02/10/2025
পূজা মন্ডপের পাশেই খেলছিল মুসলিম মেয়েটা। তার সমবয়সী বাকি মেয়েরাও খেলা করছিল। তাদেরকে দেখেই খেলতে এসেছিল এই মেয়েটা।
মাকে বলেছিল খেলা শেষ করেই বাড়িতে ফিরবে।
খেলার মাঝখান থেকে ভজেন্দ্র সরকার মেয়েটাকে ডাক দেয়। মেয়েটা ছোট মানুষ এতকিছু না ভেবে যায়।
মেয়েটা ভেবেছিল কোন কাজে হয়তো ডাক দিয়েছে। কাজ শেষ হলেই সে ফিরে এসে আবারও বাকিদের সাথে খেলা করবে।
ভজেন্দ্র সরকার সেখানকার পূজামণ্ডপের সহসভাপতি, ভালোই প্রভাবশালী সে।
সে প্রথমে বাচ্চা মেয়েটাকে ডেকে নিজের কাছে নিয়ে যায়, তারপর কিছু একটা কাজের বাহানা করে তার নিজের ঘরে ঢুকায়। মেয়েটাও ছোট মানুষ, এতকিছু না ভেবে ঘরে যায়।
ঘরে ঢুকার পরপরই ভজেন্দ্র সরকার বাচ্চা মেয়েটাকে বিছানায় ফেলে তার কাপড়চোপড় ছিন্নভিন্ন করে নগ্ন করে ফেলে।
আচমকা এমনসব করায় প্রচন্ড ভয় পায় মেয়েটা এবং চিৎকার করে ডাকতে শুরু করে। মেয়েটাকে মুখ খুলতে দেখে ভজেন্দ্র সরকার খুব রেগে যায়
তারপর নিজের গামছা দিয়ে প্রথমে মেয়েটার মুখ বাঁধে এবং তারপর হাত পা পেচিয়ে অনবরত ধ*র্ষণ করতে থাকে।
মেয়েটা মুখ দিয়ে কোনরূপ আওয়াজ করতে পারছিল না, কাউকে ডাকও দিতে পারছিল না। হাত পা নাড়ছিল, গোঙাচ্ছিল আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল শুধু।
বাচ্চা মেয়েটার চোখে পানি দেখেও ভজেন্দ্র সরকার থামেনি, অনেকক্ষণ যাবত অমানবিকভাবে ধ*র্ষণ করতে থাকে মেয়েটাকে।
মেয়েটার কাপড় রক্তে ভরে উঠছিল, শরীর কাঁপতেছিল।
মেয়েটা বারবার হাত দিয়ে থামানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু পারেনি, ভজেন্দ্র সরকারের এতবড় শরীরের সাথে তার এই ছোট্ট শরীর পেরে উঠছিল না।
অনেকক্ষণ ধ*র্ষণের পর ভজেন্দ্র সরকার ওভাবেই মেয়েটাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
মেয়েটা তখন শুধু গোঙানির মতো আওয়াজ করছিল আর ভয়ে কাঁপছিল।
মেয়েটার এই অল্প আওয়াজ কেউ শুনতে পায়নি কেননা পূজামণ্ডপের সাউন্ডবক্সে তখন গান বাজতেছিল আর এই ঘরের সবাইও ওই পূজাতেই ছিল।
অন্যদিকে মেয়েটাকে বাড়িতে ফিরতে না দেখে মেয়ের মা ফাতেমা বেগম চিন্তিত হয়ে পড়ে। অনেকক্ষণ আগে বের হয়েছিল মেয়েটা।
মেয়েটাকে খুঁজতে খুঁজতে তিনিও চলে আসেন পূজামণ্ডপের দিকে। অনেককেই জিজ্ঞেস করেন কিন্তু কেউই মেয়েটার কথা বলতে পারছিল না। মা এবং বড়ভাই হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে বাচ্চা মেয়েটাকে।
যে মেয়েগুলোর সাথে খেলেছিল তাদেরকে পরে জিজ্ঞেস করে মেয়েটার মা। তারা জানায়- ভজেন্দ্র সরকার নামের লোকটা মেয়েটাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
মেয়ের মা ফাতেমা বেগম তখন ভজেন্দ্র সরকারকে খুঁজতে থাকে, তাকে না পেয়ে তার ঘরে ঢুকে দেখতে পায়-
তার আদরের মেয়েটার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা, এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ করছে শুধু।
ঘটনাটা গতকাল সকাল ১১ টায় গাজীপুরের।
ভজেন্দ্র রায় পূজা কমিটির সহসভাপতি, বিরাট প্রভাবশালী লোক।
সে চেয়েছিল তাদের হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকদেরকে নিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দিতে এবং ধ*র্ষণের আলামতগুলো মুছে ফেলতে।
মেয়েটার মা এবং বড়ভাই এটা বুঝতে পেরে তাদের এলাকার মুসলিম আত্মীয়দেরকে নিয়ে আসে যাতে অন্তত আলামতগুলো মুছে ফেলতে না পারে।
সেখানে ভজেন্দ্র সরকারের লোকেরা তাদেরকে মারধর করতে চায়, হানাহানির মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে।
পরে মেয়েটার মা ফাতেমা বেগম সন্ধ্যার দিকে নিরুপায় হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করে। পুলিশ এসে ধ*র্ষণের আলামতগুলো পায়।
তারপর মেয়েটাকে গাজীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
ভজেন্দ্র সরকার এখন চেষ্টা করছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের দিয়ে জামিন নিয়ে নিতে।
ঘটনাটা গতকালকের। অথচ এখন পর্যন্ত প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা বড় কোন চ্যানেলকে এটা নিয়ে নিউজ করতে দেখলাম না। কোন শাহবাগীকেও আওয়াজ তুলতে দেখলাম না।
অথচ ঘটনাটা যদি উল্টো হতো, কোন মুসলিম হুজুর যদি ভিন্ন ধর্মের কাউকে ধ*র্ষণ করতো তাহলে হয়তো চারদিক তোলপাড় হয়ে যেত।
ধ*র্ষকের একমাত্র পরিচয় সে ধ*র্ষক। কিন্তু যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো দ্বারা মুসলিম কেউ ধ*র্ষণ তখন কেন যেন মিডিয়া কিচ্ছু বলে না, চুপ করে থাকে।
এই ফাঁকে ভজেন্দ্র সরকারের মতো প্রভাবশালীরা জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে।
২০১৫ সালের ধ*র্ষণ মামলার বিচারগুলো এখন আদালতে হচ্ছে। প্রায় ১১ বছর সময় লাগে একটা বিচার হতে।
তাই এই মুসলিম বাচ্চা মেয়েটাও কোন বিচার পাবে কি-না জানি না।
মেয়েটা এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। হাসপাতালে থেকেই এই সমস্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে সে।
এখন মেয়েটা প্রচন্ড ব্যথায় সে শুধু মা মা বলে ডাকে আর কান্না করে। মেয়েটার বয়স কম। ৮ বছর বয়স মাত্র! এত অল্প বয়সে কিছু বুঝে উঠার আগেই এত বড় যন্ত্রণা পেতে হলো তার।
মেয়েটার মাও হাসপাতালে তার বেডের পাশেই বসে আছে। বসে বসে এখন মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর সান্ত্বনা দিচ্ছে - কিছু হবে না মা বলে।
এই দেশে সঠিক বিচার তো পাবেই না। তাই মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া বোধহয় আর কিছুই করার নেই এই অসহায় মায়ের!
তথ্য সংগ্রহ এবং লেখা- Ibrahim Khalil Shawon
( ঘটনার সব আপডেট নেয়া হচ্ছে, বিস্তারিত আরও কিছু ইনফো জানাব..)