয়া নামের একজন সৌদি আরবে থাকতে ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়ে ভাইরাল হয়েছেন। তার ফলোয়ার কোটির ঘরে। প্রনমি নাফি নামের একজন টিকটকার এর 'কালাচান' নামের একটা গান শুনলাম। ৩৩০ মিলিয়ন এর বেশি ভিউ এই গানের। গানের লিরিক মচমচে চানাচুর এর মতন। ডিটেইল এ না যাই। রিটন মিয়া নামের একজনকে চিনি টিকটক থেকে, যিনি ভিডিওতে এসে প্রচন্ড জোরে চিৎকার দিয়ে বলেন, 'আই এম ব্রাব্রাব্রাব্রান্ড।' আরেকজন মোবাইলে তার আইফোন দেখান। দেখিয়ে বলেন, 'সি ইজ ব্র‍্যায়ায়ায়ান্ড।' মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার তাদের। শাবনুর রতন নামের একজন টিকটকার ভিডিওতে লাউ আর মাংস রান্না করেন। আমি দেখি। চুল লাল করা সুমন ভাই আর টিকটকার সাথি আপা গাজীপুরে মাত্র ১হাজার টাকায় ক্রেস্ট, টি শার্ট আর বিরিয়ানি খাবার চান্স দিয়ে টিকটকারদের রিইউনিয়নে ডাকেন। প্রিন্স মামুন, ব্লু ফেরি লায়লার নতুন বয়ফ্রেন্ড ভিডিওতে নতুনত্ব আনেন। এই জনপদের সামান্য একজন লেখক এইসব মানুষদের কনটেন্ট দেখতে দেখতে সময় কাটান, তাদের ফ্যান হন। তার ইচ্ছে করে ১হাজার টাকায় রেজিষ্ট্রেশন করে টিকটকারদের মিলনমেলায় যেতে। ইচ্ছে করে ভাইরাল কেক খেয়ে, ১০০টাকায় গরুর মাংসের বুফে খেয়ে রিভিউ দিতে।
কী হয়েছে সামান্য এই লেখকের? সুস্থ তিনি। এই জনপদে যিনি বইয়ের কথা বলেন তিনি অবশ্য অসুস্থ, উম্মাদ হবারই কথা। কেন দেখছেন, কী কারণে দেখছেন না বুঝে রিল দেখতে দেখতে রাতকে দিন করে দেওয়া এই লেখক রিলের জীবন, টিকটকের জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। শুধু কী লেখক, আমরা রিল, কনটেন্ট, টিকটকের ভিডিও কেন দেখি, কী কারণে দেখি জানিনা আর। স্ক্রল করার কাজ করে যাই শুধু। ভালোর চেয়ে মন্দটা টানে বেশি।
একটা ভিডিওতে দেখি বাবা কাঁচা মাছ খাচ্ছেন আর পাশ থেকে তার বাচ্চা কান্না করতে করতে বলছেন সাবস্কাইব করেন পিলিজ, পিলিজ, পিলিজ। আহারে কনটেন্ট মনিটাইজেশন এর লোভ, সেলিব্রেটি হবার লোভ! ভাবতে ভাবতে, লিখতে লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। সব মিলিয়ে আমার লাইক আসে ৩টা, শেয়ার ১টাও নাই আর কমেন্ট ১০/১২ টা হবে। ধুর!
গেলাম আমি মিলনমেলায়। ১হাজার টাকায় ক্রেস্ট দরকার।

©INTERNET-ইন্টারনেট

✅ প্রত্যেক মায়ের উচিত তার বাচ্চাদের সামনে বাবার সম্পর্কে এমনভাবে কথা বলা, যেন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা ...
29/09/2025

✅ প্রত্যেক মায়ের উচিত তার বাচ্চাদের সামনে বাবার সম্পর্কে এমনভাবে কথা বলা, যেন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা শিখে নেয় শিশুরা খুব ছোটবেলা থেকেই।

মায়ের বলা উচিৎ “বাচ্চারা, যখন তোমাদের বাবা বাসায় ফিরবে, তখন সবাই মিলে হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরো। বলো, ‘আমরা তোমায় ভালোবাসি।’
তোমাদের বাবা সারাদিন রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরেন—শুধু তোমাদের মুখে হাসি দেখার আশায়। তিনি হয়তো বলেন না, চোখে জল রাখেন না, কিন্তু তার নিঃশব্দ প্রতিটি মুহূর্তে—ভালোবাসার স্পর্শ লুকানো থাকে।
বাবারা তাদের ভালোবাসা শব্দে নয়, কাজে প্রকাশ করেন। তোমাদের স্কুল ফি সময়মতো দেওয়া, রাতে না খেয়ে তোমাদের পেট ভরানো, ঘুম ভেঙে তোমাদের ঘুমাতে দেখা— এসবই তাদের না বলা ভালোবাসার ভাষা।
বাবা মানে সেই ছায়া— যিনি নিজের স্বপ্নগুলো একপাশে রেখে তোমাদের ঘরের আলো জ্বালাতে নীরবে লড়ে যান।
তোমরা যদি তাকে একটু ভালোবাসা দাও, একটু হাসিমুখে পাশে থাকো— সেটাই হবে তার সব ক্লান্তির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

বাবা কেবল একজন রোজগার করা মানুষ নয়, তিনি একটি পরিবারের নীরব আশ্রয়, যিনি তার ভালোবাসা লুকিয়ে রাখেন ত্যাগের আড়ালে।

©INTERNET-ইন্টারনেট

যে সাক্ষ্য শুনে আসামীর চোখেও পানি!আজ অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা হল। ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ, মুমূর্...
27/09/2025

যে সাক্ষ্য শুনে আসামীর চোখেও পানি!

আজ অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা হল। ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ, মুমূর্ষু, জীবিত সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে এক মায়ের সাক্ষ্য শুনে চোখ ভিজে যায় আদালতে সবার।

আমি তখন একটু পেছনে খেয়াল করে দেখি আসামির ডকে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষন্ন মনে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সাক্ষীর ডকে থাকা ওই মায়ে দিকে। তখন তারও চোখে পানি।

জুলাই হ'ত্যাযজ্ঞ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মায়ের সাক্ষ্যটা পড়তে পারেন। শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দেয়া তার হুবহু সাক্ষ্য দেয়া হল।

সাক্ষ্য প্রদান:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
কেইস নং: আইসিটি বিডি ০২, ২০২৫
মামলা: চিফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনা এবং অন্যরা।

আমার নাম মোছাঃ শাহিনা বেগম। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৪১ বৎসর।

আমি জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের আম্মু। আমার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সজল ৫ই আগস্ট আশুলিয়ায় বাইপাইল এলাকায় আন্দোলনে যোগ দেয়। আমি আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতাম।

আমার ছেলে আন্দোলনে যায় এবং আমি হাসপাতালে ডিউটিতে যাই। হাসপাতালে অনবরত গুলিবিদ্ধ রোগী আসছিলে। তখন আমি বার বার ছেলেকে ফোন করে বলি, বাবা তুমি বাসায় ফিরে আসো। হাসপাতালে অনেক গুলিবিদ্ধ আহত রোগী আসতেছে, তোমার আন্দোলনে থাকার দরকার নাই।

তখন সে আমাকে বলে, তুমি স্বার্থপর কেন আম্মা আমি এখন বাসায় যেতে পারবো না। আমার সামনে চার চারটা লাশ এবং আমি একজন আহতকে ধরে বসে আছি। সকাল ১১.০০/১১.৩০টার দিকে আমার হাসপাতালে দুটি ডেড বডি আসে। অনেক আহত রোগী আসে।

তখন আমি আমার ছেলেকে আবার ফোন করি। তখন ছেলে বলে, আমাকে তুমি কিভাবে ফেরত আসতে বলো। আমি তখন বলি তুমি আমার একমাত্র ছেলে। তোমার একটি ছোট্ট মেয়ে আছে বাবা। তোমাকে আমি ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাই। কিন্তু সে বাসায় ফিরে আসেনি।

তখন সে আমাকে জবাব দেয়, মা আমি যদি মারা যাই, তাহলে হাজার সন্তান তোমার পাশে দাঁড়াবে। তুমি আমার চিন্তা করো না। এরপর আরো দুটি মৃত দেহ আমার হাসপাতালে আসে। আমি দৌড়ে রিকশায় কাছে যাই এবং ভাবতে থাকি এই বুঝি আমার ছেলে হাসপাতালে আসলো।

এই সময় একজন বুকে গুলিবিদ্ধ আহত ছেলে আমাদের হাসপাতালে আসে। আমি তাকে এক্স-রে রুমে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ঐ সময় ছেলেটি তার মাকে ফোন করে এবং বলে আম্মু আমি ভালো আছি। আরেকজন আহত ছেলেকে আমি স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই ছেলেটিও তার পাশে থাকা বন্ধুকে বলছিলো, আমার অবস্থা আম্মুকে বালো না, তাকে বলো আমি ভালো আছি। না হলে আম্মু অনেক চিন্তা করবে।

এই অবস্থা দেখে আমি আমার ছেলেকে বার বার ফোন দিতে থাকি। তারপর আবার তাকে ফোন করে বলি, যদি আন্দোলন করতেই হয় তবে এখানে না থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যাও, সেখানে তোমার আরো আন্দোলনকারীরা আছে।

আমার ছেলে তখন উত্তর দেয়, তুমি কি পাগল হয়ে গেছো আম্মু? আমার ভাই বোনেরা গুলি খাচ্ছে, মারা যাচ্ছে তাদের কে রেখে আমি কিভাবে জাহাঙ্গীরনগরে যাবো?।

সর্বশেষ বেলা ২.৪৫ মিনিটে আবার তাকে ফোন দেই। তখন সে আমাকে বলে, তুমি কেন আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করছো আম্মা আমি যদি শহীদ হই তাহলে আমার আইডি কার্ড দেখে আমাকে শনাক্ত করো। আনুমানিক ২.৫৫টার দিকে আমার হাসপাতালের ডাক্তার বললো, খালা দেশ স্বাধীন হয়েগেছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সজলকে আসতে বলো।

তখন তাকে দুই বার ফোন দিয়েছিলাম, ফোন কেটে দিয়েছে। পরে অনবরত ফোন করেছি কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। একপর্যায় ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি তার সকল বন্ধু-বান্ধবকে ফোন দিয়ে বাইপাইল এলাকায় তার খোঁজ নিতে বলি। তারা বলে অনবরত গুলি হচ্ছে, আমরা খোঁজ নিতে পারছি না। আশুলিয়া থানার সামনে আমরা যেতে পারছি না। আমি নিজে খোঁজ নিতে যেতে পারিনি কারন তখন হাসপাতালে প্রচুর গুলিবিদ্ধ আহত লোক আসছিলো।

সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.০০টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমি ছেলের খোঁজে বের হই। আমার সাথে সজলের এক বন্ধু তার নাম শান্ত তাকে সাথে নিয়ে আমি বের হই। আমি আশেপাশে যত হাসপাতাল আছে সকল হাসপাতালে ছেলের খোঁজ করি কিন্তু পাইনি। আমি এনাম মেডিকেল থেকে আসপাশের সকল হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে ঢুকে রোগীদের মুখ দেখে ছেলেকে খুঁজেছি। সকল বেওয়ারিশ লাশ ছিলো তা আমি উল্টেপাল্টে দেখেছি।

তখন সেখানে থাকা স্টাফরা তারা আমাকে লাশ দেখতে নিষেধ করছিলো কারন তারা বলছিলো আপনি মা, আপনি সহ্য করতে পারবেন না। নিহতদের মাথায়, বুকে গুলি লেগে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এগুলি দেখলে আপনি পড়ে যেতে পারেন।

এদিকে আমার স্বামীও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছেলের সন্ধানে খোঁজখবর করে কিন্তু ছেলের সন্ধান পাওয়া যায় নি। রাতে মোবাইলের লাইট জেলে অলিগলি, বিল্ডিংয়ে ফাকে কত যায়গায় যে খুোজেছি। এভাবে সারাদিন এবং রাত ৩.৫০ ঘটিকা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে আমি বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে বাইপাইল মোড়ে আসি।

তখন আমি সেখানে লাঠিশোঠা নিয়ে পাহারারত ছাত্রদেরকে দেখতে পাই। তাদের কাছে আমার ছেলের সন্ধান যানতে চাই এবং আমার মোবাইলে থাকা ছবি তাদেরকে দেখাই। তখন একজন ছেলে আমাকে বলে, আন্টি আপনি যদি সহ্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে একটা খবর বলতে চাই।

তখন আমি বললাম বাবা আমি আমার ছেলেকে পাওয়ার জন্য সকল কিছু সহ্য করতে প্রস্তুত আছি, তুমি বলো। তখন সে ছেলেটি আমাকে বলে, আশুলিয়া থানার সামনে ৬/৭ টি ছেলেকে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আপনি সেখানে আপনার ছেলেকে খুজে দেখতে পারেন।

আমি আশুলিয়া থানায় যেতে চাইলে অন্য ছাত্ররা আমাকে সেখানে যেতে দেয়নি। তারা আমাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আমি বাসায় গিয়ে তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ পড়ে আল্লার কাছে কান্নাকাটি করি আর দোয়া করি যেন আমার সজলের অন্তত মরদেহটা পাই।

পরের দিন ৬ আগস্ট ৬.০০টার দিকে বাসা থেকে আবার বের হই এবং সকল আনুমানিক ৬.৩০টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে যাই। সেখানে গিয়ে একটা পুলিশের পিকআপ গাড়িতে বেশ কয়েকটি পোড়া লাশ দেখতে পাই। অনেক মানুষ লাশগুলির ছবি ও ভিডিও বনাছিলো। আমি ভীড় ঠেলে সামনে যাই এবং একটা ছবি তুলি। এই সেই ছবির প্রিন্ট কপি এই যে নিয়ে এসেছি (ছবি দেখানো হয় আদালতে)

আমি দেখতে পাই একটি লাশ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, পায়ের একটি মোটা হাড় উঁচু হয়ে আছে এবং সে হাড়ের সাথে একটি জুতা পোড়া অবস্থায় ঝুলছে। সামান্ন টাচ করলেই জুতাটা পড়ে যাবে। জুতাটা দেখেই আমি বুঝতে পারি যে, এই জুতাটি আমার ছেলে সজলের জুতা। (এ পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি, আদালতে প্রায় সকলে চোখে তখন পানি)।

আমি তখন উপস্থিত সেনা সদস্যদের বলি, এ আমার ছেলের লাশ। দয়াকরে আমার ছেলের লাশ আমাকে দিয়ে দিন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে বলেন, এখন লাশ দেওয়ার অনুমতি নেই। অনুমতি পাওয়া গেলে আপনাকে জানাবো। আমি নিরুপায় আমার ছেলের পাশ ফেরত পাওয়ার জন্য আমার কর্মস্থলের হাসপাতালের ডাক্তারদেরকে সহায়তা করার অনুরোধ করি।

বিকাল আনুমানিক ৪.৩০টার দিকে সজলের বন্ধুরা আমাকে ফোন দিয়ে যেখানে লাশ পোড়ানো হয়েছিলো সেখানে আসতে বলে। আমি সেখানে ৫.০০টার দিকে গিয়ে পৌছাই। তখন গাড়ি থেকে একটার পর একটা পোড়া লাশ নামানো হয় এবং শনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাকে লাশের কাছে যেতে দেয়।

সজলের লাশ যখন নামানো হয় তখন তার সাথে তার কর্মস্থলের আইডি কার্ডের আংশিক পোড়া কার্ড এবং তার মানিব্যাগের ভিতরে তার সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখে আমি আমার ছেলে সজলের লাশ শনাক্ত করি। এই সেই রক্তমাখা আইডি কার্ড (দেখানো হয় আদালতে)।

আমার ছেলের লাশের যখন প্রথম ছবি তুলি, সেখানে আমি দেখতে পাই তার পোড়া হাতের পাশেই তার মোবাইল ফোনটি রয়েছে। এটা দেখে আমি বুঝতে পারি যে, পোড়ানোর পূর্ব মুহূর্তেও সে জীবিত ছিলো এবং ফোন দিয়ে কাউকে কিছু জানানোর চেষ্টা করছিলো।

আমার মনে হয়েছে, যখন তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিলো তখন সে প্রাণপনে তার অবস্থা আমাকে, আমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছিলো বা কোন মেসেজ লেখার চেষ্টা করছিলো কিন্তু একটার উপর আরেকটা লাশ ফেলার কারনে নিচে পড়ে যাওয়ায় সে আর কোন মেসেজ লেখা বা কল দেওয়ার সুযোগ পায়নি।

আশুলিয়া রাস্তার উপরে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনী গান সেলুটের পর জানাজা পড়ানো শেষে আমার ছেলেসহ চারজনের লাশ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমার ছেলের লাশ গ্রহণ করার পর আমার কর্মফুল হাসপাতালে নিয়ে যাই।

হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে। তাকে কাফন পরিয়ে কফিনের মধ্যে রেখে হাসপাতালের গাড়িযোগে আমার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে পৌছে দেয়। সেখানে ৭ই আগস্ট ২০২৪ সালে তাকে দাফন করি।

আমার ছেলে সজল সিটি ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি পড়ছিলো এবং পাশাপাশি সে "টেস্টি ট্রিট" নামক একটি ফুড শপে চাকুরী করতো।

আমার ছেলের একজন দু বছরের কন্যা শিশু আছে। সে তার বাবার কবরের কাছে গিয়ে বাবাকে ডাকাডাকি করে বলে বাবা উঠো বাবা উঠো। এই সংক্রান্ত একটা ভিডিও আদালতে দেখানো হয় এবং সজলকে জাতীয় পতাকা হাতে রাজপথে আন্দোলনরত থাকা অবস্থায় ধারণকৃত আরেকটি ভিডিও আদালতে প্রদর্শিত হয়।

আমার সন্তানসহ দুই হাজার মানুষকে যারা হত্যা করেছে সেই আসামীরাসহ এই হত্যাকান্ডের জন্য। দায়ী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি মামুন, ওবায়দুল কাদের, সাইফুল এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ লীগের বিচার চাই।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এই আমার জবানবন্দি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
১৭/৮/২০২৫

Copy from: July Revolutionary Alliance

©INTERNET-ইন্টারনেট

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচ...
24/09/2025

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"

এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।

ধরুন, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। আপনি খেলেন ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেল। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করল নিজেরা নিজেরা।

তারা ভাবল, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।
এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করে না!

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকে না। তিনি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ওই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।

আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করে না, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হাসপাতাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবে না। সামান্য সর্দিতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।

উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। "মেডিসিনের বাইবেল" নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,
"This organism is registant against this Drugs in the subcontinent'' অর্থাৎ এই জীবাণুটি উপমহাদেশের এই ওষুধগুলোকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়ে বেশি জরুরি। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা। আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা।

রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসিতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Azithromycin, Cefixime, Cefuroxime অথবা Levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কত দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষুধটি ১ ডোজ খাবেন, সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।

চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।

©INTERNET-ইন্টারনেট

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র বিপ্লবী ও শহিদ বীরকন্যা। ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ফুলতারা, ব...
24/09/2025

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র বিপ্লবী ও শহিদ বীরকন্যা। ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ফুলতারা, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ ব্যক্তিত্ব। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের বর্তমান পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার এবং মাতা প্রতিভাদেবী। চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর স্কুলের মেধাবী ছাত্রী প্রীতিলতা ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাস করেন। ঢাকা ইডেন কলেজ থেকে ১৯৩০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সমগ্র ঢাকা বোর্ডে আই.এ. পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। সালে ডিসটিংশান নিয়ে তিনি বি.এ. পাশ করেন। কিন্তু, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় কৃতিত্বের সাথে স্নাতক পাস করলেও তিনি এবং তার সঙ্গী বীণা দাশগুপ্তর পরীক্ষার ফল স্থগিত রাখা হয়। অবশেষে তাদেরকে ২২ মার্চ, ২০১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মরণোত্তর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। চট্টগ্রামের অপর্ণাচরণ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকার বিপ্লবী দল ‘দীপালী সংঘ’ এবং কলকাতার ‘ছাত্রী সংঘে’র সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। সূর্যসেন সহ অন্যান্য বিপ্লবীদের সাথে প্রীতিলতার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। বিপ্লবীদের জন্য তাঁরা অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহ করতেন। ঝাঁসির রাণীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অসীম সাহসী প্রীতিলতা ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে সূর্যসেনের নির্দেশে কয়েকজন বিপ্লবী সহযোদ্ধা সহ পূর্ণ সামরিক বেশে চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে অবস্থিত তৎকালীন ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে যান। এই আক্রমণ সফল হলেও এক ইংরেজের গুলিতে আহত হন প্রীতিলতা। শত্রুর হাতে ধরা পড়ার আগেই নিজের পোশাকের ভেতর লুকিয়ে রাখা মারাত্মক বিষ পটাশিয়াম সায়েনাইড মুখে ঢেলে আত্মাহুতি দেন নিজেকে। প্রীতিলতার এই আত্মদান যুগ যুগ ধরে দেশপ্রেম আর সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম প্রহরে অকুতভয়ী বীরকন্যা প্রীতিলতা মৃত্যুবরণ করেন।

©INTERNET-ইন্টারনেট

★শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক দেখলেন যে তার বসার চেয়ারটি ছাদে ঝুলছে। তিনি চেয়ারের দিকে চেয়ে মনে মনে কিছু একটা ভেবে শিক...
22/09/2025

★শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষক দেখলেন যে তার বসার চেয়ারটি ছাদে ঝুলছে। তিনি চেয়ারের দিকে চেয়ে মনে মনে কিছু একটা ভেবে শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে কিছু বললেন না। তাদেরকে ব্ল্যাকবোর্ডে তিনটি প্রশ্ন লিখে দিয়ে বললেন যে সবার আগে উত্তর জমা দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাবে তার জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

পরীক্ষা - ১৫ মিনিট, ৩০ নম্বর।

★প্রশ্ন ১. চেয়ার এবং মেঝের মধ্যে দূরত্ব সেন্টিমিটারে গণনা করুন।
(১ নম্বর)।

★প্রশ্ন ২. চেয়ার ছাদের দিকে কত ডিগ্রি কোণে ঝুঁকে পড়ছে? (১ নম্বর)

★প্রশ্ন ৩. যে ছাত্রটি চেয়ারটি ছাদে ঝুলিয়েছিল এবং যে বন্ধুরা তাকে সাহায্য করেছিল তাদের নাম লিখুন। (২৮ নম্বর)।

শিক্ষক চেয়ারটি ঝুলিয়ে রাখা ছাত্রটিকে ধরতে কোনো বেগ পাননি।

©INTERNET-ইন্টারনেট

ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি গাধাকে একজন সৈনিক পিঠে তুলে নিয়েছে।আসলে এই ছবিটির মধ্যে কোনো ভালোবাসা লুকিয়ে নেই।যদি গাধাটি ভুল...
22/09/2025

ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি গাধাকে একজন সৈনিক পিঠে তুলে নিয়েছে।

আসলে এই ছবিটির মধ্যে কোনো ভালোবাসা লুকিয়ে নেই।

যদি গাধাটি ভুল পথে হেঁটে যায়, তবে সে ওখানে পুঁতে রাখা লুকানো মাইনগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সবাইকে বিপদে ফেলে দেবে।

আপনিও নিজের চারপাশের গাধাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন, যেন আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। কারণ ওই গাধাগুলোর জন্যই সমাজে আপনার সম্মান নষ্ট হচ্ছে।

©INTERNET-ইন্টারনেট

এক গ্রামে এক যুবক ও তার সুন্দরী স্ত্রী বাস করত। একদিন গ্রামের মোড়লের কুদৃষ্টি পড়ল মেয়েটির প্রতি।মোড়ল ফন্দি আঁটেন — ক...
22/09/2025

এক গ্রামে এক যুবক ও তার সুন্দরী স্ত্রী বাস করত। একদিন গ্রামের মোড়লের কুদৃষ্টি পড়ল মেয়েটির প্রতি।

মোড়ল ফন্দি আঁটেন — কীভাবে যুবককে কিছুদিনের জন্য দূরে পাঠিয়ে সুযোগ বুঝে তার স্ত্রীকে নিজের করে নেওয়া যায়।

কয়েকদিন পর এক আসরে মোড়ল আলোচনা তুললেন, "শহরে আমার পরিচিত এক ফ্যাক্টরিতে কিছু লোক নেবে। কে কে যেতে চাও?"

এরপর তিনি ৪ জন লোক বাছাই করলেন, যার মধ্যে যুবকটিও ছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

সেদিন রাতে মোড়ল চুপিচুপি যুবকের বাড়ির দিকে এগোলেন। অন্ধকার বারান্দায় বাঁশের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে তিনি শব্দ করে ফেললেন। যুবকের স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেল। ভয় পেয়ে সে জিজ্ঞাসা করল, "কে ওখানে?"

মোড়ল নিজের পরিচয় দিলেন। মেয়েটি অবাক হয়ে বলল, "এত রাতে? সব ঠিক আছে তো?"

মোড়ল নিজের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করলেন, "তোমায় দেখার পর থেকে মনে শান্তি নেই! তোমাকে আমি চাই।"

মেয়েটি অত্যন্ত ধীরস্থির কণ্ঠে বলল, "ভালোবাসা চাইলে ঠিক আছে, তবে আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। যদি সঠিক উত্তর দিতে পারেন, তবে আপনার মনের ইচ্ছা পূর্ণ হবে।"

মোড়ল খুশি হয়ে বললেন, "বলো!"

মেয়েটি বলল, "মাংস নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে আমরা লবণ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু প্রশ্ন হলো লবণই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মাংসকে পচন থেকে রক্ষা করব কীভাবে?"

মোড়ল গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন। একদিন, একরাত পেরিয়ে গেল, কিন্তু তিনি কোনো উত্তর খুঁজে পেলেন না। পরদিন আসরে তিনি সকলকে প্রশ্নটি করলেন, কিন্তু কারো কাছ থেকেই সন্তোষজনক উত্তর এলো না। এক কোণে বসে থাকা এক বৃদ্ধ নীরবে তাকিয়ে ছিলেন। মোড়ল তাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কিছু বলছেন না কেন?"

বৃদ্ধ উত্তর দিলেন, "কারণ, এটা কেবল একটা প্রশ্ন নয়, এটি একটি নীরব বার্তা। পুরো ঘটনাটা আমি জানি — মেয়েটি আমাকে সবকিছু খুলে বলেছে! সে চাইলে আপনাকে অপমান করতে পারত। কিন্তু তা না করে আপনার বিবেক জাগিয়ে দিল।"

তারপর তিনি ব্যাখ্যা করলেন, "লবণ মাংসকে পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু লবণ যদি নিজেই নষ্ট হয়ে যায়, তবে মাংসকে রক্ষা করবে কে? অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ ভুল করলে নেতা তাদের সঠিক পথ দেখান, কিন্তু নেতা যদি নিজেই বিপথগামী হয়, তখন জনগণকে কে রক্ষা করবে?"

মোড়ল লজ্জায় মাথা নিচু করলেন।

পিতা-মাতা যদি বিপথে যায়, কে সন্তানকে পথ দেখাবে? যদি শিক্ষক পথ হারায়, কে জ্ঞানের আলো ছড়াবে? যদি বিচারক, নেতা, সেনাবাহিনী, পুলিশ পথভ্রষ্ট হয়, কে জাতিকে রক্ষা করবে?

©INTERNET-ইন্টারনেট

এটা কোনো ডাকসু ইলেকশন না। হাটহাজারী মাদ্রাসায় যত ছাত্র আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছাকাছি ছাত্র আছে। এটা সিনিয়র মাদ্রা...
22/09/2025

এটা কোনো ডাকসু ইলেকশন না। হাটহাজারী মাদ্রাসায় যত ছাত্র আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছাকাছি ছাত্র আছে। এটা সিনিয়র মাদ্রাসার একটা ইলেকশন। এবং এই সর্বনাশটা করে গেছে শেখ হাসিনা নিজে। মাদ্রাসার ছেলেগুলা আলিম পাশ করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে, যে কারণে দলে দলে মাদ্রাসার ছাত্র সামনে এসে ভর্তি হচ্ছে।
*
ফজলুর রহমান
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য

ছবিতে: শেখ হাসিনার করা সর্বনাশের অংশ, মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মনোনীত ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

- ইব্রাহিম আদল

©INTERNET-ইন্টারনেট

জাপানের আইসক্রিম কোম্পানি আকাগি নিউগিও (Akagi Nyugyo) তাদের বিখ্যাত “গারিগারি-কুন” (Garigari-kun) পপসিকেলের দাম ২৫ বছর প...
19/09/2025

জাপানের আইসক্রিম কোম্পানি আকাগি নিউগিও (Akagi Nyugyo) তাদের বিখ্যাত “গারিগারি-কুন” (Garigari-kun) পপসিকেলের দাম ২৫ বছর পর প্রথমবারের মতো বাড়িয়েছে।
বৃদ্ধিটা কত জানেন ? মাত্র ১০ ইয়েন, মানে প্রায় ৯ সেন্ট।

কিন্তু চুপচাপ লেবেল বদলে দেওয়ার বদলে তারা জাতীয় টেলিভিশনে গিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চাইল। বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, কোম্পানির কর্মকর্তারা গভীরভাবে মাথা নত করে বলছেন— “আমরা ২৫ বছর ধরে একই দাম রেখেছিলাম, কিন্তু… আর পারছিনা ।”

শুধু জাপানেই হয়তো এমনটা সম্ভব—কোনো কোম্পানি কয়েক সেন্ট দাম বাড়িয়েও টেলিভিশনে মাথা নত করে ক্ষমা চাইছে।
সত্যি বলতে কী, এটা আমার দেখা সবচেয়ে আন্তরিক আর হৃদয়ছোঁয়া “সরি”।

দর্শক এমন কোনো ঘটনা আপনারা দেখেছেন?

©INTERNET-ইন্টারনেট

Address

Cox's Bazar
4700

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cox's Bazar - কক্সবাজার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share