17/05/2025
"যেদিন কার্যকর হবে বা যেদিন এই বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা বেতনের সাথে অতিরিক্ত যোগ হয়ে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে তখন বিশ্বাস করব, এর আগে নয়‘ - এটা একজন সরকারী চাকুরীজীবির ভাষ্য।
প্রতিটি সরকার - ক্ষমতায় যে আসুক! সরকারি কর্মকর্তা - কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির মূলা ঝুলায়ে দেখিয়ে দেখিয়ে, কোন রকমে তাদের আশা দিয়ে দিয়ে অদ্যবধি ভাসাইয়া দিয়ে রেখেছে।
এখনো হয়ত একই!!!
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বক্তৃয়ায় অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনা আকারে পেশ করার পরও বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে অলৌকিকভাবে আর পাশ হয়নি,শুধু আপার অনিচ্ছার কারণে। লুটপাট ও সীমাহীন দূর্নীতির কারণে তার মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীদের সাথে অধিকাংশ আমলারা বেপরোয়া ভাবে অর্থ পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
প্রত্যেক বৃহৎ সরকারি প্রকল্পের দুই তৃতীয়াংশ টাকা লুটপাট হয়েছে,ব্যায় করা হয়েছে ১ ভাগ। প্রকল্পের ব্যায় প্রতিবছর বছর বছর বাড়িয়ে বাড়িয়ে সুকৌশলে সিস্টেম করে জনগনকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছিল। সবার দূর্নীতির বিষয়ে সবকিছুই আপা নিজেই জানতেন। হাসিনার তার আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে সবকিছু করিয়ে নিতেন। কর্ণফুলী টানেল এর মত প্রকল্প আগামী ১০/২০ বছর পর হয়ত লাগত। বর্তমান সময়ে এই টানেলের কোন প্রয়োজনীয়তা নাই।শুধুমাত্র একজন মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সুবিধা ও ইচ্ছায় শেখ পরিবরের সদস্য দিয়ে শেখ হাসিনা কে ম্যানেজ করে এই অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে জণগণের টাকা অপচয় ও লুটপাট করা হয়েছিল।ঐ মন্ত্রী নওফেল সেখানে ৫ তারকা মানের হোটেল সহ থাকার জন্য প্রাসাদ তৈরী করেছেন। ঐ টানেল ব্যাবহার করে আগের চেয়ে বেশী সময় ও অর্থ ব্যায় হওয়ার কারণে গাড়ী টানেল দিয়ে যাচ্ছে না। সেকারণেই টানেলের দৈনিক পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ পর্যন্ত উঠে আসছেনা টোল আদায় থেকে। প্রতিমাসে সরকারকে ভূর্তকি দিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। তার পরিবারকে পার্সেন্টেজ দিলে সবকিছুই হালাল হয়ে যেত। দেশের অর্থনীতি খোকলা হয়ে যাক, তবু যেভাবে হোক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যাবহার করেছে সব সরকার। হাসিনার সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর, ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজদের মত লোক বসিয়ে দেশে ভয় ও গুমের সংস্কৃতি চালু করে সব আকাম করেছে হাসিনা সরকার। এখনো প্রশাসন সহ বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন পদে অনেক ফ্যাসিষ্টের দোসর ঘাপটি মেরে বসে আছে। বর্তমান সরকারের এই সময়ে তাঁরাই দূর্নীতিবাজদের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা,বাহিনী, আমলা ও ব্যাক্তি দিয়ে তাদের আবার সেইফ এক্সিট ও দেয়া হল,যেন উনারা নাচতে নাচতে তাতা.. থৈ.. থৈ.. তাতা.. থৈ..থৈ... করে সবাই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।
হায়রে বাঙ্গালির দেশপ্রেমের নমুনা!!!
একমাত্র সরকারী চাকুরীজীবিদের সর্বোচ্চ ও সর্বশেষ মূল্যায়ণ করেছেন ১/১১ সময়কার গঠিত নিরপেক্ষ তত্তবধায়ক সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন সাহেব এবং এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তিনি ক্ষমতায় আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিজ উদ্যেগে নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করেছিলেন। উনি এটার জন্য অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। অবসরপ্রাপ্ত এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আপসোস করে বলেন 'আমার এই অল্প বয়সের মধ্যে ফখরুদ্দিন স্যারের এর শাসনামাল অন্যতম সেরা রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা দেখেছি।' ঐ সময় দূর্নীতিবাজরা ভয়ে অবৈধ টাকা,গাড়ী গোপনে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে বাঁচত। চরম আতংকে ছিল সকল ধরণ ও শ্রেণির অপরাধীরা। মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমিয়েছিল। দেশে স্বাধীন বিচার বিভাগ গঠন করে শাসন বিভাগকে আলাদা করে আমূল পরিবর্তন হয়েছিল বাংলাদেশের শাসন ও বিচার ব্যবস্থায়। শুধুমাত্র উনার আমলেই নতুন বেতন / পে স্কেল পেয়ে বেতন কে বেতনের মত লেগেছিল অনেক নিম্ন গ্রেডের চাকুরীজীবিদের। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার কি বিগত ১৫ বছরের অবৈধ সরকারের মত করবেন নাকি ফখরুদ্দীন সাহেবের পথে হাঁটবেন।
এককথায়,এখন বেতনবৃদ্ধি নিয়ে এসব চাটুকারী ও লোভনীয় নিউজ আর কেউ বিশ্বাস করেনা । আরেকজন সিনিয়র সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন খুব সংক্ষেপে বলেন, "যেদিন পাব সেদিন বিশ্বাস করব”।
এখন দেখার বিষয় বিশ্ব নন্দিত অর্থনীতিবিদ জনাব, ড. ইউনুস স্যার এর অন্তবর্তী সরকার কি করে সরকারি চাকুরীজীবিদের জন্য !!!!
অবশেষে সুখবর আসছে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভা.....